০৩. প্রিয় বাংলাদেশ (সম্ভাব্য কবিতা বই)

October 1, 2023
প্রিয় বাংলাদেশ (সম্ভাব্য কবিতা বই)
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন 
লেখক পরিচিতিঃ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন।
মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।
৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।
ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।
পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।
কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ (অনলাইন মিডিয়া) এর নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লেখকের বাণীঃ
এই বইটিতে লেখকের বাস্তব জীবনের কথা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ২৬শে মার্চ, ও নিজ মাতৃভূমির ভালবাসা নিয়ে কিছু ছন্দে ছন্দে কতিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বইটি পড়ে আপনাদের ভাল লাগবে, আর ভাল লাগলে লেকক লেখার প্রতি আরো অনুপ্রেরিত হবে।
উৎসাহঃ
আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শরদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এডিটর ভাতিজা মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় বইটি প্রকাশ করেছি।
উৎসর্গঃ
 বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইদলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) ও মোঃ মাহিম আহমেদ এর নামে উৎসর্গ করলাম।
১.
 প্রিয় বাংলাদেশ
কতো শহীদের রক্ত স্রোতে পেয়েছি তোমার দাম ,
তাই হৃদয়ের রক্ত জ্বলে লিখেছি তোমারই নাম।
কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে মনটাকে ,
দেখি তোমায় অরুণোদয়ের সাথে ।
সন্ধ্যার অস্ত যাওয়া গোধূলি মায়ায় ,
হয়ে রবো শুধু সঙ্গি ছায়ায়।
তুমি আমার দেশ ,
তুমি আমার মা ,
তুমি ছাড়াই জীবনের চাওয়া পাওয়ার
হয় না কভু শেষ ।
তুমি আমার প্রিয় বাংলাদেশ ।
পদ্ম পাতার দীঘির জ্বলে
সোনালী স্বপ্নের খেয়া ভাসে ,
আমার বৃষ্টি ভেজা দুটি চোখ
হৃদয়ে ক্লান্তি ভোলা সুরের আলোক ।
শস্য-শ্যামল সবুজ বনের ফাঁকে ,
ধূলি রাঙ্গা আঁকা বাঁকা মেঠো পথের বাঁকে,
নিরলস শ্রমে – হৃদয়ের ঘামে
জীবন খুঁজি আমি জীবনেরই দামে ।
তুমি আমার দেশ
তুমি আমার মা ,
তুমি ছাড়া এই জীবনের চাওয়া  পাওয়ার
হয় না কভু শেষ ।
তুমি আমার প্রিয় বাংলাদেশ ।
২. আমার দেশ
এই দেশটা লাল সবুজের উদার এক জমিন,
এই দেশ টা বুকের ভেতর গর্ব অন্তহীন।
এই দেশেতে নাইকো বিভেদ হিন্দু-মুসলমান,
হরেক রকম উৎসবে সব আহ্লাদে আটখান।
ভাইয়ে ভাইয়ে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে সব চলি,
সোনার পাত্রে ফসল ফলাই এক ঘরেই তা তুলি।
লাল সবুজের ধুলায় হৃদয় মমতায় আপ্লুত,
নাই কিছু আর তোমার অধিক পবিত্র-পুত।
এই দেশেতে লুটাই সবে সকল প্রার্থনায়,
পবিত্র এই মাটি মাখাই হৃদয় প্রতিমায়।
লাখো শহীদের রক্ত স্নাত আমার পতাকা,
রক্ত স্রোতে এই পতাকা আমার হৃদয়ে রাখা।
রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি ভাই যাবেনাতো সব বৃথা,
রক্ত আখর দিয়েই জন্মিয়েছে আমার প্রিয় কন্যা  তিশা।
এই দেশে তাই ঘোর কাটেনা স্বাধীন সুখের রেশ,
আমার চোখে সবার সেরা আমার বাংলাদেশ।
৩. বীর পুত্র শেখ মুজিব”
হে বীর পুত্র শেখ মুজিব’
তুমিই বাংলার শ্রেষ্ট সন্তান
টুঙ্গীপাড়ায় তোমার জন্ম!
তোমার জন্য এই বাংলার মাটি
হয়েছি আমরা আজ ধন্য।
বীর নয়কো তুমি’
তুমি মহান নেতা!
তাইতো তুমি হয়েছো
আজ এই বাংলার জাতীর পিতা।
বাঙ্গালীদের তুমি যোগিয়েছিলে সাহস, যোগিয়েছিলে মনের শক্তি!
হে বীর পুত্র শেখ মুজিব তুমি বাংলা জাতীর পিতা’
তাইতো রইলো তোমার প্রতি এ-দেশের সকলের শ্রদ্ধা-ভক্তি।
 “
৪.”পরাধীনতা”
স্বাধীন দেশে কেনো পরাধীন আমি?
আমার স্বাধীনতা খুন্নকারী কি তুমি?
আমার বলা হক্ব কথা তোমার বোমার মত লাগে.
তোমার করা ছুরিকাঘাত কি আমার মশার কামড়ের মত লাগে?
স্বাধীন দেশে বলতে পারছি না
সইতে হচ্ছে অন্যায়-সইতে হচ্ছে অত্যাচার!
আমরা স্বাধীনতা মানতে পারছি না,
করেছি মানবতা ধর্ষণ-করছি যে অবিচার।
হে বাঙালি,করছো কেনো স্বাধীনতাকে অপমান?
করছো না কেনো নিজ দেশকে সন্মান ?
করেছো ভ্রাতৃত্ব খুন-নস্ট হচ্ছে স্বাধীনতার মান,
সকল বিভেদ ভুলে তুমি গড়ে তুলো মনে মনুষ্যত্বের নির্মাণ।
আকাশটার দূরত্ব যতদুর,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি ততদূর?
দেশ তো আমার স্বাধীন হয়েছে সেরা মানবের হাতে,
তবে স্বাধীন দেশে-স্বাধীন জাতীর রক্ত ঝরছে কোন পথে?
এ কি সেই দেশ?
যে দেশের সপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু,
কেমন হয়ে গেছে আজ এই দেশ?
খুজে পাচ্ছি না আজ,
কোথাও আছে কি মানবতার সামান্য মাত্র বিন্দু?
প্রতিবাদী হতে শিখেছি আমি ৫২ থেকে,
লড়তে শিখেছি আমি ৭১ এ বাংলা জাতীর পিতা থেকে।
বাংলা জাতীর পিতা যেমন ছিলেন প্রতিবাদী,
ছিলেন তেমনই সাম্যবাদী।
তার দেখানো পথে আমরা প্রতিবাদী,
আমরা মানবতার পক্ষে, সত্যের প্রতিনিধি।
লড়ে যাবো সত্যের পক্ষে,
ঘুরে দাঁড়াবো আমি মিথ্যার বিপক্ষে।
যদি বাঁচতে হয় মিথ্যা নিয়ে, নিষ্প্রাণ লাশ মনুষ্যত্বহীন হয়ে,
তবে সত্য পথে মরতে রাজি স্বীয় জীবন দিয়ে।
তবুও গেয়ে যাবো সত্যের গান,
যদিও কেড়ে নেবে আমার প্রান!
  ৫.   “তোমার জন্মে ধন্য এ মাতৃভূমি”
তোমার ডাকে অস্ত্র হাতে করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ,
স্বাধীনতার পরশ পেয়ে আমরা হলাম পরিশুদ্ধ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে উন্নীত করি বিজয়ের শির,
সারা বিশ্বে আশ্চার্য্যের চোখে দেখে এ জাতি বীর।
তুমি বাঙ্গালীর ইতিহাসের পাতাই রয়েছো সেই অমর মহা-কাব্য,
তুমি নাই বলে আজি মধুমতি হারাম নাব্য।
বীর বাঙ্গালীর হৃদয় তুমি রাজনিতীর মহা-কবি,
পতাকার ঐ লাল সূর্যটাই তুমি আছো এক উজ্জ্বল ছবি।
মুক্ত আকাশ, মুক্ত দেশ, সূর্যের মতো দিপ্তি ছড়াও সেই তুমি,
তোমার জন্মে ধন্য আমরা ধন্য এই মাতৃভুমি।

ক্ষমতার চেয়ার

মুহাঃ মোশারফ হোসেন
দেশে চলছে উপজেলা নির্বাচন
করছে নেতারা সব চেয়ার নিয়ে টানাটানি,
এই ক্ষমতার চেয়ার নিয়ে করছে
সব নেতারা মারামারি আর হানাহানি।
এই ক্ষমতার চেয়ারের জন্য
থাকছেনা কোনো হিতাহিত জ্ঞাণ,
সেই ক্ষমতার জন্য হারাচ্ছে
অনেক নেতারা  মান সম্মান।
ক্ষমতার চেয়ারে বসে মঞ্চে উঠে
নেতারা দিচ্ছে ভাষণ,
কিছু কু-চক্র দূর থেকে চক্রান্ত করছে
কেমনে নিবে কেড়ে ক্ষমতার এই আসন।
ক্ষমতা পেয়ে নেতারা করছে
অর্থের ভাগাভাগি,
আর কর্মিরা ভাগ না পেয়ে
অন্যের সাথে করছে লাগা-লাগি।
এই যদি হয় এদেশের রাজনৈতিক
নেতাদের অবস্থা,
তবে কেমনে করিবে
অসহায় গরীবদের সু-ব্যাবস্থা?
৬. বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি”
পাক সেনাদের হামলায় বাংলার মাটি রক্তে রঞ্জিত অকস্মাৎ,
বাঙ্গালী জাতির মুক্তিযুদ্ধে পাক সামরিক জান্তার স্বপ্ন চির ধূলিসাৎ।
বাংলাকে দখল রাখতে গনহত্যা নারী নির্যাতন আগুনে করল শ্বশ্মান,
বঙ্গবন্ধুর বজ্র ডাকে থর থর করে কেঁপে উঠল পাকজান্তার অভিযান।
রাজাকার আলবদর বাহিনী গড়ে বাংলায় বিছাল হিংস্র শকুনের ডানা,
সসস্র মুক্তি যুদ্ধের দূর্বার আঘাতে বিনাশ হয়ে গেল পাকিস্তানীদের হানা।
পাক বন্দি শিবিরে রক্তচক্ষু হায়নারা বঙ্গবন্ধুকে ঠিক দেখে নিয়ে নিল,
স্বসম্মানে মুক্তি দিতে হবে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তীব্র সচ্ছার ছিল।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম হলো’
বিশ্বের ভ্রাত্রি প্রতীম সকল দেশ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল।
বাংলা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ এর১০ই জানুয়ারী কারাগার হতে চির মুক্ত হলেন,
বিশ্ব নেতাদের সাদর সম্ভাষনে শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু লন্ডনে চলে গেলেন।
৭. “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন”
আন্দোলন সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে
বঙ্গবন্ধু তুমি এনে দিলে স্বাধীনতা ,
বাংলাদেশের স্থপতি তুমি মুজিব
তুমিই আমাদের বাংলা জাতির পিতা ।
আজও ফুটেনি সে ফুল বঙ্গবন্ধু
যে ফুল ফুটাতে চেয়েছিল ,
ফুটেনি সে ফুল যার লাগি তুমি
নিজ জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলে ।
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তুমিই
প্রথম আমাদের দেখিয়েছিলে ,
সাম্য মৈত্রীর বাঁধন থাকবে হেথা
থাকবেনা কান্না কথা দিয়েছিলে ।
শোষণ বঞ্চনা দুর্নীতি মুক্ত সমাজ
গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি ,
আজও তার দেখা পাইনি’
কারন দেশে যে চলছে দুর্নীতির সুনামি ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক বাহক যারা
বঞ্চিত মানুষের পাশে তাদের চাই,
দুর্নীতি দুঃশাসনের বেড়াজাল ছিড়ে
উন্নয়নের পথে তাদের যেন আবার পাই ।
 ৮. “বাঙ্গালীর বিজয়”
শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে,
স্বাধীনতার সাধ জেগেছে বাঙ্গালীর প্রানে।
সমস্ত বাঙ্গালীর মনে একই ভাবনা,
কোনো অশুভ শক্তিকে পরায়ন করি না।
হিংস্র ঘাতকদের থাবায় ২৫শে মার্চ কা-লো রাতে,
নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে বাংলীর ভূমিতে।
রক্তের বন্যায় এদেশটিকে নিশ্চিহ্ন করতে,
ঘাতকেরা আঘাত হেনেছে দিবা-নিশিতে।
তারপর ও বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সাধ,
বাঁড়িয়েছে মনোবল ভেঙ্গেছে ঘাতকদের বাঁধ।
দেশপ্রেমের আদর্শ আর মানবিকতা,
বাঙ্গালীর হৃদয়ে দিয়েছে মুক্তির বার্তা।
দীর্ঘ ৯মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পতিক্ষণে,
নানা শ্রেনী, পেশাদার বাঙ্গালীর অংশগ্রহণে।
৩০লক্ষ শহীদ আর লক্ষ-লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে,
অবশেষে বীর বাঙ্গালীদের হয়েছে বিজয়।
    ৯.     “যুদ্ধলব্দ সম্পদ”
হুনাইনের যুদ্ধ ও তায়েফের অবরোধ
যুদ্ধ শেষে বন্টিত হলো, গনিমতের সম্পদ।
মক্কাবাসী নবীসম্রাট, দু হাত ভরে দিলেন
সেই তুলনায় আনসারগণ সামান্য কিছুই পেলেন।
যুবক বিয়সী কিছু আনসার দুঃখ প্রকাশ করলেন
নবীজি তা শুনে সকলের সমবেত হতে বললেন।
নবীজি সেখানে দান করলেন কালজয়ি এক ভাষন
সমাবেশে শুধু হাজির ছিলো মদিনার আনসারগন।
ফিরে যাবে ঘরে মক্কাবাসী, নিয়ে উট ও ছাগল!
তোমরা ফিরবে সঙ্গে নিয়ে, আল্লাহু তা-আলার “রাসুল”
নবীর কথায় আনসারগন, কান্না শুরু করলেন
দিক-বিদিক জ্ঞান হারিয়ে, চিৎকার করে বললেন সম্পদের কোনো প্রয়োজন নাই
আমরা শুধু রাসুলকে নিয়ে, বাড়ি ফিরে যেতে চাই।
কতই না সৌভাগ্যবান তারা, মদিনার আনসারগন
নবীসম্রাট তাদের মাঝে থাকবেন আজীবন।
১০.  “নির্বাচন”
আসছে দেশে নির্বাচন
চলছে পকেট ভারীর আয়োজন।
কেউ ব্যাস্ত চাইতে ভোট
কেউ বা গড়ছে নতুন জোট।
এই সময়ে সবাই ছুটে
জনগনের দ্বারে দ্বারে,
এদের কি আর দেখা যাবে
কোন দিন ক্ষমতায় গেলে?
বেমালুম সব ভুলেই যাবে
পাস করেছে কাদের ভোটে।
আসছে দেশে নির্বাচন
সচেতন হোন জনগন,
মনে রাখা প্রয়োজন
ভোট সবার অধিকার!
এটা কোনো বেচা-কেনার পণ্য নয়,
লোভ, লালোসার দরকার নয়’
ভেবে চিন্তে দিতে হয়।
আসছে দেশে নির্বাচন’
যাচাই বাচাই করে নিন!
ভোটটি আপনি দিবেন কাকে?
যে নির্বাচিত হলে পরে
কাজ করবে দেশের তরে!
১১.    “১৫ই আগষ্ট”
যে দাঁড়কাড়ি প্রতি ডেকে ডেকে ক্লান্ত
যে ব্যাকুল সারথি তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো মেঘজলের প্রার্থনারত;
যে প্রিয় আসবে  বলে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা প্রতীক্ষায় রাখে
যে স্বৈরিণী নিপুন ছেলে ভেঙ্গেছে হৃদয়টাকে-সে-ও বড় বন্ধু বটে।
সে সুহৃদ রক্তের ঋণের কথা ভুলে যায়
যা আপনজন, আপনজনকে ফেলে ঘোর অমানশিকতায়;
যে  আহারের জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার কড়া নাড়ে
যে রমণীর সতীত্বের নিলাম হয় রাতের আধারে-তাকেও বন্ধু বলি।
যে যুবক ১৫ই আগষ্টের শোকমিছিলে না যায়
যে মানুষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির  দাবিতে রাজপথে নামে নাই
যে মানুষের মনে গোপনে জঙ্গীবাদের বীজ চাষ;
যে প্রজন্ম জন্মোৎসবের আড়ালে জাতীয় শোককে করে উপহাস।
 ১২.        “শোকের রাতে”
শ্যামলের দেশে পাখিরা শোকে গায় গান,
ঘরে-ঘরে বয় শোক-বান হাসি খুশি ম্লান।
প্রিয় নেতার ছবি ভাসে’ শোক দিনে মনে পড়ে কী যে!
বঙ্গবন্ধু নেই শোকের দিনে চোখ জলে ভিজে।
জালিমেরা কাড়ে সুখ’ সব দুঃখে নামে কান্না,
ভালোবাসা নেই কেড়ে’ আহা কাড়ে মুক্ত পান্না!
কোটি-কোটি প্রানণে গাঁথা আছে’ ফুলে ফুলে বুঝি,
আগস্টের এই দিনে সবখানে ভালোবাসা খুঁজি।
বঙ্গবন্ধু” অন্তরতে ঠা্ই চিরোদিনই খাঁটি,
রক্তে ভেজা তার দেশ, সেটাই বাঙ্গালীর ঘাঁটি।
  ১৩.   “কালো রাত”
কালো রাত’ ভীষণ কা’লো রাত’
এ-টি দেশের ইতিহাসে এক আধার ঘণ কা’লো রাত।
যে রাতে থমকে গিয়েছিলো একটি দেশ,
অভিভাবকহীন করেছিলো সেই রাতে’ করেছিলো নিঃশেষ।
সেই রাতের পর কবি, সাহিত্যিকের কলমের কালি ফুরিয়েছিলো,
হৃফয়ের গোহিনে সেই স্মৃতিগুলো হয়ে আছে অসমাপ্ত।
সেই রাতে একটা জাতীকে করা হয়েছিল পিতুহীন,
সেই রাতের পর মানুষ-মানুষকে চিনতে পারে নহে।
সেই রাতে ভেঙ্গে যায় জাতীর সকল স্বপ্ন,
সেই রাতে হারিয়েছে জাতীর চোখ,
যে চোখ ছিলো একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।
সেই রাতে ১৮টি গুলি একটি দেহে বিদ্ধ হয়নি;
বিদ্ধ হয়েছিলো একটি জাতীর বুকে।
সেই রাতের পর
 ঘুমিয়ে গেছিলো একটি জাতী,
সেই জাতীকে কেউ জাগিয়ে তুলিনি তারপর।
সেই জাতী পারলো নার স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখাতে;
সেই রাতে হারালো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জন্মদাতাকে।
সেই কা’লো রাত ১৫ই আগস্টের রাত’
গায়ে রক্ত মেখে নিলো চির বিদায় দেশ গড়ার কারিগর,
হারিয়ে যাবে না কভু এই হৃদয় থেকে সেই দেশ-জয়ী কারিগর।
বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই বাংলা আছে,
বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন আকাশ-বাতাস এই বাংলার আছে,
বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই পতাকা বাংলায় আছে।
বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই বাঙ্গালী নামের জাতী আছে,
বাংলার বন্ধু মুজিব নামে ইতিহাসের পাতায় “জাতীতে” একবারেই আসে।
(“গভীর শুকাহুত জানাই ১৫ই আগষ্টের সেই কা-লো রাত নামক রাতের”)
১৪.      “শেখ রাসেল”
এক যে ছিলো ছোট্র শিশু ক’চি কোমল প্রাণ,
রোজ সকালে নিতো মায়ের আঁচল ভরা ঘ্রাণ।
সূর্য উঠার আগে সেদিন ঘুম ভেঙ্গে যায় তার,
অন্ধকারে হাতড়ে দেখে নেই ঠিকানা মার।
যে শিশুটি মার আঁচলে স্বপ্ন হাজার বুনে,
সেই মায়েরই শাড়ির আঁচল রঞ্জিত আজ খুনে।
লুটিয়ে আছে নিষ্ঠুর দেহ বাবা ও মায়ের,
শুয়ার ঘরে লাশ পড়ে আছে ভাবি ও ভায়ের।
এ সব কান্ড করলো কারা?ভেবে না পায় কুল,
যা দেখছো সত্যি নাকি? নাকি মনের ভুল?
ভুল নয় গো যা দেখলো যা সবই মীর জাফরের কাজ,
গুলি খেয়েই মরতে হবে শেখ রাসেলের আজ।
এমন সময় পিছন থেকে এক হায়েনা তেড়ে,
ছোট্র শিশু শেখ রাসেলের প্রাণটা নিলো কেড়ে।
গুলির ঘায়ে ঝাঁজরা হলো শেখ রাসেলের বুক,
জাতীর এমন লজ্জাতে আজ কোথায় লুকাবো মুখ।
১৫. “রাসেলের জন্মদিনে”
ফুল ফুটে সৌরভ ছড়াতেই চায়,
ফুলের ছড়ানো ঘ্রাণ সকলেই পায়।
শিশুরাও ফোটা ফুলের মতোই নিষ্পাপ হয়,
আচরণেই ফুটে ওঠে তার সেই পরিচয়।
রাসেলও ছিলো ঠিক সেই প্রিয় ফোটা এক ফুল,
শিশু এই মানুষটির ছিলো নাতো কোনো ভুল।
এই জন্ম  দিনে তাই খুঁজে ফিরি তাকে,
মন বলে সে যদি আজও এসে সাড়া দিতো ডাকে!
রাসেল আর আমাদের মাঝে নাই’
কারণ ঘাতকরা রাসেলের প্রান নিয়ে গেছে তাই!
     ১৬.      “৭ই মার্চ”
৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল
বিদ্রোহী শ্রোতার জন্য!
একটি শান্তনার বানী শুনে
অপেক্ষার উত্তেজনা হবে ধন্য।
দিগন্ত প্লাবিত একখন্ড
আকাশের নিচে,
মিশেছিল প্রানের প্রিয়
ধু-ধু মাঠের সবুজে।
কপালের কব্জিতে লাল-সালু বেঁধে
ছুটে এসেছিল এই মাঠে,
মৃত্যু হাতের মুঠোয়, চোখে স্বপ্ন
জয় বাংলার শ্লোগান ঠোটে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন এসে
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে।
ঝলকে পলকে হৃদয়ে লাগিলো দোলা,
তরীতে উঠিল পাল,
জনসমুদ্রে জাগিলো জোয়ার
চোখেতে লোনা জল।
সোনালী সূর্যের সকল দুয়ার খুলি
কে রোধে দিবে সে বজ্রকন্ঠ বাণী,
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে
শোনালেন তাঁর অমর-ভাষন খানি:
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
             জয় বাংলা।।
১৭. বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন”
বাংলা জাতির পিতা বীর নেতা বঙ্গবন্ধুর  শুভ জন্মদিন,
বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে মুছবেনা কোনোদিন।
জাতী আজ স্মরণ করছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,
তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে বাংলার মানুষের ভালোবাসায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন,
শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙ্গিন।
পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,
ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙ্গে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে বীর নেতা,
তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।
তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে বীর নেতা,
তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।
পাকিস্থানের শাষক গোষ্টির ২৪বছরের দুঃশাসন,
দিয়েছিলো অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভাষন।
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে লিখেছিলো ইতিহাস,
আর যেনো তাকে বিকৃত করার পায়না দুঃসাহস।
সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায়, মমতায়, দুর্বলতায়,
আপামোর বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত্বায়।
তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাঙ্গালি তোমায় হে’ শেখ মুজিবুর রহমান।
     ১৮.   “২৫শে মার্চ”
২৫শে মার্চ অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ভয়াল রাত,
অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ১৯৭১ সালে
ওরা বাঙ্গালীদের করেছিল নিপাত।
মেরেছিল ৩০ লক্ষ মানুষ, করেছিল লুটপাট,
নির্বিচারে পাকিস্তানি সৈনিকরা চালিয়েছিল গুলি।
নিয়েছল ইজ্জত বহু মা বোনের, উড়িয়েছিল খুলী।
এমনি করে টানা নয় মাস চলেছিল অত্যাচার,
বীর বাঙালীরাও বসে ছিলনা হাতে তুলে নিয়েছিল হাতিয়ার।
৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের হয়েছিল জয়,
১৬ই ডিসেম্বর তারা করেছিল আত্নসমার্পন;
কারণ তাদের মনে ছিল মরনের ভয়।
সেই বাঙালীর উত্তরসরী তোমরা, মাথা নীচু করে কেন হাঁটো?
যুদ্ধাপরাধী আছে যত বাংলাতে; সব যাবে ফেঁসে,
১৯৭১ সালের ন্যায় এদেশের জনগন আবার যদি গর্জে ওঠে!!
১৯. “মহান ২৬শে মার্চ”
সংগ্রামী চেতনায় বিজয়ের উল্লাস,
হাসি গান আর আবেগের প্রকাশ,
জন্ম অধিকার বাঙ্গালী
বিশ্ব মাঝে বাংলা জাতীয় ইতিহাস।
যার নেপথ্য নায়ক মহান ২৬শে মার্চ,
মায়ের অপত্য স্নেহ,বোনের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা;
ঐক্য, সম্প্রীতি, সদ্ভাব-
মহান ২৬শে মার্চই যার উদ্ভব।
মুক্তির আত্নপ্রতয়ে ভাঙলো যারা শিকল,
আনল যারা স্বাধীনতা’
আমরা তাদের ভুলিনী এবং ভুলব না,
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিইয়ে
আর বলার অপেক্ষায় থাকে না।
আমরা আজ স্বাধীন”
আমরা আজ স্বাধীন সংগ্রামী চেতনায়,
বিজয়ের উল্লাস থাকবে মোদের
আনন্দ হাসি গান আর জাতীয় চেতনায়।
কেউ ছুটবে ফুলের তোড়া নিয়ে
কেউ বা ফেস্টুন হাতে,
রঙ্গীন আভা নিয়ে উদিত হয় সূর্য টা
পূর্ব আকাশে।
সে কোন আগ্রহ আর ব্যাকুলতা,
অনেকে হয়তো আজও জানোনা
কেনো ফিরে আসে এই দিনটা?
এখনো সেই সব বাঙ্গালী রাজাকার, খুনিরা তাদের খানা গ্রাসে এই দেশটাকে নিয়ে আসতে চায়;
এই দিনে প্রতিবাদ হোক তাদের,
আমাদের এই স্বাধীন বাংলায়।
২০. বাট-পার
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন।
লিখা নাই,পড়া নাই
সমাজের সরদার,
জ্ঞানীগুণী চুপচাপ
বিচার করে বাটপার।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর
কথা বলে চট-পট.
নিজের স্বার্থে ফয়দা লুটতে
করে তারা লুট-পাট।
লিখা পড়ার ধার-ধারেনা
করে শুধু মাস্তানি,
জ্ঞানীগুণীর নিরবতায়
স্বাধরণ লোক খাই ছ্যাকানি।
ভালো লোকের ভাত নাই
বাট-পারের অভাব নাই,
বাট-পারের পকেট ভারী
ভালো লোকের যায়গা নাই।
অর্থের জন্য খাইতে পারেনা
দেশের পণ্য বিদেশ যায়,
দেশ চলছে আমলাতন্ত্রে
এসব কারো মাথায় নাই।
  ২০.  “রক্ত দিয়ে গড়া এ বাংলাদেশ”
এইতো মোদের দেশ
সোনার বাংলাদেশ।
সোনার চেয়েও দামী,
রক্ত দিয়ে গড়া এদেশ
আমার জন্মভূমি।
মাছে-ভাতে নানা ক্ষেত্রে
বিশ্বে আছে সুনাম,
দুর্নীতির শিকার হয়ে
কামিয়েছে বদনাম।
সেদিন যারা শুত্রু ছিল
দেখতো বাঁকা চোখে
মায়ের চেয়ে মাঁসির দরদ
দেখায় তারা মুখে।
একাত্তরের কথা আমার
আজও মনে পড়ে,
এখন যেনো বসত করি
দুই সতিনের ঘরে।
এসো ভাই সবে মিলে
আমরা দেশ গড়ি,
ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে-মিশে
আল্লাহর পথে চলি।
২১.
মানবতার জয়”
চাইনি কভু রাজসিংহাসন চাইনি ক্ষমতা,
ছড়িয়ে আছি মোরা বাংলার বুকে আমরা বহু ইসলামী জনতা।
এম,পি,মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হবো এই আশা মোদের নয়,
কুর-আন, হাদীছের আলোকে চেয়েছি বিশ্ব মানবতার জয়।
যুগে যুগে মোরা সংগ্রাম করেছি বীর খালিদের বেশে,
স্বাধীনতা মোরা এনেছি সোনার বাংলাদেশে।
ইসলাম নামধারীরা ক্ষমতায় এসে আমাদের বানিয়েছে জঙ্গীবাদী,
দেশপ্রেমিক হয়েও দেশদ্রোহীর অপরাদে অনেকে বন্দীশালায় সময় কাটাচ্ছে নিরবধি।
সালাফে ছালেহীন এভাবে বুঝি সহিতেছে কারা নির্যাতন,
দুঃখ পাবার মোদের কিছু নাই এটা পূর্ব্বর্তীদের অনুসরণ।
কারাগার আর খোলা ময়দান যেখানেই মোরা থাকি,
দেশ ও জাতীর জন্য জীবন মোদের সর্বদা বাজি রাখি।
২২.
 “আসল দল”
সত্য করে বলরে তোরা ইনসাফ করে বল,
ইসলাম নিয়ে ভাগা-ভাগী কোনটা আসল দল?
দলাদলির নাইকো ভিত্তি আমল হবে সার,
কুর-আন হাদীছ জেনে শুনে সঠিক আমল কর।
একটি দল মুক্তি পাবে সেটাই রাসুলের দল,
পীর-বুযরগো গাউছ-কুতুব যাবে রসাতল।
হিসাব-নিকাশ হবে একদিন মীজানের পাল্লায়,
বাহাত্তর দল হবে জাহান্নামী করছো দলের বড়াই?
দলাদলি ভুলে গিয়ে আমল করো খাটি,
সব ক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে ঠিকানা হবে মাটি।
এসো ভাই সবাই মিলে করি দ্বীনের কাম,
আহলে হাদীছ নামেই একটি দল’ নেই কোনো উপনাম।
      ২৩..
               “আশায় জীবন”
সব আশা আমার জীবনের নীড়ে
জানিনা জীবনে আসবে কি ফিরে কেউ,
বহু কষ্ট বাসা বেঁধেছে এই মনে
মন ভাঙ্গা বহু আবেগের ঢেউ।
আপন মনে মুগ্ধ হইয়া
 আপন মনও যে আজ হইলো পর!
আমার আবেগের সুচনা
কভু আগের মতো যে নেইনা খবর।
আমার মনের সুজনে
 প্রথম দেখিয়া হইলাম মুগ্ধ,
আজীবন অন্তরে দিলে পীড়ত বিদায়
তোকে ঠায় দিয়ে হয়েছে আমার অন্তর দগ্ধ।
দুঃখ বেদোনা সবারই আছে,
আছে যাওয়া আর আসার পালা!
ফুলের মতো পবিত্র আমার এই জীবন,
সেই ফুলের মালা তোমার জন্য গেথে আজ মুগ্ধমন।
শেষ আরতি বন্দি বানিয়ে
আমার স্বপ্নের প্রিয়জন,
রজনী আমার ডুবে গেছে
তবু কাছে টানে আমার মন।
২৪.
“অপেক্ষা”
তুমি আমাকে ভুলে যাবে!
আমি ভাবতেও পারিনি।
আমাকে মন থেকে মুছে ফেলে
তুমি আছো এই সংসারে,
হাটছো বারান্দায় মুখ দেখছো আয়নাই!
আঙ্গুলে জড়াচ্ছো চুল!
দেখছো তোমার সিথি দিয়ে বেরিয়ে গেছে অন্তহীন উদ্যানের পথ,
দেখছো তোমার হাতের তালুতে ঝলমল করছে রুপালী শহর,
আমাকে মন থেকে মুছে ফেলে
তুমি অস্তিতত্বের ভু-ভাগে ফুটাচ্ছো ফুল
আমি ভাবতেও পারিনি।
যখনি ভাবি হঠাৎ কোনো একদিন তুমি আমাকে ভুলে যেতে পারো,
যেমন ভুলে গেছো অনেক আগে পড়া পুরানো দিনে সেই স্মৃতি।
আর আমার আর্তনাদ ঘুরপাক খেতে খেতে অবসন্ন হয়ে এক নিশ্চুম সময়,
ভ্রশট পথিকের চিৎকারে হারিয়ে যায় এই বিশাল মরু-ভুমিতে।
বিদায় বেলায় সাঝটাজ আমি মানিনা
আমি চায়  তুমি আবার এসো ফিরে,
সব অশ্লীল বর্বর চিৎকারে স্তব্দ করে,
ফিরে এসো তুমি ফিরে এসো আমার এই ছোট্র চিলেকোঠায়,
মিশে যাও স্পন্দনে আমায়।
২৫.
“আমি বড় অসহায়”
আজব মন অবুঝ হয়ে যায় যখন তখন’
হিংসুটে বেত্তমিজ, বেহায়া আর বেপরোয়া মন,
অসময়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করে;
অন্যের সুখে হয় অধৈর্য্য;
অবলীলায় বিষন্নতার সাগরে খায় হাবুডুবু
সাঁতার জেনেও ভুলে যায়,
ভাসতে ডুবতে সকালের স্নিগ্ধতা হারায়
পুড়িয়ে মারে মধ্য দুপুরের রোদের ঝল্লিকা….
মিষ্টি বিকেলের এলোমেলো হাওয়াও হারায়;
ঝটিকায় গোধূলী বেলা হারিয়ে, মন স্থান পায় কালোয়।
পুরু সময় জীবনের মানে বুঝতে বুভুৎসায় যায় কেটে;
মুহুর্তেই সে হয় একেবারে মহাখাপ্পা,
কোন সুখটা সে পায়নি?
অঢেল সুখ তার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
হাত বাড়ালেই চাঁদও ধরা দেয়,
চাকচিক্যের ভিতরে তবে কেন একা!
পরিকীর্ণ মন সুখে হয় পরিক্লিষ্ট;
বাহ্যিক স্বাচ্ছন্দ্যে আত্মার সন্তুষ্টিতে বিরোধ মনের
এ যেন জনম জনমের শত্রু…।
লেনদেনের ভালবাসা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে বার বার…
স্বার্থমিশ্রিত ভাললাগা, ভালবাসা, স্পর্শগুলো.
অবজ্ঞা ভরে উগরে দেই মিথ্যার ডাস্টবিনে।
বেহায়া মন সব জানে, সব বুঝে
চতুর না হলেও বোকা সে তো নয়!
যা হয়নি, হবার নয় বা পাবার নয়;
তবুও সে কেনো হয় অবুঝ,
অকারণে ক্লিষ্টতায় হয় পিষ্ট;
নয়নকোণে অশ্রু জমায়…।
তবে কি সে আমার নিয়ন্ত্রণে নেই?
প্রকৃতি হাত করছে! তারে!
হে প্রকৃতি মাসে মাসে তনকা দিব
ছেড়ে দে আমার হাতে তারে;
অথবা মন্ত্র শিখতে চাই; বা
মনকে সম্মোহনে আয়ত্বে আনার কৌশল,
কে শেখাবে আমায়???
মনের কাছে আজ আমি বড় অসহায়।
২৬.
     “কিছু পাবার আশায়”
বেহেস্ত পাবার আশায় অথবা স্বর্গের নেশায়,
যদি তুমি করো সকল কর্ম চিৎকার করে বলবো
দ্বার্থহীন কন্ঠে বলবো স্বার্থবাদীতায় তোমার ধর্ম।
তোমার দায়িত্ব আছে আমাদেরও তো আছে
আমরা বুঝি না সে মর্ম!
শুধু কি স্বর্গ পাবার জন্য
নাকি দায়িত্ব আছে অন্য?
শুধু কি স্বর্গ পাবার আশা
    আমার প্রশ্ন?কেনো হলো মানব কুলে জন্ম?
২৭.
“দায়িত্বটা আমার”
আমি তোমার লোক দেখানো ভালোবাসা চাই না।
প্রকাশ্য ব্যাস্তপথে চেচিয়ে শুনতে চাই আমি তোমারি “ভালবাসি”
তারপর তুমি রাগ দেখিয়ে গাল ফুলিয়ে চলে যেতে পারো
তবে তোমার রাগ ভাঙ্গানোর দায়িত্বটা আমার।
আমার দেওয়া কষ্টের চোটে,
রাতে কেঁদে বালিশ ভিজাবে চুপে, চুপে,
পরদিন জিজ্ঞাস করবো” তোমার চোখ ফোলা কেনো?
তখন বলবে” তোমার বানানো মিথ্যা অজুহাত আমি আর শুনতে চাই না।
এক দৃষ্টিতে শুনতে চাই তুমি মাথা নিচু করে বলো আমার সকল অপরাধ।
পরে নিজেকে শুধরাবার দায়িত্বটা আমার।
রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে লাল হয়ে অপেক্ষা করবে তুমি,
আর আমি কোনো রকম তাড়াহুড়া না করেই ধীরে তোমার সামনে হাজির হবো।
তারপর সবার মতো তোমার কঠোর দৃষ্টির হাজারো প্রশ্ন,
আমি শুনতে চাই না।
চাই তুমি দুর্বল গলায় বলবে”
পথে অনেক জ্যাম ছিলো বুঝি?
এর পরে এক ঘন্টা আগে এসে দাঁড়িয়ে থাকার দায়িত্বটা আমার।
রাতের বেলায় আমি তোমায় অ-নেক গল্প শুনাবো,
তুমি কিন্তু না বুঝেই বললে’ “অনেক সুন্দর” হয়েছে
আমি শুনতে চাই না তোমার এরকম প্রশংসা।
চাই না তোমার এই নাটকীয় ফর্মালিটি।
চাই’ আমি’ বিনিময়ে বলবে”
আমি তোমার আগা-মাথা কিছুই বুঝিনি”
পরে তোমায় নিয়ে অ-নেক গল্প, আনন্দ দেওয়ার দায়িত্বটা আমার।
তোমার বিধিমতে এমন প্রেম ভালোবাসার আমার দরকার নেই।
আবার তোমার লোক দেখানো ভালোবাসার আমার প্রয়োজন নেই।
আমি এসব অভিনয় বুঝে নিতে পারিনা।
আমি যে এতো সব বুঝে নিতে পারিনা’
সেটা যেমনটা বুঝা উচিত!
তেমনি মাঝে, মাঝে, অতিরিক্ত যে কিছু বুঝে ফেলি সেটাও তোমার বুঝা উচিত।
২৮.
 প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে”
প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে
ইচ্ছে হয় হারাতে পাহাড়ি নদীর বাঁকে,
দুর্গম পথ পেরিয়ে পাহড় জয়ের নেশা
প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে নিজেকে ভালোবাসা।
বর্ষায় প্রপাতের সৌন্দর্য দেখার বড় স্বাদ
চুপ করে ঘরে বসে বৃষ্টি দেখার আহ্লাদ,
পিচ্ছিল পাথুরে পথে দুঃসাহসিক অভিযান
এই দুর্গম মন পেরোবে হাতে নিয়ে প্রান।
পশু-পাখির কলোরবে মুখরিত চারিধার
এখানে ফিরতে যেনো মন চাই বার-বার,
ক্লান্তি শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা জ্বল পান
এক মুঠো ভাত খেয়ে ফিরে পাই দেহে প্রান।
চুড়োয় বসে নক্ষত্ররাজির মাঝে দিবো ডুব
এমন জোৎসনা রাত্রির সান্নিধ্য চাই খুব,
প্রকৃতি প্রভু তোমার কোলে দিও ঠাই
তোমাকে জানার আশায় অজানাতে হারাই।
সন্ধ্যার আকাশে সঙ্ক্ষচিলের দল উড়ে
বাগানে প্রজাপতি দল বেঁধে ঘুরে ফিরে,
হাসনাহেনা ফুলে সুভাসিত চারিধার
প্রকৃতির মাঝে খুজে পাই শ্রান্তির পারাবার।
গগনে শুভ্র চাঁদ নক্ষত্রের সাথে হাসে
কোমল মায়াবী আলোয় চারিপাশ ভাসে,
কোথা হতে গুন-গুন করে পাখিরা গেয়ে উঠে গান
ঝর্নার পানি তার সাথে দেয় কলোতান।
নদীর জলে ময়ূরপঙ্ক্ষী যায় দেখা
প্রকৃতির প্রতি পরতে অপরুপ স্নিগ্ধতা,
পাখির মতো মন ছোটে দর্শনে
প্রকৃতির ভিন্ন সাজ ভিন্ন ঋতুর আগমনে।
প্রকৃতির উদার দান মানবের তরে
অজস্র ডালিতে তার রুপের সৌন্দর্য ঝরে,
চর্ম-চক্ষুর স্বার্থকতা-
প্রান ভরে পরাকৃতির সান্নিধ্য গায়ে মাখা।
    ২৯.      “কবর স্থান”
ঐ দেখা যায় কবর স্থান
ঐ আমাদের ঘর।
ঐ খানেতে থাকতে হবে
সারা জীবন ভর।
ঐ কবর তুই চাস কি?
টাকা পয়সা নিস কি?
ঘুষ আমি খাই না
মুমিন বান্দা পাই না।
একটা যদি পাই
অমনি তারে জান্নাতে পাঠাই।
আর বে-নামাজি মুনাফিক যদি পাই
অমনি তারে জাহান্নামে পাঠাই।
   ৩০.
      “অত্যাচার”
অত্যাচার তোমরা করেছো
ওরা মুসলিম ছিলো বলে।
মনে রেখো মানুষ
ওদের কি ছিলো দোষ কেনো নির্মম হলে?
একটু চাওয়া ওদের অধিকার
থাকিবে সমান্তরাল।
কেড়ে নিলো সরকার অধিকার
বুকে গুলি মারো রক্তাক্ত কেনো হাল?
হিন্দু তুমি ক্ষমতা পেয়েছো
হিংসা কেনো করো?
ইসলাম মানে শান্তির বানী
বিস্তারিত বই পুস্তাকে পড়ো।
লেলিয়া দেওয়া মানুষ তুমি
পশুর মতো মন।
ভালো মানুষ সাধারণ হয়
নোংরা কতোজন?
মায়া নাই কোনো দেখেছি,
মুসলিম মেরেছে মায়ানমার।
ভারতীয় মানুষ হিন্দু বেশী
তাই করেছে অত্যাচার।
ওরা মসজিদ ভেঙ্গেছে, মানুষ মেরেছে
অন্যায় ছিলো না তেমন।
রোহিঙ্গা মরেছে সারা বিশ্ব জেনেছে
বিচার পায়নি এমন।
মুসলমানেরা আজ ও ঐক্য হলো না
অত্যাচার দেখে আর থাকে চুপ।
সেই সুযোগে মুসলিম মরে
একাই লড়ে বুকে খায় কুপ।
৩১.
“আবেদন”
দেখো হে প্রভু দুনিয়াই অনাদরে কতো ভাই
পথশিশু, বিধবার কান্না,
সালওয়া দাও আজ ও অভাবের সংসারে
আবার পাঠাও সেই মান্না।
যেনো হাজার মানুষ বাঁচে সেই খানা আহারে
ক্রন্দনে বুক ভাসা, আজ হাসি মুখে থাক,
মাজলুম, ক্রীতদাস দুখেরই নির্বাসে
এই দুনিয়াই স্বর্গের সুখ টুকু পাক।
অনেক মানুষ আছে আমাদের আশে-পাশে
যাদের গুনে নেওয়া যায় পাজরের হাড়
অনাথের শ অভাব সবগুলো মুছে দাও
দয়া করো হে প্রভু আবেদন করি বারবার।
ধনাঠ্যশালীদের মনটাকে করে দাও প্রভু
সাগরের চেয়েও বেশি উদার
এতিমদের প্রতি যেনো সবার নজর থাকে
এই আবেদন করি হে প্রভু তোমার দরবার।
৩২.
“সত্যের আহ্বান”
ওহে গোলাম!গড়ে তুলি এসো প্রিয় নবীজির জিন্দেগী,
সত্যের আহবান ছাড়া যে জাহেলী মরণ হবে বন্দেগী।
যত তুমি হও সম্পদশালী কিংবা বড় কোন ক্ষমতাবান!
নবীর দর্শন প্রতিটা গোলামের প্রতি প্রভুর ফরমান।
পঞ্চ সোপান প্রভূর আদেশ এখানে বিকল্প কিছু নেই,
ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত তাঁর বিধানেই।
অন্ধ, বধির, ধনী কিংবা গরীব একই বার্তা জানি,
পথ ভ্রষ্ট গোলামের রন্ধে রন্ধে বহে ঐ দুষ্ট জ্ঞানী!
প্রভুর গোলামেরা ইসলামের পতাকা তলে এলে
উম্মতের সাফায়ৎ নবীজি করবে বিচার কালে!
এ নিখিলের ঘোর আঁধার মুক্তি আলোক সাগরে,
কাজে আসবে না যদি না তুমি আকড়ে ধর তারে!
ওহে গোলাম, গড়ে তুলি এসো চিরো সত্যের জিন্দেগী,
বাতিলের মুক্তি কোরআন হাদিস তরে, হে সঙ্গী!
আজি পাপের বিরুদ্ধে তোর জিহাদী ঝংকার মাতাবি,
ওহে গোলাম, জেগে তুলি এসো ইসলামের ঐ জ্যোতি!
নবীর দর্শন ছাড়া মানবতা কি ফিরবে এ ধরা ?
তবে কেন ছদ্মবেশী যতো সব বিদ-আতের ধারা!
বাতিলের মন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে অহী করো বিজয়ী,
হে গোলাম, তোমরা নবীজির উত্তরসূরী প্রত্যয়ী।
ক্ষণিকেরা কার মোহে ফাঁদে পড়ে গোলামেরা এই আঁধার পৃথিবী?
ওহে ফিরে আই সত্যের আহ্বানে’ এখানে তোরা জিদবী!
৩৩.
 “বিবেকের কাছে প্রশ্ন”
করছি শুরু পরম দাতা
মহান দয়ালুর নামে।
শফথ ত্বীন জয়তুনের
শফথ পর্বত সিনাইনের
এই শফথ নিরাপদ নগরীর
সৃষ্টি করেছি সৃষ্টির সেরা, মানুষ সুন্দর ধীর!
অতঃপর আমি তাকে
নিচ থেকে অতি নিচে
ফিরিয়ে নিয়ে যাই,
তবে তাদেরকে নয়;
যারা ঈমান্দার ও সৎকর্ম পরায়ণ
তাদের জন্য রয়েছে পুরুস্কার বিতরণ;
তবু কেনো তোমরা মহা-প্রলয়ের অবিশ্বাসী হণ?
আল্লাহু কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?
৩৪.
       “দয়ার অথৈ সাগরে”
তোমার পথের সন্ধান পেয়েও চলছি
বে-পথে হে প্রভু
তবু আমায় করছো কৃপা
বাঁচিয়ে রেখেছো তবু।
পারতে তুমি শাস্তি দিতে
আমায় না দিয়ে অন্ন
পারতে আজাব গজবে আমায়
করে দিতে বিচ্ছিন্ন।
তোমার দয়ার অথই সাগরে
ডুবে আছি সারাক্ষণ
তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা
কভু করি না আজীবন।
তবু ও বেঁচে আছি আমি
তুমি দয়া করেছো বলে
গোনাহগার চিরো কাঙ্গাল দীন
ক্ষমা করে দাও এই অধমের ঋণ।
এসব কিছুইতো ঘটছে
তোমারই সৃষ্টি বলে।
৩৫.
          “অনুশোচনা”
প্রতি কদমের হিসাব যদি তুমি
নাও হে আমার প্রভু
এক পাও এগিয়ে যাওয়ার
ক্ষমতা নাই কভু।
ভুলে ভুলে চলছি সদা
মানি না কভু তোমার বাঁধা
চলছি কেবল শয়তানি আর
গোমরাহির কু-পথে’
জানি না মহা-প্রলয়ে কি আচারণ
করবে তুমি আমার সাথে।
তোমার ভয়ে করছে কম্পন
এই অধমের ফুর-ফুরে মন
তোমারি কৃপার পাথার বিশাল
যার নাই কোনো সীমানা!
হে প্রভু! ক্ষুদ্র আমি’ বান্দা তোমার’
করে দাও মোরে ক্ষমা।
৩৬.
          “পাপ মোচন করো”
পাপের মাঝেই বেঁচে আছি প্রভু বহুকাল ধরে
 এ আমার দোষ, এ আমার পরাজয় জানি
তাই তোমার কুদরাতি পায়ে সিজদায় নত স্বরে
তোমারই গুণকীর্তণ করি, আমি পাপী অপমানি।
ক্ষমা চেয়েও শত গোনাহ করি, এ আমার দোষ
তবে কখনোই তোমার সাথে শরিক করিনি কারো
জেনে-নাজেনে করেছি রচে গেছে এ আমার পাপকোষ
ক্ষমা করো হে প্রভু তুমি আমায় ক্ষমা করো।
দুনিয়ার লোভে পড়ে সদা চলেছি গায়ের জোরে
এই হতোভাগা অমান্য করে তোমার আদেশ-নিষেধ
তোমার ক্ষমারই চাদরে ঢেকে নাও এ-পাপিরে
প্রভু! তোমার হুকুমের সাথে আমায় রেখো অভেদ।
জীবনের অনেকটা পথ কেটেছি অবাধ্যতার মাঝে’
আজ সকল অবাধ্যতা থেকে অব্যাহতি নিতে চাই
পরাক্রান্ত হে প্রভু! পাপ থেকে উদ্ধার করো আমাকে
 জানি আমি, তুমি ছাড়া ক্ষমাকারী আর কেউ নাই।
শেষ ভরসাই ক্ষমার আশাই, তোমার দুয়ারে আজ
মিনতির সাথে লজ্জিত শিরে নত হয়ে গেছি’
পাপের জন্য আর মহা-প্রলয়ের দিওনা লাজ
যতদিন রাখবে এ-ভুবনে তোমার বাধ্যতায় যেনো বাঁচি।
৩৭. “অতীত বলে কিছুই নেই”
আমার অতীত বলে কিছুই নেই,
আছে কিছু স্মৃতি বেদনা-ভরা,
আমার ফাগুন বলে কিছুই নেই,
আছে কাটার জ্বালা বুক-ভরা।।
দুঃখের পরে আসে সুখ,
সুখের পরে আসে দুঃখ,
জানি এই নিয়মে চলছেতো ধরণী-
আমার দঃখের পরে আসে দুঃখ,
আমার সবই মিথ্যা দিয়ে গড়া।।
রাতের শেষে দিন আসে,
দিনের শেষে আসে রাত’
আমার কিন্তু রাতের পরে আসে-না প্রভাত-
আমার জীবন বলে কিছুই নেই,
আছে প্রাণ এক যন্ত্রনা-ভরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *