প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৯, ২০২৫, ১১:০০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ৪:৫০ এ.এম
মোঃ রাকিব হোসেন পিতাঃ মোঃ আব্দুল মতিন সরদার মাতাঃ মোছাঃ রোজিনা খাতুন তিনি ১৯৯৩ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দুই ভাইয়ের মধ্যে পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান।
শিক্ষাজীবনে তিনি ২০১০ সালে চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১২ সালে রাজগঞ্জ মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে পিতা-মাতার ইচ্ছা পূরণে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল হেলথ টেকনোলজিতে ভর্তি হয়ে ২০১৭ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০২০ সালে সরকারি স্বল্পমেয়াদী আর.এম.পি (RMP) কোর্স সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি একজন পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি লেখালেখির জগতে তাঁর পদচারণাও সমানভাবে প্রশংসিত। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ বিডি জার্নালিস্ট ২৪ (Newsbdjournalist 24) এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেছেন।
১, নিঃশব্দে ভালোবাসা
মোঃ রাকিব হোসেন
বয়স তখন বারো-তেরো
মাঠে খেলে দুই মন,
লজ্জায় বন্ধু থাকে চুপচাপ
বান্ধবীর মনে তখ ন আগুন।
একই সাথে স্কুলে যায়
এক বইয়ে মুখ গুঁজে থাকে,
একটু ঝগড়া, একটু হাসি
প্রেমটা তখন নিঃশব্দে রাখে।
বছর গড়ায়, সময় বাড়ে
কলেজের ব্যাগে স্বপ্ন ভরে,
বন্ধু বলে তুই পাশে থাকলে পরে
এ জীবনে আর কিছু লাগবে না-রে।
বন্ধু তখন হাসির ছলে বলে ফেলে
জীবনটা এতই সহজ ভাবিস না রে,
তবুও চিঠির পাতায় গাঁথে
মন খুলে লেখে ‘আমি তোরই রইলাম রে’।
এ জীবনটা বড়ই কঠিন
কেউ চায় বংশ, কেউ চায় টাকা,
বাড়ির লোকের কথার পরে
দুটো নিষ্পাপ মন হয় ফাঁকা।
বহুদিন পর দুইটি মনের
আচমকা হয় দেখা,
নিঃশব্দে আর নিরবে
বুকটা তখন হয় ফাঁকা।
বন্ধুর চোখে কালো চশমা
আর চুল দাঁড়িতে মেহেদীর রঙ মাখা,
বান্ধবীর চোখে আছে চশমা
দুইটি মনের আচমকা হলো দেখা।
২, প্রিয় কবি
মোঃ রাকিব হোসেন
প্রিয় কবি, তোমার কলমের শক্তি
প্রাণের গভীরে তুলে আনো মুক্তি।
বেদনাময় পৃথিবী পায় নতুন ভাষা
তোমার শব্দে ফুটে উঠে প্রেমের আশা।
তোমার লেখায় ঝরে শান্তির বৃষ্টি
অন্ধকারে জ্বলে আলোর দৃষ্টি।
তুমি বুনো, তুমি কোমল সুর
তোমার কবিতা মেলে আকাশের দূর।
মাটির ঘ্রাণে তুমি গাঁথো গান
তোমার ছন্দে বাজে হৃদয়ের প্রাণ।
তোমার শব্দে লুকিয়ে স্নিগ্ধ শীতলতা
কখনো বিদ্রোহ, কখনো নীরবতা।
প্রিয় কবি, তোমার প্রতিটি বাক্যে
জীবনের ছোঁয়া পাই মনের ফাঁকে।
তুমি আছো, থাকো চিরকাল
তোমার কবিতায় জীবন হয়ে উঠুক নিখুঁত কাল।
৩, প্রেরণা
মোঃ রাকিব হোসেন
মায়ের মতো পরশময়ী
আমার কাকী যার নাই তুলনা,
মমতার হাত মাথায় রাখে
নেই কোন তার তুলোনা।
শিশুর চোখে হাসির আলো
তারই কোলে শান্তি পাই,
মনের ব্যথা গোপন রাখে
সবার তরে সুখের ঠাঁই।
তারই পরশে তৃপ্তি পাই
উজাড় করে দিতে চাই,
অগোচরে যত্ন করে
ভালো বাসা বিলিয়ে দেই।
তার স্নেহে ভরে মন
গৃহকোণ হয় উজ্জ্বল,
মায়ের মতো পরশময়ী
স্নেহের বাঁধনে আসে জল।
৪, নিষিদ্ধ ভালোবাসা
মোঃ রাকিব হোসেন
চোখে চোখে কথা হয়
তবুও মুখে নীরবতা,
হৃদয়ে জমে থাকে
না বলা ভালোবাসার ব্যথা।
প্রতিদিনের দেখা
প্রতিদিনের হাসি,
তবুও এক অদৃশ্য দেয়াল
ভালোবাসায় যেন ফাঁসি।
তুমি আছো কাছে
তবুও কেন মনে হচ্ছে দূরে,
মন চায় একটু ছুঁতে
কিন্তু বাঁধা সুরে।
এই প্রেম নিষিদ্ধ
সমাজের চোখে,
তবুও হৃদয় মানে না
ভালোবাসা বুকে।
রাতের নিস্তব্ধতা
দিনের আলো,
সবখানে খুঁজি তোমায়
ভালোবাসার ছায়া ফলো।
এই প্রেমের গল্প
না বলা কথা,
নিষিদ্ধ ভালোবাসা
তবুও হৃদয়ে গাঁথা।
৫.টাকা ছাড়া সব ফাঁকা
মোঃ রাকিব হোসেন।
এই দুনিয়াটায় টাকা যেন রাজা,
টাকা ছাড়া জীবনটা শুধুই সাজা।
টাকায় আপনজনও মুখ ফিরায়,
অভাব দেখলে দূরে সড়ায়।
মন ভাঙে, প্রেমও ফিকে হয়,
স্বার্থ ছাড়া কেউ পাশে নাহি রয়।
মানি ইস সেকেন্ড গড,
চোখের জলে ভেজায় বুক-পট।
ভালোবাসা হলো কাগজের নোট,
আত্মীয়ও খোঁজে ব্যালেন্সের মোট।
নিশিরাতে ভাবে শান্তির খোঁজে,
প্রাণ কাঁদে চুপচাপ রোজে।
আল্লাহ হলো শান্তির দাতা,
তিনিই দেন ঠিক পথের কথা।
দোয়া করি সব ভাই-বন্ধু,
বৃহস্পতিবার পাক রহমতের গন্ধ।