৩৮.
"ভাগ্যের লেখন"
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সৃষ্টির সুচনায় প্রতিটি বিকাশে
ভুমিকা রাখিলো কলম,
কতো আগে তাহা জানা খুবই কঠিন
মানব লয়নিত জনম।
স্রষ্টা সবের মহান দয়াময়
আরশে ছিলেন যবে,
মানব জাতীর হয়নি সৃষ্টি
আসেনি তখন ও ভবে
আরশে আযীমে বসে একদা
পয়দা করলেন ভাগ্যের লেখনী,
সৃষ্টি কুলে উত্থান পতনে
ভাগ্য করিতে পারে নির্ধারণী।
লওহে মাহফুজে লিখিতেছিলো
ভাগ্যের পরিনাম ফলাফল,
তাহা হতেই তার চলিছে কর্ম
চলিবে তাহা চিরকাল,
সৃষ্টির সেরা মানব জাতীর
ছিলো না কোনোই জ্ঞাণ,
স্রষ্টার বাণী মন্থলে হাছিলো
করিয়া তাহা গভীর ধ্যান।
অমুল্য জ্ঞাণের অনেক কিছুই
আসিয়াছে মসি হ'তে,
জানা গিয়েছে তাহা
নিশ্চিত করে ঐশী বাণী মতে,
ভাগ্যের লেখন রহিয়াছে
অমুল্য লেখনী দ্বারা,
কি কাজ করিবে কি ফল পাবে
ধারা-ধামে এসে তারা
সেই ধারা হ'তে ধারাবাহিকতায়
ভুমিকা রাখিয়াছে সেরা,
জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন
তারই প্রস্রবণ দ্বারা।
রচনা করিলো ইতিহাসবেত্তা
জগতের বিস্ময় ইতিহাস,
ধরিয়া রাখিলে ঘটিতো ববরণ
উত্থান-পতন সর্বনাশ।
এখনো উন্নতির সেরা হাতিয়ার
সেই লাখনী ব্যাবহৃত.
বিকল্প এর পাবে না কখনও
তৈরী হওক যন্ত্র যতো,
জীবন-সমাজ ঢেলে সাজাতে
ধরিতে হইবে কলম,
আহবান ভাগ্যের লেখন লেখার পরে
স্বার্থক করিবে সারা জনম।