৭. অপেক্ষা (সম্ভাব্য কবিতা বই?

July 8, 2024
অপেক্ষা (সম্ভাব্য কবিতা বই)
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।
লেখক পরিচিতিঃ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন। মাতাঃ মৃতঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।
৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।
ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।
পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।
কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ (অনলাইন মিডিয়া) এর প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে তিনি লেখা-লেখির ময়দানেও অনেকটা এগিয়ে চলেছেন।
লেখকের বানীঃ
বইটিতে লেখক তাহার নিজের বাস্তব জীবন,   ঋতুর পরিবর্তন পরিবর্ধন, প্রাকৃতিক রুপ, বর্তমান নেট দুনিয়ার হালচাল, পেইনশন ও কোটা,  এদশের বিজয়, মে দিবস, বর্তমান বিদ্যুতের অবস্থা,
সংসার জীবন, ভালোবাসার জীবন, বর্তমান প্রেক্ষাপটের গরম, মনের ভিতর লুকানোনো যন্ত্রনা, মনের ময়লা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ছন্দে ছন্দে, কবিতার মাধ্যমে লিখে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আশা করি বইটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে এবং ভালো লাগলে লেখক আরো লেখার প্রতি অনুপ্রেরিত হবে ইনশাআল্লাহ।
উৎসাহঃ
আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শরদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সহযোগী সম্পাদক ও নিউজ এডিটর মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় প্রথম বই “বীর কন্যা শেখ হাসিনা” (কাব্য গ্রহন্থ), ইতিহাসের পাতায় যশোর” (ইতিহাস) এর পরে মুফতি হারুরুর রশিদ হাবিবুল্লাহ এর সহযোগিতায় “ভাগ্যের লিখন”(কাব্য গ্রহন্থ) এবং “শত কবিতার সমাহার” বয়ের সাথে কিছু প্রকাশ করেছি।
উৎসর্গঃ
 বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইদলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) ও মাহিম আহম্মেদ এর নামে উৎসর্গ করলাম।
১. অপেক্ষা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
অপেক্ষা নিয়ে
বসে আছি অনেক্ষন,
তারে আমি পেতে
এখানে থাকবো কতক্ষন?
অপেক্ষায় আছি
সে আসবে কখন,
বসে থাকবো আমি
অপেক্ষায় ততক্ষন।
কাজের ফাঁকে
প্রয়োজনের জন্য বসে আছি তাই,
প্রয়োজনের লোকের সাথে
দেখা করে কাজ করাতে চাই।
বহু অপেক্ষার পর
সন্ধ্যা আগত,
সে আসবে যখন
জানাবো তাকে স্বাগত।।।
২. এলো ফাগুন”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
প্রকৃতিতে সুর উঠেছে
ফাগুন এলো দ্বারে;
বরতে হবে বসন্তরে
রাঙ্গা’ পুষ্প হারে।
রাজপথ ছেয়ে আছে
কৃষ্ণচূড়ার লালে,
চতুর্দিকে সুবাস ছড়ায়
হরেক রকম ফুলে।
রুদ্র-পলাশ, স্বর্ন-শিমুল
পলাক-জুই এর সাথে;
রক্ত-কাঞ্চন, ক্যামেলিয়া
ইউক্যালিপটাসও আছে।
মহুয়া, অশোক, কুসুম
কুরচি সুগন্ধ ছড়ায়;
দেবদারু আর গামারি ফুলেও
মুগ্ধতা মেলায়।
বৃক্ষ শাখে নব বৃন্ত-
ঝরা পাতার শেষ;
গাছের শাখে রাঙ্গা পাতা
দেখতে লাগে বেশ।
৩. অপলোক
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
যেদিন তুমি স্নিগ্ধ
দুটি নয়ন তুলে ,
আমার দিকে অপলক
দৃষ্টিতে চেয়েছিলে?
সেদিন আমি নব-সাজে
তোমার প্রকৃতির রুপ দেখেছি,
তোমার সেই অপরূপ ছবি
এ বুঁকে এঁকেছি।
কঁচিগাছে ফুটেছিলো নীল
অপরাজিতা ফুল,
সেই ফুলের গন্ধে আমি
হয়েছিলাম উতলা ব্যাকুল!
আমি চাঁদের দিকে
যখন তাকিয়েছি—
তখন তোমাকেই পবিত্র দৃষ্টিতে
অনুভব করেছি!
তোমার মায়াবী মুখ বার-বার
আমার প্রতিফলিত হচ্ছিলো,
আমার অন্তর গভীরে তোমাকে নিয়ে
এক অজানা ঝড় উঠেছিলো।
তুমি দেখি এখন একাকী
সুদূরে যাও,
কেনো আগের মতো
আমারে না চাও?
কী হয়েছে তোমার
নেই কেনো নব-সাজ?
তবে কী আমার মনে যে বেদোনা
তা তোমার মনেও কি বাজে আজ?
মরুভূমির রুক্ষতা দেখেছি
আমি পাইনি প্রেমের আনন্দ,
হঠাৎ যেদিন তোমাকে দেখেছি
হারিয়ে ফেলেছি সব জীবনের ছন্দ।
৪. তোমার দেখা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
যেদিন দেখেছি  সেদিন ভেবেছি
তুমি একটা লাল পরি,
কতদিন কেটে গেলো এখনও
তোমায় বলতে পারিনি মনের ইচ্ছেগুলি।
অনেকবার ভেবেছি বলবো
তোমায়’ আমার  মনের কথা,
কিন্তু ভয় লাগে যদি তুমি দুরে চলে যাও
আমায় ছেড়ে মনে দিয়ে ব্যথা।
দিনক্ষণ মনে নেই মনে আছে শুধু
সেই রাতের  কথাটা,
ঐ রাতে আমি তোমায় বলতে চাইছিলাম আমার মনের কথাটা।
সেই রাতে শুধু দেখে গিয়েছি
তোমার হাসিমাখা সেই মুখটি,
ভেবেছি কোনোদিন চাই না আমি
তোমার কাছ থেকে মুক্তি।
সেই রাতের  কথা আমার আজও মনে পড়ে,
যে রাতে চোখ প্রথম তোমার দিকে পড়েছিলো,
কি অপরুপ নয়ন দুটি তোমার’
যা আমাকে পাগল করে দিয়েছিলো।
সেই রাতে কেউ নেই শুধু পড়ে ছিলাম
তোমাকে নিয়ে,
তখন ভাবতাম কি হবে যখন তুমি
থাকবে না আমার পাশে,
কি করবো আমি এই ভাবতাম তোমাকে নিয়ে।
স্বপ্ন আজ সত্যি হলো না
তুমি নেই আমার পাশে।
আজ তুমি ফাঁকি দিয়ে
চলে গেছো আমায়,
অনেক দুরের
অজানা ঠিকানায়।
আজও মনে পড়ে তোমার
সেই রাগের কথা আমায়,
আনন্দ কাকে বলে
শুধু তাই শিখিয়েছিলে আমায়।
৫. এলো বৈশাখ
আজ এলো ১লা বৈশাখ
নতুন দিনের নতুন আশায়,
জীবনটাকে বদলে নিয়ে যাবে
সৃষ্টি কর্তা আছি সেই অপেক্ষায়।
সৃষ্টির স্পর্শ্বে জগত হাসে
অনিন্দ্য সুন্দরও উল্লাসে,
মেঘে মেঘে রঙ-ধনু জাগে
আজ মুক্ত আকাশে।
যদিও গগণে ঘন কালো মেঘ
রৌদ্দুর লুকোচুরি নিদ্রাহীন,
জাগে নব রূপে কৃষাণী-কৃষাণ
তরণী-তরুণ।
এখানে ঘুর্ণি ঝড়ের ঝাঁপ্টা
পশ্চাৎ ধাওয়াই;
ব্যাবসায়ীরা খুলে হালখাতা
 ফুটে পুস্প মল্লিকা অজস্র দ্বারায়।
কত রঙ, কত বিচিত্র নিশি
দেখা দেয় এসে,
বসুন্ধরা ছেড়েছে দূর্বার গতিতে
মানুষের ভালো বেসে।
মায়ের বুকে উঁচু শীষে নতুন ধানের গন্ধ ছড়ায়
নব সুরে বাজে কত রাগ রাগিণী!
তা দেখে, স্বপ্নের ছবি
আঁকে কৃষাণ কৃষাণী।
এই বৈশাখে কত উৎসব
কত গান গেয়ে চলে,
আজ ১লা বৈশাখ তাই নব আনন্দ ধারা
সবার মনে বহে চলে।
হটাৎ বহে বায়ু শন শন
বাজে ঘূর্ণি নাছন,
ভ্রান্তের স্পর্শ্বে বৈশাখের ঐতিহ্য
আজ ছন্দপতন!
আজ ১লা বৈশাখ
পান্তা -ইলিশের জালে বন্ধী,
এ কি বৈশাখ!
নাকি বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের সঙ্গে সন্ধি?
এখানে তো প্রেম অচিন
বিদ্রোহী রঙের হাতিয়ার,
থর-থর করে সারা শরীর
অভয় নেইতো আমার।
৬. কাল বৈশাখী ঝড়”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
কাল বৈশাখী ঝড়
ঈশান কোণে বাসা
তোমার মগজ জানি
পাগলামীতে ঠাসা।
নিকষ-কালো মেঘ
যেনো সঞ্চিত আবেগ,
তোমার সাথে মেঘের ক্যানো
নিবিড় ভালোবাসার বেগ?
কালবৈশাখী ঝড়’ তুমি
পেখম মেলে আসো,
সোনা- রোদে গা-ভাসিয়ে
মিষ্টি করে হাসো।
থমথমে ভাব যেই দেখা যায়
এই বুঝি সে এলো’
ঘন আঁধার নামলো হঠাৎ
ভাবনা যেনো এলোমেলো।
হঠাৎ দীর্ঘ নিশ্বাষ’
একি সর্বনাশ!
শিলা-বৃষ্টি ডানার নিচে
এরা করছে বসবাস।
মাঠের কৃষাণ, মাঝি-মাল্লার
গৃহ বধূ, মাঠের রাখাল’
গ্রাম-গঞ্জের পথিক যত ভয়ে
কাঁপে সন্ধ্যা-সকাল।
সে খবর কি কেউ রাখো?
রুদ্ররোষে তোমার গতি
যখন হঠাৎ থামে,
তখন স্বস্তি এবং শান্তিধারা
বৃষ্টি হয়ে নামে।
 ৭. শিক্ষক ছাত্র লড়াই
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
শিক্ষকদের ভাবনা পেনশন
ছাত্রদের ভাবনা কোটায়,
অভিভাবকরা আছে টেনশনে
আর শিক্ষা যাচ্ছে গোল্লায়!
পেইনশন আর কোটা নিয়ে
শিক্ষক ছাত্ররা করছে লড়াই,
শিক্ষা দীক্ষার ভাবনা নাই
দেশটা যাচ্ছে গোল্লায়!
দেশ এখন ডিজিটাল থেকে
স্মার্ট হয়েছে দেশপ্রধানের মেধায়,
ইউটিউব আর ফেসবুক নিয়ে আছে পড়ে
লেখা-পড়ার খেয়াল নাই।
এভাবে চলতে থাকলে
শিক্ষক ছাত্রদের লড়াই!
ছাত্র সমাজ নষ্ট হবে
একথাটি কারো মাথায় নাই।
৮. মে দিবস
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
গরুর গায়ে পরাবে কোট,
জনতা দেবে ভোট!
শ্রমিক খাবে নেতার লাথি,
নেতাজি চড়বে হাতি।
চাষার নাই পেটে ভাত,
ধনীর হলো সোনার হাত!
প্ৰজা ধর্মে বুঁদ,
রাজা করে খাজনা লুঠ ৷
দেশ এখন যুদ্ধে মাতে,
নাই চাকরি হাতে!
জিনিসের দাম বাড়ে,
রাজামশায় বিমান চড়ে ৷
৯. রঙ লাগিলো মনে
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সোনার ফসল তুলবে ঘরে
রঙ লাগিলো মনে,
তাই না দেখে কৃষকরা
মধুর সুরে মাতোয়ারা গানে”
 চলোনা বন্ধু গ্রামে ছুটি
ঐ  শিকড়ের টানে।
ঈদের আনন্দ  চলছে গাঁয়ে
নেই তো কোথাও ভিধাভেদ,
মায়ার বাঁধন কাকে বলে
দেখনা এসে নেইতো কোন বিভেদ।
এমন হাসি পাবে কোথায়
ইট পাথরের গানে,
জীবন আমার ধন্য হলো
জন্ম বাংলার প্রাণে।
সাত তালাতে সুখের দেখা
ভোগ বিলাসে বসে,
গাছ তলাতে বসে দেখো
থাকবে রঙ্গ রসে।
কত কষ্ট  করছো তুমি
হয় না তোমার বোঝা,
আমি হলাম বাংলার কৃষক
হয় না সুখটা খোঁজা।
গোলাভরা সোনার ফসল
কৃষক নাচে গানে!
জীবন আমার ধন্য হলো
জন্ম বাংলার প্রাণে।
১০. বিদ্যুৎ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
একটু খানি বৃষ্টি হলে
বিদ্যুৎ করে ছলনা,
সকাল থেকে ফোনে চার্জ নেই
কি করি বল না!
বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলাম
পেলাম না কোন সাড়া,
মেজাজ খুব গরম হয়েছিলো
হয়েছিলাম..ধৈর্য্য হারা..।
একটু আগে বিদ্যুৎ এলো
ফোন-টা আমার চালু হলো,
আর আমার ছড়া
লেখাও ফুরিয়ে গেলো।
 ১১. হায়রে ভালোবাসা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ভালোবাসা, ভালোবাসা, হায়রে অবুঝ প্রনয় ভালোবাসা হয় পার্কে, বৃক্ষ-বৃক্ষ ঘেঁষে ভালোবাসা বিছানায় যোগ-বিয়োগ খেলে হায়রে ভালোবাসা ঘৃন্না হয় তোদের দিকে চেয়ে!
পবিত্র ভালোবাসা আজ অপবিত্র-অপমানিত তোদের জন্য_ ভালোবাসা সত্য, তোদের শরীর মিথ্যে,
পাপের ধর্ষণে তোরা অবহেলিত,
তোরাই আবার বিস্মিত!
তোদের শরীরের পাপ বড্ড বেড়েছে যৌন উত্তেজনার স্বাদ চোখ বুজলেই সমাপ্তি! বিছানার অভিশাপ তোদের পিটে কামড়ে ধরেছে আকাশ সাক্ষী দিবে অশ্লীলতার সুপ্তি।
আলো জানে না, ভাবিস না আঁধার চোখ বুজে আছে ভালোবাসা, ভালোবাসা, অবুঝ প্রনয় এখনও পবিত্র পবিত্র মানবের কাছে পবিত্র ভালোবাসা হৃদয়ে ঘুমিয়ে আছে, অবিশ্বাস মুছে।
১২. সঙ্গীর বুক যেন স্বর্গীয় সুখ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সঙ্গীর বুক যেনো নির্ভরতার সব সুখ
যার বুকে মাথা রেখে কষ্ট ভুলা যায়,
অমৃত সুধা-সুখ দেয়া যায়-নেয়া যায়,
স্বপ্ন দেখা যায় অদেখা আগামীর।
সঙ্গীর বুকজমিন যেনো স্বর্গের ভূখন্ড
ক্লান্ত দুপুরের শীতল-বিশ্রাম একদন্ড,
বিশ্বাসের নি:শ্বাস রাখার সেরা ক্ষেত্র,
সে বুকেই সুখের নোনা জল ছলছল নেত্র।
সঙ্গীর বুকে মাথা রেখে যেনো প্রস্ফোটিত সুখ-
পদ্ম সেই সঙ্গীর বুকেই রচে জীবনের সব গদ্য সঙ্গীর বুকে! অনুভব করি স্বর্গীয় সেই সুখ অদেখা স্বর্গ সুখ চাইনা যদি পাই এই বুক।
১৩. মোবাইল ফোন
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
মোবাইল ফোন খুব প্রয়োজন
ডিজিটাল এই দিনে,
দূরের খবর আসে আর যায়
চিঠি-পত্র বিনে।
কম সময়ে খবর নেয়া যায় যে”
সকল দেশে,
আত্বীয় স্বজন কোথায়-কেমন
সহজে জানা যায় ভালবেসে।
ফোনটা ছাড়া যায় না যে চলা
এক মিনিটের তরে,
এটাই আবার আগুন ধরায়
শান্তি সুখের ঘরে।
উপকার তার কম নয় কভু
ক্ষতিটাও আছে সেই সাথে,
বই রেখে সব ছাত্র-ছাত্রী
চ্যাটিং করে রাতে।
প্রেমের আলাপে ঘুম আসে না যে
একলা বিছানাতে:
গভীর রাতে ফোনের সাথে
নীল ছবিতে মাতে।
ফুল কুমারী, কুলের বধূ
প্রেমের জালে ফেঁসে,
সুখের ঘরে আগুন ধরে
ঘরহারা হয় শেষে।
মোবাইল ফোন অর্থ ব্যয়ের
ডিজিটাল এক যন্ত্ৰ,
জালিয়াতি আর মিথ্যা কথা’
শেখার যাদু মন্ত্র।
ভালো-মন্দ সব মিলিয়ে
আধুনিক এই ফোন,
জয় করেছে সবার হৃদয়ে”
 সব মানুষের মন।
১৪. সংসার আর ভাললাগেনা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
এ সংসার এখন আর
মোর ভাললাগেনা,
সংসার বড় আজব জীবন
কারো সাথে সময় দেওয়া যায়না।
সংসারের ঝামেলায়
সর্বদা হয়ে যাচ্ছি ক্লান্ত,
পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে
থাকতে পারছিনা সান্ত।
স্ত্রী সন্তানের আবদার রাখতে
হয়ে উঠেছি মরিয়া,
কি করিবো কোথায় যাবো
মাথায় আনতে পারছিনা ভাবিয়া।
নিয়তির খেলায় বিনে সুতার
বাঁধনে বেঁধে আছি মোরা সবাই,
সবই তাহারই লীলা-খেলা
ভালো না লাগলেও চলতে হচ্ছে তাই।
১৫. আমি বাঁচতে চাই তোমাকে নিয়ে
   মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
যেদিন থেকে তোমায়
আমি বেসেছি ভালো,
সেইদিন থেকে বেঁচে থাকা
তুমিই আমার দুই নয়নের আলো।
এই চোখে দেখি শুধুই তুমি”
ঐ আমার প্রিয় আকাশ
ঐ আমার প্রিয়  বাতাস”
আমার নদীজল, আমার পৃথিবী,
আমার নিঃশ্বাস, আমার বিশ্বাস,
শুধুই দেখি যে তুমি!
আমি তোমারই হৃদয়ে থাকি
তোমারই হৃদয়ে হারাই,
তোমারই মাঝে
নিজেকে খুঁজে বেড়াই।
বেঁচে আছি আমি আজ তোমারই তরে,
আরও বাঁচতে চাই তোমাকে নিয়ে’
আমার জীবন, আমার মরণ’
সবই দিলাম তোমারই তরে।
১৬. তোমার পাশে
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ডাকবে শুধু আমায় তুমি
থাকবে শুধু আমার পাশে তুমি”
কাঁদলে শুধু কাঁদবো আমি
বিজন রাতে একলা বসে আমি
তখন ও থাকবো তোমার পাশে!
জোনাকী আলো জ্বালবো আমি যেথায়”
তুমি একলা থাকো আমায় ছেড়ে”
ডাকবে লোকে হঠাৎ করে সাতসকালে’
 সাঁঝের বেলা তখন তুমি কি করবে বাসর ছেড়ে!
একপা দু’পা তিনপা করে বেড়িয়ে এলে দেখতে পাবে,
তখনো আমি দাঁড়িয়ে আছি তোমারই পাশে।
১৭.হৃদয়ের দ্বার
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
খুলেছি যতোবার
আমার হৃদয়ের দ্বার,
ততোবারই দেখেছি
রুদ্ধ কপাট তার!
যতবার চেষ্টা করেছি
আপন করতে তারে,
ততোবারই ছায়া পড়েছে
তার অন্তরে।
দূরে যদি যেতে চাও’
তবে চলে যাও,
ততোদূর যাও’ যতোদূর গেলে
আর দেখা না পাও!
বার বার হারিয়ে’ চাইনা
আর ফিরে পেতে”
ভুলে যাও সবটুকু তার”
নতুন প-থে যেতে যেতে!
 ১৮. সুখের দেখা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সারা জীবন কষ্ট করেও
পাইনি যারা সুখের দেখা,
তাদের লাইগা আজকে
আমার এই কবিতা লেখা।
প্রকৃত সুখের দেখা চাও
যদি তোমরা পেতে,
ভন্ডামি জীবন ছেড়ে দিয়ে
তোমায় আসতে হবে সঠিক পথে।
ঐ যে দেখছো প্রভুর লীলা
বিশাল এক দ্বীপের ভিতর দিয়ে,
কতই না সুন্দর বিশাল
একটা নদী গেছে যে বয়ে।
নদীর তীর দিয়ে হেটে হেট
মোরা আহারের সন্ধানে যায়,
কিছুক্ষণ বসেই মোরা
আহারের সন্ধান পাই।
শত জল্পনা, কল্পনা করেই মোরা
নিজস্বার্থয়নে বানিয়েছি এক সেতু,
কত পর্যাটক আসছে বেড়াতে
পাইছে কি এখানে কোন হেতু?
করেছে যারা তৈরী
স্বপ্নের এই ড্রামের সেতু হেতা,
আজ মোদের সেখানে নাইকো ঠাই
করে নিয়েছে স্থান ক্ষমতাসীনরা সেথা।
১৯. আমি ধন্য
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আলোকিত হয়ে বুকে এসেছে
পেয়েছি এক নতুন প্রেম,
মা-বাবা হৃদয়ে ভরে উঠছে
বুকভরা ভালবাসা আকাশের মত সেম।
মা-বাবার শত যন্ত্রনা কষ্টের সাথে
করে নেই যদি যুক্ত,
সব আশা, ভালবাসা দিয়েই
হবো আমরা উভয়ে মুক্ত।
এক নতুন জীবন নিয়ে
এই ভুবনে এসে দিয়েছে দৃষ্টি,
সকল শোক হারিয়ে
করেছে নূতন জীবনের সৃষ্টি।
অনেক অনুশোচনা, ধীক্কারে
হয়েছিলাম আমি গন্য,
এ ভুবনে আলোক ঝলমলে ভাবে
পেয়েই আজ আমি হয়েছি ধন্য।।
২০. বড়ই একা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
এই গভীর রাতে অন্ধকার রজনীতে
লাগছে হা-হাকার সবই যেনো ফাঁকা,
নির্জনে আছি আমি গভীর রজনীতে
লাগছে বড়ই একা।
বাবা গেছে চলে বহু আগে
মাকেও দিলাম বিদায় মনটা বড় ফাঁকা,
পারছি না মানাতে হৃদয়কে
মনে হচ্ছে আজ আমি বড়ই একা।
বাবা-মাকে হারিয়ে পেয়েছি এক
নতুন প্রজন্ম তাও যাচ্ছেনা হা-হাকা,
বাবার স্নেহ আর মায়ের ভালোবাসা
পারছিনা ভুলিতে লাগছে আমায় বড় একা।
বাবা-মাকে হারিয়ে হৃদয় স্তব্ধ হয়ে
সুখের কিনারা পেয়েও যেনো বুকটা ফাঁকা,
বিধাতার খেলা বোঝা বড় দায়
হৃদয়কে দিতে পারছিনা শান্তনা লাগছে বড়ই একা।।
২১. ছোট্ট সোনা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
স্নেহমাখা  নিবিড়  বনে
খেলছে ছোট্ট দুধে সোনা,
ছায়াতরু শীতল কোলে
এ যেন চাঁদের জোৎস্না।
জননী ধরেছে গান আয়রে আয়
চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা,
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।
আসছে পাখি বসছে ডালে
আধার নিয়ে যাচ্ছে গালে,
চাঁদের জোৎস্না ঝলক মারছে
আমার ছোট্ট সোনার কপালে।
মায়ের করুন মাখা গান
আর মাতৃত্বের মধুর ঘ্রাণ,
প্রাণ জুড়িয়ে যায়
আমার ছোট্ট সোনার প্রাণ।
২২. রাখে আল্লাহ মারে কে?
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
মানের মান আল্লাহই রাখে
যদি করো তাহার স্মরণ,
আল্লাহই সব কথাটি মনে রেখে
একিন দেলে যদি হয় মরন।
সবই যে তাহার লিলা খেলা
মনে প্রানে করিবে বিশ্বাস,
সর্বদা বিশ্বাস রাখিলে
কখনো হবেনা নিঃশ্বাস।
জগৎ সংসার কিছুই না
আছে শুধুই মায়া,
সব কিছুই ভুলে দুনিয়ার মোহে
করে ফেলছে অনেক খাওয়া দাওয়া।
সঠিক পথে চলে কর্ম করে
যদি করো আয়,
মনেও শান্তি পাইবে
আর শ্বতস্ফূর্তভাবে করিবে ব্যয়।
আল্লাহই সর্বশক্তি করো তাকে সবে ভক্তি
সেই দিতে পারে একমাত্র সম্মান,
ভাগ্যের লেখন খন্ডাবে কে?
আল্লহা যদি দেয় সেই স্থান!
২৩. আহ্বান
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের
আকস্মিক অবসান,
ক্ষণস্থায়ী প্রতিশ্রুতির
চিরস্থায়ী পরিত্রাণ।
রঙ্গিন স্বপ্নবিহীন
নির্ঘুম অবসাদ,
লালিত ভালবাসার
অপ্রত্যাশিত ব্যবচ্ছেদ।
নির্ধারিত গন্তব্যের
হঠাৎ-ই মেরুকরণ,
সহজ সমাধানে আচমকাই
অলীক সমীকরণ।
বেড়ে উঠা স্মৃতির
কৌশলী চেপে ধরা,
ভালবাসি বলতে আজ
কতশত বাধা!
পরিচিত অভ্যাসে
স্থায়ী পরিবর্তন,
পুরাতন মোড়কে
নতুনের আহ্বান।
নিষ্কলুষ হৃদয়ে
কপাট আঘাত,
একসাথে পথ চলতে আজ
কতশত অজুহাত!!
পুরাতন স্মৃতিতে হৃদয়
গহীনে তোড়পাড়,
তোমার অভাবে আমার
পরিবেশে হাহা-কার।
তবুও ছুটে চলা
নতুনের আহ্বানে,
কৃত্রিম ব্যস্ত থাকা
অন্য কোনো স্বপ্নে।
২৪. হায়রে জীবন
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
 মনের মাঝের চাপা যন্ত্রনা আর কান্না
আমি আমার নিজের মধ্যেই পোষে রাখি,
আমার এই বেদনাময় হৃদয়ের ক্ষত
নানা কষ্ঠে রাখি আমি ঢাকি।
হৃদয়ে জমানো আছে বহু ব্যাথার পাহাড়
তবু আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে বলি ভালো আছি,
সৌজন্যবোধ সেতো দেখাতেই হয়
এই মন গড়া সমাজে যখন বাঁচি।
মানুষের হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে আছে
বেদনা আর কান্নার হাট,
বাহির থেকে বুঝা যায়না কিছু
ভিতরেই যতো বিভ্রাট।
মানুষের মনে এতো প্রেম ভালোবাসা
তবু কেনো মনে হয় এত অসহায়,
মানুষই ভেঙ্গে দেয় মানুষের মন
তারই কারনে প্রেম ভালোবাসা মুহুর্তে উধাও হয়ে যায়।
ক্ষুদ্র স্বার্থ আর অহঙ্কারবোধ যদি
মানুষের মনে না জাগতো!
মানুষের মন পুত পবিত্র থেকে
মানুষের কাজেই লাগতো।
মানুষের হৃদয়ে ব্যথা বেদনা থাকবে
থাকবে পাশাপাশি সুখ,
সবকিছু মেনে নিয়েই জীবন চলছে
আশায় বাঁধছি বুক।
হায়রে জীবন! পথখানি তোর
কেনো এতো আঁকা-বাঁকা,
একটাই যখন মানব জীবন
বেদনার ঘরটা রাখলে না কেনো ফাঁকা !
২৫. ঘুম আসেনা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ঘুম আসেনা, কেনো ঘুম আসেনা?
স্বপ্ন দেখা মন” রিক্ত এখন,
হারিয়ে গিয়েছে সব” যাহা ছিলো আপন,
ব্যাথার প্রদীপ জেলে জোনাকিরা জাগে,
হৃদয়ের কথা যতো ঐ মেঘের আড়ালে  ঢাকে, স্মৃতির পাতায় আজ সব অচেনা।
রাতের নিরালা বুকে স্নিগ্ধ হাওয়ায়,
অভিমান ভেসে যায় ভরা জোছনায়।
ঘুম আসেনা, কেনো ঘুম আসেনা?
সৈকতে তার কোনো ছাপ থাকেনা।
শিউলি ঝরার লয়ে স্মৃতির নূপুর বাজে,
শিশির তরঙ্গে রাত আনমনে সাজে।
গভীর জঙ্গলে কি যেনো উঠলো ডেকে?
আমি উঠে গেলাম যে বেঁকে:
কিছুতো আর বোঝা গেলো
 না!
কিন্তু ঘুম আসেনা, কেনো ঘুম আসেনা?
চোখে ঘুম আসেনা কেনো?
প্রশ্ন রেখে যায় কবি,
হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে
রেখেছে সব ছবি।
২৭. ঘুম কাতুর
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সারাদিন বাবা আমার
শুধুই ঘুমায়,
কখনো সকাল কখনো দুপুর
জানা নেই তার নির্দিষ্ট সময়।
কখন উঠবে কখন খাবে
কখন করবে স্কুলের পড়া,
মাষ্টার মশাই পড়া ধরলে
রাগে হয় খরা।
না ডাকলে উঠবেনা
নিজের ইচ্ছায় পড়বে না”
মা ডাকলে করে রাগ!
বাপ ডাকলে দেই ঝাঁপ।
ঘুম কাতুরে ঘুম কাতুরে
ঘুম পরীর হয়েছে সঙ্গী,
একটু খানি কথা বললে
চোখ ওঠে রাঙ্গী?
২৮. শুধুই গরম
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ডানে গরম বামে গরম
গরম দেখি সবখানে,
জ্যামে গরম ফ্যানে গরম
বুঝিনা গরমের এই মানে।
হাটে গরম মাঠে গরম
গিন্নির গরম চরমে,
হাড়ি গরম গাড়ি গরম
কর্তা বুঝে গরম মরমে।
মাথা গরম কথা গরম
গিন্নি গরম রান্নাঘরে,
হাত গরম ব্যাগ গরম
কর্তা গরম গেলে বাজারে!
তেল গরম জ্বল গরম
কড়াই গরম আগুনে,
দেহ গরম মাথা গরম
যৌবন গরম ফাগুনে।
চিনি গরম চায়ে গরম
গরম পুরো সকাল বেলা,
মাঠে গরম ঘাঠে গরম
শ্রমিকরা বুঝে গরমের ঠেলা।
গিন্নি গরম কর্তা গরম
তারা গরম সংসারের ঘানি টেনে:
জোট গরম দল গরম
সরকার গরম বিরোধীদের শর্ত মেনে।
নিত্য গরম চিত্ত গরম
সূর্য্যি মামার কারনে,
বায়ু গরম রাত্রি গরম
হয়না শীতল’ কারো বারনে।
হাড়ি গরম খুন্তি গরম
বৌ গরম রান্না ঘরে,
ভাত গরম ডাল গরম
কর্তা” খাবেন কেমন করে?
২৯. অসহ্য
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সরল মনের মানুষ আমি
দুইটি পুত্র ঘরে,
একটা মেয়ে আছে ঘরে
লেখাপড়া সে করে।
দুটি পুত্রের একটির সঙ্গ খারাপ
লেখাপড়ায় দেই সে ফাঁকি!
আরেক পুত্রের ঘুমের জন্য
আমরা উভয়েই জেগে থাকি।
বয়স আমার প্রায় শেষ
বাহুতে কমে আসছে বল!
ভারি কর্ম করতে না পেরে
সর্বদা চোখে আসে জ্বল।
পরিবারের  সবাই মিলে
ছলছতুরি করে চলে,
মনের কষ্ট মনে রেখে
অশ্রুই ভাসায় চোখের জ্বলে।
সহজ সরল মানুষ আমি
সত্য পথে চলি,
যেখানেই বসি সেথায় আমি
সর্বদা সত্য কথা বলি।
পরিবারের শত ঝামেলা সামলাই আমি
মনে আছে আমার ধৈর্য্য,
বুকের জ্বালা বুকে রাখি
বরন করে নেই সকল অসহ্য।
৩০. ইলেকশন
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আমপাতা জোড়া জোড়া
স্বতন্ত্র প্রার্থী হইছে খাড়া,
মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া
আমরা সবাই  মার্কা মারা।।
স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে
ভোট দিব পরিবেশে,
দক্ষ এবার কমিশন
ফেয়ার হবে ইলেকশন।
সামনে আসছে নির্বাচন
বাপ বেটার ইলেকশন,
ফলাফল নির্ধারণ করবে জনগণ
ফেল করলে হবে নির্বাসন।
আমার ভোট আমি দিব
যাকে খুশি তাকেই দিব,
বাপে বলে বেটারে
ভোট দিবে যোগ্য প্রার্থীরে।
৩১. মনের ময়লা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
নেট কিনে কত টাকা
উড়িয়ে দেই পাপে তাপে,
ইমামগণের বেতন চাইলে
সামান্যতেই হাত কাপে।
শপিং মলে কিনাকাটাই
অনেক টাকা ছাইড়া যাই,
ফকির এলে আমরা বলি
“মাফ করো ভাই” খুচরা নাই।
অনেক খাদ্য নষ্ট করে ‌
ডাস্টবিনে দিই ফেলে,
মুখটাকে ফিরিয়ে নিই
ভিক্ষুক খাবার চাইলে।
যতন করে বিড়াল পালি
খাওয়াই তারে গরম ভাত,
বাড়িতে কেউ আশ্রায় চাইলে
তুলি নানান অজুহাত।
পুত বউয়ের কথা শুনলে
পুতের কই রা*মছা*গল,
মেয়ের জামাই খুবই ভালো
হয় যদি সে বউ পাগল।
আসল কথা বললে পরে
জাত-কূল থাকেনা,
কোনটা ভালো কোনটা খারাপ
কিছুই আমরা বুঝি না।।
৩২. “অভিনয়ের দেশ”
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
আমি আর ফিরব না এই দেশে
করিওনা সেই চিন্তা,
ওই অভিনয়ের দেশে ফিরবনা
দিয়েছি মনে সেই শান্তনা।
যে দেশের সকল রাস্তা গলি
রয়েছে আমার চেনা,
চেনা হয়েও কেনো যেনো
লাগে সবই অচেনা!
যে দেশের পথের পানে চেয়ে থেকে
কেটেছে সারা বেলা,
সেই দেশের পথে এখন চলতে গিয়ে
কভু জাগেনি হেলা।
সেই দেশে আমি আর
ফিরতে চাই না;
নেই কোনো ইচ্ছা বন্ধু
তোমার এই দেশ নিয়ে নেই কোনো ভাবনা।
যে দেশের স্বপ্নীল ভালোবাসার
স্বপ্ন দেখে অঘোরে কাটেনা সময়,
এখন আর কারো ভালোবাসার দাবানলে
সতেজ চিত্তে পুড়ে হয় না ছাই।
নেই চিন্তা নেই ভাবনা
এদেশে আমি আর ফিরবনা,
মধু-মাখা অভিনয়ের দেশে
কোনোদিন আর ফিরবনা।।
৩৩. গোপন চোরাবালি
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
এক চোরের হাত হইতে
বাঁচতে পড়েছি ডাকাতের হাতে!
খাল কেটে কুমির এনেই
আমরা পড়েছি চোরাবালিতে।
লুটেরা সব কুটনীতিক
করে লুকোচুরি!
এ দেশে চলিতেছে
সেই সব লোকের জমিদারী।
আপনজনের অর্থ গোপন করিয়া
করিতেছে যে পকেটভার,
নিজপকেট ভারি করে
স্বার্থ হাচিল করিবার।
বাঁচিবার কথা কি যে বলি
জীবন যে পায় ভয়,
শুক শান্তি হারিয়েছি
নানান চিন্তা ভাবনায়।
যাকে মোরা আপন ভাবছি
আপনতো সে নয়,
নিজ স্বার্থের জন্য
সর্বদা সামনে রয়।
অন্যায় অবিচার দেখিয়া
সহিয়া যাচ্ছে চোখ,
মনের কষ্ট মনে রেখে
ভিজাইতেছি মোরা চোখ।
পেপার পত্রিকা খুলিয়া
আজকাল মনে হয়,
এ সমাজ যে বড় খারাপ
আগেকার মত নয়।
যুগের ব্যাবধান
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
বর্তমান আর পুর্বের যুগের
তফাৎ হইলো এই,
বাব-দাদাদের যুগের নৈতিকতা
বর্তমান যুগে নেই।
বাব চাচারা মেহমান এলে
সোহাগ করে বসতে দিত ঘরে,
বর্তমানে মেহমান এলে
রাখি ঐ দূরে।
বাব চাচাদের বাড়ি ছিলো
এক উঠানে তাই,
দুই গ্রামে দুই ঘর বেঁধেছি
আমি আর ভাই।
বাবার চোখে আসতো পানি
অন্যের দুঃখ দেখে,
মানুষের দুঃখ দেখে
আমরা থাকি বেকে।
আগের মানুষ গরিব হলেও
মানুষ ছিল ভালো,
বর্তমানে লেখাপড়া করেও
মনটা মোদের কালো।।
৩৪. দূর্ভাগ্য
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ভাগ্যে যাহা আছে
কে খন্ডাতে পারে?
কর্ম যাহা পাইবে তাহা
কেনো আহাজারি করে?
যেমন কর্ম তেমন ফল
পড়ে আছে নিয়তির বেড়াজালে,
বিচারকের রায় উলটানো নাহি যায়
পড়ে কঠিন গ্যাড়াকলে।
মনের জ্বালা নিভানো নাহি যায়
হয় অন্তর পুড়ে ছাঁই,
কার জ্বালা কে পোহাবে
পাল্টানোর উপায় নাই।
কর্মের ভূলে কপাল পোড়ে
হয়ে যায় দূর্ভাগ্য,
ভাগ্য যে আছে কর্মে
বুঝিতে নাহি পারে হয়ে যায় হতভাগ্য।
কত কষ্ট সহ্য করিয়ে
দাড় করেছে এই সংসার,
সব কষ্টই হয়েছে বৃথা
গিলানি নিতে হয়েছে আবার।
৩৫. কষ্টটা কি
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
কিছু কিছু কষ্টের
হয়না কোন নাম,
নাম না থাকুলেও তবু তার
আছে অনেক দাম।
কিছু কষ্ট ভুলা যায়না
লাগে অনেক ভালো,
কষ্টের ভিতরে থেকে
জাগ্রত হয় হৃদয়ে আলো।
ব্যাথা আর চাঁপা যন্ত্রনা নিয়ে
গম্ভীরভাবে নিস্তব্ধ হয়ে আছে,
কি আছে এই গম্ভীরতার
স্পষ্ট নেই কারোর কাছে।
গম্ভীরভাবে থাকে যারা
তাদের মনে আছে অনেক কষ্ট,
সেই কষ্ট সইতে করে ফেলছে
গম্ভীরতার সাথে জীবনটাই নষ্ট!
৩৬. মটর বাইক
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
বাইক দিয়েছে শ্বশুরমশাই
আববা দিয়েছে তেল,
তাইতো আমার গতির সাথে
   ট্রেইন/বিমানও ফেল।
দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটুক
আমার আবার কিসের ভয়,
গেলে যাবে বাবা-শ্বশুরের
 এতে আমার কিছু নয়।
চলছে গাড়ি অবিরামো
জোরসে মারি টান,
লোকের কথা না শুনে
ধরছি চেপে কান।
বাহঃ কি সুন্দর
গাঁয়ের বাঁকা রাস্তা,
দিয়েছি টান কিছুদুর
যেয়েই করব আজ নাস্তা।
ভাবছে লোকে
গাড়ির গতি দেখে,
থমকে যাচ্ছে পথের পথিক
গাড়ির চলন দেখে।
হঠাৎ করে ধাক্কা লেগে
হুন্ডা গেলো পড়ে খাদে,
রাস্তার পাশে থাকলাম পড়ে
জ্ঞান ফিরছে অনেক সময় বাদে।
জ্ঞান ফিরলে চোখ দিয়ে
চেয়ে দেখি ভাই!
দুঃখের কথা কি আর বলব”
পা ছিল দুইটা এখন একটা নাই।
সময়ের থেকে জীন বড়
একথাটি এখন ভাবি!
স্বাবধানতার মাইর নাই
ভাবিও সবে”এই কথাটি মোর দাবি।।
৩৭. কাজের সফলতা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
চাইনি যাহা আজ পেয়েছি তাহা
ইজ্জত, সম্মান সবইতো প্রভুর খেলা!
প্রচেষ্টা, সদইচ্ছা এবং প্রভুর কৃপায়
করে দিয়েছে স্থান এই কবি পরিষদ প্রাণের মেলা।
ধৈর্য্যেই সাফল্য কথাটি
আল্লাহই করেছেন ঘোষণা,
আল্লাহর ঘোষণার ফল সদ্য পেয়েই
হারিয়ে ফেলেছি আজ মনের সকল বেদনা।
প্রাণের মেলা কবি পরিষদের নতুন কমিটি
আজ প্রধান নির্বাহী করে দিয়েছেন উম্মুক্ত,
এই কবি পরিষদের কমিটির
সকলকে জানাই আমি স্বাগত।
এই কবি পরিষদ প্রাণের মেলার
কমিটিতে নাম এসেছে তাই,
কথায় নই কর্মেই দিতে হবে
সকলের সামনে মোদের পরিচয়।
৩৮. ১৬ই ডিসেম্বর “
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ
বিজয় দিবস হয়,
এই বিজয়টি ছিনিয়ে আনতে
হয়েছে লক্ষ প্রাণের ক্ষয়।
বিজয় দিবস এলে আমরা
সবে দেশের গান গাই,
রাজ পথে বিজয় মিছিল দেখে
আমরা বিজয়ের সুখ পাই।
বিজয় দিবসে বিজয় নিশান
দেখে আমাদের মন ভরে,
আনন্দে সব মাতোয়ারা
বাংলা মায়ের ঘরে-ঘরে।
যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে
বিজয় আনলো যারা,
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি
শহীদ সন্তান তারা।।
৩৯. তীব্র গরম
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
তীব্র গরমে পুড়ছে মানুষ
ঝরে পড়ছে গায়ের ঘাম,
ঘরে পারছে না থাকতে
শুধু স্মরণ করছে আল্লাহর নাম।
গাছ গাছালি তরুলতা
গরমে পুড়ে হচ্ছে ছায়,
কোথায় গেলে পাবে শান্তি
সুখের খোজে সেথাই চলে যায়।
এই গরমে খেটে খাওয়া
নিম্ন আয়ের শ্রমের হচ্ছে ক্ষতি,
এত গরম কেমনে সইবে?
পুড়ছে যে চোখের জ্যৌতি।
বড় লোকেরা গাড়ি বাড়িতে
খাচ্ছে এসির শীতল হাওয়া,
গরীবরাও মানুষ! একটু সুখের জন্য
এমন স্বপ্ন গরীবরা দেখলে খায় ধাওয়া।
এই তীব্র গরমের তাপে
পশু পাখিগুলো করছে ছটফট,
একটু স্বস্তির আশায় ডানা মেলে
আকাশে উড়ছে ঝটপট।
সবুজ শ্যামল গাছ-পালাগুলো
পাওয়া যায়না গ্রাম কিংবা নগরে,
তাইতো অক্সিজেনের খোজে
ছুটে যাচ্ছে সবাই নদীর ধারে।
৪০. বই পড়া নেশা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
বইকে ভালো বেসে
বই পড়াই হয়েছে মোর নেশা,
বয়ের জগতে ডুবে থাকি
এটাই হয়েছে মোর নেশা।
বয়ের পাতা খুললে পরে
ভরে যায় মোর মন,
বইকে ভালো বেসেই
কাটিয়ে দিব বাকি জীবন।
সঠিক জ্ঞান পেতে হলে
পড়ো সবে হরেক রকম বই,
বয়ে মোদের জ্ঞান বাড়াবে
বয়ের ভিতর সর্বদা রই।
বই মোদের জ্ঞানের ভান্ডার
এ ছাড়া শিক্ষার বিকল্প নাই,
বই পড়ে কবিতা/গল্প লিখি
এখানেই সময় বেশি দিতে চাই।।
৪১. ধান ক্ষেত
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন

সবুজ ধান ক্ষেতে বিকেলের হাসি,

কৃষক মনের সুখে বাজায় বাঁশি।
পাখিরা সব ডানা মেলে আকাশে উড়ে,
চলন্ত ছায়া ধান ক্ষেতে পড়ে।
মাঠ হাসে সোনালীতে সবুজ মিশে,
কৃষক মনের আনন্দে ঘরে আনে শেষে।
অনেক পাখি থাকে ওৎ পেতে বসে,
শত্রু পোকা এলে ধরে খায় শেষে।
ফড়িং এর উড়াউড়ি ঐ ছায়া জুড়ে,
দিনের শেষে যায় ফিরে ঘরে।
রাত জাগা প্রাণীগুলো মাঠের বুকে,
জেগে উঠে প্রহরী হয়ে মনের সুখে।।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *