মৃত্যুর যন্ত্রনা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
খাচার ভিতর উদাস মনে কত দিন রবে ঘরে?
মরনের ডাক এসেছে আত্মা যে যাবে ঝরে।
ক্লান্তি শরীরে ভাজ পড়েছে শুকনো পাতার মত_
একাকী থাকতে হবে গহীন অন্ধকারে;
থাকবে কত জীব যন্তু' মাকড়সার জালে ক্ষত।
মৃত্যু যন্ত্রণায় খোসে পড়ে শত শত দেহে মৃত্যুর কামড়ে,
পায়ের কোষ মরে পড়ে রয়েছে হাঁটে ঘন অন্ধকারে। মৃত্যু" পোষা পাখির মত দেহে করে বাস-সাজ,
হাসায়-কাঁদায়, দুমড়ে-মুছড়ে চোখ হয়েছে ভাজ।
সকাল, বিকেল, রাত্রি-মরে'
ঝরে পড়ে চোখ অন্ধকারের মত"
মৃত্যুর যন্ত্রণা দেহের ভিতর"
দেহ রয় ঘরে বাহিরে অন্ধকারে"
চাঁদের কাছে, মাটির কাছে, ক্লেশ যত।
আমড়া গাছের মত পাতা ঝরা হয়ে আছে শরীরে, ধবল চুল' আধমরা চোখ' শুকিয়ে আছে নীরবে। এক মনে চাহে আহারে দীর্ঘশ্বাসে মন কেঁদে উঠে, ঠোঁট' জিহ্বা শুকিয়ে ধূসর মাঠ চেহারায় উঠবে ফুটে।
চোখের সামনেই কয়েকটি আত্মা উড়ে গেছে,
শত শত চোখ দিয়ে অজস্র জ্বল ঝরিতেছে।
সইতে হবে সকলে মৃত্যুর যন্ত্রণা যত,
আগুন, পাথর, আকাশ, বৃষ্টি, আলো, পাতা, গাঢ় অন্ধকারের মত।
ঘরে ঘরে দেহ ঘুমিয়ে আছে কত বিছানা হচ্ছে খালি, দেহের সাথে খেলা করে মৃত্যুর চোখে রয়েছে বালি। যমদূত ঘুরে ঘুরে আসে সব ঘরে মৃত্যুকে করে সাথে, মানব দেহ যন্ত্রণা লয়ে মরে, ঝরে মৃত্যুর মালা গেঁথে।
হাসপাতালে মরনের সাথে রয়েছে অনেকে শুয়ে,
অনেক দেহ পড়ে রয়েছে অবহেলা-তুচ্ছ জয়ে। মৃত্যুর ভয়ে কাঁদিতেছে চোখ, জ্বল ঝরে চোখে, চিতকার করিয়া কাঁদিতেছে অনেকে করুণ দুঃখে।