৫৭. বঞ্চিত

May 14, 2023

৫৭.

  “বঞ্চিত”

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

আমি পৃথিবীর সকল শুখ-শান্তি থেকে বঞ্চিত,

স্পর্শহীন কারো প্রাণের প্রথম ছোয়া হতে বঞ্চিত!

বঞ্চিত আমি কারো মনের প্রদীপ জ্বালানোর অধিকার পেতে,

বঞ্চিত আমি কারো চোখের প্রথম দৃষ্টিনন্দন হওয়া থেকে।

বঞ্চিত আমি কারো হাতের প্রথম গোলাপ হতে,

পারিনি আমি কারোর ভালো-বাসার পাত্র হতে।

স্বপ্নেও কারো প্রথম কল্পনা হতে আমি পারিনি কভূ,

কেউ দেয়নি স্থান আমাকে তার প্রথম গলিতো স্পর্শ মনের।

ফাঁগুনের কৃষ্ণচূড়া রঙ্গে লাল আভা ছড়ানোর দিনে,

দু-র থেকেও কেউ ভালোবাসা দিতে আসেনি মোর পানে।

কারো নুপুরের ছন্দে আঁকুল হয়ে আমি শিহরিত হয়নি,

কেউ জাগায়নি আমাকে ধমকের সুরে প্রভাত ভোরে।

যখন দিন শেষে সন্ধ্যা নামে একটিবার ও কেউ দেখার আকুতি 

করেনি,

একা একা ক্লান্ত হয়ে ফিরেছি বাড়ির পথে হেঁটে।

ঐ, যে দু, চোখের কাজল তাও পারেনি কেউ মোরে দেখাতে,

ভোলাতে চায়নি কেউ কখনো, সকল মনের বেঁদোনা ভালোবাসে!

দু,হাতে কাঁচের চুড়িতে কেউ সাঁজেনি আমার মনের মতো,

কপালে নীল বা লাল টিপ পরে কেউ আমাকে দেখাতে আসেনি একটিবারও।

প্রেমের ছন্দময় কবিতা, গান, কেউ শুনায়নি আমায়,

কেউ, তার প্রথম স্বর্গের স্বপ্ন আঁকেনি আমায় নিয়ে।

যখন রাতে ঘুম আসেনা আঁধারের সাথে বন্ধুত্ব করি,

তখনো কেউ বলেনি এসো আমরা গল্পো করি।

দু:স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভীত হয়ে যাই,

তখন কেউ বলেনা; ঘুমাও আমি আছিতো পাশে ভয় নাই।

কারো ভালোবাসার প্রথম নামে ভূষিত হইনি আমি,

অমুল্য হতে পারিনি কারো কাছে কোনো কালে।

সামান্য ভুল হলে কেউ ঝগড়া করেনি,

শাসায়নি কেউ নিজের বাধ্যের মতো করে।

কেউ তার চুলে হাত বুলানোর অধিকার দেয়নি আজও,

পলকহীন দৃষ্টিতে কেউ দেখেনি আমায় সামান্য সময়ে।

কেউ বলেনি তোমার জন্যই নিজ হাতে রেধেছি ডাল মাছ,

কারো হাসির কারণ হইনি কখনো প্রথম অশ্রুর দোষী হতে।

জানি কারো প্রথম স্বপ্ন বালক হওয়ার সুযোগ হবেনা আমার,

নিন্দিত আমি ভালোবাসা অ-নেক দামী তাই।

তবে চাঁদকে দেখতে, তার আলো মাখতে দোষ নেই যেমন,

অযোগ্য হয়েও বসে আছি অপেক্ষায়’ কি হতে পারে কারোর মিলন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *