ড্রামের সেতু
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
ঝাঁপা বাঁওড়ে অনাথ মাঝি হাল ধরেছিল যখন,
জোয়ার ভাটায় নৌকায় উঠতে ভয় করতো তখন
এখন সেথায় নৌকা যে নাই
ড্রামের সেতু পেয়েছে ঠাই।
লিটন, আসাদ, সাজু, টুটুল, মোশাররফ
গ্রামবাসীর ডাক দিয়ে একত্রিত করেছে ভাই,
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাঁপা গ্রামউন্নায়ন ফাউন্ডেশন ৬০জন যুবক গঠন করেছে তাই।
ফাউন্ডেশন করে যুবক ভায়েরা
টাকা জমা করে তড়িঘড়ি,
টাকার ফান্ড তৈরী করে সবাই
বললো সেতুর কাজ শুরু হোক তাড়াতাড়ি।
চির অবহেলিত ঝাঁপার ৬০জন যুবক
একত্রিত হয়ে ফাউন্ডেশন করলো ভাই,
কারো অপেক্ষা না করে
নিজস্বার্থায়নে সপ্নের ড্রামের সেতু বানিয়েছে তাই।
এত বড় সুন্দর ড্রামের সেতু
দেশে আর কোথাও নাই,
ঝাঁপা গ্রামউন্নায়নে ফাউন্ডেশনের কাছে
জাতির মাথা নত তাই।
এতদিন ছিলো প্রতিক্ষারত আর্তচিৎকার
এখন সেখানে ড্রামের ভাসমান সেতু কি চমৎকার,
লেখকের কলমের কালিতে উঠেনি যেটা
স্বচোক্ষে ঘুরে দেখে এসো সেটা।
সেটা দূরে কোথাও নাই
যশোরের রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ে ৬০যুবকে বানিয়েছে ভাই,
ঝাঁপা গ্রামের ৬০যুবক সন্তান দেশ মাতৃকার স্বপ্নের ড্রামের সেতু বাংলাদেশের অহংকার।