০২. কবিতা বই ( ভাগ্যের লেখন)

October 3, 2023
ভাগ্যের লেখন (কবিতা বই)
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন 
লেখক পরিচিতিঃ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন।
মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।
৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।
ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।
পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।
কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ (অনলাইন মিডিয়া) এর নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
লেখকের বাণীঃ
এই বইটিতে লেখকের বাস্তব জীবনের কথা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অর্থ সম্পাদ, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যাৎ, মানুষের বিভিন্ন চরিত্র,  মান অভিমান, সংসার জীবন, দুর্নীতি, বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশেষ কিছু কথা ছন্দে ছন্দে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আশা করি এই বইটি পড়ে আপনাদের ভাল লাগবে এবং ভাল লাগলে লেখকের লেখনির প্রতি আরো আগ্রহ বাড়বে।
উৎসাহঃ
আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এডিটর ভাতিজা মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় বই প্রকাশ করেছি।
উৎসর্গঃ
 বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইসলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) ও মোঃ মাহিম আহমেদ এর নামে উৎস্বর্গ করলাম।
১, “ভাগ্যের লেখন”
সৃষ্টির সুচনায় প্রতিটি বিকাশে
ভুমিকা রাখিলো কলম,
কতো আগে তাহা জানা খুবই কঠিন
মানব নয়োনিত জনম।
স্রষ্টা সবের মহান দয়াময়
আরশে ছিলেন যবে,
মানব জাতীর হয়নি সৃষ্টি
আসেনি তখন ও ভবে।
আরশে আযীমে বসে একদা
পয়দা করলেন ভাগ্যের লেখনী,
সৃষ্টি কুলে উত্থান পতনে
ভাগ্য করিতে পারে নির্ধারণী।
লওহে মাহফুজে লিখিতেছিলো
ভাগ্যের পরিনাম ফলাফল,
তাহা হতেই তার চলিছে কর্ম
চলিবে তাহা চিরকাল।
সৃষ্টির সেরা মানব জাতীর
ছিলো না কোনোই জ্ঞাণ,
স্রষ্টার বাণী মন্থলে হাছিলো
করিয়া তাহা গভীর ধ্যান।
অমুল্য জ্ঞাণের অনেক কিছুই
আসিয়াছে মসি হ’তে,
জানা গিয়েছে তাহা
 নিশ্চিত করে ঐশী বাণী মতে।
ভাগ্যের লেখন রহিয়াছে
অমুল্য লেখনী দ্বারা,
কি কাজ করিবে কি ফল পাবে
ধারা-ধামে এসে তারা।
সেই ধারা হ’তে ধারাবাহিকতায়
ভুমিকা রাখিয়াছে সেরা,
জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন
তারই প্রস্রবণ দ্বারা।
রচনা করিলো ইতিহাসবেত্তা
জগতের বিস্ময় ইতিহাস,
ধরিয়া রাখিলে ঘটিতো ববরণ
উত্থান-পতন সর্বনাশ।
এখনো উন্নতির সেরা হাতিয়ার
সেই লাখনী ব্যাবহৃত.
বিকল্প এর পাবে না কখনও
তৈরী হওক যন্ত্র যতো।
জীবন-সমাজ ঢেলে সাজাতে
ধরিতে হইবে কলম,
আহবান ভাগ্যের লেখন লেখার পরে
স্বার্থক করিবে সারা জনম।
২, “অতীত বলে কিছুই নেই”
আমার অতীত বলে কিছুই নেই,
আছে কিছু স্মৃতি বেদনা-ভরা,
আমার ফাগুন বলে কিছুই নেই,
আছে কাটার জ্বালা বুক-ভরা।
দুঃখের পরে আসে সুখ,
সুখের পরে আসে দুঃখ,
জানি এই নিয়মে চলছেতো ধরণী-
আমার দঃখের পরে আসে দুঃখ।
রাতের শেষে দিন আসে,
দিনের শেষে আসে রাত’
আমার সবই মিথ্যা দিয়ে গড়া
আসে না রাতের পরে প্রভাত:
আমার জীবন বলে কিছুই নেই,
আছে প্রাণ এক যন্ত্রনা-ভরা।।
৩, “আশায় জীবন”
সব আশা আমার জীবনের নীড়ে
জানিনা জীবনে আসবে কি ফিরে কেউ?
বহু কষ্ট বাসা বেঁধেছে এই মনে
মন ভাঙ্গা বহু আবেগের ঢেউ।
আপন মনে মুগ্ধ হইয়া
আপন মনও যে আজ হইলো পর!
আমার আবেগের সুচনা
কভু আগের মতো যে নেইনা খবর।
আমার মনের সুজনে
 প্রথম দেখিয়া হইলাম মুগ্ধ,
আজীবন অন্তরে দিলে পীড়ত বিদায়
তোকে ঠায় দিয়ে হয়েছে আমার অন্তর দগ্ধ।
দুঃখ বেদোনা সবারই আছে,
আছে যাওয়া আর আসার পালা!
ফুলের মতো পবিত্র আমার এই জীবন,
সেই ফুলের মালা তোমার জন্য গেথে আজ মুগ্ধমন।
শেষ আরতি বন্দি বানিয়ে
আমার স্বপ্নের প্রিয়জন,
রজনী আমার ডুবে গেছে
তবু কাছে টানে আমার মন।
৪, স্বভাব
কিছু লোকের আছে এমন স্বভাব
গিবত গেয়ে চলে!
তিলকে তারা তাল বানিয়ে
মিথ্যা কথা বলে।
দেখতে তারা পায় না কভু
পরের ভালো কাজ!
বিদ্বেষে গা জ্বলে
একটুও নেই তাদের লাজ।
ঘরের খেয়ে পরের কাজের
ছিদ্র ওরা খোঁজে!
তলে তলে ঠিকই আবার
তারা নিজের ভালো বোঝে।
এমন মানুষ সমাজটাতে
দেয় কালিমা লেপে”
সঠিক কথা বললে পরে
লোক দেখানোর জন্য উল্টো ওঠে খেপে!!!
৫, মুখোশধারী”
সমাজে আছে কিছু সুবিধাবাদী লোক-
ভালো মানুষকে পাগল করার দিক দিয়েই শুধু এদের ঝোঁক।
এরা সকলেই সমাজের মুখোশধারী!
এরা সকলের চোখে ভালো সেজেই থাকে,
যতো সরল সাদা মানুষ পড়ে এদের ফাঁদে।
মিথ্যা দিয়ে সাজানো কথা বলায়
এদের ঝুঁড়ির মেলা ভার!
এদের সঙ্গে পাল্লা দিবে
সেই সাধ্য আছে কার?
অপবাদ আর গঞ্জনা দেওয়াই
এদের একটা স্বভাব,
ধর্ম, কর্ম, আর বিবেকবোধের
এদের বড়ই অভাব।
এই সব মনের গলোদকে
করো পরিহার,
দূর থেকেই করো সালাম
কাছে যেয়ো না আর।
৬, “দুর্নীতিবাজ”
আমরা সবাই দুর্নীতিবাজ
মিথ্যা কথা বলি,
মিথ্যা খবর ছাপিয়ে
ছড়াই দেশের অলিগলি।
দোষীকে আমরা ছেড়ে দেই
মোরা নির্দোষকে রাখি জেলে!
ঘুষের টাকায় পকেট ভরী
একটু সুযোগ পেলে।
শিক্ষককে বানাই সন্ত্রাসী
মোরা রাজাকে বানাই চোর!
দুর্নীতি দ্বারা উন্নয়ন করি
কালো টাকা আছে যতো মোর।।
৭, “অভিমানী”
ভাবছি আমি একাই বসে
হচ্ছে কি সব আমার সাথে?
দূরে ঠেলে দিচ্ছি তাকে
যাকে আমি চাইছি পেতে।
সে আমাকে কাছে টানে,
আমি ও টানি মাঝে মাঝে,
আবার দিচ্ছি দূরে ঠেলে
দু-জন দু-জনাকে।
ভাবছি কি যে চাইছি আর কি যে পাচ্ছি
কিছুই আমি বুঝি নাতো!
স্বরুপ তোমার ভালো না
খারাপ সেটাও মাথায় ঢুকছে নাতো!
রাগের কথা পাড়া জানে
তুমি কি কিছুই শুনোনি?
রাগের মাথায় করি যে ভুল
তাও কি তুমি বুঝোনি?
তবে কেনো এমন করে
দিলে আমায় রাগিয়ে?
তাইতো তোমায় অমন করে
দিলাম আমি ফিরিয়ে।
মিষ্টি কথায়, মিষ্টি ঝগড়ায়
রাগ যে আমায় কমেনা!
এতোদিনে তুমি বুঝি এটুকুও
আমায় চিনলে না?
রাগ কমেছে বুদ্ধি খুলেছে
বসে আছি একেলা!
কখন তুমি আসবে ফিরে
করছি আমি অপেক্ষা।
আসো ফিরে বসো কাছে,
বলো; আছে যা তোমার মনে!
মিষ্টি হেসে রাগটা ভুলে নিবো
তোমায় আপন করে।
৮, “সুযোগ সন্ধানী”
স্বার্থপরেরা আপন বেশে
দাঁড়াবে আপনার পাশে!
স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে
ভুলে যাবে শেষে।
মুখ ফেরাবে হেসে-হেসে
অশ্রুতে ভাসাবে বুক;
দেখাবে তোমার পার্শ্বে
এসে মধু মি:সৃত মুখ।
দুঃখি সাজবে আপনার দুঃখে’
ছুরি বসাবে আপনার বুকে।
যদি নিতে হয় কারো ঋণ!
তবে প্রেমিক হৃদয় খুঁজে নিন।
৯, “মানুষ নামে পশু”
দুর্দম মরুতে-
বুক চিরে ছিড়ে খায়’
খায় আর কাশে,
ফল পাবে –
মৃত্যুর দুয়ারে গিয়ে
পড়বে যে ফাঁসে।
কপালে তার-
হিংসার উঠন পেতে
থাবাটারে ফেলে,
মানুষ নয়-
নয় কোন জানোয়ার
যায় শুধু খেলে।
কে সে?
হতে পারে কোন
মানুষ নামের পশু।
১০,   “মানুষ বেইমান”
মানুষ চেনা নয়তো সহজ যতই থাকুক কাছে,
কথার ছলে মনটা কাড়ে দুর্নাম ছড়ায় পাছে।
আপন মানুষ গুলো শুধুই স্বার্থ নিয়ে চলে,
বিপদে আসে উদ্ধার হতে ছলে বলে।
দেখায় ভীষণ সরল সহজ যেন হাবা বোকা,
সুযোগ পেলে যায় পালিয়ে দেয় তারা ধোঁক।।
ভাবতে ভীষণ অবাক লাগে চলে সাধু বেশে,
আঘাত করে মিষ্টি কথায় সহজ সরল হেঁসে।
নিজের লাভটা ভাবেন শুধুই স্বার্থের জন্য আসে,
ন্যাকামি ভাব ধরেই তাঁরা নিজের জন্য বাসে।
চিনতে পারলে এমন স্বজন তাদের দূরে রেখো!
চলার পথে সকল সময় সাবধানেতে থেকো।
হিসাব নিকাশ করতে ভীষণ পটু হয় যে তারা,
মুখোশ পরা মানুষ গুলো যায় যে না চিন্তে  পারা।
মানুষ নামের ওই স্বার্থপর গুলোমানুষ নামে সাধু,
তাদের মধুর কথায় যেন থাকে অনেক যাদু।
নিজের স্বার্থ হাসিল করে ওই স্বার্থপর গুলো!
তাদের কর্মের রূপের মর্মের চিত্ত মুখোশ খুলো।।
১১, “স্কুল ফাঁকি”
বাবা আমার শাওন
তাহার কথা বলি,
সারাটাদিন মোবাইল নিয়ে
করে ঢেলা-ঢেলি।
পড়ার কথা বললে পরে
করে মাথা ব্যাথা!
বন্ধু আর মোবাইল পেলে
থাকেনাকো ব্যাথা- সেথা।
স্কুলের সময় হলে
ঘুমিয়ে থেকে দেই ফাঁকি!
সুযোগ পেলে বন্ধুদের নিয়ে
জীবনটা করে বাঁকি।
মা-বাবার বকনী শুনে
মুখটি গোমরা করে!
ঘরে গিয়ে মোবাইল নিয়ে
থাকে চুপটি করে।
স্কুল আর পড়া ফাঁকি দিয়ে
যত করবে চালাকি”
এখনতো আর বুঝছে না
বুঝবে পরে এর জ্বালা কি?
এখন বাবা আমার বুঝছে না হেতা,
যখন আর সময় থাকবে না
তখন বুঝি  ভাববে অতীতের কথা?
তখন আর কিছুই করার থাকবে না,
অতীতের সেই চিন্তা ভাবনা।।
১২, “আমার লাল টুক-টুকে মেয়ে”
আমার টুক-টকে মেয়ে রাগ করেছে
কে দিয়েছে গালি?
তার কে দিয়েছে গালি?
রাগ করে সারা গায়ে মেখেছে সে কালি।
যখন রাগ করে সুন্দরী অভিমানী মেয়ে!
আরো সুন্দর লাগে তার হাসি মুখ খানি,
গায়ে লাগানো কালিকে তার করে দেই আলো,
আমার টুক-টুকে মেয়ের অনুরাগের প্রদীপ জালি।
পরেনি সে গহোনা-গাটি বাঁধেনি সে কেশ!
তারই কাছে আমি হার মানি এই ভূবনে বেশ।
রাগিয়ে সে কাঁদে যখন দুঃখে!
দয়াময়ী মেয়ে আমার ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে।।।
১৩, বঞ্চিত”
আমি পৃথিবীর সকল শুখ-শান্তি থেকে বঞ্চিত,
স্পর্শহীন কারো প্রাণের প্রথম ছোয়াই করতে পারনি সঞ্চিত।
বঞ্চিত আমি কারো মনের প্রদীপ জ্বালানোর অধিকার পেতে,
বঞ্চিত আমি কারো চোখের প্রথম দৃষ্টিনন্দন হওয়া থেকে।
বঞ্চিত আমি কারো হাতের প্রথম গোলাপ হতে,
পারিনি আমি কারোর ভালো-বাসার পাত্র হতে।
স্বপ্নেও কারো প্রথম কল্পনা হতে আমি পারিনি কভূ,
কেউ দেয়নি স্থান আমাকে তার প্রথম গলিতো স্পর্শ মনের।
ফাঁগুনের কৃষ্ণচূড়া রঙ্গে লাল আভা ছড়ানোর দিনে,
দু-র থেকেও কেউ ভালোবাসা দিতে আসেনি মোর পানে।
কারো নুপুরের ছন্দে আঁকুল হয়ে আমি শিহরিত হয়নি,
কেউ জাগায়নি আমাকে ধমকের সুরে প্রভাত ভোরে।
যখন দিন শেষে সন্ধ্যা নামে একটিবার ও কেউ দেখার আকুতি করেনি,
একা একা ক্লান্ত হয়ে ফিরেছি বাড়ির পথে হেঁটে।
ঐ, যে দু, চোখের কাজল তাও পারেনি কেউ মোরে দেখাতে,
চায়নি কেউ কখনো, সকল মনের বেঁদোনা ভালোবাসে ভোলাতে।
দু,হাতে কাঁচের চুড়িতে আমার মনের মতো কেউ সাঁজেনি,
কপালে নীল বা লাল টিপ পরে কেউ আমাকে একটিবারো দেখাতে আসেনি।
প্রেমের ছন্দময় কবিতা, গান, কেউ শুনায়নি আমায়,
কেউ, তার প্রথম স্বর্গের স্বপ্ন আঁকেনি নিয়ে আমায়।
যখন রাতে ঘুম আসেনা আঁধারের সাথে বন্ধুত্ব করি,
তখনো কেউ বলেনি এসো আমরা গল্পো করি।
দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভীত হয়ে যাই,
তখন কেউ বলেনা; ঘুমাও আমি আছিতো পাশে ভয় নাই।
কারো ভালোবাসার প্রথম নামে ভূষিত হইনি,
কারো কাছে কোনো কালে অমুল্য হতে পারিনি।
সামান্য ভুল হলে কেউ ঝগড়া করেনি,
কেউ নিজের বাধ্যের মতো করে শাসায়নি।
কেউ তার চুলে হাত বুলানোর অধিকার আজও দেয়নি,
আমায় সামান্য সময়েও পলকহীন দৃষ্টিতে কেউ দেখেনি।
তোমার জন্যই নিজ হাতে রেধেছি ডাল মাছ কেউ বলেনি,
কখনো প্রথম অশ্রুর দোষী হতে কারো হাসির কারণ হইনি।
জানি কারো প্রথম স্বপ্ন বালক হওয়ার সুযোগ আমার হবেনা,
নিন্দিত আমি ভালোবাসা অ-নেক দামী তাই পাবো না।
তবে চাঁদকে দেখতে, তার আলো মাখতে দোষ নেই যেমন,
অযোগ্য হয়েও বসে আছি অপেক্ষায়’ কাউ কি হতে পারে আমার মিলন???
১৪,   “তৃপ্তি”

যে পাগলে খুঁজি তোমায়
সে পাগল তো তুমি নও,
অন্ধ হয়ে আমিই সর্বদাই রই
কেমনে তোমার জন্য পাগল আমি হই।

পাগল হয়ে খুঁজবো যারে
সে-কি পাগলের ধার ধারে!
পাগল ঘুরে এই অন্ধকারে
হতাশ হয় সে বারে বারে।

তোমার দয়াল তোমার দয়ায়
পাগলের মতো যেনো কাছে পায়
অচিন দেশের বিজন মেলায়
দয়া বিনে পাগল অসহায়।

পাগল পরাণ তৃপ্তি খুঁজে
দীপ্তময় জ্যোতি তোমার সাজে
নিবিড় সান্নিধ্য পাওয়ার মাঝে
জ্যোতির বাতি জ্বলুক ত্বেজে।।।

১৫, আমি একা”
জগৎ জুড়ে রঙ্গের খেলা
আমি বড়ই একা,
চারিদিকে আলোর ঝর্ণাধারা,
কিন্তু আমি একা।
সোনার জগতে সোনালি মেলা,
এখানেও আমি একা,
দীর্ঘ কঠিন পথ পিচ্ছিলে পা,
কিন্তু সেখানেও পড়ে রইলাম আমি একা।
পথে খিলখিলে হাসির ফোয়ারা,
পড়ে আছি শুধুই আমি একা,
দল বেঁধে হই-হুল্লা করে কারা ?
আমি যে শুধু একা।
কলতানে বাজে বাঁশি’
কার বাঁধভাঙ্গা হাসি ?
বসে আছি শুধু আমি একা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নাইতো তোমার দেখা,
আমি একা, বড়ই একা ।

১৬, “জীবন যুদ্ধ”

জীবনটা একটা যুদ্ধের ময়দান
আপন বলতে কেউ থাকেনা
যে দিকে তাঁকাবে দেখবে শুধু ধূ-ধূ।
পরাধীনতা তোমাকে ক্রমে ক্রমে
গ্রাস করবে”
চারদিক থেকে তোমার শুভাকাঙ্খীরা সব দূরে সরে যাবে।
সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে” তবেই না সফলতা আসবে;
না হয় তোমাকে সারা জীবন পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে!!

১৭, “জীবন সংসার”

বন্ধ হবে রঙ্গের খেলা বয়স বাড়ছে বলে,
শৈশবকালে দিনটা গেছে নানা খেলার ছলে।

বাবার হোটেলে নাইতো এখন লিপ্ত থাকি কর্মে,
উদার খালি থাকলে পরে’ মন বসে না ধর্মে।

কর্ম বিহীন সুখ নাই ভবে এ সত্যটা মানি,
কর্মের জন্য কীর্তিমান হয় বলে জ্ঞানী গুণী।

শৈশব ছিলো চিন্তামুক্ত হাসি মজা অতি,
বয়স বাড়ছে কর্ম বিহীন নাইতো কোনো গতি।

মাথার ভিতর নানা ভাবনা সদা চলে তবে,
ভেবে পাই না কেন এলাম মানুষ হয়ে ভবে।

নানা রকম চিন্তা ভাবনা বয়স বাড়লে আসে,
সমাধান না পেয়ে সবাই অশ্রুর জ্বলে ভাসে।

তখন ভাবে’ শৈশবের ওই সুখের সকল কথা,
মনের কোণে প্রতিক্ষণে আসে দুঃখের সেই ব্যথা।

   ১৮,  “মিছে মায়ার সংসার”
আলো আধাঁরের খেলা এ ধরা;
সবই ভ্রম, সবই ছায়া,
এক নিমিষেই মুদিবে আঁখি,
পচে গলে যাবে এ কায়া।
এ সংসারে কে কার?
যার’ যার’ তার’ তার।
কার লাগিগো আনচান!
কার লাগিগো পিছুটান!
মন পাখি উড়ে গেলে,
ধুলায় মিলিবে এ মায়া!
সবই ভেবে হবে সা-র,
পড়ে রবে এই মিছে মায়া সংসার।

১৯, “পরিবার”

বাবা-তো পৃথিবীতে হয়ে থাকে গাছের ন্যায় ছাঁয়া,
মা-তো পৃথিবীতে দেখায় বেচেঁ থাকার মায়া।
বোন-তো পৃথিবীতে শেখায় ভালবাসার,
ভাই-তো চেষ্টা করে পৃথিবীতে স্বপ্ন পূরণের আশার।
পৃথিবীতে আছে বাবার পরম ছাঁয়া,
আরো আছে মায়ের অতুলনীয় মায়া।
বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের স্বপ্নের আশা,
এভাবেই-তো গড়ে ওঠে পৃথিবীর বুকে পরিবারের ভাষা।
পরিবারের মাঝে সম্পর্কের নেই কভু শেষ,
জনম জনম বয়ে গেলেও এর কভু কাটবেনা রেষ।

২০, “ছাত্র জীবন”

ছাত্র জীবন এক অন্য ভুবন,
চলতে চাই নিজের মতোন।
হয় না চলা, নিজের ইচ্ছায়,
চলতে হয়, বাবা-মায়ের কথায়।
ক্লাসে স্যারের বকা, ম্যামের ঝারি,
বাসায় এলে, মা বলে পড়তে বসো তাড়াতাড়ি।
একদিন যদি, বাসার কাজ না করি,
সবার সামনে রাখবে দাঁড়ায় কান ধরি।
বন্ধুদের সাথে বাজি ধরা,
হেরে গেলে, লাগবে ঝগড়া।
টিফিন টাইমে পালাতে হবে,
বইগুলো বন্ধুরা নিয়ে যাবে।
ধরা যদি পড়ে পাছে,
বিচার চলে যায় হেডস্যারের কাছে।
বাবা-মাকে আনবে ডেকে,
বলবে সন্তান গেছে বখে।
সময় এখনো অনেক আছে,
সন্তানকে রাখেন নিজের কাছে।
ভালো ফলাফল একদিন আসবে শেষে,
যদি সে নিয়মিত পড়তে বসে।
শুরু হবে, বাবা-মায়ের কড়া শ্বাসন,
খেলা-ধুলা করা থেকে করবে বারণ।
চোখে চোখে রাখবে তখন,
শুধুই পড়ার কথা বলবে এখন।
বাবা-মায়ের আদরের স্বাসন,
সব মিলিয়ে মধুময়ই ছাত্র জীবন।

২১, ছোট্র-বেলা

ছোট্র-বেলার সেই মধুর স্মৃতিগুলো,
সব হয়ে গেলো আজ এলোমেলো ।
আধারে পড়ে আছি,
কিভাবে যে এখন আলোতে আসি?
ভালো লাগতো কতো সেই সময়ের বৃষ্টি,
আজিকে হলো এ কি জীবনের সৃষ্টি?
ছোট্র ছোট্র বন্ধুদের নিয়ে ছোট্রবেলা কি সুন্দর ছিলো,
আজিকে যৌবনের দ্বারে জীবনটা যেনো কেমন হলো এলো-মেলো।
ছোট্রবেলার মা বাবার ভালবাসা,
আজিকে শুধু জাগায় নতুন নতুন আশা ।
খেলাধূলার কথা বেশি, বেশি মনে পড়ে আজ,
ছোট্রবেলা ছিল উজ্জল,ছিলো কতো তাজ ।
সেই ছোট্রবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে আবার,
কিন্তু সে ফিরে আর আসবেনা,দিয়ে দিলাম ছাড় ।

 ২২,  শিশুকাল

বই খাতা কলম
আর কাঠ পেন্সিল’
এই ছিলো শিশুকাল’
কাটে আনন্দে অনাবিল।

ফুটবল ক্রিকেট টেনিস
আরও কত খেলা?
হৈ চৈ করেই কাটে শিশুকাল”
একদিন শেষ হয় এই আনন্দ মেলা।।।

২৩, বেকার জীবন

ঠিক বৃক্ষের মতন, শিকড়হীন বৃক্ষ!
যেমন-স্বর্ন লতা,
তার চেয়ে আগাছা বলাই শ্রেয়
শত করা শত ভাগ ঠিক একটা বেকার জীবন।
তবুও বহাল তবিয়তে চলা ফেরা’
এক দিন আসবে সময় দুর ভবিষ্যতে–
এমন গোটা কয়েক স্বপ্ন নিয়ে জীবনটা গড়া।
তার পর কেউ পেয়ে যাবে ফ্ল্যাট বাড়ী,
কিংবা নতুন স্বপ্ন ফেক্সিলোড হবে”
আবার অনেকে বেকারত্ব ঘোচাবে গলায় জড়িয়ে রশি।
আসলে এটা অসহ্য যন্ত্রনার মতন
যেন অন্তজ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর
আবার বহু জলেও হয় না নির্বান
বেকার জীবনটা ঠিক যেন এমন।

২৪,  অভাব

দরিদ্রের অভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে,
চারিদিকে শুধু ক্ষুধার্তের হাহাকার।
দু মুঠো ভাতের জন্য কাঁদছে পথশিশু,
অথচ অট্টালিকার মানুষ গুলো নষ্ট করে কত কিছু।
ধনীর বাচ্চাগুলোর খাবার নিয়ে করে কত বাহানা,
এটা খাবোনা, ওটা খাবো, এটা না, ওটা আন,
অথচ পথ-শিশু?
পচা পান্তায় তার সব কিছু।
মানুষের চাহিদাটা বড়ই আজব হচ্ছে দিনে দিনে,
মাঝে মাঝে পাওয়া যায়না ভেবে কোনো কুল,
কেউবা কাঁদে দু -মুঠো ভাতের জন্য
কেউবা কাঁদে গাড়ির জন্য
কেউবা করে টাকার গরমে মস্ত বড় সব ভুল।
বড়লোক অট্রোলিকা লোকদের বাহানা হলো স্বভাব,
আর পথ-শিশু গরীবদের এটাই অভাব।।।

২৫,  ফাইস্যা

আমাকে এখানে বসায়্যা তুমি গেছো বাঁইচ্যা?
কিন্তু আমিতো এখানে গেছি ফাইস্যা।
তুমি মনে করেছো আমাকে ফাসায়্যা তুমি গেছো বাঁইচ্যা?
তুমি ও এই নাও ধইরা গেছো যে ফাইস্যা।
কি করিবো ভেবে না পাই
ফাইস্যা গেছি উভয়ে যে দেনাই!
যতো বুদ্ধি করিনা কেনো কথায় কাজে যাচ্ছি যে ডুইব্যা,
এই কাম করতে এসে গেছি আমরা ফাইস্যা।
যদি দেনা মুক্ত হই তবে যাবো বাঁইচ্যা,
কিন্তু চেষ্টা করেও পারছিনাতো,
কি করিবো? গেছি যে ফাইস্যা।।।
২৬, প্রতারণা
মানুষ লাভের জন্য
নিজের স্বার্থ করে হাচিল,
অন্যের দুঃখে
স্বস্তির প্রতারণা আসিল।
ক্ষমাশীল মানুষের
অন্যের বিরুদ্ধে শপথ,
মানবতা’র সাথে দুঃখ থেকে
নতুন সূর্যের আলোর পথ।
মনের ভিতর কষ্ট নিয়ে
নিজেকে দিচ্ছি শান্তনা,
সাদা মনের মানুষ আমি
আমার সাথে করে সবাই প্রতারণা!
সবার পাশে থাকি আমি
আমার পাশে কেউ নাই,
ভালো মন্দ বুঝতে পেরে
নিজেকে আমি বাঁচাতে চাই।।।
২৭, মন ভূলা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
নাম আমার ভূলা
মনটা আমার খুলা,
সবাইকে নিয়ে চলতে
যেয়ে নাম হয়েছে মন ভূলা।
সব লোকে বলে
আমি নাকি মন ভূলা,
সবাইকে আপন ভেবে
নিয়তির সাথে করছি খেলা।
আপন ভেবে কাছে এসে
করছে তোমায় অশান্তি,
এসব লোক থেকে দূরে থেকো
পাবে তুমি মনে শান্তি।
মা বাবার দেওয়া
নাম আমার ভূলা,
লোকে বলে
আমি নাকি মন ভূলা।
স্বার্থের লোভে থাকে মানুষ
বাজারে বসেছে মেলা,
নিজেকে কন্ঠল করো
নইলে তোমায় নিয়ে করবে লোকে খেলা,
নাম আমার ভূলা
লোকে বলে আমি নাকি মন ভূলা।।।
২৮, দুঃখে ভরা জীবন”

দুঃখে ভরা জীবন আমার

কষ্টে ভরা বুক,

এত কষ্ঠে জীবন আমায়
মেলেনিকো সুখ।
সবখানে পাই অবহেলা
লাঞ্চনা হলো সুখ,
দুঃখো ভরা জীবন আমার,
কষ্টে ভরা বুক।
লোকে বলে জন্মের সময়
খেয়েছে ওর মাকে,
মানুষের এই অপবাদ
সইবো কেমন করে।
এত কষ্টের জীবন আমার
কেমন করে রাখি,
তারই মাঝে বেঁচে আছে
আমার পরাণ পাখি।
আকাশ ভরা তারা আছে
সগরের মাঝে ঢেউ,
আমার এই জীবন মাঝে
রইলোনাতো কেউ।
দুঃখে ভরা জীবন আমার
কষ্টে ভরা বুক,
তারী মাঝে বেঁচে নিছি
একটু খানি সুখ।।
২৯, বাঁশ

হায়! হায়! চলে যায় যেনো এজীবন,
বাঁশ নিয়ে কার-বার চলে অকারণ।
আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় হলো বাঁশ,

সুযোগ পেলে জনগন যত অপকর্ম করে দেয় ফাস।

উপর মহল থেকে নিচের মহল,
চারিদিকে দেখো ভাই বাঁশের দখল।
পারছে যেখানে যে দিয়ে যায় বাঁশ।
বাঁজিয়ে বাঁশের বাঁশি করে সর্বনাশ।
সরকারি ভবনেতে বর্তমানে প্রানের ঝুঁকি থাকে,
রডের বদলে বাঁশ দেয়া হয়ে থাকে।
রেল লাইন রাস্তায় বাঁশ দিয়ে রাখে,
জনতা তাকিয়ে রয়, চমকিত চোঁখে।
ভাবিনি কখনো হায় এই হবে শেষে,
সোনার দেশটা আজ ভরে যাবে বাঁশে।।
৩০, জগৎ সংসার
ডাক শুনিলে আঁখি খোলে
পুষ্পে প্রজাপতি দোলে।
না কাঁদিলে দুধ না মেলে
শিশু বাচ্চা উঠবে কোলে।
মায়ের সঙ্গে করবে খেলা,
এ জগৎ সংসারে।
পেছন থেকে ডাকবে লোকে
মিষ্টি হাসি তাদের মুখে
কথায় যেনো মধু ঝরে।
সবকিছু লুটিবে ওরে
তারাই তোমার অগোচরে,
এ জগৎ সংসারে!
সুখের তরী অদূর পানে
বুঝা যায়রে মাঝির গাঁনে
আসছে তরী  কূলে ফিরে।
যখন তরী আসে তীরে’
তোমার হদিশ তখন থাকে না রে,
এ জগৎ সংসারে।
অচিন পাখি ডাকি ডাকি
বলবে আর কিছুদিন থাকি
অবহেলায় হৃদপিঞ্জরে।
একদিন পাখি যাবে উড়ে
ফিরবে নারে পেছন ফিরে,
এ জগৎ সংসারে।
ধনীর ধনও খাবে ঘুণে
ঘুণ হাসবে ধনীর শ্বাসনে
কাটবে সে সব, শব্দ করে।
কৃপন ধনী রইবে পড়ে
তিমির রাতে নীরব ঘরে,
এ জগৎ সংসারে।
কিসের বড়াই কিসের লড়াই?
কার জোড়ে ভাই, কে প্রাণ হারায়?
এই ক্ষমতায় মন না ভরে।
অধিক অধিক চাওয়ার তরে
অকালে প্রাণ ভূমি ছাড়ে,
এ জগৎ সংসারে।।
৩১. “সংসার মায়াময়”
 
প্রেম প্রীতি আর ভালবাসা,
কেনো মিছে মিছে করো আশা।
এ জীবন যে নিশার স্বপন,
অসার সংসার মায়াময়,
দুদিনের তরে অভিনয়,
ছিন্ন হয়ে যায় মায়ার বন্ধন।
রোগ শোক জ্বরা ব্যধি,
ভুগে মানুষ নির-বধি,
এ জীবনে কভু শান্তি নাই,
বিধাতার খেলা ঘরে,
জন্মমৃত্যু খেলা করে,
জন্মিলে মরিতে হবে ভাই।
সংসার শুধুই অভিনয়,
মানুষে মানুষে পরিচয়,
শুধুমাত্র আসা যাওয়া সার,
ব্যথায় ভরা এ জীবন,
জন্মিলে অবশ্য হবে মরণ।
বৃথাই করো আমার
পর দুঃখে দুঃখী যে জন,
সংসারে সুখী সেই জন।
চিরন্তন সত্য জানি ও নিশ্চয়,
জীবন মানে সংগ্রাম,
মরণ তার পরিণাম,
জন্মিলে মরিতে একদিন হয়।।
৩২,জনম দুঃখী
কোন পাপেতে আমি হলাম মানুষ. কি কারেছি ভাই, জন্ম নিয়েছি গরীব ঘরে, যেথায় ক্ষুধার অন্ন নাই।
মাটির ঘরে খড়ের চালায়, জোটে নাকো খড়”
যেথায় চন্দ্র-সূর্য্য এলিয়ে পড়ে, বৃষ্টি ও নয় পর ।
ছোট্ট ছেলে শীর্ণ দেহে, ক্ষুধার জালায় কান্না জোড়ে.
মলিন-মুখ ছিন্ন বস্ত্রে মা যে. দেখি ভোলায় তারে ।
দিনের শেষে ক্লান্ত দেহে, ঘরে ফেরে আমলা খেটে, গামছায় বাঁধা একসের চাল, জানেনা সে. খাবে কি দিয়ে ?
নুন থাকে তা – চাল থাকেনা, এমনি মোদের হাল” মোরা সবার কাছেই উপেক্ষিত এমনি পোড়া কপাল।
মেহেরবানের আশীর্বাদে কুকুর চড়ে গাড়ী!
ঘুমায় তারা বাতানুকুলে, আকাশেও দেয় পাড়ি।
ওরা দুধে ভেজা বিস্কুট খায়, আর সিদ্ধ মাংস গুলি” খেটেও মোরা পাইনা খেতে, কপাল দোষেই জানি ৷
ওদের সারা দেহ ব্রাশ করা, জগতে আমরাই যা কালো”
আদর করে টিনা ডাকে, দেখতে লাগে ভালো।
মঙ্গলময় উপর-ওয়ালা করি প্রার্থনা,
যদি পাঠাও আবার পরো-জন্মে,
যদি পারো ধণীর প্রানের কুকুর করো,
মানুষরুপে করো-না সেই করি কামনা”
মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছি করিও মোদের মার্জনা।।
৩৩. পোড়া কপাল
একবারও কি তোমার সময় হয়না”
একবারও কি তোমার ইচ্ছে হয়না”
কেমন আছি আমি জানতে!
কেমন কাটছে আমার দিন-কি রাত।হায়রে পোড়া কপাল আমার
কেউ রাখেনা তাই খোঁজ,
অযথা তাই কষ্ট পাই
কেউ জানেনা তার দোষ।।
৩৪, সাধ না মিটিলো
আমার সাধ না মিটিলো ভালোবাসিয়া তোমায়,
তাই আবার তুমি বাসিবে ভালো আসিবো ধরায়।
আবার বিরহে তব কাঁদিবো প্রণয় ডোরে,
বাঁধিবো শুধু নিমিষেরি তরে আঁখি দুটি ভরে।
যে গোধুলি লগ্নে নব-বধু হয় নারী,
সেই গোধুলি লগ্নে বঁধু দিলো আমারে গেরুয়া শাড়ি।
বঁধু আমার বিরহ তব গানে,
সুর হয়ে কাঁদে প্রানে।
 নিজে নাহি ধরা দিয়ে সকলের প্রেম নিয়ে দিনু তব পায়,
তোমারে হারিয়ে আমি ঝ’রে যাব অবেলায়।।
৩৫, দুর্ভাগ্য আমার

দুর্ভাগ্য আমার রক্তে মেশানো
নিষ্ঠুরতা আমার ভাগ্যের,
বিক্রি হয়ে এসেছি আমি জন্মের পর থেকে
ব্যবহার করেছে আমায় নিজেদের স্বার্থের।

পবিত্র কুরআন কিংবা পুস্তক পড়েছি
রেখেছি হৃদয়ে ধারণ করে,
যা মস্তিষ্কে মোর গেঁথেই রেখেছি
ছাড়তে পারিনা মোর জীবনের তরে।

লেখা থাকে যা মানে না কেউ
তা অনুসরণ করিলে পাগল বলে,
শাস্ত্রের কথা শুধুই লেখা
পালন করিলে নিষ্ঠুরতায় চড়ে।

বিচিত্র সব মানুষ থাকে নিষ্ঠুরতার ভাজে ভাজে,
সমাজ যেন অভিশপ্ত কু-সংস্কার গুলো ঠিকই বাঁচে!
নিয়তি যেন অ-সুরের সঙ্গে সুরের কাছে নাইরে নাই,
হৃদয়ে শুধু রক্তক্ষরণ বাঁচিবার কোনো পরিবেশ নাই।

দ্বন্দ্ব আমার সমাজ নিয়ে বন্ধ আমার দ্বার
ধর্ম আমায় শ্বাসন করে মিথ্যা কথার পার,
শাস্ত্র মেনে নিজেকে গড়ে চালাবে যখন জীবন!
শাস্তি দিয়ে পাগল বানিয়ে করাবে তারে মরণ।।

৩৬, টাকা

দুই অক্ষরে শব্দ একটি নাম
নাম হলো তার টাকা:
ঐ টাকা কামাই করতে গিয়ে”
অনেকেই আখেরাতকে করে ফাঁকা।
অনেকে হালালা হারাম লুটোপুটি খায়:
যে পথে আসুক দেখবে না তা সামনে যদি পাই।
খুন করে ভাই কতোজনে কামাই করে এই টাকা,
যেভাবে হোক প্রকাশ পায় তাহা থাকে না কভু ঢাকা।
অনেক বড় ধনী হবো বলে টাকার লোভে করে অনাচার”
অবশেষে ধরা খেয়ে যায় তার সব পাপাচার।।
৩৭, সুখ মানেই সুখ

সুখ মানেই কুলুঙ্গীতে রাখা ছবি
নিটোল, সূর্য্য দীঘল মুখ,
সুখ মানেই কাছে থাকা
ভরে যাওয়া বুক ।।

সুখ মানেই উড়ন্ত আঁচল তোমার
মেঘেদের পালে লাগা হাওয়া
সুখ মানেই দিনভর
তোমাকেই কাছে পাওয়া ।।

সুখ মানেই দারুচিনি দ্বীপ চোখ
ঠোটের বঙ্কিম ঢাল,
সুখ মানেই কোজাগরী রাতে
তোমাতে মাতাল ।।

সুখ মানেই যাবতীয় অসভ্য শয়ন
কারুকার্য্যময় স্তনের মিনার,
সুখ মানেই ভালোবাসা
শুধুই তোমার আর আমার ।।

৩৮, অবুঝ মন!

অবুঝ মন!
তুমি শান্ত হবে কখন?
সব হারিয়ে ফেলবে যখন?
কি নিয়ে বাঁচবে তখন?
হে অবুঝ মন!
আল্লাহর নাম বেশি-বেশি স্নরণ করো এখন,
না জানি দম ফুরাবে কখন?
যখন বুঝবে সময় থাকবে না তখন।
হায়রে অবুঝ মন!
অবুঝ মন!
তুমি খুব দ্রুত সজাগ হও এখন,
রাসুলের বানী অনুযায়ী দ্বীন ফুরিয়ে আসিতেছে এখন,
হয়তো বেশিদিন হবে না এই দুনিয়া আপন:
দুনিয়া থেকে হয়তোবা ত্যাগ করতে হবে সব আত্বীয় স্বজন।
হায়রে অবুঝ মন!!!
৩৯, সরল মানুষ
সরল মানুষ যারা

কষ্টে তাদের জীবন গড়া,
সুখের দেখা পায়না তারা
সুখ আসেনা টাকা ছাড়া ।

সরল মানুষ যে তারাই
ওদের কাছে ছলচাতুরী নাই,
ওরা শুধু ভালবাসতে জানে
সবাইকে নিজের কোলে টানে ।

সরল সোজা মানুষ গুলো
সুখের লাগি পাগল হলো ,
সুখ পেতে মানব সেবায়
নিজের জীবন বিলিয়ে দিল ।

৪০, টাকায় সব
আমি আমরণ সংগ্রাম করি,
আমার জীবনে নেই অবসর,
মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি,
টাকা হল দ্বিতীয় ঈশ্বর ৷
আগে বুঝিনি,
টাকায় কেনা যায় সম্মান,
টাকায় পাওয়া যায় পরিত্রাণ ৷
আমার জীবনে টাকা প্রয়োজন,
টাকাই আমার প্রিয়জন ৷
আগে বুঝিনি,
টাকায় কিনা যায় সার্টিফিকেট,
টাকায় কিনা যায় জাহাজ, রকেট ৷
টাকা জীবনে চলার সাথী,
টাকায় জ্বালাবে জীবনের বাতি ৷
আগে বুঝিনি,
টাকা দূর করে অভাব,
টাকা পাল্টায় মানুষের স্বভাব ৷
টাকায় কিনা যাই ক্ষমতা,
টাকায় পাওয়া যাই স্নেহ-মমতা ৷
আগে বুঝিনি,
টাকা দূর করে হতাশা,
টাকায় পাওয়া যায় প্রেমিকার ভালবাসা ৷
টাকায় পাওয়া যায় চাকরি,
টাকার অভাবে মানুষ হয় ভিখারি ৷
আগে বুঝেনি,
টাকায় বাড়ায় শক্তি,
টাকায় মিলে মানুষ-অমানুষের মুক্তি ৷
টাকা অজ্ঞের চরিত্র,
টাকায় রাজি হয় বিবাহের পাত্র ৷
আগে বুঝিনি,
টাকার কারনে  হয় দুর্নীতি,
টাকার কারনে মানুষের উন্নতি/অবনতি ৷
টাকায় কিনা যায় বিলাসবহুল গাড়ি,
টাকায় কিনা যায় উঁচু উঁচু বাড়ি ৷
আগে বুঝিনি,
টাকার জন্য হয় শিক্ষা,
টাকার জন্য দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা ৷
টাকা অভাবীদের বাবা,
টাকার অভাবে গরীবরা খায় সন্ত্রাসীর থাবা ৷
আগে বুঝিনি,
টাকার লোভে কারো উলঙ্গপনা,
টাকার অভাবে কতো বীরাঙ্গনা ৷
এবার বুঝেছি,
টাকা ছাড়া সবই ফাঁকা,
টাকা দিয়েই মনে হয় দুনিয়াটা আঁকা,
টাকা সবকিছুর মূল,
তাইতো মানুষ টাকার জন্য ব্যাকুল ৷
আর টাকার জন্যে সব মানুষ করে ভুল,
হায়রে টাকা” এই টাকায় সকল অনার্থের মূল।
৪১, ভুল সবই ভুল
বড় আশা করেই এসেছিলাম
ফিরে যাওয়া কাম্য ছিলো না,
ভালোবাসার অথই জ্বলে ডুবার
কোন কারন নেই আজ জানা।কিছু এমন হবে’ এটা আমি জানিনা
পথ হারাবো নিজ দেশে,
করেছিলাম শুরু জীবনের গল্পটা
কিন্তু শিরোনাম লিখতে হচ্ছে শেষে।এ কোন স্বপ্ন হলো যা হবার নয়
শুধু সোনা মনে করে বালি খুঁজ,
নিতান্ত যারা কাছের মানুষ ছিলো
তারা কি এখন বুঝেনা মন অবুঝ।একা রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে
আর কত রাত কাটাবো ভাবতে,
নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা কেন হয়’
ইচ্ছে হয় খুব ব্যর্থতা কি জানতে।পুণ্য নামের তরি বেয়ে পাড়ি দিলাম
বৈঠা নামের সাধনা যে ছিলোনা,
ইমান নামের পাল ছিলো খুব ছেড়া
দিন থাকতে বাড়ি ফিরা আর হলোনা।এক এক করে হিসেব মিলে যাচ্ছে
প্রতিটা পদে ছিলো আমার কিছুটা ভুল,
ভুল ছিলো চোখ খুলে প্রভাত দেখা
আর বন্ধ করে নিশি অশ্রুজল।ভুল সবই ভুল লেখা কবিতাতেও’
আরো ভুল চিন্তা ভাবনাগুলো,
তার চেয়ে একটু কম ভুল হয়েছে
ভালোবাসা যতটা এলোমেলো।

৪২, পোড়া মন
তোমার ঐ অসহ্য আর রাগটা
আমার খুব বিশাল লাগে,
তোমার ঐ মুখের অন্ধকারটা
আমার খুব বে-মানান লাগে।

নিজেকে মাঝে মধ্যে খুব একা লাগে

লাগে খুব কষ্টে ভরা এই জীবন,
তোমাকে এসময় বড় প্রয়োজন
তাই ভাবছি আনবো তোমার ঐ ঝাঁকি মন।
তুমি বড়ই স্বার্থপর
নিজের কষ্টটাই লাগে তোমার,
আমি যে ডুবে আছি কুল হারা তীরে

সেই খবর নেওয়ার সময়  নেইতো তোমার।

ভালো লাগেনা এই গভীর রাত্রি

প্রচান্ড গরম কাটাচ্ছি সারা নিশি,
বিষন্নতাই মনের আঙ্গিনায়

খুব কষ্টে ভরা মন নিয়ে তোমার সাথে মিশি।

৪৩,  দুঃখ আমার জীবন সাথী
দুঃখ আমার জীবন সাথী
দুঃখ আমার কিসের?
দুঃখে আমার জীবন গড়া
ভয় করবগো কিসের?
দুঃখে আমার গোটা দেহ –
ভয় করিনা দুঃখের ছোয়া,
দুঃখে আমার ভাঙ্গা গড়া-
দুঃখ-ই আমার জড়িয়েছে মায়া।
দুঃখকে আমার হাসি মুখে করেছে বরন-
দুঃখ-ই আমার হাসি মুখে বেছে নিবে মরন।
দুঃখের পরে আছে সুখ-
সুখের পরে দুঃখ।
দুঃখ থাকে জীবন ধরেই –
সুখতো শুধু দু’দিনেরই।
দুঃখ আমার কাঁদায় হাসায়-
দুঃখ আমার ভালোবাসায়।
দুঃখ আমার জীবন সঙ্গী করে-
বেঁচে থাকে জীবন ধরে:
দুঃখে খাটা শরীর আমার
লোহায় গড়া শরীর!
দুঃখে আমার অন্ন যোগার
দুঃখ আমার স্বপ্ন দেখায়।
 দুঃখ মোরে কল্পলোকে –
সুখ যে দেখায় স্বপ্নলোকে”
দুঃখ মোর খেলার সাথী –
ভয় করি কি দুঃখের রাতি?
দুঃখেই আমি থাকি ভালো –
দুঃখেই আমি ভালো আছি”
দুঃখ মোরে সুখ যে আনে –
দুঃখ যে মোর চলার সাথী ।
৪৪.  দুঃখেই জীবন গড়া
দুঃখে আমার জীবন গড়া-দুঃখে মোর কিসের ভয়,
বৃষ্টিতে গেলে ভিজতে হয়-রোদে গেলে পুড়তে হয়।
পাপ করলে পাপের ভয়-পাপ না করলে কিসের ভয়,
পানিতে নামলে কাপড় ভিজবে! তাই বলে কি কেউ বসে রয়?
নুন আনতে পান্তা ফুরায় অনাহারে জীবন কাটায়,
আলুর দম আর ভাতের আমানি’ খেয়ে মোর শক্তি বাড়ায়।
চাউলের দাম ও বাড়তি’ ভাতের আমানি ও মোর পায়না,
আলুর দাম ও বেড়ে-ই চলেছে’ দম খেতে আর মনে চায় না!
চলছে জীবন ধুঁকে ধুঁকে এ যেনো এক মুড়ির টিন,
ধার কর্জে জীবন চালাই বাড়ছে শুধুই নগদ ঋণ।
৪৫. ক্ষমা করে দাও মোরে
কঠিন যন্ত্রনা এ বুকে ধারন করে বেঁচে আছি আমি,
তাই দূরে যেতে চেয়েও যেতে পারনি আজ আমি।
ফিরে আসতে হলো আবার সবার মাঝে,
ফিরে আসতে হলো ভরা যৌবন নিয়ে অঞ্জলি সাজে।
জানি আমি অনেক দোষী, করেছি অনেক ভূল,
তাই দিতে হচ্ছে প্রতক্ষনে সেই ভূলের মাসুল।
করেছি নিজের ইচ্ছায় শুনেনি কারো কথা,
তাইতো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে এই বুকের চাপা ব্যাথা।
জানি অনেক ভূল করেছি, ক্ষমা পাবার যোগ্য নয়,
যদি পারো আপন গতিতে ক্ষমা করিও তাই।
৪৬.  ভূলের মাশুল
জানি আমি যে ভূল করেছি তার নেই কোনো ক্ষমা,
তবুও বলছি আমি তোমাকে আপন ভেবে’ করে দিও ক্ষমা।
যাহা ভূল বুঝাবুঝি হয়েছিলো কাজের মাঝে,
এমনটা হয়েই থাকে আমাদের এই সমাজে।
এসো আবার যৌথভাবে উদ্যমী হয়ে,
নতুন করে গড়ে তুলি নিজেদের মধ্যে ভ্রান্তি মিটিয়ে।
একথাতো সত্যি ভূলের মাশুলতো দিতেই হয়,
হলেও বা তা এক রত্তি, তবে ভূল মানূষে করে,
যদিও স্বীকার করেনা” করলেও করে অনেক পরে।
আজ এখান থেকে নিই আমি অঙ্গিকার,
তৎক্ষণাৎ তা করবো স্বীকার
যেমনটি আছে ভূল শুধ্রাবার অধিকার।
৪৭, সাধ
বড় সাধ ছিলো লেখা পড়া করে মানুষ হবো
পিতা-মাতা, ভাই-বোনদের মুখ করবো উজ্জ্বল!
সেটাতো আর হলো না’
সাধ থাকা সত্তেও হলো না পুরণ
কারণ এ সংসারটা ছিলো অস্বচ্চল!
বড় সাধ ছিলো সৎ পথে করবো উপার্জন!
সেই আশায় সারাটা জীবন দিয়েছি যে বিস্বর্জন।
সাধ ছিলো মানুষ হবো মানব সেবার মতো,
মহৎ কাজে হাত বাড়িয়ে থাকবো নিয়োজিত।
কিন্তু সেই সাধ আর পুরণতো হচ্ছে না;
পারছিনা পুরণ করতে সবার চাহিদা!
সবার চাহিদা পুরণ করতে গিয়ে;
যেতে হচ্ছে কোন পথে গেলে হবে যে বিশাল ফয়দা!
সাধ ছিলো সময় দিবো সমাজ গড়ার কাজে!
তাও হলোনা রাগলো ঘরের লোক যে!
বলিলো শোনো একটি কথা” ভালো যদি চাও;
মন থেকে সব ঝেড়ে ফেলে সংসারে মন দাও।
৪৮, ত্যাগ
জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে
শুধু তোমার কথা ভাবি আমি,
তোমাকে যে চেয়েছিলাম
এই পৃথিবীর মাঝে সুখি দেখতে আমি।
তুমি কি জানো?
হাসলে তোমায় কতটা ভাল লাগে?
হয়তো তুমি জানো না
তোমার ঐ হাসি লাগে আমার হৃদয়ভাগে।
একটু শুনবে..
রাখবে তো আমার কথা?
আজি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
খোলা চুলগুলো মেলিয়ে,
একটু হাসবে আমার জন্যে!
আমার মনের শুন্য ক্যানভাসে
আমি এঁকে রাখবো তোমার জন্যে।
হয়তো চিন্তা করছো:
একি পাগল?
কি যে সব বলে উঠে,
আসলে তোমার কথা ভেবে
সত্যি আমি পাগল নয় শুধু হয়েছি ছাগলো বটে।।।।
৪৯, ধোঁকা
তুই আমারে ধোঁকা
দিয়ে বানালে বোঁকা,
আরে বেঁটা তুইতো
নিজেই  খাইলি ধোঁকা।
একই মেধা দিয়ে
হতে পারে লেখা,
তাইতো তোর দাবিতে
ছেড়ে দিয়ে হইলাম আমি ফাঁকা।
তোর দাবি ছাড়তে গিয়ে
নিজেই হইলাম সর্বশান্ত,
নিজে আমি স্বার্থ ছাড়লাম
তুই হলে খ্যান্ত।
আরে বেঁটা তুই আমারে
ধোঁকা দিয়ে বানালে বোঁকা,
উপরে ওয়ালা আছে একজন
অপরাধ যদি করিস তুই,
তবে অবশ্যয় খাবি ছ্যাঁকা।।।
৫০, ক্ষমা
মোর লেখার মধ্যে ভুলের কারনে
কারো মনে কষ্ট যদি থাকে জমা,
মনের শত কষ্ট ভুলে গিয়ে
করে দিও মোর ক্ষমা।
বান্দা ভুল করে প্রভুর কাছে হইলে নত
থাকে না প্রভুর খাতায় তাহা জমা!
 মনের থেকে হইলে নত
কিতাবে আছে লেখা!
প্রভু করিবেন তাহা ক্ষমা।
বান্দা ভুল করে প্রভুর কাছে
হইলে নত থাকে না তাহা জমা,
কারো অজান্তে কষ্ট দিলে
পাইবে না কেন ক্ষমা?
প্রভুর কাছে ভুল করিয়ে
হইলে নত থাকে না তাহা জমা,
প্রভুর হক্ক প্রভু দিতে পারে ছাড়
বান্দার হক্ক প্রভু পারে না করিতে ক্ষমা।
মোর চলার পথে যদিগো করি ভুল
সেই ভুলের কারনে কারো হৃদয়ে
কষ্ট যদি থাকে জমা,
হৃদয়ের শত কষ্ট ভুলে গিয়ে
করে দিও মোরে ক্ষমা।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *