প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ১১:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ৫, ২০২৩, ৪:৫৫ পি.এম
ঝাঁপা বাওড় ও ভাসমান সেতুঃ যশোর
ঝাঁপা বাওড় ও ভাসমান সেতুঃ যশোর
মুহাঃ মোশাররফ হোসেনঃ
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের সাথে ঝাঁপা গ্রাম অবস্থিত। ঝাঁপা বাঁওড় হওয়ায় অনেক দিন ধরে গ্রামবাসীকে নৌকা পার হয়ে রাজগঞ্জ বাজারে আসতে হত। শত শত শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে নিত্যসঙ্গী ছিল নৌকা। তাই গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ঝাঁপা গ্রামের ৬০ জন যুবকের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁওড়ের ওপর ভাসমান সেতু তৈরি হয়েছে। সে ভাসমান সেতুটি ইতোমধ্যেই অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে।
৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করছেন এক হাজার ফুট লম্বা প্লাস্টিকের ড্রামের উপর প্লাস্টিকের ড্রামের সেতু। তবে কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্নের ভাসমান সেতু নির্মানের কাজটি তারা শুরু করেই শেষ করেন । তারা কোন প্রকৌশলীর মতামত এ ক্ষেত্রে নেননি। নিজেদের পরিকল্পনা দিয়েই ৮৩৯ টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮শ’ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল পাত ও ২৫০টি লোহার সিটের মাধ্যমে লোহার পাত দিয়ে একের পর এক ড্রাম যুক্ত করে তৈরি করে আট ফুট চওড়া এক হাজার ফুট দীর্ঘ সেতুটি। এ কাজটি করেছেন রাজগঞ্জ বাজারের লেদ কারিগর রবিউল ইসলাম। সেতুটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা তথা বিশ্বের ভিতরে ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছে এবং পর্যটকদের এবং স্থানীয় জনগণের সুবিধার্থে এখন আবার আট ফুট থেকে বার ফুট চওড়া করার কাজ চলছে এতে করে আশা করি জনগণের যাতায়াতের সুবিধা হবে।
কিভাবে আসবেনঃ
ঢাকা থেকে যশোরের বাস খুব সহজলভ্য। নামীদামি সব পরিবহন যশোর আসে। এসি, নন এসি সব ধরনের বাস আছে।
এসি বাসঃ ১২০০-১৫০০ টাকা
নন এসি বাস ৫০০-৬০০৷ টাকা।
ঢাকা থেকে ট্রেনেও যশোর আশা যায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ে ভোর ৭ টায়, আর চিত্রা এক্সপ্রেস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টায়। আবার বিমানেও যশোর আসতে পারেন খুব সহজে। ভাড়া ২৭০০টাকা থেকে ৩৩০০ টাকা পর্যন্ত। বিমান বাংলাদেশ সহ প্রাইভেট সকল বিমান দুই বেলা আসে যশোর।
যশোর শহরের পুলেরহাট থেকে সরাসরি রাজগঞ্জ এর বাস আছে, ভাড়া ৩৫ টাকা। আবার ইজি বাইক নিয়েও যাওয়া যায় ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা, আবর ইজি বাইকও চলে। যশোর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দুরত্বে এই সেতুটি। যাওয়া আসা ঘুরা একবেলাতেই সম্ভব। যেহেতু এখানে বাজার আছে সেহেতু খাবার সবকিছু পাওয়া যাবে।
ভাসমান সেতুতে উঠতে ৫ টাকা টোল লাগে। হাল্কা যানবাহন এর টোল ২০ টাকা পর্যন্ত আছে।
যশোরের ইতিহাসে আকর্ষনীয় জায়গার ভিতরে এই ঝাঁপা বাওড় ও ভাসমান সেতুটিও একটা জায়গা, এখানে বিনোদনের জন্যেও অনেক কিছু পাইবেন।
যত্রতত্র ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। আবর্জনা ডাসবিনে ফেলুন শুস্থ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়তে সহায়তা করুন।
@কপিরাইট//priyojhanpa.net. 2024. লেখক মুহা: মোশাররফ হোসেন।