২৮.
"প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে"
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে
ইচ্ছে হয় হারাতে পাহাড়ি নদীর বাঁকে,
দুর্গম পথ পেরিয়ে পাহড় জয়ের নেশা
প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে নিজেকে ভালোবাসা।
বর্ষায় প্রপাতের সৌন্দর্য দেখার বড় স্বাদ
চুপ করে ঘরে বসে বৃষ্টি দেখার আহ্লাদ,
পিচ্ছিল পাথুরে পথে দুঃসাহসিক অভিযান
এই দুর্গম মন পেরোবে হাতে নিয়ে প্রান।
পশু-পাখির কলোরবে মুখরিত চারিধার
এখানে ফিরতে যেনো মন চাই বার-বার,
ক্লান্তি শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা জ্বল পান
এক মুঠো ভাত খেয়ে ফিরে পাই দেহে প্রান।
চুড়োয় বসে নক্ষত্ররাজির মাঝে দিবো ডুব
এমন জোৎসনা রাত্রির সান্নিধ্য চাই খুব,
প্রকৃতি প্রভু তোমার কোলে দিও ঠাই
তোমাকে জানার আশায় অজানাতে হারাই।
সন্ধ্যার আকাশে সঙ্ক্ষচিলের দল উড়ে
বাগানে প্রজাপতি দল বেঁধে ঘুরে ফিরে,
হাসনাহেনা ফুলে সুভাসিত চারিধার
প্রকৃতির মাঝে খুজে পাই শ্রান্তির পারাবার।
গগনে শুভ্র চাঁদ নক্ষত্রের সাথে হাসে
কোমল মায়াবী আলোয় চারিপাশ ভাসে,
কোথা হতে গুন-গুন করে পাখিরা গেয়ে উঠে গান
ঝর্নার পানি তার সাথে দেয় কলোতান।
নদীর জলে ময়ূরপঙ্ক্ষী যায় দেখা
প্রকৃতির প্রতি পরতে অপরুপ স্নিগ্ধতা,
পাখির মতো মন ছোটে দর্শনে
প্রকৃতির ভিন্ন সাজ ভিন্ন ঋতুর আগমনে।
প্রকৃতির উদার দান মানবের তরে
অজস্র ডালিতে তার রুপের সৌন্দর্য ঝরে,
চর্ম-চক্ষুর স্বার্থকতা-
প্রান ভরে পরাকৃতির সান্নিধ্য গায়ে মাখা।