বৃক্ষ তরু
শরিফ সংসার জীবন থেকে গাছ লাগাতে ভালবাসতো। শরিফের বড় ভাই নার্সারির চাষ করত এবং বড় গাছও লাগাতো। শরিফ এবং বড় ভাই মিলে একসাথে থাকতো। শরিফরা ৪ভাই আর ৩বোন শরিফ বাড়ির বাহিরে থেকে লেখা পড়া করে আর ২ ভাই (অর্থাৎ মেঝো এং সেজো জন) দেশের বাহিরে থাকে। বাড়িতে থাকে ছোট বোন, মা, বাবা, আর বড় ভাই/ভাবি এই নিয়ে সংসার। বড় ভাই সংসারের দায় দায়িত্ব নিয়ে চালাতো। এদের বাবা একজন গ্রামের সহজ সরল ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু চাকুরি শেষে বাড়িতে থাকত অবসারে বই লিখতো কিন্তু দুর্ভাগ্য রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং সামনের দিকে এগুতে আর পারে না। বড় ভাই নার্সারি এবং গাছ লাগিয়ে সংসার চালাতেন কিন্তু খুব কষ্টে দিন অতি বাহিত হত। প্রায় সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। এদের ছোট বোনটা এবং শরিফ খুব কষ্ট করে লেখা পড়া করত। হঠাৎ মেঝো ভাই বিদেশ থেকে খালি হাতে বাড়ি আসার কথা শুনে বড় ভাই কোন এক কাল বৈশাখি ঝড়ের মত আঘাত করে নার্সারি বাগান এর বড় একটা অংশ নিয়ে পৃথক হয়ে যায়। শরিফের কাঁধে পড়ে সংসারের চাপ এবং বাবা, মা, ভাই বোন নিয়ে সংসার চালিয়ে আর লেখা পড়া করতে পারেনি। কিন্তু গাছ লাগানো তার বড় ভায়ের কাছ থেকে শিক্ষা এখনও অব্যাহত আছে। আজও প্রতি বছর কিছু না কিছু গাছ লাগায় আসলে এটা শরিফের নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। এখনও অবদি জায়গা কম থাকলে ও গাছ লাগিয়ে আসছে। আসলে মুল কথা হলো গাছ প্রত্যেকটা প্রানীর অক্সিজেন ও কার্বন্ডাই অক্সাইড যোগায় এবং এই গাছে যে ফল ও ফুল হয়, আর মানুষ কিংবা পশু পাখিরা তাহা আহার করে এইটাই হলো সদকায়ে জারিয়া। গাছ প্রত্যেকটা প্রানীর অক্সিজেন এবং কার্বন্ডাই অক্সক্সাইড যোগায়। আমাদের দেশে যদি এত গাছ না থাকতো তাহলে এই তাপদাহো থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়ত। আমরা এখান থেকে শিক্ষা নিই এবং প্রত্যেকে বেশি বেশি গাছ লাগাই ও প্রত্যেকটা প্রানীর অক্সিজেন ও কার্বন্ডাই অক্সাইড যোগানোর সহযোগিতা করি। গাছ হলো আল্লাহর প্রদত্ত নেয়ামত।(আমিন)।