৭১.
"কৃপণতা"
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
কৃপণ শব্দে পরিচিতবাড়ি বাজার মাঠে;
স্ত্রী ছেলে মেয়েবেজায় অখুশি তাতে।
চলতে ফিরতে কানাকানি শোনে মাঠে-ঘাটে;
বেশি খরচ হলেই একটুসঞ্জয়ের বুকটা ফাটে।
সঞ্জয়ের গুপ্ত সম্পদবহুত আছে ব্যাংকে আর ঘটে;
যতো ব্যয় হয় ততোই সংকটমাথা ব্যাথা তাতে।
লুকিয়ে রাখা টাকা-পয়সাজমা আছে বটে;
যতো আয় হয় ততোটা সঞ্চয়গুঁজে রাখে গ্যাঁটে।
সংসারে আসবে নতুন অতিথী বেজায় খুশিখরচ করবে না মোটে;
নতুন সদস্য যোগ এবারতাতেই অঘটন ঘটে।
নিজ তাগিদে করতে হয় ব্যয়বুক যেন তার ফাটে;
দোকানদার বেশি বললেইযায় যে সে চোটে।
ফ্রী পেলে যাবে দৌড়ে নিতে লোকে বলবে কি তাতে!
অপ্রয়োজনীয় হলেও সেটাআনবে থলেতে।
বিনা দাওয়াতে ভোজ বাড়িতেদাড়িয়ে থাকবে গেটে;
পরনিন্দার বালাই ছেড়েবসবে চেয়ার সেঁটে।
আপ্যায়নে দারুণ খুশিক্ষতির হিসেব নেই;
মিষ্টির দোকান পার হলেওতাকায় না সে মোটেই ।
ডাল ভাত খেয়ে পেটটা তারগিয়েছে অনেক ফুলে;
আর কিছু লাগে না তারপেঁয়াজ কাঁচামরিচ পেলে।
নাদুসনুদুস দেহখানি তারবার-বার চেয়ে দেখে;
তার কথা সবাই জানেবাজারে এসে গুড় চেখে দেখে।
স্বামী স্ত্রী দুজনেই কৃপণ,কৃপণ না ছেলে/মেয়ে ছেলে;
এমন সুখের সংসার কি আরএই জগতে মেলে!
টাকা জমিয়ে প্রতি বছর কিছু কিছু করে সঞ্চয়;
এই সব নিয়ে প্রতিবেশীরা হিংসে মরিয়া হয়।