গরীব চাষা
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
সকল মানুষ তাদের কর্মের ফলে পরিবর্তন হয়, হয় না কেবল খেটে খাওয়া সাধারণ চাষা, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ভাত তৈরী হয় তারাই সমাজে পরিবর্তন কম হয় এইটা আল্লাহর খেলা, এইটা আসলে খেলা না! আল্লাহর পরীক্ষা সেইটা এক মাত্র আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। যেমন যারা সমাজে এক সময় বিড়ি বানিয়ে দ্বারে দ্বারে বিক্রয় করে জিবীকা নির্বাহ করতো তারা কিন্তু আজ কোটিপতি, এবং মদ, গাজা বানিয়ে যারা দিন চালাতো তারাও আজ সমাজে বিত্তবান, কোটিপতি। আসলে এইটা কি আল্লাহর পরীক্ষা নাকি অভিশাপ তাহা আল্লাহই এক মাত্র ভাল যানেন।
বিড়ি বানিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে বিক্রয় করতো আজিজ বিড়ি এবং আফিল বিড়ি, এক সময় হাতে বানিয়ে বাজারে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতো, আজ তাদের কোম্পানি সারা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে স্থান পেয়েছে। আজিজ, আফিল বিড়ি কোম্পানি আজ মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি তথা আজিজ এবং আফিল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে রুপ নিয়েছে এইটাও কি পরম করুনাময় আল্লাহর খেলা না লটারীর মত ভাগ্যের পরীক্ষা?
আর মদ বা তাড়ি বানিয়ে এক সময় দিন চালাতো। আমার বাস্তব জীবনে দেখা মনিরামপুর এর হাসমত, যে এক সময় খেজুর গাছের পঁচা রস দিয়ে মদ বা তাড়ি বানিয়ে বিক্রয় করে সংসার চালতো সেই পরিবার ও আজ কোটিপতি? হায়রে আল্লাহর লীলা খেলা! বুঝা বড় বড় দায়: যেমন পবিত্র কুর-আনে সুরা আল এমরানের ২৬ এবং ২৭ নং আয়াতে এসেছে আল্লাহ যাকে খুশি ধনী বানান আবার খুশি তাকে গরীব বানিয়ে দেন। তবে আল্লাহ কি ভাল কাজ যারা করে তাদেরই বাশি পরীক্ষা করেন? হ্যা আসলে আল্লাহর ধর্যের পরীক্ষা কারন সুরা বাকারার মধ্যে এসেছে আল্লাহ ভাল কাজ যারা করেন তাদের জন্যই সুপথ। আসলে আল্লাহ বান্দাকে বুঝাতে চেয়েছেন, বান্দা যেকোনো কাজে আল্লাহকে স্বরণ করিলে আল্লাহ বান্দার সহযোগিতা করেন তাই ভাল কাজ হোক আর মন্দ কাজ হোক। আল্লাহ তা-আলা ভাল কাজ যারা করেন তাদের প্রতি বেশি বেশি সহযোগিতা করেন, ভাল কাজের ফল আল্লাহ বেশি বেশি দেন আর খারাপ কাজের ফল কম করে দেন এটাও আল্লাহ তার বান্দার সহজ করার জন্য করেন যাতে করে বান্দা খুশি থাকেন, যেমন বান্দা যদি ভুল করে খারাপ কাজ করে সেখানে আল্লাহ সহযোগিতাও করেন আর গুনা কম করে লেখেন আর বান্দা যদি ভাল কাজ করা বা করতে চায় তাতেও আল্লাহ বেশি বেশি সহযোগিতা এবং পূণ্যতা বেশি বেশি লিখেন, কারন আল্লাহ তার বান্দাকে সন্তানের মত ভাল বাসেন তাই।
এই পৃথিবীটা বড়ই অবাক! কারন এই দুনিয়াই যারা খারাপ কাজ :যেমন বিড়ি, গাজা, মদ যারা বানাতো তারাই আজ শিল্পপতি কিন্তু যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আল্লাহর এই বান্দার মুখে আহার যোগায় তারা আজ এই দুনিয়াই যেমন ছিলো তেমনি আছে। আজ যারা আল্লাহর এই বান্দার মুখের আহার অর্থাৎ ভাত বানাই তাদের কোনো পরিবর্তন নাই আসলে কি এইটা অভিশাপ? হয়তো আল্লাহর এইটাও লীলা খেলা হতে পারে: ধনী, গরীব সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয় তবে কেনো এই খেটে খাওয়া সাধারণ চাষা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা মুখে দুটো ভাত তুলি তারা কেনো পরিবর্তন হয়না! এইটাও হয়তো আল্লাহর কোনো লীলা-খেলা আছে। আল্লাহ তা-আলা বান্দার যেকোনো উপায়ে খুশি রাখার চেষ্টা করেন।
দুনিয়াটা বড়ই আযোব!
কেও বিড়ি বানিয়ে বিক্রি করে, আর গাজা, মদ বানিয়ে বিক্রি করে কোটিপতি হচ্ছে আর যারা আল্লাহর এই বান্দার খাওয়ায়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভাত বানাচ্ছে তাদেরকে আল্লাহ একই অবস্থায় রেখেছে এইটা একমাত্র আল্লাহর পরীক্ষা কারন আল্লাহতো নিজেই তার কথা পবিত্র কুর-আন পাকের সুরা আল এমরানের ২৬ এবং ২৭ নং আয়াতে বলে দিয়েছেন। আমাদের সকলকে আল্লাহর এই লীলা-খেলা বুঝার তৌফিক দিন (আমিন)