০৫. দ্বীনের দাওয়াত (সম্ভাব্য কবিতা বই)

June 25, 2023

দ্বীনের দাওয়াত (কবিতা বই)

লেখকপরিচিতিঃ

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।

তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন।

৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।

ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।

পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।

কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ (অনলাইন পত্রিকা) এর নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লেখকের বাণীঃ

এই বইটিতে সম্পুর্ণ ইসলামী জীবন ব্যাবস্থা, কুরা-আন ও হাদীসের আলোকে ঈমান, তাক্বওয়া, তাহীদি, এবং লেখকের কিছু বাস্তব জীবনের ইতিকথা, ইসলামের আলোকে ছন্দে, ছন্দে, কবিতাকৃতিতে লেখনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আশা করি আপনারা বইটি পড়বেন এবং পড়লে ভালো লাগবে আর ভালো লাগলে লেখকের লেখার স্বার্থকতা এবং লেখার প্রতি অনুপ্রেরিত হবে। (ইনশা-আল্লাহ)

উৎসাহঃ

আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শরদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এডিটর ভাতিজা মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় বইটি প্রকাশ করেছি।

উৎসর্গঃ

 বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইদলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) ও মোঃ মাহিম আহমেদ এর নামে উৎসর্গ করলাম।

১. দ্বীনের দাওয়াত 

মুহাঃ মোশাররফ হোসেন 

ভালবাসি বলেই বন্ধু তোমায় দিচ্ছি দ্বীনের দাওয়াত,

দয়া করে করোনা ভাই একটু কর্ণপাত!

দুনিয়া হলো ক্ষনস্থায়ী পাঠাইছেন মোদের পরীক্ষায়,

আমলের পাল্লা ভারি করলে ফল পাবে মিজানের পাল্লায়।

সময়, যৌবন, টাকা-পয়সা নিয়ে যতো করো বাহাদুরি,

সব হিসেব দিতে হবে রোজ-কিয়ামতে পাই-পাই করি।

এই দুনিয়াটাই কিছুই নহে, সবই তো পরকাল,

ক্ষণিকের এ পরীক্ষাগারে হইওনা বেসামাল।

নিজেকে নিজ মনে করছি শুধু” নিজেইতো নিজের নয়,

নিজে শুধু আল্লাহ‌র হুকুম, এইতো পরিচয়।

কোথায় ছিলাম, কোথায় এলাম, কোথায় যেতে হবে?

কেনো এলাম, কি করিবো? ভাবনা ভাই তবে।

কি করিবো, কি করার ছিলো? কি করিতে চাই?

নিজের কাজে আল্লাহু কি খুশি? একটু ভাবো ভাই।

২. যুদ্ধলব্দ সম্পদ”

হুনাইনের যুদ্ধ ও তায়েফের অবরোধ

যুদ্ধ শেষে বন্টিত হলো, গনিমতের সম্পদ।

মক্কাবাসী নবীসম্রাট, দু হাত ভরে দিলেন

সেই তুলনায় আনসারগণ সামান্য কিছুই পেলেন।

যুবক বিয়সী কিছু আনসার দুঃখ প্রকাশ করলেন

নবীজি তা শুনে সকলের সমবেত হতে বললেন।

নবীজি সেখানে দান করলেন কালজয়ি এক ভাষন

সমাবেশে শুধু হাজির ছিলো মদিনার আনসারগন।

ফিরে যাবে ঘরে মক্কাবাসী, নিয়ে উট ও ছাগল!

তোমরা ফিরবে সঙ্গে নিয়ে, আল্লাহু তা-আলার “রাসুল”

নবীর কথায় আনসারগন, কান্না শুরু করলেন

দিক-বিদিক জ্ঞান হারিয়ে, চিৎকার করে বললেন সম্পদের কোনো প্রয়োজন নাই

আমরা শুধু রাসুলকে নিয়ে, বাড়ি ফিরে যেতে চাই।

কতই না সৌভাগ্যবান তারা, মদিনার আনসারগন

নবীসম্রাট তাদের মাঝে থাকবেন আজীবন।

৩. “তাক্বওয়া”

বলতে পারো এই জামানায় কে আসল মুত্তাক্বী?

আদর্শ যাহার হয় রাসুল (সা:) এর, পয়লা তাকে ভাবছো কি?

ভাবতে পারো সঠিক এটা ভাবনা তোমার মন্দ না,

চিন্তা করার মুক্ত দুয়ার কারো তরে বন্ধ না।

সঙ্গী যাহার নিত্য দিনের সূদ, ঘুষ আর দুর্নীতি!

রাসুল (সা:) এর মতো পোষাক থাকলে সে কি হবে মুত্তাকী?

রাখলে কিছু অর্থ-কড়ি সংগোপনে তাহার কাছে!

পাইতো ফেরৎ সঞ্চয়ী সে বহুত বহুত পাচ্ছে লাভে।

আল্লাহর দেওয়া বিধান যতো দু’চরণে পড়লো যে,

প্রান্তসীমা পেরিয়ে সদা বিপক্ষতে চললো যে,

সবাই তাকে বলছে মুখে লোকটা বড় মুত্তাক্বী!

লম্বা জামা, পাগড়ি শিরে আল্লাহ ভীতির শর্ত কি?

লক্ষ টাকার লোভটা যে জন ছাড়তে পারে নি:শেষে,

সুন্দরীর ঐ হাত ছানিতে দেয় না সাড়া ফিন শেষে।

সত্য কথা যার মুখেতে নিত্য দিনে শুনতে পাই,

পরের হাতে যে জনেতে হরহামেশা জান খোয়ায়,

পোষাক কিছু ঘাটতী বলে মুত্তাক্বী কেউ বলবে না,

চালাকি আর প্রতারনা আল্লাহর কাছে চলবে না।

আল্লাহর ভীতি যার হৃদয়ে আছে সব সময়ে হয় না ভুল,

এটাই হলো ঠিক তাক্বওয়া ভক্ত আল্লাহর ধক্ত মূল।

৪. “আল্লাহ মহান”

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান,

তুমি যে করুণাময়, অসীম দয়ালু মেহেরবান।

নেই তুলনা তোমার সাথে আর কারোরই,

তুমিই তো, রহমানুর রহীম, তুমি যে প্রভু- দয়াবান।

দুনিয়াতে আছে যত পাপী আছে গুনাহগার,

তোমার দয়ায় সবাই পায় মাফ যত গুনাহ তার।

করতে পারি না তোমার প্রশংসা যতটা পাওয়ার,

হয়েছি অকৃতজ্ঞ, ভুলেছি তোমায় মোহে পড়ে দুনিয়ার।

তবুও তুমি দিয়েছো সব, রক্ষা করেছো আমাদের প্রাণ,

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।

করি না তোমার গোলামী, বানিয়েছি অংশীদার,

রাখিনি মনে তোমার করুণা, বানিয়েছি রাহবার।

মনেরও গহীনে বাসা বেঁধেছে, কীট যত অকৃতজ্ঞার,

তোমার দাসত্ব করি না আমি, নিয়ামত খেয়েও তোমার।

তোমার নামেতে ডুবে থেকেও করছি তোমারই নাফরমান,

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।

মাশরিক থেকে মাগরিব আমি যেদিকে তাকায়,

তুমিই যে প্রভু, ওগো তুমি প্রভু, মনে পড়ে যায়।

নীল আকাশ, দক্ষিণা বাতাস, ঢেউ ভরা সাগর,

ধু-ধু মরু, আর সবুজে ঘেরা এই নিপুন সংসার।

গেয়ে শেষ হবে নাকো ওগো, তোমার গুণগান,

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।

৫. মানবতার জয়

চাইনি কভু রাজসিংহাসন চাইনি ক্ষমতা,ছড়িয়ে আছি মোরা বাংলার বুকে আমরা বহু ইসলামী জনতা।এম,পি,মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হবো এই আশা মোদের নয়,কুর-আন, হাদীছের আলোকে চেয়েছি বিশ্ব মানবতার জয়।যুগে যুগে মোরা সংগ্রাম করেছি বীর খালিদের বেশে,স্বাধীনতা মোরা এনেছি সোনার বাংলাদেশে।ইসলাম নামধারীরা ক্ষমতায় এসে আমাদের বানিয়েছে জঙ্গীবাদী,দেশপ্রেমিক হয়েও দেশদ্রোহীর অপরাদে অনেকে বন্দীশালায় সময় কাটাচ্ছে নিরবধি।সালাফে ছালেহীন এভাবে বুঝি সহিতেছে কারা নির্যাতন,দুঃখ পাবার মোদের কিছু নাই এটা পূর্ব্বর্তীদের অনুসরণ।কারাগার আর খোলা ময়দান যেখানেই মোরা থাকি,দেশ ও জাতীর জন্য জীবন মোদের সর্বদা বাজি রাখি।

৬. আসল দল

সত্য করে বলরে তোরা ইনসাফ করে বল,ইসলাম নিয়ে ভাগা-ভাগী কোনটা আসল দল?দলাদলির নাইকো ভিত্তি আমল হবে সার,কুর-আন হাদীছ জেনে শুনে সঠিক আমল কর।একটি দল মুক্তি পাবে সেটাই রাসুলের দল,পীর-বুযরগো গাউছ-কুতুব যাবে রসাতল।হিসাব-নিকাশ হবে একদিন মীজানের পাল্লায়,বাহাত্তর দল হবে জাহান্নামী করছো দলের বড়াই?দলাদলি ভুলে গিয়ে আমল করো খাটি,সব ক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে ঠিকানা হবে মাটি।এসো ভাই সবাই মিলে করি দ্বীনের কাম,আহলে হাদীছ নামেই একটি দল’ নেই কোনো উপনাম।    

৭. অত্যাচার 

অত্যাচার তোমরা করেছো ওরা মুসলিম ছিলো বলে।

মনে রেখো মানুষ ওদের কি ছিলো দোষ কেনো নির্মম হলে?

একটু চাওয়া ওদের অধিকারথাকিবে সমান্তরাল।কেড়ে নিলো সরকার অধিকারবুকে গুলি মারো রক্তাক্ত কেনো হাল?

হিন্দু তুমি ক্ষমতা পেয়েছোহিংসা কেনো করো?ইসলাম মানে শান্তির বানীবিস্তারিত বই পুস্তাকে পড়ো।লেলিয়া দেওয়া মানুষ তুমিপশুর মতো মন।ভালো মানুষ সাধারণ হয়নোংরা কতোজন?

মায়া নাই কোনো দেখেছি,মুসলিম মেরেছে মায়ানমার।

ভারতীয় মানুষ হিন্দু বেশীতাই করেছে অত্যাচার।ওরা মসজিদ ভেঙ্গেছে, মানুষ মেরেছেঅন্যায় ছিলো না তেমন।

রোহিঙ্গা মরেছে সারা বিশ্ব জেনেছেবিচার পায়নি এমন।

মুসলমানেরা আজ ও ঐক্য হলো নাঅত্যাচার দেখে আর থাকে চুপ।

সেই সুযোগে মুসলিম মরেএকাই লড়ে বুকে খায় কুপ।

৮. “কবর স্থান”

ঐ দেখা যায় কবর স্থান 

ঐ আমাদের ঘর।

ঐ খানেতে থাকতে হবে 

সারা জীবন ভর।

ঐ কবর তুই চাস কি?

টাকা পয়সা নিস কি?

ঘুষ আমি খাই না 

মুমিন বান্দা পাই না।

একটা যদি পাই

অমনি তারে জান্নাতে পাঠাই।

আর বে-নামাজি মুনাফিক যদি পাই

অমনি তারে জাহান্নামে পাঠাই।

৯.

“আবেদন”

দেখো হে প্রভু দুনিয়াই অনাদরে কতো ভাই

পথশিশু, বিধবার কান্না,

সালওয়া দাও আজ ও অভাবের সংসারে

আবার পাঠাও সেই মান্না।

যেনো হাজার মানুষ বাঁচে সেই খানা আহারে

ক্রন্দনে বুক ভাসা, আজ হাসি মুখে থাক,

মাজলুম, ক্রীতদাস দুখেরই নির্বাসে

এই দুনিয়াই স্বর্গের সুখ টুকু পাক।

অনেক মানুষ আছে আমাদের আশে-পাশে

যাদের গুনে নেওয়া যায় পাজরের হাড়

অনাথের শ অভাব সবগুলো মুছে দাও

দয়া করো হে প্রভু আবেদন করি বারবার।

ধনাঠ্যশালীদের মনটাকে করে দাও প্রভু

সাগরের চেয়েও বেশি উদার

এতিমদের প্রতি যেনো সবার নজর থাকে

এই আবেদন করি হে প্রভু তোমার দরবার।

১০.

“সত্যের আহ্বান”

ওহে গোলাম!গড়ে তুলি এসো প্রিয় নবীজির জিন্দেগী,
সত্যের আহবান ছাড়া যে জাহেলী মরণ হবে বন্দেগী।
যত তুমি হও সম্পদশালী কিংবা বড় কোন ক্ষমতাবান!
নবীর দর্শন প্রতিটা গোলামের প্রতি প্রভুর ফরমান।
পঞ্চ সোপান প্রভূর আদেশ এখানে বিকল্প কিছু নেই,
ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত তাঁর বিধানেই।
অন্ধ, বধির, ধনী কিংবা গরীব একই বার্তা জানি,
পথ ভ্রষ্ট গোলামের রন্ধে রন্ধে বহে ঐ দুষ্ট জ্ঞানী!
প্রভুর গোলামেরা ইসলামের পতাকা তলে এলে
উম্মতের সাফায়ৎ নবীজি করবে বিচার কালে!
এ নিখিলের ঘোর আঁধার মুক্তি আলোক সাগরে,
কাজে আসবে না যদি না তুমি আকড়ে ধর তারে!
ওহে গোলাম, গড়ে তুলি এসো চিরো সত্যের জিন্দেগী,
বাতিলের মুক্তি কোরআন হাদিস তরে, হে সঙ্গী!
আজি পাপের বিরুদ্ধে তোর জিহাদী ঝংকার মাতাবি,
ওহে গোলাম, জেগে তুলি এসো ইসলামের ঐ জ্যোতি!
নবীর দর্শন ছাড়া মানবতা কি ফিরবে এ ধরা ?
তবে কেন ছদ্মবেশী যতো সব বিদ-আতের ধারা!
বাতিলের মন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে অহী করো বিজয়ী,
হে গোলাম, তোমরা নবীজির উত্তরসূরী প্রত্যয়ী।
ক্ষণিকেরা কার মোহে ফাঁদে পড়ে গোলামেরা এই আঁধার পৃথিবী?
ওহে ফিরে আই সত্যের আহ্বানে’ এখানে তোরা জিদবী!

১১.            

 “বিবেকের কাছে প্রশ্ন”

করছি শুরু পরম দাতা

মহান দয়ালুর নামে।

শফথ ত্বীন জয়তুনের 

শফথ পর্বত সিনাইনের

এই শফথ নিরাপদ নগরীর

সৃষ্টি করেছি সৃষ্টির সেরা, মানুষ সুন্দর ধীর!

অতঃপর আমি তাকে 

নিচ থেকে অতি নিচে

ফিরিয়ে নিয়ে যাই,

তবে তাদেরকে নয়;

যারা ঈমান্দার ও সৎকর্ম পরায়ণ

তাদের জন্য রয়েছে পুরুস্কার বিতরণ;

তবু কেনো তোমরা মহা-প্রলয়ের অবিশ্বাসী হণ?

আল্লাহু কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?

১২.

       “দয়ার অথৈ সাগরে”

তোমার পথের সন্ধান পেয়েও চলছি

বে-পথে হে প্রভু

তবু আমায় করছো কৃপা

বাঁচিয়ে রেখেছো তবু।

পারতে তুমি শাস্তি দিতে

আমায় না দিয়ে অন্ন

পারতে আজাব গজবে আমায়

করে দিতে বিচ্ছিন্ন।

তোমার দয়ার অথই সাগরে

ডুবে আছি সারাক্ষণ

তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা

কভু করি না আজীবন।

তবু ও বেঁচে আছি আমি

তুমি দয়া করেছো বলে

গোনাহগার চিরো কাঙ্গাল দীন

ক্ষমা করে দাও এই অধমের ঋণ।

এসব কিছুইতো ঘটছে

তোমারই সৃষ্টি বলে।

   ১৩.    “পবিত্র জুম্মাহ”

পবিত্র জুম্মাহ, মহা পবিত্র দিন,

মহা বরকতময় দিন হেসেবে মন করো এক্বীন।

এমন দিনে যে হতভাগা নামাজে না যায়,

সে পাপী মহান আল্লাহর গোস্বায় পড়ে যায়।

চলো ভাই মসজিদে জুম্মায় শরিক হই

বরকতময় ইবাদতে জলদি শামিল হই।

উত্তম পোষাক আর সুগন্ধি ব্যাবহার করা যে সুন্নত, 

জুম্মার ফযীলত অর্জন করতে পারা বড়ই নিয়ামত।

জুম্মাহ’র নামাজ ত্যাগ করে, কেহ যেনো দুর্ভাগ্য না হই,

জুম্মাহ’র মাধ্যমে আল্লাহর রহমতের নজরে রই।

আল-হাদীছে জুম্মাহ’র অশেষ ফযিলত,

জুম্মাহ হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অসীম নিয়ামত।

১৪. “হেদায়েতের পথে ডাকো”

শুভ যাত্রায় হাঁটি  প্রভুকে সাথে রেখে

প্রার্থনায় সাজাই নিজকে ধর্ম-পথে মহোৎসবে,

এই জনস্রোত যেথা যায় পদচিহ্ন শুধু প্রার্থনায়

যেথা সন্ধানে হাঁটি যদি তারে না পাই, থাকি অন্ধকারে।

মনের ভিতর তরঙ্গ-হিল্লোলে তার রুপ দেখি

আমার শ্রাবণে ভিজি স্পর্শে পরশ-ধারা,

এমন জীবনে আমার প্রার্থনার জগতে কোনোদিন পাইনি এমন সৌরভ বাতাস।

আমাকে নিয়ে চলো জলদি দুয়ার খোলো সাবধানে,

এই ঘরের মর্মার্থে ভক্ত সব যাত্রী।

প্রাচুর্য শস্য ভান্ডার এই গৃহে 

কে দিলো এসব কল্যানকার নিয়ামত!

তারে খুজি আমার হৃদয় কাঁপনে কাঁপে এই পৃথিবী,

দিবা-নিশি তারে স্মরণ করি কল্যাণ বৃষ্টি চারিদিকে।

তোমরা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকো,

অবশ্য এই কল্যানকার সংগ্রাম চলবে কিয়ামত পর্যন্ত,

এ পথেই শান্তি, এ শুভ যাত্রা, সৌরভ গৌরবের,

জনস্রোতে; এই মহোৎসব কল্যানকার পথে হাটো আর ডাকো।

১৫.

“হিসাব দিতে হবে”

মিথ্যা কথায় গুজব তুলে’ ভুগছে কালা জ্বরে!

উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে ‘চলছে জগৎ জুড়ে।

দুঃখে যাদের জীবন গড়া’ তাদের আবার দুঃখো কিসে’

তবু তাদের দুঃখো চক্রান্তকারীদের ঐ জালে আসে।

সত্যের পথে যারা আছে’ করবে নাতো তাদের ভয়!

বিপদে যারা ধৈর্য ধরে’ আল্লাহ তাদের সহায় হয়।

রেহাই পাননি কোনোদিন মহা-মান্য খলীফাগণ,

হক্বের দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেকে জীবন দিয়েছে বিসর্জন।

ওরা নাকি জোট বেঁধেছে? সকল দল এক হয়ে!

ইসলামের তারা ধার-ধারে না

পীরবাবাদের দরবারে গিয়ে “মজমা” বসায়।

বাড়ির মালিক চুরি করে’ দোষী হলো রাখাল!

সত্য কথা গোপন করে’ রাখবে আর কতো কাল?

সরকারের পাতানো ফাঁদে কতো আলেম উলামা বন্দি হয়!

এ সব কিছুর ভুলের মাসুল দিতেই হবে’ তাহার কোনো বিকল্প নাই।

১৬. “বিদ-আত”

ধর্মের নামে, ইবাদতের মধ্যে নতুন কিছু বাড়তি আবির্ভাব করাই হলো বিদ-আত।

ক্ববুল হবে না নফল, ফরজ, ওয়াজিব, কোনো ইবাদত,

যে ব্যাক্তি করিবে বিদ-আত।

বিদ-আত করলে মানুষ হবে পথভ্রষ্ট,

বিদ-আতির আমল হয়ে যাবে সব নষ্ট।

হাউজে কাউছারের পানি পাবে না করলে বিদ-আত,

বিদ-আতীর জন্য নেই রাসুলের পাবে না কোনো শাফা-আত।

যদি বিদ-আত করে কোনো সম্প্রদায়,

সমপরিমান সুন্নাত সেখান থেকে উঠে যায়।

বিদ-আতীরা সারা জীবন করে যায় ভুল,

বিদ-আতকারীদের তওবা হয় না ক্ববুল।

বিদ-আতীদের জন্য আল্লাহ ও রাসূলের অভিশাপ,

ভেবে দেখো বিদ-আত কতো বড় পাপ?

বিদ-আত করলে মানুষ হয়ে যায় গোমরাহ,

গোরাহীর পরিনাম হলো জাহান্নাম।

সালাতের পরে হাত তুলে সম্মিলিত মুনাজাত, মিলাদ, শবেবরাত!

শরীয়াত সবগুলোই নিঃসন্দেহে বিদ-আত।

হে বিদ-আতিরা হও হুঁশিয়ার সাবধান,

শরীয়াতে নতুন আমল সবই হবে প্রত্যাক্ষান।

আসুন সবাই মিলে বিদ-আত মুক্ত জীবন-জাপন করি,

রাসুলের আদর্শে আমল করে জান্নাতী জীবন গড়ি।

১৭. “সময়ের জাগরণ”

সূর্য ওঠে পূর্ব দিকে, পশ্চিমে যায় অস্ত!

সময়টা খুব অল্পরে ভাই  দ্বীনেতে হও ন্যাস্ত।

ওরে বোকা, ওরে নির্বোধ, ভাবছো না তো আজ,

পর জগতের জন্য তুমি! করছো কি কাজ?

কৃষক যদি অসময়ে করে বীজ বপন,

পায় না সে তো জমিন থেকে উত্তম রুপে ফলন।

আসবে যখন বিভীষিকা, জীবন অবসান!

সেই সময়ের কথা ভাবো খোজো পরিত্রান।

১৮. “সূদ ঘুষ”

কুরআন বলে সূদ খাবে না ঘুষ নিবে না হাতে” নামাজ-রোজা, ইহকাল, পরকাল, নষ্ট হবে তাতে।

তবু ও কেনো মানুষ ভয় করে না সূদের টাকা খায়”

ঘুষের টাকা কেউ ছাড়ে না যে যতোটা সে পায়।

জ্ঞান-পাপী মানুষ এরা মূর্খ কেউ নয়”

কর্ম তাদের ধর্ম ছাড়া পশুর পরিচয়:

এসব বড় লজ্জার কথা”

মরণ অনেক ভালো! কে বলেরে, ভাই।

১৯. “ঈদের চাঁদ”

আচ্ছা তুমি বলোতো আমায় 

চাঁদটি কেনো বাঁকা? 
এই চাঁদেতে কেনো 

আবার সপ্ন খুশি আঁকা?
বাঁশ ঝাড়ের ঐ মাথায় 

যেনোঐ  চাঁদটি উঠে,

তা-ই দেখে খোকা খুকু

সবাই পিছু ছুটে ॥
ওহ: এই চাঁদটি দেখে যেনো
ভাঙ্গে খুশির ডেরা ,
ওহ: ঈদের চাঁদ তাইতো ওগো
এতো খুশির ঘেরা ॥

২০. “তাঁরা”

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

আকাশে ওঠে চাঁদ, ফুটফুটে জোছনায়,

বনে বনে ফুল কলিরা সকলেই ঘুমায়।

শ্মশান ঘাটে জ্বালায় চিতা কারা.. .. ..?

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাঁত জেগে জেগে হয় তারা দিশেহারা।

পেঁচা ডাকে, বাঁদুড় ওড়ে গাঁয়ের আশে-পাশে,

আকাশ জুড়ে আলোর খেলা চাঁদ শুধু হাসে।

পূবের আকাশে ফুটে ওঠে ধ্রুবতারা.. .. ..

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

গহন রাতে আকাশ কাঁদে শেষে চাঁদ ডুবে যায়,

না জানি তারাঁগুলো তবুও কেন মিটি মিটি চায়।

আপন মনে বয়ে চলে অজয় নদীর ধারা.. .. ..

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

২১. “আজব দুনিয়া”

আজব দুনিয়া আজব বাসিন্দা, বাঁচার জন্য লড়ে

দুই মিনিটের নাই ভরসা, এই চিন্তা কি কেও করে?

জাত- ধর্ম- বর্ণ নিয়ে মানবতারে উলঙ্গ করে

সাড়ে তিন হাত মাটির তলে; যেতে হবে একি মাটির ঘরে।

ভক্তি দিলে মুক্তি মিলে, কজনে তা বুঝে?

বাসনার পূর্ণতা স্বাধনে কে কাহারে খুজে?

হায় হায় করে সব মরে, বেহুদা মায়ার নেশা,

সত্য বাচাই নিজেকে মেরে ওই পাড়েতে বাঁধি বাসা।

মিছে মায়ার কাঙ্গাল ওরা, ছায়ার পিছে চলে,

কেউ কারো নয় নশ্বর দুনিয়ায়’ এই সত্য যায় ভুলে।

আমি বলি জাত কাল কি? মানুষ হয়ে  বাঁচো’

ধ্বনিতে তোমার কিসের সুর? অমানুষ হয়ে নাচো?

এদিক ওদিক চারদিক, কেউ কারো নয়,

কর্মই আমার জীবন পথের যেনো একমাত্র সঙ্গী হয়।

২২. “সূর্য্য”

সূর্য্যর্টা উঁকি দেয় তাল গাছের ফাঁকে,

বটের গাছে পাখিরা সব, কিঁচির মিঁচির ডাকে।

নদীর ঘাটে নৌকা চালায়, এ গাঁয়ের মাঝি ভাই,

ভাটিয়ালি মিঠে সুরে গায় গান তুলনা যে তার নাই।

পথের বাঁকে মোরগ ডাকে চিত্তে পুলক জাগে,

কাঁঠাল গাছে নাচে চড়ুই দেখতে ভালই লাগে।

উঠোনের ঘাসে কাঠবেড়ালী ছুটে লেজটি তুলে,

গাছের শাখায় হনুমান বসে’ লেজটি থাকে ঝুলে।

বনে বাঁদাড়ে চরে বাছুর, কালোগাই আসে ঘরে,

রাখাল বাজায় বাঁশি, পরাণ পাগল করে।

ফড়িং লাফায় সবুজ ঘাসে’ কাকাতুয়া কথা বলে,

পানকৌড়ি এসে দিয়ে যায় ডুব, নয়ন-দিঘির জ্বলে।

সাঁঝের বেলায় প্রদীপ জ্বলে চাঁদ ওঠে আকাশে,

নদীর জ্বলে ছড়ায় কিরণ, চাঁদ ও তাঁরা ভাসে।

২৩. “সেহরি”

মসজিদের মিনার হতে ডাক পড়েছে,

জাগলো ঘুমের পাড়া।

প্রভুর হুকুম করতে পালন,

মুমিনেরা দিলো সবাই সাড়া।

ঘরে ঘরে যেনো ধুম পড়েছে,

আয়োজন করে খাবার।

থাকে যদি কেউ ঘুমের ঘোরে,

ডেকে দেয় যে আবার।

প্রভুর তরে রাখবে রোজা,

তবে কেন আর করি দেরি।

নির্ধারিত সময় শেষের আগেই খাবো,

আল্লাহুর বরকতময় সেহরি।

২৪.  “ইফতার”

অপেক্ষায় আছি রোজা খোলার
আছি যে পাশে চুলার।
বেগুনি আর আলুর চপে
তেল-এর সাথে গপে!
পিয়াজু বলে রে ডেকে
উঠাও,থালে দাও রেখে….।
সময় যে বেশি নেই বাকি
বেলা যায় যে দিয়ে ফাঁকি।
বসব মিলে সভাতে
সন্ধ্যার লাল আভাতে।
আনন্দ এ আয়োজনে
মনে সুখ ক্ষণে ক্ষণে।
রহমত চারপাশে
রমজানের এ মাসে।
সময় বেশি নেই আর
সবাই মিলে খাই ইফতার।

২৫. “মাহে রমজান”

আহলান সাহলান মাহে রমজান 

ঘুরে ফিরে ঘরে ঘরে এলো যে রমজান 

রহমত বরকত মাগফিরাতের হে মাহে রমজান।

আহলান, সাহলান, মাহে রমজান,

রহমতের মাস, ক্ষমার পেয়ালা মাগফিরাত অফুরান।

উপবাসে আল্লাহ খুশী আল্লাহ আল্লাহ জয়গান,

আহলান সাহলান মাহে রমজান।

ক্ষমার দুয়ার খোলা এমন আল্লাহ স্বয়ং দেন প্রতিদান, 

পাপী তাপী যতো আছো তার দিকেই হও আগুয়ান।

দানের খাতা, প্রাণের খাতা খুলেই দেখো হে আমান, 

আহলান সাহলান মাহে রমজান। 

বছর শেষে বোনাসের মাস পবিত্র এ রমজান,

ধুয়ে মুছে দিবেন প্রভু সকল পাপের খতিয়ান।

সেই কাতারে শামিল করো রহম করো হে রহমান,

আহলান সাহলান মাহে রমজান।

২৬. “রমজানের শিক্ষা”

আসলো ছিয়াম মোদের দ্বারে

শিক্ষা দিতে রামাযানে,

ছিয়াম সাধনায় দীক্ষা নিতে

পারবে কি ভাই সবজনে?

আল্লাহভীতি দিবা-রাতি 

সর্ব কাজে যার হৃদয়ে,

 সেই তো পারে শিক্ষা নিতে 

বসতে ছাওমের মসনদে।

ছিয়াম সাধনার পরেও যাদের 

আল্লাহভীতি জাগলো না,

শয়তানী আর বদ খাছলত 

মন থেকে মোটেও তাদের ভাগলো না।

২৭. “লাই-লাতুল ক্বদর”

আজ পবিত্র লাই-লাতুল ক্বদরের রাত,

আমরা করব সকলে ইবাদাত।

রমজানের শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় রাত,

এ রাতে আল্লাহর কাছে কিছু চাইবার একমাত্র মাধ্যম ইবাদাত।

লাই-লাতুল ক্বদর খুজবো আমরা ই’তেকাফ ইবাদাতে,

এ রাতের সকল আমল উত্তম  হাজার মাসের চাইতে।

এ রাতেই নাযিল হয়েছিল পবিত্র আল কুর-আন,

আমরা সকলে করব তেলোয়াত পবিত্র সেই কুর-আন।

লাই-লাতুল ক্বদরের নামাজ পড়বো জেগে সারা রাতে,

যত মহিমান্বিত বরকত নিহিত আছে এই লাই-লাতুল ক্বদরের রাতে;

রাত্রি জেগে করবো ইবাদাত-বন্দেগী সকলে একই সাথে।

মনের সকল কালিমা মুছে ফেলবো এযে গুনাহ মাফের রাত,

ত্বওবা করে, নামাজ, রোজা, কালেমা পড়িলে পাবো নবীর শাফায়াত।

দান-সাদকা দেবো ফিতরা গরীব-দু:খির মাঝে”

যাকাত দিবো নেকী পাবো যত ভাল কাজে।

আমরা মুসলমান সৌভাগ্যবান, 

ক্বদরের এই রাত হয়েছে মাহে রমজান,

ওগো দয়াময় তুমি হও সহায়, 

রহমতের সব কিছুই করো আমায় দান।

২৮. “ক্ষনস্থায়ী দুনিয়া”

দুইদিনের এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ,
কিসের জন্য আমরা এত মরিয়া ?
কি হবে পার্থিব সুখের ফেণপুঞ্জ মেখে?
যদি চিরতরে চলেই যেতে হয় এটা রেখে ।
ভোগ , লোভ-লালসা ধরেছে ঘিরে ,
ভুলেই গেছি জীবনরশি একদিন যাবে যে ছিড়ে!
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় বৃথাই বুঝি করছি বিচরণ ,
যে কোন সময়ই যে নিভে যেতে পারে জীবনের কিরণ।
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মায়া যে এতো প্রবল ,
বিশ্বাসই হয় না যে অকষ্মাৎ প্রাণ ছিনিয়ে নিতে পারে মৃত্যু ছোবল ।
তিল তিল করে গড়ে তোলা প্রাচুর্য্যের পাহাড় ,
মৃত্যু দৈত্যের তাণ্ডবে থাকবে না তার কোনোই বাহার ।
হে মহান সৃষ্টিকর্তা , তোমার তরে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী,
যদিও বা’ জানি আমরা নয়তো পূণ্যার্থী ।
স্বজ্ঞানে বোকার মতো ব্যস্ত থাকি, নিয়ে এই দুনিয়াদারী ,
ক্ষণস্থায়ী প্রাচুর্য্য, সৌন্দর্য্যের গর্বে হই যে আমরা অহংকারী!
হে করুণাময় , জানি এটা আমাদের মুর্খ্যতা, অজ্ঞতা ,করো তুমি মার্জনা ,
দূর করে দাও ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার সকল স্বার্থণ্বেষী চিন্তা ভাবনা ।

২৯.  “ক্ষনস্থায়ী জীবন”

এসেছিলাম একা এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে,

আবার চলে যেতে হবে সকলের এই ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে পরোপারে।

কি হবে আর এই ধরার মাঝে থাকিয়া,

ক্ষনস্থায়ী জীবন দেখিনি কখনো ভাবিয়া।

ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে নিতে হবে শিক্ষা,

যেটা হবে চিরস্থায়ী জীবনের পরীক্ষা।

সকলকে চলে যেতে হবে ছাড়িয়া,

কি আর লাভ হবে এই ক্ষনস্থায়ী জীবন ধরিয়া।

এখন থেকে নিই জীবনের শিক্ষা,

আর সেটাই হবে জীবনের দীক্ষা।

৩০. “বিশ্বটাকে সাজাই”

নবীন প্রাণের নবীন ছোঁয়ায় দূর করো সব অন্ধকার ,

ভুলিয়ে দাও মিলিয়ে দাও আর্ত-দুঃখীর হাহা-কার।

শক্ত হাতে বজ্র কন্ঠে এগিয়ে যাও সতেজ করে ঈমান ,

আমরা স্বাধীন আমরা মুমিন আমরা হ’লাম নবীন প্রাণ।

কেমন করে বদ লোকেরা ভুলাবে মোদের অনিষ্টতে?

আমরা যদি সুদৃঢ় হই ভালো কাজে ঐক্যমতে।

এসো ভাই সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি আগে ,

নতুন করে ঢেলে সাজাই মোদের এই বিশ্বটাকে।

যাবি যদি দেরী কেনো এখনি চলো মিলাই হাত ,

অনিয়ম সব বদলে ফেলি দেখাই মোদের তিলেসমাত।

সাহস নিয়ে বুদ্ধি দিয়ে যেভাবেই হোক যুদ্ধে নামি,

মনে রাখিস ফরয এ কাজ, দামি এযে সবচেয়ে দামি।

৩১. “কান্ডারী ডাকে”

হঠাৎ আকাশে মেঘ জমেছে বিজলী করছে খেলা,

ঘনো বর্ষা পথ’ কাঁদাময় গৃহে ফেরো এই বেলা।

আঁধারে ত্বরা ঘনাবে রাত্রি হে পথিক শোনো কথা,

কান্ডারী ডাকে খেয়া পারে করো না অবহেলা।

খেয়া পারাপার বন্ধ হবে দুর্যোগ তমাসায়,

মরণ দশায় নিপতিত’ তবে আয়রে চলে আয়।

কান্ডারী ডাকে সত্য খেয়ায় দাও পাড়ি দাও ভাই

কঠিন আরো পুলছিরাত পার হ’তে হবে তাই।

সীম আঁধার দিশাহীন নিচে তার হাবিয়া

মিথ্যা ছাড় সত্য আঁকড়ে ধরো যুগপৎ ভাবিয়া।

পথভোলারা পথ খুঁজে ফেরে ছিরাতে মুস্তাকীম

তোমার জন্য মুক্ত রয়েছে ভাবো কেন মুসলিম?

কান্ডারী ডাকে এসো ভাই-বোন ইসলামী খেয়াযানে,

দাও সবে পাড়ি পৌঁছে যাবে ফেরদাউস মাকামে।

৩২. “আহ্বান”

কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের আকস্মিক অবসান,

রঙ্গিন স্বপ্নবিহীন নির্ঘুম অবসাদ,

লালিত ভালবাসার অপ্রত্যাশিত ব্যবচ্ছেদ,

ক্ষণস্থায়ী প্রতিশ্রুতির চিরস্থায়ী পরিত্রাণ।

নির্ধারিত গন্তব্যের হঠাৎ-ই মেরুকরণ,

সহজ সমাধানে আচমকাই অলীক সমীকরণ।

বেড়ে উঠা স্মৃতির কৌশলী চেপে ধরা,

ভালবাসি বলতে আজ কতশত বাধা!

পরিচিত অভ্যাসে স্থায়ী পরিবর্তন,

পুরাতন মোড়কে নতুনের আহ্বান।

নিষ্কলুষ হৃদয়ে কপাট আঘাত,

একসাথে পথ চলতে আজ কতশত অজুহাত!!

পুরাতন স্মৃতিতে হৃদয় গহীনে তোড়পাড়,

তোমার অভাবে আমার পরিবেশে হাহা-কার।

তবুও ছুটে চলা নতুনের আহ্বানে,

কৃত্রিম ব্যস্ত থাকা অন্য কোনো স্বপ্নে।

৩৩. “ঈদ”

আজকে খুশীর বসলো মেলা

ঈদগাহের ঐ ময়দানে,

সাজলো নতুন ভূষণে সব

লাগলো দোলা সবার মনে।

ছিয়াম সাধনা শেষ হ’লে পরে

আসলো দ্বারে ঈদের দিন,

নাইতো কারো দুঃখো-ব্যথা

সবার মনে খুশীর দিন।

ঈদের খুশী সবার তরে

সমানভাবে বণ্টনে,

ছিয়াম সাধনায় নিঃস্ব-গরীব

নিচ্ছে না তারা কোনো মনে।

যার পরিধানে ছিন্ন কাপড়

তৈল বিহীন মাথায় চুল;

নাই পাদুকা চরণ দু’টোয়

সব নিরাশা শূন্য কূল!

বাচ্চাগুলোর পোষাক দিতে

পড়ছে যারা লজ্জাতে;

নাই টাকা তাই উপোষ থেকে

যাচ্ছে তারা ঈদগাহতে।

হাত পাতে যে অন্য দ্বারে

অল্প কিছুর দরকারে,

ঈদের খুশীর দিনটি তারা

কেমনভাবে পার করে?

তাদের তরে হয় না কভু

ঈদের খুশীর ফুর্তিটা।

রবের দ্বীনের বিজয় কতন

উড়বে যে দিন এই ধরায়,

ঈদের খুশীর সুখ লহরী

ভরবে সে দিন পূর্ণতায়।

৩৪. “ঈদ কেনা কাটা”

সমস্ত মার্কেট জুড়ে চলছে ঈদের কেনা-কাটা,

দেশটি জুড়ে আর নেইতো কোন ফাঁকা।

এখান থেকে ওখানে চলছে ছোটা-ছুটি,

কোন মার্কেটে পাবে পোশাক হবে মোটা-মুটি।


দামে কম, লাগবে ভাল দেখতে হবে খাসা,

পাড়া-পড়শিরা সব বলবে ভাল” এইতো একজন আশা।
চমকে দেবে নতুন কাপড় নতুন ডিজাইন,

ডিজিটাল ফ্যাশনের ছড়া-ছড়ি কোনটা হবে ফাইন।

এখানে নয় ওখানে চলো বাচ্চারা করে বাহানা,

হাটা-হাটি আর ঘুরা-ঘুরি দেহে যে আর সয় না।
মার্কেটে এসে বাচ্চারা সব পোশাক নিয়ে হাতে,

দাম শুনলো দোকানীরে আমায় নিয়ে সাথে।


সঠিক দামে দিতে পারি, প্যাকেট করব নাকি?

এটাই কিন্তু আসল আর যে সব ফাকি।

দামটি শুনে চমকে উঠি, একি হলো হায়,

পকেট কখন ডুবে গেছে প্রাণটা বুঝি যায়!

বাচ্চারা আমার অতি ভাল সাহস করে বলি,

চটপটি আর ফুচকা খেয়ে চলো এবার ঘরে ফিরি।


কালকে তোমাদের কিনে দেব, আর যা আছে কিছু,

কেনো তুমি মিথ্যে আমায় মন ভুলিয়ে আনলে পিছু?

কেমন করে বলি তাদের পকেট আমার ফাঁকা,

কোথা থেকে পাব এখন এত গুলি টাকা?
চুপটি করে বসে আছি মাথায় দিয়ে হাত,

বুঝতে তারা চায়না মোটেও কোন অজুহাত।

৩৫. “ঈদের শিক্ষা”

শুধু ঈদের দিন হাসি-খুশী

ক্ষণিকের ভালো বাসা-বাসি,

ছিয়াম রাখেনি অতিভোজী মানুষ

অন্তরে অতি হিংসা রেষারেশি।

ছালাত-ছিয়াম ছাড়াই বেশি খুশী

রাজকীয় পোষাক দেহে অহংকারী হাসি;

অসহায় অনাথ খাদ্য-বস্ত্রহীন কাঁদে বসি’

তবুও ধনীদের আনন্দ রাশি রাশি।

মুখে তোমার মধু মাখা কথা

দীল-কলিজা ভরা হিংসা বিদ্বেষা,

একটু সুযোগ পেলেই দাও ব্যথা

তব মনে কেন এত শত্রুতা?

হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদ ভুলতে হবে

মুসলিমকে শুধু দুই ঈদের দিনে!

আর আমরণ অসহ্য যন্ত্রণা দেবে

কেনো মানুষকে অকথ্য নির্যাতনে?

ঈদের দিনে যেমন হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে

ছালাত কায়েম করতে হবে সকলে,

সবার কাঁধে কাঁধ মিলাবে বন্ধুত্বের দীলে।

তেমনি আজীবন ভুলে বিভেদ অহংকার

মায়া-মমতা আর প্রীতির বন্ধনে,

গড়তে হবে তোমায় ব্যক্তি-পরিবার

আর এ সমাজ অহীর বিধানে।

ঈদের দিনের এই মহান শিক্ষা

মোরা জীবনে ভুলি না যেন কভু,

এই ফরিয়াদ কবুল করো

 বিশ্ব ভ্রমান্ডের মহান ওহে! প্রভু।        

৩৬. “দান”

 কত মানুষ ভিখারি হয়েছে আজ জীবনের হারে,

সব হারিয়ে  কত মানুষ ঘুরছে দ্বারে দ্বারে।

ওদের চাওয়াতো বেশি না চায় একটি টাকা,
এই এক টাকার ভরসায় তাদের সুখ-শান্তি আঁকা।

ভিখারিটি সুখ কিনে নেয় একটি টাকা দিলে,
তার সাথে আমার মনেও অদ্ভুত শান্তি মিলে।

কত টাকা করছি খরচ মোরা প্রাণের হরষে,
এর থেকে কিছু ভিখারিকে দেই সাহায্যের পরশে।

টাকাপয়সা হাতের ময়লা আজ আছে কাল নেই,
তাই যদি হয় তবে তাদের একটু হাত ঝেড়ে দেই।

দানের মাঝেই ঘুচবে সকল অনাহারীর সব দুঃখ,
দানকারীর প্রাণে মিলবে তখন স্বর্গীয় এক সুখ।

৩৭. মাকে নিয়ে

“স্বর্গীয় সুখ”

যেখানেতে দেখি যাহা, মায়ের মতোই আহা,

এত মধু এত সুধা, কোনখানেতে নাই, 

দেখিলে মায়ের মুখ, দূরে সরে যায়,

দুখ স্বর্গের সব সুখ যেন মায়ের কাছে পাই।

মায়ের মতন কেহ, করে না আদর স্নেহ 

কাঁদিলে’ সোহাগে নেয় না তুলে, 

হাজার কাজের ভীড়ে, মন ছুটে যায় নীড়ে 

আঁখি কভু নাহি মা’র মুখ ভুলে।

বসিলে কাজের ফাঁকে, মনে পড়ে শুধু মাকে 

আহা কত নির্মল স্নিগ্ধ হাসি, 

গরম ভাতের মতো, সুবাসিত ফুলের মতো মায়ের মুখ কভু হয় না বাসি।

মায়ের পায়ের তলে, স্বর্গের কোলাহল মায়ের পরশে মোর জুড়ায় বুক,

অট্টলিকায় থাকি- তবুও কাঁদে প্রাণ আঁখি মা যাঁর আছে  ঘরে তাঁর স্বর্গীর সুখ।

৩৮. “মাটি”

মাটির মানুষ, মাটির বাড়ী, মাটি হবে বিছানা; 

মৃত্যুর পরে মাটিই হবে সবার জন্য ঠিকানা।

নানান রকম ফসল ফলাই আমরা মাটির বুকে; তবুও সে বলেনা কিছু, রাখে আমাদের কত সুখে।

মাটিরে তোর বুক চিরে” কত বট-বৃক্ষ ওঠে, 

তোর সীমা পাব বুঝি আটলান্টিক মহাসাগরের তটে। 

মাটিরে ভাই মাটি,  তুই কি পাসনা কোন ব্যথা? 

তোরে আমি প্রশ্ন করি” বলিসনা কেন কথা? 

সারা বিশ্বে তোর অবস্থান, বিশ্বে তোরই গান; 

তোর থেকে সৃষ্টি করে প্রভূ মানুষকে দিয়েছে প্রান।

দেশের মাটি রক্ষা করতে গিয়ে করেছি কত লড়াই;

বাংলার মাটিকে আমরা ভালবাসি বঙ্গবাসী সবাই। 

তোর জন্য জাতি কাঁদে” কাঁদে সারা বিশ্ব; 

তোর এই মর্ম বুঝবেনা যে” হবে সে নিঃস্ব।

৩৯. “মানব জনম”

মানব জনম এক বেদনাময় জীবন,
জন্ম থেকে মৃত্যু ভোগ করে বেদনা- সেইজন।

দুঃখ যে করতে পারে না জয়,
এটাই তার জীবনের বড় পরাজয়।

জীবনের সাফল্যে নেই যার মন,
চির দুঃখী সেই জন।

মানব জনম বড় বেদনাময় জীবন,
জেনে রেখো তোমরা মানবগণ।

৪০. “শ্রমের মুল্য”

ইটের গায়ে লেখা আছে শ্রমজীবীর নাম,
পুঁজিবাদের রাষ্ট্রে আজো পায়নি তারা দাম।
নিজেকে মনে করে শ্রমিক নেতা নেইতো কোনো জোট,
আপন-পর চেনেনা শ্রমিক নেতা পেলে টাকার নোট।
ঘাম ঝরানো কর্মী যারা নেইতো তাদের রাইট,
জীবন যুদ্ধে হর-হামেশা করছে তারা ফাইট।
দৈহিক শ্রমের কর্মী যারা ভুক্তভোগী বেশ,
ন্যায্যমূল্য পায় না তারা নেই হতাশার শেষ।
ডেইলি লেবার আছে যারা পেট কী তাদের নেই!
আজ কি খাবে ভাবছে বসে আছেতো কষ্টেই!!
যাদের ঘামে সভ্য হয়ে এসির বাতাস খাও,
ঘাম শুকানোর পূর্বেই তাদের শ্রমের মূল্য দাও।।

৪১. “চির বিদায়”

দিনের ব্যাস্ততা পেরিয়ে যেমন আসে অলস আধার,

কোন একদিন ফুরাবে সব কুলাহল আমার।

সঙ্গী হবে পৃথিবীর  যত লেনদেন কার-বার,

একদিন তোমাদের মাঝেও থাকবো না আর।

এত ভাল লাগে পৃথিবীর  এই রঙ্গীন সংসার,

সুখে দুঃখে প্রিয়জনকে নিয়ে পাই আনন্দ অপার।

যেখানে থাকি তারই পানে মন টানে বারে-বার,

মনে নাহি চায় তবু ছেড়ে যেতে হবে ঐ পরপার।

সুখের সেই দিন গুলির অবসান হবে আজ,

এই শেষ বেলায় শুধু সম্বল হলো যত ভাল কাজ।

পাপ-পুন্য সব লিপিবদ্ধ হিসাবের খাতায় করবে বিরাজ,

মাটির নিচে স্বায়িত হবে ধনী-গরীব রাজা-মহারাজ।

একদিন দুঃখ স্মৃতি মিশে হবে একাকার,

দুনিয়াই এই মায়াই বেধে রাখতে পারবে না আর।

একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে সবার,

কোন একদিন আমারও ডাক হবে জানাজার।

৪২.  “করোনা”

করোনা থেকে তোমরা বাঁচতে যদি চাও”
এখনই দুনিয়াদারী ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর পথে চলে যাও।

করোনা নিয়ে করো না বাড়া-বাড়ি’

আল্লাহর সাথে করো না বেশী বাহাদুরী।

বাইরে গেলে মাস্ক পরে বেরুতে হবে’
জানেনা কেউ করোনা ধ্বংস কবে হবে?
চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া তো যাবে না,
বাইরের খাবার খেলে রক্ষা যে হবেনা।
হাঁচি, কাঁশি-দিবে টিস্যু বা রুমালে’
এমন ভাইরাস এসেছে কি কোনো আমলে?

ঘরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন
এভাবেই করোনার ছোবল থেকে বাঁচুন।

৪৩. “ডেঙ্গু জ্বর”

ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ, 

এ যেন মহামারী প্রলয়, 

এডিস মশা কামড় দিলেই জাগে মৃত্যুর ভয়।

বর্ষা মৌসুমে এ রোগের আক্রমন চোখে পড়ে বেশি, 

সতর্ক থাকতে হবে আশে-পাশের সকল প্রতিবেশী।

হরেক রকম মশার মধ্যে শুনলে এডিস মশার নাম” 

আতঙ্কেতে সারা দেশবাসীর গায়ে ঝরে ঘাম।

মশার মধ্যে এডিস মশা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরের মূল, 

অবহেলায় ডাক্তার দেখাতে করবেন না কেউ ভুল।

ঝোপ জঙ্গলে থাকলেও মশা মেনে চলে কিছু শর্ত, 

ডিম পাড়ার জন্য বেছে নেয় পঁচা জমা পানির গর্ত।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগী যাচ্ছে হাসপাতালে,

চিকিৎসক সহ বহু মানুষ মারা যাচ্ছে যে অকালে।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটাচ্ছে এডিস মশার বংশ, 

সম্মিলিতভাবে এদেরকে সবাই করতে হবে ধ্বংস।

বাসার কাছে থাকলে হবেনা আবদ্ধ পানির কূপ, 

পরিষ্কার করে রাখতে হবে আগাছা বনের ঝোপ।

ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে কামড়ায় জুড়ে সুরে, 

এদের আক্রমন থেকে বাচ্চাদেরকে রাখতে হবে দূরে।

ঘুমাতে গেলে মশারি দিবেন দূরে থাকবে মশা, 

সচেতন থাকলে আসবেনা রোগ, ঘটবেনা দুর্দশা।

৪৪. “ভুল সবই ভুল”

বড় আশা করেই এসেছিলাম
ফিরে যাওয়া কাম্য ছিলো না,
ভালোবাসার অথই জ্বলে ডুবার
কোন কারন নেই আজ জানা।

কিছু এমন হবে’ এটা আমি জানিনা
পথ হারাবো নিজ দেশে,
করেছিলাম শুরু জীবনের গল্পটা
কিন্তু শিরোনাম লিখতে হচ্ছে শেষে।

এ কোন স্বপ্ন হলো যা হবার নয়
শুধু সোনা মনে করে বালি খুঁজ,
নিতান্ত যারা কাছের মানুষ ছিলো
তারা কি এখন বুঝেনা মন অবুঝ।

একা রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে
আর কত রাত কাটাবো ভাবতে,
নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা কেন হয়’
ইচ্ছে হয় খুব ব্যর্থতা কি জানতে।

পুণ্য নামের তরি বেয়ে পাড়ি দিলাম
বৈঠা নামের সাধনা যে ছিলোনা,
ইমান নামের পাল ছিলো খুব ছেড়া
দিন থাকতে বাড়ি ফিরা আর হলোনা।

এক এক করে হিসেব মিলে যাচ্ছে
প্রতিটা পদে ছিলো আমার কিছুটা ভুল,
ভুল ছিলো চোখ খুলে প্রভাত দেখা
আর বন্ধ করে নিশি অশ্রুজল।

ভুল সবই ভুল লেখা কবিতাতেও’
আরো ভুল চিন্তা ভাবনাগুলো,
তার চেয়ে একটু কম ভুল হয়েছে
ভালোবাসা যতটা এলোমেলো।

৪৫.

কর্মই ধর্ম
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন 
 
কর্মই ধর্ম মনে করে 
একিন দেলে করিও কাজ,
রাখিবেনা মনে সংকোচ
থাকবে না কোনো লাজ।
 
সকল কাজে মনোনিবেষ করিয়ে 
সর্বদা মনে রাখিবে কর্মই তোমার ধর্ম,
সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কর্ম করিলে
আসবে সুফল বুঝিবে তার মর্ম।
 
ভালো বেসে করিলে কর্ম
থাকবে না কোনো ক্লান্তি,
কর্মকে ধর্ম মনে করিলে কাজ 
সর্বদা আসবে মনে শান্তি।
 
কর্মে তুমি দিলে ফাঁকি
থাকবে ভয় আর মনে অশান্তি,
সঠি ও স্বচ্ছ থাকিলে তুমি
থাকবেনা ভয় মনে মিলবে শান্তি।
 
কর্মকেই ধর্ম মেনে চলিলে
পাইবে ইজ্জত, সম্মান,
কর্মের ভিতর থাকিলে খাঁদ
মনে অশান্তি পাবেনা ভালো স্থান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *