০১. কবিতা বই (বীর কন্যা শেখ হাসিনা)

May 6, 2023

লেখক পরিচিতিঃ

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন।

মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।

৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।

ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।

পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।

কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ (অনলাইন পত্রিকা) এর নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লেখকের বাণীঃ

এই কবিতার বইটিতে আমি আমার বাস্তব জীবনের কিছু কাহিণী কবিতার মাধ্যমে ছন্দে ছন্দে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি এবং বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় বলিষ্ট নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তায় দেশের বিভিন্ন উন্নায়ন, বর্তমান দেশ ও সারা বিশ্বে ইসলাম এবং ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, হজ্ব, যাকাত, কুরআন ও হাদীসের আলোকে শিক্ষণীয় বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। আশাকরি আমার জীবনের প্রথম লেখা কবিতার বই “বীর কন্যা শেখ হাসিনা” বইটি বইপ্রেমিক সকলের কাছে ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসাই আমার লেখনী শক্তির একমাত্র পাথেয়।

উৎসাহঃ

আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শরদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এডিটর ভাতিজা মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় বইটি প্রকাশ করেছি।

উৎস্বর্গঃ

বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইদলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) এর নামে উৎস্বর্গ করলাম।

 


“জাহান্নাম”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।
প্রকান্ড সেই অগ্নিকুন্ডু,
প্রচান্ড সেই উত্তাপ।
লেলিহাল অগ্নিশিখা,
ভয়াবহ তার প্রতাপ।
বৃহদাকার গর্তবিশেষ
জাহান্নামিদের আবাস।
কাফিরদের জন্য চিরস্থায়ী
পাপীদের জন্য অস্থায়ী নিবাস।
আল্লাহ তা—আলার হুকুম আহকাম,
শরীয়তের বিধি—বিধান,নবীর সুন্নাহ পালন
এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম!
অমান্যকারীর জন্য হবে নির্ধারিত জাহান্নাম।
কাফির মুশরিক বিনা হিসাবে
পাবে টিকিট জাহান্নামের!
আল্লাহ তা—আলা করবে পূরণ কৃতজ্ঞতার অঙ্গীকারের।


“জান্নাতের পথে”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

সুবিশাল সে উদ্যান
যাহা বৃক্ষরাজিতে ভরা।
জান্নাতিদের আবাশস্থল
থরে থরে যার ঝরা।
দুধ মধুর,শরবত ও পানির স্বচ্ছতম নহর,
থাকবে সাথে সু—নয়না,পরমা সুন্দরী হুর।
মনে যত আকাঙ্ক্ষা জাগে,
পাবে তাহা চাওয়ার আগে।
নানা রকম ফল—গলাদি
সু—মিষ্ট পানির কত নদী!
থাকবে না কোনো কষ্ট ক্লেশ
সুখের কোনো হবে না শেষ।
আরশের নিচে অবস্থিত সেই
জন্নাতে সবাই থাকবে বেশ।।।।


“ধর্ম নিরপেক্ষতা ও নারীর পূর্নক্ষমতায়ন”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

ধর্ম নিরপক্ষতা কি ধর্মহীনতা নয়?
ইয়াহুদ—নাসারার দালাল ছাড়া কেও এই কথা কয়?
নারীর পূর্নক্ষমতায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ!
দুর্ভাগ্য এদেশের—যেথা নারীর নেত্রিত্য প্রশিদ্ধ।
ধর্মনিরপক্ষ রাষ্ট্রের নামে ষড়যন্ত্রের জাল’
এটা মুসলিম নাম ধারি কিছু মুনাফিকের চাল।
ইসলামের প্রজল্লিত দ্বীপ নেভাতে কঠিন এক চক্রান্ত’
নারীর সমঅধিকার নাম দিয়ে করতে চায় চুড়ান্ত।
সুন্নতি লেবাস দেখলেই বলে তাকে জঙ্গি’
জেএমবি ক্যাডার বলে’ বলে শিবির কর্মী!
সরকার দলের এমপি দেন বোরকা ছাড়ার মত!
নাচ—গান শেখানো এর প্রকৃত পথ?
পর্দা ছেড়ে মা,বোনদের,বাজারে নামতে বলে,
তোর ঘরেও যে, বোন সেটাও গেলি ভুলে?
স্বর্ন—রৌপ্য,ধন—সম্পদ, হয় সঞ্চিত’
পৃথিবীর সেরা সম্পদ নারী সেটাই থাকবে অরক্ষিত।।।


“ঈমানের ক্ষরা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

মোহরান্নিত অন্তর খানি নাফরমানিতে ভরা!
গোমরাহীতে পরিপূর্ণ ঈমানের বড়ই ক্ষরা।
হালাল—হারামের সংমিশ্রন,ছোট—বড় গুনাহ’
নৈতিকতার অধঃপতণ,ব্যাভিচার ও জিনা।
ঈমান হারা হচ্ছে যুবক—বৃদ্ধ বনিতা’
পর্দাহীনতা চারিদিকে আজ পথে—ঘাটে পতিতা।
দূর্নীতি আর খুন—খারাবি,জূয়া চুরি ধর্ষণ’
এর ফল স্বরুপ চতুর্দিকে আজ মহা আযাবের বর্ষণ।
হাজার বছরের ইসলামী ইতিহাসে আমাদের দেশ খ্যাত’
সেই দেশেতে আজ কেনো নাস্তিকতা এত?
মানুষের তৈরী আইন নিয়ে চলছে বিচার কার্য্য’
কুর—আন সুন্নাহ’র কথাই নেই ইযমা—কিয়াস!
বৃটিশ প্রবর্তিত আইন প্রয়োগে শুন্য ঈমান—ইখলাস।
বেহায়াপনা অতিক্রমান্তে সর্বোচ্চ সীমানা,,,
লেটনাইট পার্টি,ডিসকো,কনসার্ট নেই কারো আজ অজানা।
এই যদি হয় বাংলাদেশের মুসলিমদের হাল!
কাফির—মুশরিক পাবে সুযোগ বুনবে ষড়যন্ত্রের জাল।
রোজকিয়ামতে “আল্লাহ” যখন আরশে হবেন আসীন!
কি জবাব দেবে তার সামনে সেদিন একবার ভেবে দেখেছো কি?


“দোজাহানের বাদশা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

হে আসমান জমিনের মালিক!
হে আমার রব!!
আখিরাতের কামাই যে শুন্য
দুনিয়াই রয়ে যাবে সব।
পাহাড় সদৃশ পাপ রাশি
পূণ্য তথায় বালিকা তূল্য
আজীবন গেলো বিভ্রান্তিতে
বুঝে আসেনি আমলের মুল্য।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে’
কাটলো ঘোর এ অধম বান্দার
ভিক্ষার ঝুলি পেতেছি আজ
ক্ষমার আশায় দোজাহানের বাদশাহের কাছে।
তুলেছি হাত মুনাজাতে তুমিতো সেই সত্তা’
যার দরবার থেকে কেউ কখনো ফেরে নাকো খালি হাতে।।


<<মা>>
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

তার’ই নাম মা,যার হয় না কোন তুলোনা,
পৃথিবীতে এমন আপন আর কাউকে পাবো না।
আল্লাহ তা—আলার পরে যাদের বেশি ভালবাসা যায়,
রাসুল(সাঃ) এর পরে সে যে “মা”ছাড়া আর কেউ নয়।
কষ্ট করে যে “মা”আমার করেছিলো গর্ভে ধারন,
ঘূর্নাক্ষরেও আমি যেনো হয়নি তার কষ্টের কারণ।
হতে দেয়নি যে “মা”আমায় কোন কিছুর অভাব বোধ,
চামড়া খুলে জুতা পরালেও হবে না যে ঋন শোধ।
জন্ম থেকে যে “মা”আমায় করেছিলো লালন—পালন,
বৃদ্ধাকালে আমি যেনো হই তার শেষ অবলম্বন।

কবিতা
“স্বামী স্ত্রী”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ধরণীর বুকে.
অভিবাদন জানায় হে প্রভু হাসি-মুখে।
সুখ দুঃখো জীবনে সম পরিমাণ.
এপিঠ আর ওপিঠ এক মুদ্রা মুল্যবান।


পৃথিবী নগন্য জানি কত যে আপন.
বিশ্বাষের ডুরে বাঁধা স্বার্থ বিসর্জন।
দুটি দেহে এক আত্না বুকের গহন.
শারিরীক আকর্ষণ স্রষ্টার সৃজন।


বিবাহিত জীবনের মধুর প্রণয়.
নারী আর পুরুষের সমজোতা রয়।
দুটি প্রাণের স্পন্দন জীবন মরণ.
স্বর্গ নরকের সঙ্গী আত্নার বন্ধন।
হৃদয়ের সীমানায় নেই কোনো ব্যাবধান.
শুভ বিবাহ সম্পর্কটা পবিত্র মহান।।


“নিরাশায় আশার আলো”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

তোমাতে অসংযত হয়েই আমার পাপ.
ভালবাসার এই সংসারে বাড়তি চসয়া শাপ!
চাইবে স্বামী’ স্ত্রীর কাছে একটু আদর বেশি
স্ত্রী বলে,নির্যাতন, এই খাটাও কেনো পেশি
স্ত্রী বলে, ক্লান্ত আমি সারাদিনের শ্রম!
স্বামী বলে, তুমি কাজী আমিও কি কম!
ভাল বাসার দরাদরি নিত্য দিনের খেলা
এই সংসারে প্রেমের কদর অনল বন্দীশলা!
কে কি ভাবে চাইছি কাকে অনেক আপন করে
স্বামী স্ত্রীর বোঝা পড়া হয়নি যুগান্তরে।
কেউ বুঝি কম কেউবা বেশি ঝগড়া সারাক্ষণ.
খানিক পরে আবার বাঁধে সংসার আমরণ।।


“হক্বের দাওয়াত”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

কোথায় পাবো হক্বের দাওয়াত আজ.
অসংখ্য মতবাদে বিধ্বস্ত জাতি,বিপর্যস্ত সমাজ।
চারিদিকে শুধু শিরক, বিদ—আতের কুহেলিকা,
এরই মাঝে হক্বের দাওয়াত অপলোক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা।
নুতন প্রানে উজ্জিবীত হবে জাতি
আল—হেরার আলোর জ্যোতির্ময়,
কুয়াশা কেটে হবে নুতন সূর্য্যোদয়।
বাতিলের তান্ডবে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মতবাদ
ধর্মের নামে নিত্য—নুতন পথে ইবলিসের আবির্ভাব।
লোভ—লালসা,প্রলোভনে ত্বাগুতের আহ্বান,
সস্তা পথে জনপ্রিয় হ’তে সে দিকের জয়গান।
অহির পথে হক্বের দাওয়াত
কণ্টকাকীর্ণ রাস্তায় বাতিলের সাথে হবে মুলাকাত।
তবু থাকতে অটল,অটুট রাখতে তাওহীদি চেতনা,
অহি ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই মুমিনের বাসনা।
আক্বীদার সংশোধনে নব্য জাহিলিয়তের হবে অবসান,
হক্বের দাওয়াত থাকবে সদা হয়ে চির অম্লান।


“ক্ষমা করে দাও প্রভু”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

বৃথাই জনম কাটিয়ে দিলাম হেলায় হারিয়ে সময়,
ভক্তি করে জীবনে, ডাকতে পারেনি তোমায়।
ভোগ—বিলাসে কাটিয়েছি জীবন নিজের ইচছা মত,
দিনে দিনে পাপের বোঝা ভারি করেছি কতো?
মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েও হতে পারিনি মুসলমান,
নভেল—নাটক পড়েছি কতো পড়তে পারিনি পাক কুরআন।
সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি দিয়ে সাজিয়েছি রঙমহল,
পাপ করেছি নিয়েছি অভিশাপ করতে পারিনি নেক আমল।
তুমি বিনে কোনো উপাস্য নাই ইহকাল—পরকালে,
মুক্তি পেতে পারি হাশরের ময়দানে তুমি ক্ষমা করিলে!
তোমার রাসুলের ত্বরিকায় চালাও সব ভেদাভেদ ভুলে।
হে প্রভু তোমার কাছে মোর ফরিয়াদ,
রোজ হাশরে পার করিও তোমার কঠিন পুলসিরাত।
ক্ষমা করে দাও হে প্রভু তুমি এই অসহায় বান্দারে,
শেষ সময়ে দেখাও আলো ঠেলে দিও না গভীর আঁধারে।।।


“এসো আলোর পথে”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

তাওহীদের আলো জ্বালাবো বিশ্বে এইতো মোদের পণ,
কুরআন—সুন্নাহ’র বিধান দিয়ে গড়বো মোদের জীবন।
আবাল,বৃদ্ধ, আয়রে তরুণ তাওহীদের ঝান্ডা তলে,
গোমরাহী পথ ছেড়ে দিয়ে আয় রাসুলের দলে।
ঈমানহারা,গোমরাহরা ত্বাগুতের দলে চলে,
সত্যের সন্ধান পেয়েছি মোরা মুজাহিদ, ইসলামী দলে।
কাফের—মুশরিক ত্বাগুতের দল চির জাহান্নামী,
ইসলামী তাওহীদি দল হবে জান্নাতগামী।
আয়রে সবাই আল্লাহর নামে শপথ করে বলি,
সারা জীবন মোরা যেনো তাওহীদের পথে চলি।
ছেড়ে দিয়ে শিরক বিদ—আত যত গোমরাহী,
হবো মোরা এই দুনিয়াই বিরামহীন সংগ্রামী।
ঈমান—আক্বীদার শিক্ষা নিবো আলেমগণের কাছে,
সঠিক শিক্ষা পাবো মোরা কুরআন—হাদীসের মাঝে।
দ্বীন ইসলামে জীবন গড়ে হবো পরশমনি,
মোদের ছোয়াই উঠবে গড়ে মনি—মুক্তার খনি।
আল্লাহর নামে সংগ্রাম করবো মোরা নওজোয়ান,
ঘরে ঘরে পৌছে দিবো ইসলামের বিধান।
সমাজ থেকে দূর করিবো যত নাফরমানী,
দ্বীনের দাওয়াতে করবো মোরা জীবন কুরবানী।
ভয় করি না শত্রু—সেনা শয়তান ত্বাগুতের দল,
সঙ্গে মোদের আছেন আল্লাহ, ঈমান মোদের বল।
সংগ্রাম করে অ—হির বিধান কায়েম করে যমীনে,
তাওহীদের ঝান্ডা মোরা উড়াবো গগনে।।


” ক্লান্ত জীবন”
মুহাঃ মোশাররফ হহোসেন।

ব্যাস্ত সময় ক্লান্ত জীবন নিঃশেষিত শক্তি,,
পথশ্রমেই অবিরত উৎপাদিত বিরক্তি,
যন্ত্র বলে ভ্রম অবিরাম শরীরটাও যে শ্রান্ত!
কার্য্য হয়েছে শুন্য এখন স্বরণ হচ্ছে মাত্র,
একই স্থান থেকে ঘুরে ফিরে সেই একই স্থানে,
কর্মক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে কে বা তা আর মানে!
জীবনযোয়ার থামছে না তাও,
কর্ম তবুও তুমি করে যাও,,,,,
পিছে পড়ে থাকা যাবতীয় সব,
এগিয়ে যাওয়ার উঠছে যে রব।
যাই কিছু হোক জীবনে তোমার,
কভু ছেড়ো না গো লক্ষ,,,,,।
এ জীবন দেই আবার এ জীবন নেই,
বৃথা হিসাবের পাতায় শুধু আয় ব্যয়!
এ জীবনে পাবে কতো সুখ—দুঃখ,
এ জীবনই দেবে যে মানিক্য,,,,,,,,।


“সাদামাটা আমি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

সাদামাটা আমি আমার জুতো—জামা’
সাদামাটা আমার যত চলন—বলন,
সাদা—কালো আকাশ আমার বাতাস আমার
সাদা—কালো ভেলায় করি বিচরণ।
সাদামাটা আমার চেয়ার,টেবিল,খাঁট
সাদা—কালো ফ্যাকাশে ক্যানভাস!
সাদামাটা আমার চায়ের কাপ—চুমুক
সাদাসিদে আমার কাছে যত অভ্যাস।
আমার আছে স্যাঁত—স্যাঁতে সাদা উঠোন’
সাদা—কালো আমার সকাল দুপুর—রাত!
আমার কাছে সাদামাটা ঝুমঝুম বর্ষণ
রাত দুপুরের ঘনোকালো সাদা জোৎস্নাম্লান।
কে নেবে আপন করিয়া চিরতরে আপনা ভুলিয়া সাদামাটার মায়ায়?


“২১শে ফেব্রুয়ারী”

লমুহাঃ মোশাররফ হোসেন

আগুন ঝরা ফাগুন দিনে
মাতৃভাষা আনলো কিনে
প্রাণের বিনিময়ে,
রক্তস্রোত যায় যে বয়ে
রয় ইতিহাস সাক্ষী হয়ে
অপর এক বিস্ময়ে!
এই কাহিনী কপ্লনা নয়
রুপকথারই গল্প ও নয়
শুনতে কি চাও আরো?
কৃস্নচূড়া রঙ্গিন ডালে
লাল হলো সেই রক্ত লালে
নয় অজানা কারো।
একে একে দিন বয়ে যায়
বন্দি ইতিহাসের পাতায়
সোনার সেই নামগুলো.
হায়’ কি ছিলো এই ললাটে?
ইতিহাসের সেই মলাটে
জমছে দেখো ধূলো!
এখন শুধু একুশ এলে
সব মমতা উঠছে ঠেলে
অন্যদিনে নয়.
আপন ভাষা মাতৃভাষা
জীবন দিয়ে ভালোবাসা
এভাবে কি হয়?
সময় যে আর নেইতো বেশি
হতে হবে বাংলাদেশী
তাই তোমাকে বলি.
দেশকে এসো ভালোবাসি
বাংলাভাষায় কাঁদি—হাসি
স্বপ্ন দেখে চলি,,,,,,,,,,,!

“অবহেলা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

শত ক্ষত—খুতের অবহেলায়,
ঠেলে দিলো আমার জানালায়।
রাত প্রহর জুড়ে কেবল—ই অপেক্ষা,
শুধু বাড়লো অপেক্ষার দীক্ষা,
সব কিছুই মিথ্যে পৃথিবীর মোহ—মায়াই,
সন্ধ্যে গড়ালো বিকেলের বিষাদ ধোয়ায়।
মৃত্যু হয়ে নেমে আসে অবহেলায়,
ঢেকে দেয় সকল ছায়ায়,
লেখা হয় অবহেলার মৃত্যুনামা,
পরে রয় শুধুই মৃত আমার দেহখানা।
বেঁচে থেকেও হয়ে রই মৃত,
মৃতের চিতকারে অবহেলার কষ্ট,
অবহেলায় মনের লেখা অস্পষ্ট!
মানুষ ছোঁয়নি এই মন,ছোঁয়নি এই হৃদয়,
যদি পারো তুমি এসে ভালো বাসায় ভরিয়ে দিও,
আর অবহেলার পরিবর্তে আমাকে পুরোটায় নিও!।।।।


“বন্যা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
বন্যা, এ যেনো এক নিরব কান্না!!
আষাড়ে কেবল হাতছানি দিলো’
আকাশে বাজলো মেঘের গর্জন,
শুরু হলো অবিরাম বর্ষার ধারা’
নদী উপচে আবারো হানা দিয়েছে বন্যা।
ফুলে উঠেছে নদী,হাওড়—বাওড়
চারিদিকে অথৈ পানির স্রোতে
ভাঙলো ঘর, ভাঙলো কপাল,
নাই খাবার নাই মাথা গোজার একটু ঠাই
চির চিনা গ্রাম গুলো যেনো এক দীপপুঞ্জ,
উপবাসে দুইদিন ধরে হয়নি চুলায় রান্না!!!
বন্যা, এ যেনো উপকুল বাসীর এক নিরব কান্না,
আশ্রায়ের এদিক ওদিক ছুটা—ছুটি তবুও পাইনি
অনেকে আশ্রায় নিরাপদে স্মৃতির ভিটে—মাটি,
শেষ সম্বলটুকু যে তলিয়ে যেতে দেখেছে আপন চোখে কিভাবে থামবে তার কান্না??
তবুও হায়েনার আছে চার—পাশে চুপটি করে একটু সুযোগের অপেক্ষায়,
বন্যার অজুহাতে জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় মানবতা তাদের নেই বললেই চলে,
বিপদে কেবল করতে চাই সদায়!!
বিবেক কি কভু জাগবে না তাদের??
দেখে নাকি মা—বাবা স্বজন হারা কান্না।
আর যারা এগিয়ে এলো উদ্ধার কাজে
ত্রানের বহর নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা,
তারাই আসল মানুষ,তারাই আমাদের ভাই,
তাদের জন্য রইলো দোয়া আল্লহর কাছে,
ক্ববুল করো হায় আল্লাহ আমার প্রার্থনা।।।


“বিজয় দিবস”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

ডিসেম্বরের ষোল তারিখ বিজয় দিবস হয়,
এই বিজয়টি ছিনিয়ে আনতে লক্ষ প্রাণ ক্ষয়।
বিজয় দিবস এলে আমরা দেশের গান গাই,
রাজ পথে বিজয় মিছিল দেখে আমরা সুখ পাই।
বিজয় দিবসে বিজয় নিশান দেখে আমাদের মন ভরে,
আনন্দে সব মাতোয়ারা বাংলা মায়ের ঘরে।
যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে বিজয় আনলো যারা,
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান তারা।


“ফাঁকিবাজ রকি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেনঃ

এক যে ছিলো পাজি ভাই নাম তার রকি,
সারাদিন কাজে কর্মে দেয় শুধু সে ফাঁকি।
যেখানেই যায় দেখি ফাঁকিবাজ রকি,
এই আছে, এই নেই, যাদুকার নাকি?
প্রয়োজনে ডাকি যদি আসে হাসি মুখি,
বলে সে দেবে নাকো ফাঁকি ঠিকে ঠিকে।
রকি ভাই যে বলে এক আর করে আর এক,
ফাঁকি দেওয়া পেশা তার নেইকো সুবিবেক।
যেখানেই টাকার খনি সেখানেই রকি,
ভাবে যদি একবার পেয়ে যায় জীবনটাই লাকি।
জানে না সে নিজেকে—ই দেবে কবে ফাঁকি?
ভাবে না সে জীবনটা তার আর কতো দিন বাকি?


“ফাঁকি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

তুমি যখন যেমন রাখো হে প্রভু আমরা যেনো তেমনি থাকি,
এই জীবন যে বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।
লোভ—লালসা,ক্ষুদা—তৃষ্ণা সব—ই দুঃখের কারন,
এ সব কিছুর কাছে যেতে আছে তোমার বারণ।
তোমার কথার হেলা করে, অজ্ঞানতায় শিখি,
আমার এ জীবন বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।
তুমি গুরু,তুমি প্রভু,তুমি অন্তর্যামী,
তুমি দয়ালু,তুমি দাতা,তুমি জগৎ স্মামী।
সব—ই তুমি জানি,তবে কেনো ভিন্ন দেখি,
এ জীবন বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।
সময় থাকতে না করিলাম তোমার বিধান পালন,
নয়ন মেলে তাকিয়ে দেখি এসে গেছে মরণ।
ঘোর সংকটে ওগো প্রভু শুধু তোমায় ডাকি,
এ জীবন বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।
কতো সাধের এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে,
ওপারেতে গিয়ে যে আবার জবাব দিতে হবে।
দেহ থেকে উড়াল দিবে সাধের প্রাণ খানি,
এ জীবন বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।
মরণকালে ভাই বন্ধুরা কেহ সাথে নাহি যাবে,
তুমি—ই শুধু জানো হে প্রভু তখন কিযে হবে।
তুমি ছাড়া তখন কিছুই থাকবে না আর বাকি,
এই জীবন বৃথা গেলো, হে প্রভু দিয়ে তোমায় ফাঁকি।।।”!

 



“ইট ভাটা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

নবীন উদ্ভিদ আর নানা অণুজীব,
মৃত্তিকায় জন্ম নেয়—সরস জমিনে;
ধরণীর পরে যত প্রাণের সঞ্জীব,
সকলি সার্থক এই ভূরসী বিপিনে।
নানাবিধ খাদ্যকণা জন্মে এ ভূতলে—
জীবিকার নানা শস্য,বিবিধ ফসল;
উর্বরা মৃত্তিকা যেনো প্রভুর ছলে,
যুগে—যুগে বাঁচিয়েছে মানব সকল।
নর সভ্যতার তবু অনায্য বিচার—
চারিদিকে গড়িয়েছে বহু ইটভাটা;
উর্বর মাটির দেয় ইটের আকার—
অনলে দহিত করে, শুষ্ক—রসছাটা!
ইটের ভাটার এই নির্দয় দহনে—
মৃত্তিকা শুকিয়ে মরে এই নিষ্প্রাণ ভূবনে!


“যশোর মোদের যশোর”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

যশোর আমার,যশোর তোমার,যশোর সবার ভাই,
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে ১ম ডিজিটাল শহর যশোর তাই।
গৌড়ের যশ তরণ করিয়া যশোরের নাম হলো,
রাজা প্রতাপাদিত্যের বীরত্ব গাঁথা একদা কৃতিত্য ছিলো।
কপোতাক্ষ,ভৈরব,চিত্রা বেগবতী, হরি ছড়া’
খাল—বীল আর পুকুর,মাছের ঘের এ জেলায় ভরা।
আদিবাসী এর আর্ম দ্রবিড় মঙ্গোলিয়া গোষ্টিগণ,
ত্রয়োদশ শতকের প্রারম্ভ কালে আবির্ভুত মুসলমান।
সকল ধর্মের লোক এ জেলায় আছে বসোবাস,
দেখা যায় না কোথাও পরস্পরিক হিংসা বিদ্বেষের জ্বস।
এ জেলার মাটি উর্বর তাই সহজে ফসল ফলে,
ধান,পাঠ আর কদলীতে এ জেলা ধন্য বলে।
যশোরের গুড়,যশোরের কই,যশোরের পিঠা কুলি!
বসংলাদেশের কোনো মানুষ ভাই পাবে নাকো যেতে ভুলি।
ঝড়,বন্যার তান্ডবলীলা বেশী দেখা যায় হেথা’
বড়—বড় জঙ্গল নাই তাই কোনো হিংস্র জন্তুর যায় না দেখা হেথা।
রত্ন গড়া যশোর মোদের কীর্তিমানের জন্মস্থান,
গীতিকার,কবি সাহিত্যিক আর নাট্যকারের পীঠ স্থান।
অধুনা জেলার শ্রী মধু সুদন,ধীরাজ,কামাল উদ্দীন’
মনোজবসু,মানকুমারী,অবলাকান্ত,মনিরুজ্জামান!!
চিত্রশিল্পে আহসান হাবিব,চারুশিল্পী বদরুল,
সাংবাদিকতায়,শিশির,মাজেদ,মুকুল,শামছুর!
সঙ্গীতায়ন ধন্য করেছেন বহু গীতিকার সুরোকার,
গোপাল গোস্বামী,মোশাররফ হোসেন,রফিকুজ্জামান!
খেলার ভূবনেও যশোর জেলা পিছে নেই কোনো দিন,
গাজী ওয়াহেদ,হাকিম রকিব,তার উদাহরণ।
ঐতিহ্যবাহী যশোর মোদের আন্দোলনের সেরা,
জমিদারের ভিত নেড়েছি নেতাগণ দাবীতে সেরা।
কোনো আন্দোলনে পিছিয়ে ছিলো না যশোরের নেতাগণ,
কারাগারে শহীদ হলেন মোঃ লুৎফর রহমান।
প্রসবিনী যশোর জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ,
স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম কাতারে লড়েছিলো প্রানপণ।
মোহাম্মদের বীরত্ব গাথায় এ জেলা ধন্য হলো,
মশিউর সহ হাজার হাজার যোদ্ধা অকাতরে প্রান দিলো।
মা—বোনের ইজ্জত আর অগণিত প্রানের বিনিময়ে,
যশোর হলো হানাদার মুক্ত ৭ই ডিসেম্বরে।


“বীর কন্যা শেখ হাসিনা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।

হে বীর কন্যা শেখ হাসিনা,
দেখেছি মোরা তোমার রাজ্য পরিচালনা।
অপূর্ব এক ধরণ অন্যায়কে পরিহার করে,
সত্যকে করেছো তুমি বরণ।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল বানাবে বলেছিলে তুমি’
তাইতো মোরা স্বপ্ন দেখি,
বিশ্বের বুকে শ্রেষ্ঠ হবে আমাদের এই মাতৃভুমি।
হে বীর কন্যা শেখ হাসিনা,
দেখেছি মোরা তোমার রাজ্য পরিচালনা,
দেখেছি তোমার মেধা!
এমন মেধা সারা বিশ্বে মনে হয় মিলবে না আর কোথা।
বীর পিতার এক বীর কন্যা তুমি জন্ম নিয়ে এদেশে,
অবদান রাখলে এই ভুমির সংকট বিনাশে।
এই পৃথিবীতে যতোদিন তুমি থাকবে বেঁচে,
ততোদিন যেনো মোরা পায় তোমায় মোদের পাশে,
সঠিক পথের দিশারি হয়ে তুমি থেকো মোদের পাশে।
হে বীর কন্যা কঠোর হস্তে করো হে দমন,
রাজাকার,চাটুকার,সুদখোর,ঘুষখোর, দুর্নীতিগ্রস্থ আমলাদের,
তবেই তুমি চির অম্লান হবে এই বাংলাতেই।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমি সত্য এবং সঠিক পথেই যেনো পরিচালনা করো মোদের।
তাতেই যেনো করো না ভয়,
আল্লাহ যেনো তোমায় সহায় হয়।
মোরা দেখি মোদের ভবিষ্যাত তোমার নয়নে,
তুমি আছো মোদের সকলের হৃদয়ে।!


“আমি দুর্বল”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ে করুণার দ্বারা
দাও হে প্রভু তোমার প্রিতি,
আমি যেনো খুব সহজেই
মানতে পারি তোমার দ্বীনের নীতি।
আমি যে অধম অর নরাধম
রোদন করি যে তাই,
তুমিতো খুব দয়ালু হে প্রভু
তোমারই দয়া চাই!
আমায় ঠেলে দিও না নরকের দ্বারে
দোজখের হুতাশনে,
আমি দুর্বল ক্ষমা করে দাও হেপ্রভু
তোমারই আপন গুনে।


“অনাদি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

তুমি পবিত্র অনাদি অসীম
মহিমায় বলিয়ান,
অতল ভুবনে তুলনা তোমার
তুমিই হে মহিয়ান।
দয়াময় তুমি বিধান দাতা
নতুনই তবধ্যান,
আকাশ,বাতাস, লওহে কলম
সবই তোমার জ্ঞান।
জগৎ সৃষ্টির স্রষ্টা তুমি
দাতা মাখলু—কাতের,
আরশে আজীমে তোমার আসন
তুমিই মালিক জাহান্নাম, জান্নাতের।
দুনিয়া তোমার হাতে গড়া
সাগর—পাহাড় যতো,
জ্বীন—ইনসান সৃষ্টি সবই
তোমার কাছে নতো।


“প্রার্থনা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

দিওনা কভু মর্মে আমার মহা—বড়ত্বের মনোভাব,
দিও হে প্রভু আমায় মনোহর স্বভাব।
তবে করো না আমায় ক্ষুদ্র মনের হীনো নর,
থাকে যেনো দারাজ দিলো জোরজান মৌন উদার।
সবার সাথে যেনো মিলে মিশে থাকি,
দিও সেই মমতার গুণশী আঁখি।
মহাবিশ্বের অধিপতি তুমি’
পরাক্রমাশীল অক্ষয়,
কবুল করো আমার মোনাজাত
হে প্রভু শোনো এই অনুনয়।


“পদ্মা সেতু”

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

বহু দিন ধরে স্বপ্ন দেখেছি
উঠবো পদ্মা সেতুর উপর;
দেখবো সেতুর উপর দাঁড়িয়ে উত্তাল ঢেউ,
আর দেখবো নদীর বুকে জাগ্রত চর।
কতশত যে স্বপম বুনেছি
পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাবো পাখির মতোন;
অবশেষে সে স্বপ্ন আজ পুর্ণ করলাম,
পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে আজ ভ্রমনে গেলাম।
আশার আলো দেখছে আজ
খুলে দিয়ে বদ্ধ জানালা;
উন্নয়নের ছোয়া পেলো এবার অনুন্নত দক্ষিন বাংলা।
দীর্ঘতম এ সেতু পেড়িয়ে এসেছে শত সহস্র চড়াই উৎড়াই;
নিজ দেশের সেতু নিয়ে তাই করতেই পারি মহা—বড়াই।
স্বপ্ন যেনো আজ সত্যিই হলো,
ধরা দিলো আজ হাতে এসে!
বাস্তবেই আজ পাড়ি দিবো
পদ্মার বুকে হেসে হেসে।

 

“আরশের অধীপতি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


সমস্ত প্রশংসাতো,শুধু মাত্রই তার,
সকল ঈবাদতের যিনি একক হকদার।
আরশের অধীপতি মালিক মহান,
তার ভয়ে কম্পমান জমিন আসমান।
বড়, বড়, রাজা—বাঁদশা তাকে করে ভয়,
সকল মুমীনের অন্তরে তার ভালো—বাসা রয়।
মহামহীম আল্লাহ তা—আলা বড়ই ক্ষমাশীল,
রহমত ও দয়া করেন, তিনিই যে সীমাহীন।
ভালো বাসে যে আল্লাহকে সে হবে সফল,
কাফির, মুশরিকের, প্রচেষ্টা সবই হবে বিফল


“জীবনের শেষ প্রান্তে আমি”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আমি চলেছিলাম একলা পথে,
দেখেছি কতোনা কিছু আমার এই দু—চোখে।
যেখানে আকাশের শুরু’
যেখানে সাগরের শেষ!
সবই আমি খুজেছি দেখার জন্যে।
আকাশ খুঁজতে গিয়ে আমি দেখেছি’
কতো বৃষ্টি ঝরে পড়ে মানুষের চোখ থেকে।
সাগর খুঁজতে গিয়ে আমি দেখেছি’
কতো দুঃখের বন্যা বয়ে যায় মানুষের মনে।
কতোনা কিছু দেখেছি আমি আমার এই দু—চোখে’
কতোনা কিছু সহেই গেছি আমার এই মনে!
আজ আমি জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে,
দমকা এক হাওয়া আসবে আমার খোজে।
আনমনে আমি ভেবে চলেছি,
অপেক্ষায় প্রহর গুনি কখন আসবে সে হাওয়া?
এটাই কি জীবন?
যেখানে সব আশার সমাধী হয় এক নিমিষে?
এটাই কি জীবন?
যেখানে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় কিছু না পাবার আগেই!
জীবনের শেষ প্রান্তে এসেছি আমি আজ
না পায়নি কিছুই!
না হারায়নি কিছুই’
সব কিছুই গোটা কয়েক স্বপ্ন’
গোটা কয়েক আশার মাঝে বন্দী ছিলো।
কালের প্রবর্তে আমি আজি এসেছি ভেসে,
সব কিছু উজাড় করে দিয়েছি নিজের বিলাসীতার মাঝে।
এটাই কি জীবন?
যেখানে কেউ কাঁদে কেউ হাসে’
কেউবা ঈষায় জ্বলে পুড়ে মরে?
অনেক পথ চলার পর আমি,
থমকে দাঁড়িয়েছি আবার আজ একাকী।
সব আছে চারি পাশে, হাজারো মানুষ’
হাজারো ইট পাথরের যান্ত্রিক জীবন।
শুধু থমকে আছি আমি,
যখন দেখি মানুষের ভিড়ে’
নিজের আপন একান্ত আপন বলতে’
কেউ নেই আমার পাশে, আমি একাকী।
এটাই কি জীবন?
যার অনেক আছে সব শেষে শুন্য হাত!
এটাই কি জীবন?
পথের মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে’
আবার প্রথম থেকে শুরু করার অভিপ্রায়!
আজ সব শেষে চলে এসেছি আমি’
দমকা হাওয়া আসবে কখন তাও জানি না।
সে কি আমাকে অপেক্ষা করতে বলছে?
নাকি আরো কিছু দূর যেতে বলছে?
আমিতো আজ বড়ই ক্লান্ত’
আরতো যেতে পারছি না।
অনেক দেখে নিয়েছি’
সারাটা জীবনের পথ চলায়!
এখনকি বসবো একটু ছোয়ায়?
না কি অলসতা ফের জড়িয়ে ধরবে আমায়?
না আর পারি না এই পথ চলতে।
জীবন তুমি কি চলবে আমায় রেখে?
না কি একটু বসবে’ একটু অপেক্ষা
করবে আমার জন্যে?
হায়রে জীবন,
এটাই কি জীবন?


“আমি মধ্যবিত্ত”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সব যন্ত্রণা, লুকানোর যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় আমাকে,
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
রাজনেতাদের মাটি ভেজানো সর্বহারার আওয়াজে—আওয়াজ হয়ে উঠি আমি।
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
কপি হাউজের সস্তা মেনুতে চাঁয়ের পেয়ালায় তুফান তুলে—সবের বিচারক সাজি আমি, শিক্ষার অহংকারে!
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
সাম্যবাদের চোখ দিয়ে—আত্ন—বিভোর আমি।
সমস্ত পৃথিবীটা এক সুতোয় বাঁধতে চাঁয় কঠোর ভাবে।
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
বিদেশি ভাষার বুলিতে—ঠোঁট নাড়িয়ে আমার আভিজাত্যের গন্ধ ছুড়ে দিতে চাঁয় তোমার মাঝে।
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
আমার হাজিরা থাকে—বই মেলার প্রাঙ্গনে,
আমার হাজিরা থাকে— সব মিছিলের আগে
আমার হাজিরা থাকে—ফুটপাতের সস্তা রেস্তোরায়”
আমার জাজিরা থাকে—আমিরের পাঁশে দাঁড়িয়ে
জাতে উঠার প্রয়াসে!
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
ভিড়ের মাঝে আমি—সংখা হয়ে থাকতে চায়না আমার স্বাভিমানী মন,
প্রতি মুহুর্তে সংঘর্ষ করে চলে—অবসাদে ক্লান্ত
বৃদ্ধ পিতা—মাতার প্রতিক্ষায় রত,
চোখ এগুলোকে তৃপ্তি করার জন্যে।
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
“দিনগত পাপক্ষয় করে”আজ বেঁচে থাকি আমি
দাঁতে দাঁত চেপে—কালকে লড়াইটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য!
আমি টিকে থাকতে চায় রক্তবীজের মত।
কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।
রানারের মত ক্লান্তহীন, ছুটে চলি আমি,
আমার স্বপ্নের মানুষটাকে ছোয়ার জন্যে
যার নাম “স্বাধীনতা”
অভাবে থেকেও ভালো থাকার নাটক করা
থেকে ‘স্বাধীনতা’
জাত আর বর্ণের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া থেকে
‘স্বাধীনতা’
স্বাভিমান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্যে স্বাধীনতা।

এর সবই কারণ আমি মধ্যবিত্ত তাই।

 

ঈদুল ফিতর
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আজি উল্লাসে আর উৎশাসে,কাঁপে ধরা থরথর,
মুসলমানদের ঘরে,ঘরে, আজ বাঁধ ভাঙ্গা খুশির ঝড়
আজি রমজান পেরিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর।
দূর গগণে বাজে শুনি সাম্যের গান,
উঁচু, নিচু, ধনী, গরীব, সবাই সমান।
ভুলিয়াছি আজি দ্বন্দ, সংঘাত সকল অপবাদ,
একই সারিতে পড়বো ছ’লাত কাঁধে রেখে কাঁধ।
নেই কোনো দ্বীধা, কোনো আপন, পর!
আজি রমজান পেরিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর।
আজি যেনো নাহি থাকে এতিম অনাথের চোখে জ্বল,
তাদের পাশে দাড়াও, আর দাও সাহস বল।
বাঁকা চোখের হাসির মত, হাসুক দু—অধর”
আজি রমজান পেরিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর।
মিষ্টি মুখে, মিষ্টি কথায়, ফিরনী,পায়েস,খাবো”
রঙ বে—রঙ্গের পোষাক পরে ঈদগাহে যাবো।
ঊষর মনে থাকবে নাকো ধূসর মরুচর”
আজি রমজান পেরিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর।
এ খুশির মহাতান, এখুশি, চির অম্লান,
ঈদুল ফিতর বয়ে আনুক, দুঃখ জয়ের গান।
অটুট, অক্ষুণ্ণ, সাহসের সাথে, রাসুলের প্রদর্শিত পথে, অনন্ত দূর্বার বেগে ছুটো—রে মুসলমান, গেয়ে যাও আত্নশুদ্ধি, আত্নমুক্তির গান, তবেই স্বার্থক হবে মাহে রমজান”
বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে সকল মুসলমান।।

 

শবে ক্বদর
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
রোজার শেষ দশ দিনে কোন বেজোড় রাতে,
শবে ক্বদর পাবে খুজে মশগুল থাকো ঈবাদতে।
হাজার মাসের চেয়ে সেরা এরাত মহামুল্যবান,
এরাতে নাযিল হয়েছিল মহান আল কুরআন।
শবে ক্বদরের সুন্নত আমলে অনেক ফযিলত,
নফল নামাজ, তওবা, আরো করো জিয়ারত।
করো জিকির, দরুদ পাঠ, কুর—আন তেলোয়াত,
লাইলাতুল ক্বদরের নামাজ পড়ে জেগে সারা রাত।
শবে ক্বদরের বরকতময় মহিমাণ্বিত এই রাতে,
এবাদত বন্দেগী যেনো করতে পারি সহিছালামতে।
শবে ক্বদরের এই রাত পেয়ে আমরা ভাগ্যবান,
হে আল্লাহ এই রাতে আমল করার তৌফিক করো সবার দান।
মাখলুকাতের তরে এই রাত মুক্তির আরাফাত,
ক্ববুল করো, হে আল্লাহ তুমি এ রজনীর সকলের মোনাজাত।।।


রমজান
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
দাও আল্লাহ বেড়ে দাও ঈমানের দৃষ্টি,
রমজানের রোজাটা মুমিনের কৃষ্টি।
রহমতে পূর্ণ, পাপরাশি চূর্ণ,
রমজানের ফলটা আহা বেশ মিষ্টি।
রমজানের ঐ ডাকে সাড়া দেয় বুদ্ধ,
মাসব্যাপি চলমান ঈমানি যুদ্ধ।
মুমিনের আমলে পূণ্যের শ্যামলে,
শয়তান হয়ে যায় ভয়াবহ ক্রুদ্ধ।।
পাপরাশি মুছে দিয়ে মুক্তির চেষ্টা,
এই রোজায় মিটে দিক আত্নিক তেষ্টা।
মন্দকে নাঁচাতে আত্নাকে বাঁচাতে,
রমজানে বেড়ে যাক ঈমানি বেষ্টা।
রমজান মুমিনের রহমত লুব্দের,
রমজান মুনাফিকের অতিশয় ক্ষুব্দের।
জীবনের যুক্তি, পরিমিত মুক্তি,
ভেবে দেখো রমজান কতটুকু মুগ্ধের?

যাকাতুল ফিতর

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন:

ওহে ধণী ধনবান হয়ো না কৃপণ,
যাকাত দিয়ে ফিতরা দিয়ে বাঁচাও না জীবন।
আল্লাহ বলেন কুর—আনেতে যাকাত দিয়ে দাও,
যদি কেহ ধন সম্পদ হালাল করতে চাও।
যাকাত হলো ফরজ কাজ নামাজ—রোজার মতই,
দিতে হবে হিসাব করে হোকনা তাহা যতই। অপর দিকে ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব জেনে নিও!
ঈদের নামাজ পড়ার আগে ফিতরা দিয়ে দিও।
যদি না দাও যাকাত,ফিতরা ওহে মুসলমান,
রোজ হাশরে হবে বিচার খোয়া যাবে মান।
যাকাত, ফিতরা গরীবের হক করোনা কেউ বঞ্চিত,
মনে রেখো কোনো ধনই থাকবেনাকো সঞ্চিত।

 

শবেরাত
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
অতি পবিত্র মাহে—শাবান,
স্বাগত জানাই ছড়ায় লোবান।
রজনীটি বিশেষ সম্মানি অতি,
শবে বরাত যে ভাগ্য রাতি।
প্রভুর রহমত দয়ার জ্যোতি,
পাবে বিশ্বের সকল জাতি।
পাপ পূণ্যের হিসাব ভবের,
যাচাই করবেন প্রভু সবের।
কি চাও বলো তোমরা ভবে?
ডাকবেন প্রভু বলবেন সবে।
চাই কি আর কারো রিযিক আয়ু?
কাঁটাতে চাও কি বিপদ বায়ু?
যে চাইবে অন্তর মনে,
বিলাবো ভবের সর্ব জনে।
আছো কি কোন মহা—পাপী?
আছো কি কোন জগৎ পাপী?
নূরের রজনী, পবিত্র শানে,
তওবা করো অন্তরের ধ্যানে।
প্রার্থণা করি তোমার সনে,
ক্ষমা চাও প্রভুর নত নয়নে।
দূর করো প্রভু মোদের অন্তর কাঁদা,
তওবার কবুলে করো মোদের সাদা।
তোমার নামটি জ্বপনে সবে,
বাঁচতে চাঁই প্রভু আমরা সুন্দর ভবে।
রহমতের সুর ছড়াও কানে,
পৌছাও হে প্রভু, মাহে— রমজানে।।


শবে মে—রাজ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন:
যাত্রাকালে দেখেন তিনি ইহকাল,
পরকালে দেখেন, বেহেস্ত আর দোযখ।
মোশাররফ হোসেন লিখে চলেছেন,
ভাগ্য লিপিবদ্ধকারী লেখক।
লওহে মাহফুজ থেকে প্রাপ্ত আদেশে
অবিরস্ম অভিরত,
ফেরেস্তাকুল লিখে চলেছেন পাপ পুণ্যি যত!
যাত্রাপথে জাহান্নামীর শাস্তির নমুনা দেখে,
প্রিয় নবীজির কোমল হৃদয় ভিষণ ভয়ে কাপেঁ।
দেখলেন সেথা শাস্তি পাহিছে বে—নামাজি চকোলখোর,
ফিতনাকারি, অহংকারি, ব্যাবিচারি, সুদখোর!
জেনাকারি, গীবতী, এতিমের সম্পদ আত্নসৎকারী, জাকাত অনাদায়কারী, আর আমানাত খেয়ানাতকারী।
প্রথম আসমানে সাক্ষাত লভেন পিতা আদমের।
দ্বিতীয় আসমানে মিলিলেন ঈসা ও ইয়াহিয়া আঃ এর।
তৃতীয় ও চতুর্থ আসমানে ইউসুফ ও ঈদ্রিস আঃ যথাক্রমে পঞ্চম, সষ্ঠ, ও সপ্তম আসমানে হারুন, মুছা ও ঈব্রাহিমে।
জিব্রীলের শেষ সীমানা তব নূরানী পর্দা পার্শ্বে,
‘রফরফ’ নামক সবুজ বাহন নবীজীকে নিতে আসে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ হতে প্রবাহিত নীল ও ফোরাত,
বিপরীতমুখী সালসাবিল ও কাউসারেরই তফাত।
‘রফরফ’ তাকে নিয়ে যায় মহান আল্লাহর আরশে,
প্রিয় বন্ধুর সান্নিধ্য লাভ নৈকট্যে—সকাশে।
উম্মতের উপর নিলেন চেয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ,
আল্লাহর শরীক করা ছাড়া সব কবিরা গুনাহ মাফ।
মেরাজ শেষে অবতরন করেন বাইতুল মোকাদ্দাসে,
ভ্রমন শেষে মক্কা মুকাররমায় পৌছান অবশেষে।
আল্লাহর হুকুমে স্থবির সময় চালু হলো আবার,
গতিশীল হলো এই পৃথিবী আর বিশ্ব চরাচর।
মে—রাজ বিষয়ে অবিশ্বাসীরা বিস্মিত ও নিন্দারত,
সর্বপ্রথম আবু বকর মুখে শুনেই বিশ্বাসরত।
বললেন তিনি “শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ!
তার সব কথা বিশ্বাস করি আর সকলই বাদ।
ইপাধি লভেন আবু বকর ‘সিদ্দিক’ বা সত্যবাদী,
বিশ্বাসী যারা তাঁরাই কেবল জান্নাতী কামিয়াবী।

ঈমান
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ঈমান আনা সহজ বিষয় তোমরা কি তাহা জানো?
ঈমান আনলে ঈমান্দার তোমরা কি তাহা মানো?
ঈমানের পথে ছিলো যাদের শির চির অম্লান,
ঈমানের দাবীতে তারা জীবন দিল আল—কুরান।
ঈমান্দার আর কাফের কি হয় কখনো সমান?
তাইতো কিয়ামতে মোরা পাবো জান্নাত আর জাহান্নাম।

কিয়ামত (প্রলয়)

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না
গুনাগার দোযোখি হবে সে কথাও শুনি না।
গুন্ডা—পান্ডা, হারামখোর, তারাই হলো দোযখি
দিন, দুপুরে মানুষ মারে তারাই হলো দুনিয়াবী।
কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না,
সরকারি চাকুরি করে মাসিক বেতন পাঁচ হাজার,
মানুষের দেখায়ে মাসিক খরচ খরচ করে পঞ্চাশ হাজার,
বাকি টাকা কেমনে আসে সে কথা আর বলি না
কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না।
ডিজেল ভেজাল, পেট্রোল ভেজাল, অকটেন ভেজাল, কিরাসিন ভেজাল, সোয়াবিন ভেজাল, ভেজাল পদ্মা, মেঘনা, যমুনা!
অর্থাৎ কোম্পানীই সব ভেজাল”
কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না।
কবি ভেবে কয় সৃষ্টির সেরা মানুষ, সেটা সবার জানা!
কিন্তু মানুষ হয়ে পশুর কার্যকালাপ করি আমরা সেটাও সবার জানা,
কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না।
কবি আরো বলেন পশু হওয়া ছিলো ভালো
আখেরাতের কাজ করি না!
কিয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু আমরা মানি না।।

পুলসিরাত

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
চুলের চেয়েও চিকন যে রাস্তা
খুরের চেয়েও ধার,
কঠিন সেই পুলসিরাত
আমি কেমনে হবো পার?
তোমার দয়া চায়গো আল্লাহ
এই বান্দা গোনাহ্গার,
তরাই নিও ঘোর নিধানে
ওগো করুণার আধার।

জুম্মাহ মোবারক

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।
নুতন আশা নুতন দিন.
আজ হলো জুমার দিন।
লাগছে ভাল ছাড়বো ঘর.
মসজিদে যাবো ১২টার পর।
আকাশে সূর্য্য দিচ্ছে আলো.
জুমার দিন নামাজ পড়তে
লাগবে ভালো।

কবর

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

সাড়ে তিন হাত এককান মাটির ঘর!
কিভাবে আমি করিয়া রইবো সবাইকে পর।
তুমি, আমি, সকল মুসলিম জাতি আসিতে হবে এইখানে!
পাপ, পুণ্য,সব হিসাব দিতে হবে আল্লাহর পানে।
নেই পানি, নেই আলো, নেই তো কোনো বাতাস!
একমাত্র আল্লাহর ঈবাদত—ই মুক্ত করতে পারে তোমার—ই হা—ফিতাস।
নরম বালিশ, নরম তোশক কিছুই হবে না তোমার সঙ্গী!
একা এসেছো, একাই যাইবা, রইবা মাটির ঘরে বন্দী।
ফেরেস্তাগন আসিবে যখন করিবে সোয়াল জোয়াব!
কখনো কি ভাবিয়াছো তুমি দিতে হবে সকল কাজের হিসাব?
দুনিয়াবি কর্মে তুমি ভুলিয়াছো আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ কে।।।
এখন কি করিবে, কিভাবে উদ্ধার তুমি নিজেকে করিবে?
রাসুলে পাক দিয়ে গেছেন আল্লাহর কোরান ও তার হাদীস।।।
কখনো কি নিয়েছো তুমি হাতে কোরান ও হাদীস?
কবর তোমার—আমার অপেক্ষায় আছে নিজেকে করো প্রস্তুত।।।
হায়াত থাকিতে, হায়াত ফুরাইবার পূর্বে সঙ্গী করো সওম ও সালাত।।
ক্বলেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, ও জাকাত, ইসলামের পাঁচটি খুটি
সময় থাকিতে আকড়ে ধরো, খুটি করে নাও শক্ত ঈমানের মুঠি।

মৃত্যুর গ্রান্টি

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


সৃষ্টির ওয়াদা ভুলে গেছে মানুষ এসে রঙ্গের পৃথিবীতে!
রঙ্গলীলায় করছে গুনা পাপ কর্মে মেতে।
অর্থ নেশায় মাতাল তুমি ভাবছো অমর নিজে!
মহারাজও রেহায় পাবে না যতই সাজো ডিজে।
আয়ু তোমার কমছে শুধু চুলে ধরছে পাক!
কখন যে ডাকবে মৃত্যু বন্ধ হবে কণ্ঠবাক।
চুলে কলপ দিয়ে মানুষ বয়স রাখছো ভুলে!
ঈবাদতের বয়স করছো পার শয়তানের নানা ছলে।
আজকে তুমি কোরান পড়লে দানশীল কখন হবে!
কোরানের সাথে দানের টাকাই আমলনামায় রবে।
কালকে তুমি পড়বে নামাজ পরের বছর রোজা!
হঠাৎ তোমার আসলে মরণ পরকালে সোজা।
দুনিয়াটা পুতুলের খেলা একদিন হবে শেষ!
যেতে হবে সব ছেড়ে যেথায় আপন দেশ।
থাকতে সময় হও হুশিয়ার মানব করো হুশ!
আজরাঈল তো খাবে না কভু নেতার মত ঘুষ।
মৃত্যু যে কার আসবে কোথায় তার গ্রান্টি নাই!
ধর্মে কর্মে সকল সময় শুদ্ধ থাকা চায়।

নামাজ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


ফজর দিয়ে দিন শুরু আর এশা দিয়ে শেষ.
আল্লাহ তায়ালার বিধান দিয়ে দিন চলে যায় বেশ।
সাত বছরে নামাজ শিক্ষা দশ বছরে বাধ্য.
নামাজ ছাড়া মুক্তি পেতে নেইতো কারো সাধ্য।
কেয়ামতের কঠিন দিনে থাকবে নাতো কেও ভালো.
নামাজ হবে পথের দিশা আঁধারে আলো।
সুখের আশায় পরকালো জান্নাত মোদের দাবি.
জান্নাতের—ই দরজা খুলতে নামাজ হবে চাবি।
শুন্য হয়ে পড়ে রবে নামাজহীন কর্ম.
তেমনি ভাবে বৃথা যাবে বেনামাজীর ধর্ম।
নামাজ নিয়ে চিন্তা যার আছে হৃদয় জুড়ে.
নামাজ তাকে বাচিয়ে রাখবে অন্যায় থেকে দূরে।
অযু দিয়ে পবিত্র আর নামাজ দিয়ে মুমিন.
কেয়ামতের মুছিবতে পেয়ে যাবে জামিন।
আজান হলে মসজিদে যাও. নামাজে হও গভীর.
হেলায় খেলায় ছাড়লে নামাজ হয়ে যাবে কাফির।
রোজ হাশরে প্রথম প্রশ্ন নামাজ পড়েছো নাকি?
নামাজ ছাড়া আমলনামা সব—ই হবে ফাকি।
মৃত্যুর পরে হিসাব হবে হাদীসিতে রয়,
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে নেইতো কোন ভয়।

সৎ শিক্ষা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


যদি তোমরা সৎ শিক্ষক শিক্ষিকা হও,
তাহলে তোমরা ছাত্র—ছাত্রীদের সঠিক জ্ঞান দাও।
যদি তোমরা ক্লাশ প্রতি না করো অবহেলা,
তাহলে সবাই বলবে সৎ শিক্ষক শিক্ষিকা।
যেখানেই তোমরা পড়াও না কেনো?
স্কুল. কলেজ. মাদ্রাসা. কিংবা বিশ্ব বিদ্যালয়!
বলছি আমি তোমরা মাঝে মধ্যে কোরান হাদীসের কথা বলবে!
আর সপ্তাহের মধ্যে যদি তোমরা ধর্মীয় শিক্ষা দাও,
তবে তোমরা জান্নাতে যাবে।
ছাত্র—ছাত্রীরা তোমাদের থেকে নেবে শিক্ষা.
তোমরা যা বলবে তার থেকে তারা নিবে দিক্ষা।
তোমরা যদি সঠিক শিক্ষা না দাও.
তোমরা আসামী হবে আল্লাহর নিকটে!
পরোকালে হিসাব নিবে আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে.
আর তখন যাবে নিশ্চিত জাহান্নামে।
আর যদি সঠিক শিক্ষা দাও.
তাহলে তোমরা যাবে জান্নাতে।
যদি তোমরা সৎ শিক্ষক—শিক্ষিকা হও
তাহলে ছাত্র—ছাত্রীদের সঠিক জ্ঞান দাও।

দুঃক বিলাসী

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


দুঃখ আমার জীবন সঙ্গী
দুঃখই আমার সুখ—দুঃখ
দুঃখ আমার কাপড়ের ময়লা
দুঃখ আমার হুস
দুঃখ আমার পরস পাথর
দুঃখ আমার হাসি
দুঃখ আমার জীবনটাকে
আজ করেছে বড্ড খাটি
আমি দুঃখ বিলাসী
তাই দুঃখকে বড়ই ভাল বাসি।
দুঃখ আমার নিত্য পন্য
দুঃখ আমার আহার
দুঃখ আমার মনের ময়না
দুঃখ আমার পাহাড়
হায়রে দুঃখ”””””’!!!!!!

কষ্ঠ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


কেও যদি আমায় প্রশ্ন করে. সুখ কি?
হয়তো আমি সঠিক উত্তর দিতে পারবো না।
কেও যদি আমায় প্রশ্ন করে দুঃখ. কি?
খানিক হেসে বলবো আমি.
সেতো আমার আপনজন নিত্য দিনের সাথী।
দুঃখকে আমি আপন পেয়েছি.
যখন আমার বয়স ছিলো ২১ কিংবা ২২.
হারিয়েছিলাম বাবাকে তখন অকালে.
হয়েছিলাম বঞ্চিত চিরতরে পিতার স্নেহ থেকে।
দুঃখকে আমি পেয়েছি.
যখন অভাব—অনাটনে থাকতে হয়েছিলো তখন।
দুঃখকে আমি পেয়েছি.
যখন অর্থাবে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল আমার পড়া—লেখা.
অভাবের আগুনে পূড়েছিলো আমার উচ্চ শিক্ষা লাভের স্বপ্ন তখন।
আজ যখন মন থেকে
সকল দুঃখ স্মৃতি মুছে ফেলে.
সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখছি
তখন দুঃখ স্মৃতি উকি মারে মন মসঝে।
ভাঙতে চায় আমার সাজানো স্বপ্ন।
এমন—ই করেই কি জীবন যাবে?
ভাবছি অভিরতো.
দুঃখ আর আমি সইবো কতো?
পাবো নাকি আর সুখের ছোঁয়া এ জীবনে?
জানবো নাকি কভু আমি সুখের মানে?


কষ্টঃ

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


আমাকে কষ্ট দিতে চাও?
দাও!
আমি কষ্ট নিতেই এসেছি।
আমাকে কাঁদাতে চাও?
কাঁদাও!
আমি কাঁদতেই এসেছি।
আমাকে হারাতে চাও?
হারাও!
আমি হারতেই এসেছি।
আমাকে সাগরে ভাসাতে চাও?
ভাসাও!
আমি ভাসতেই এসেছি।
আমাকে পূড়াতে চাও?
পূড়াও!
আমি পূড়তেই এসেছি।
আমাকে বুকে টেনে নাও!
নিবে না?
আমি সব কিছু সয়েই এসেছি।
নিবিড় কষ্ট।

 

হজ্বের পথে
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
হজ্ব যাত্রী মোর—মহা পূণ্যবান,
ক্ববুল করেছেন তোমায় রহিম রহমান।
লাব্বাইকা, লাব্বাইকা, কন্ঠশ্বরে হাজির,
তারই দ্বারে ভক্তি করে নোয়াইবে শির।
পিছে ফেলে সসারের পাপ, পংকিলতা
শুভ্র বস্ত্র গাত্রে ধারণ, শুধু পূণ্যকথা
সহস্রজনের সাথে আরাফাতের ময়দানে
পুত চিত্তে মত্ত র’বে তারই গুনগানে।
মা হাজেরার পদোরেখায় তব পথ চলা,
শয়তানে ঢিল ছুড়ে তাকে মিথ্যুক নলা।
সন্তানের উদ্বিগ্নে মাতৃ মনের কথা,
আল্লাহর আরশে দিলো কি অস্থিরতা!
মরুভুমির বুক ফেটে বাহির হয় তারই জলধারা
মানুষের কল্যানে আজও হয়নি হারা।
তারই কিছু পান করে ধন্য হবে তুমি”
পূণ্য হবে কাবা ঘুরে পাক, পাথর, চুমি
ইব্রাহিমের কুরবানী, সে পরীক্ষা কঠিন!
তোমার কুরবানীতে হবে’ তুমি পাপহীন”
যে মদিনায় মোর নবী ঠেকিয়েছেন মাথা”
যার প্রতি বালুকনায় গাঁয়ে তার গাথা”
বিশ্বাস ভক্তিতে চোখে পানি, হৃদে শিহরণ”
ক্ষমা ছাড়া সেথা থেকে কেও ‘ফিরেছে’ কি কখন?
উম্মতের তরে যিনি ফেলে সর্ব সুখ”
নির্ঝুম রাতে কাঁদে ভাসাইতেন বুক।
সেই নবী শুয়ে আছেন সেথাই,”
সে কি শুধু ঘুম?
সেই খানে দিবে তব ভক্তির চুম”
ছোট, বড়, জীবনের যত আছে পাপ”
নিশ্চয় আল্লাহ সব—ই করিবেন মাফ।
তাই যদি হয় তব হজ্ব থেকে চাওয়া”
শোধ দিও আগে যাহা অন্যের পাওয়া।
করিয়াছো যাহা কিছু অসৎ অর্জন”
এ যাত্রার প্রাক্কালে করিও বর্জন।
ক্ষুদার্থ, বস্ত্রহীন, ঋণী প্রতিবেশী”
তোমার সম্পদে দাবী রাখে বেশী।
নয়তো শুধু দেহ—যাত্রা, চোখের কাঁদা”
হৃদয় রেখে ঘরে অসৎ দম্পদে বাঁধা।
নির্ধনে দু—জাহানের ধণী মুহাম্মদ (সাঃ)
চাইকি তোমার কলুষিত সেই সম্পদ?
যাহা কিছু পাপ তাহা রাখি নিজ ঘরে”
“ভাবিতেছো” পাপহীন হবে হজ্ব করে?
জেনে রেখো জগতে তাহা ধর্ম—নামে ফাঁকি”
সৎ পথে হজ্ব হবে নিজ ঘরে থাকি।
সৎ পথের হাজ্বী—বন্ধু করিও দোয়া”
এ পাপীও পাই যেনো নবী—পদ ছোঁয়া।।


ঈদুল আযহা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


ঈদ পবিত্র, ঈদ খুশির, ঈদ আনন্দের”
ঈদ প্রার্থনার, ঈদ ক্ষমার, ঈদ মিলনের।
জিলহজ্বের দশ তারিখে এলো ঈদুল আযহা”
ধনী—গরীব সবার মনে আনন্দ আর মজা।
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে নাও গুরুজনের দীক্ষা”
আত্নত্যাগ আর বিলিয়ে দেওয়া এটাই কুরবাণীর শিক্ষা।
আগে মনের পশুত্বকে করতে হবে কুরবাণী”
মুসলিম জাতীর জন্য এটাই হলো জোরবাণী।
রাগ—অনুরাগ যতই থাকুক হৃদয় যত পাষান”
ভায়ের সাথে ভাই মিলবে ভুলে অভিমান।
দ্বীন—দুঃখিনির মুখে আজ ফুটছে সুখের হাসি”
তাইতো মনে আনন্দ আজ এলো ঈদের খুশি।
এককাতারে পড়বে নামাজ আজঈদের দিনে”
নামাজ শেষে কোলাকোলি করবে সবার সনে।
ঈদ মুসলমানের বড়ই খুশির পবিত্র উৎসব”
আবাল—বৃদ্ধ, বাদশা—ফকির, সবার মুখেই রব।।

 

“অন্ধকার হেরা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


মহীমাণ্বিত রজনী, অন্ধকার হেরা,
ধ্যানমগ্ন এক মানুষের মন, বিষন্নতায় ভরা
মানুষের জীবনে উদ্দেশ্য কি?
আর কেনই বা মারা যাওয়া?
অশান্তিপূর্ণ এই পৃথিবীতে
কি হবে শান্তির নীড় গড়া?
ভূবণে এই হিংস্র মানুষগুলোর কবে হবে গতী?
সব ভূলে কবে হবে তারা সভ্য জাতি?
মক্কার আল—আমিন হেরা পর্বতের গুহায়,
সত্যের সন্ধান পাওয়া যায়।
জীব্রাঈল’কে ওহীসহ পাঠালেন সেই প্রভু
মুহাম্মদ (সাঃ) তা জানতো না ঘূর্নাক্ষরেও কভু
সুরা আল—আলাকের পাঁচ আয়াত,
অবতীর্ণ হয় তার উপর তখন প্রাপ্ত হন নবুয়ত।
আল্লাহু তা—আলার হুকুমে তিনি দিতেন দ্বীনের দাওয়াত!
তেইশ বছরে ইসলামে পায় পরীপূর্ণ সুরত

“বদর প্রান্তর”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


গভীর রজণী, মরুময় প্রান্তর’
দূর নিহারিকা কুঞ্জের, আলোকোঞ্জল সম্ভার!
সমগ্র মুসলিম বাহিনী, গভীর নিদ্রায় শায়িত’
আল্লহর হাবীব তখনোব্ধি, সেজদায় অবনত।
পরদিন বেজে ওঠে যুদ্ধের দাবামা’
নিজ হাতে নবীজি করেন যুদ্ধের বুহ্য রচনা।
প্রচন্ড ঝড়ের পূর্বে’ সাগর যেমন নিশ্চুপ’
আজমাইনরাও ছিলেন ঠিক তদ্রুপ।
তাওহীদের ক্ষুদ্রবাহিনীর চোখে ছিলো না কোন ভয়’
আল্লাহ তা—আলা মহা পরাক্রমশীল, তিনি দান করেন বিজয়।
সত্যের সঙ্গে মিথ্যার আর অন্ধকারের সাথে আলোর হক ও বাতিল শক্তির সংঘর্ষে তদ্রুপ বদরের প্রান্তর।
সবার হাতে রক্ত পিয়াসু উম্মুক্ত তরবারী’
মুশরিকদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ‘আল্লাহ’ করলেন বিজয়ী।””’..


মানবতার সংবিধান
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
মানব জাতিকে ‘আল্লাহ’ করলেন এক শ্রেষ্ঠতম কিতাব দান,
পথ হারাদের পথের দিশারী মহাগ্রন্থ ‘আল কুরয়ান’।
সুরার সংখ্যা একশত চৌদ্দ আয়াত ছয় হাজার ছয় শত ছেষট্যি।
সিজদা হলো চৌদ্দ আর মঞ্জিল আছে সাতটি।
ছিয়াশিটি মক্কি আর আঠাশটি সুরা মাদানি,
ত্রিশ পারায় বিভক্ত তা অন্তর করে নূরানী!
সর্বকালের কাব্য গ্রন্থ বলে স্বীকৃত বিজ্ঞানময় “কুর—আন” এটি জীবন করে আলোকিত সৃষ্টি কর্তার নির্ধারিত, নির্ভুল এক জীবন বিধান,
সর্বশেষ ও চুড়ান্ত এই মানবতার সংবিধান।।

 

“অজ্ঞতার অন্ধকার”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


অজ্ঞতার অন্ধকারে আচ্ছন্য যত মানব মন,
পাপাচারে গাঁ ভাষায়ে নিশ্চিন্তে চলে জীবন—যাপন।
অর্থ লপ্সা,হিংসা,ঘৃনা,গীবত অনাচার’
পূন্যবানরা সংখা, সহে অত্যাচার।
কুর—আন শিক্ষা,নামাজ—কালাম,ধর্মীয় যত বিধি—বিধান’
বাদ দিয়ে সব শিখছে সবাই,বিদ—আতি নাচ—গান।
মুসলমান আজ নামেই সবাই’
নামাজ পড়ার সময় কোথায়?
দুই ঈদে আর জুম্মাহ বাদে’
মসজিদে কি কেও ভুলেও যায়?
মরণ অতি সন্নিকটে, করতে হবে মৃত্যু বরন!
বিলাশ বহুল জীবন যাপন! হবে চির দুঃখের কারন।


“অর্থ বিলাস”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


জীবন সামগ্রীর আধিক্য বিলাস বহুল বাড়ী’
কোটি টাকা ব্যাংক ব্যালেঞ্চ,ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি।
শতাধিক বিঘা জমি’ বসুন্ধরায় প্লট!
দূর্নিতী করে কামায় কাড়ি কাড়ি নোট।
সন্তানের উচ্চ শিক্ষা,শেখায় মডার্ন কালচার’
স্ত্রীর চাই দামি শাড়ি’ প্রচুর স্বর্ণালংকার।
টাকার অভাব নাই তবু টাকা চাই!
টাকার পিছনে ছুটে নাওয়া খাওয়া ঘুম নাই’
ছুটো—ছূটো,লুটো পুটি,মনে নাই কোনো সুখ?
টাকাই কি সব কিছু,পারে কি ঘুচাতে দুঃখো?
শীতাতপ বিল্ডিং এ এসি চলে রাত দিন’
লক্ষ,লক্ষ টাকা দিয়ে আসে কি ঘুম কোনো দিন?

 

 

 

“একটি পতাকা”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে,
আমি আর ভাববো না অঙ্কুরিত কষ্টের কথা।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে,
বীর সৈনিক শেখ মুজিব ব্যার্থ বায়ান্ন বছর বয়সে বসে বলবেন পেয়েছি’আহা পেয়েছি’!
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে,
পাতা কুড়োনির ছেলে—মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে,
ভূমিহীন লোকেরা গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে—বৈশাখে,
বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসম্মানে সাদা দুধে—ভাতে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে,
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ—খামারে।
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমানে সুখের ভাগ সকলে নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে!


“আখিরাত”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


আসন্ন সেই মহাদিবস,সন্নিকটে পরকাল’
কতো করবো আর পাপাচার?
কতো ভোগ করবো হারাম মাল?
সুবিশাল সেই আদালত,যাহা খ্যাত হাশরের ময়দান,
জড়ো করা হবে সব মাখলুখকে, হবে সবার পুনঅরুত্থান।
সারিবদ্ধ সব ফেরেস্তাকুল,করবে সেখানে অবস্থান,
বিচার দিনের সব আয়োজন,করবে তারা প্রানপণ।
পাপের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে,হাজির হবে পাপিগণ,
পূন্যবানদের “আল্লাহ”করবেন, নূরানি এক সূরত দান।
আরশের অধিপতি, আল্লাহ তা—আলা সুমহান,
নেক্কারকে ক্ষমা করবেন,পাপীকে করবেন ভীষণ অপমান।
আমলনাম অনুসারে’ মুমিনদের হবে চিরস্থায়ী জান্নাত,
কাফের,মুশরিক,মুনাফিকদের নেই সেই দিন নাজাত।

 

“জাগো মুসলিম”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


জাগো হে মুসলি,আনসার,ও মুহাযির’
ভেঙ্গে চুর্ণ করে দাও সব অপসংস্কৃতির প্রাচির।
ছেড়ে ফেলো পশ্চিমা পোশাক,ত্যাগ করো বিলাসী আসবাব’
ফিরে এসো সুন্নতি তরিকায়,নারীদের পরাও হিযাব।
ইয়াহুদীদের ঘৃন্য উদ্ভাবন,চক্রবৃদ্ধির সুদ,
গরীবের রক্তচুষে তাদের করে নাস্তানাবুদ।
জিনা—ব্যাভিচার সর্বত্র আজ বাড়ছে সমকামিতা
বিয়ে—শাদি বিলুপ্ত প্রায় ধবংস পরিবার প্রথা।
মুসলিমরা আজ পদদলিত,লাঞ্চিত এক সমাজ
অনেকে করে ইসলাম বিদ্দেশী উগ্র বহিঃপ্রকাশ।
কুর—আন,সুন্নাহ,আকড়ে ধরো করো আল্লাহকে ভয়,
হারানো খিলাফত ফিরে পাবার এটাই এক মাত্র উপায়।

 

“আমাদের গ্রাম”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন


আমাদের ঝাঁপা গ্রামটা মনিরামপুর থানার সকল গ্রামের সেরা,
দ্বীপের উপর তৈরী এই গ্রাম মায়া—মমতায় ঘেরা!
সবুজ ঘাঁসেতে ভরা এই গ্রামের মাঠ—ঘাট’
দেখতে লাগেতো বেশ,
গ্রাম বাংলার রুপ যে কভু দেখা হয়না শেষ!
কপোতাক্ষ নদীর পাঁড়ে বাঁওড়ো আছে মিশে,
মাছ ধরতে ব্যাস্ত জেলে’ কৃষকরা ফসল চাষে!
অনেকগুলো ঘের,পুকুর আছে এই গ্রামের মাঝে,
সেথায় সবাই সাঁতার কাটে সকাল, বিকাল, সাজে!
এই গ্রামেতেই জড়িয়ে আছে আমার রঙ্গীন শৈশব,
জানি কখনো পাবোনা ফিরে আর হারানো দিনের ঐ সব!
তবু যে মোর প্রেম কমে না এই গ্রামের প্রতি’
হাজার বছর থাকবে অটুট আমাদের এই গ্রামের স্মৃতি।