বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৭ই মার্চকে নিয়ে কিছু ইতি কথাঃ

May 19, 2023

বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৭ই মার্চকে নিয়ে কিছু ইতি কথাঃ

 ১৭ই মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন। বাংলার স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

বাংলার রাখাল রাজা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের নিভৃত গ্রাম টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।

বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করেছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তিসংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠেন তিনি।

প্রায় দুইশত বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশিক শ্বাসন শোষণ থেকে স্বাধীনতার জন্য উত্তাল ভারতের অগ্নিগর্ভে জন্ম নেন শেখ মুজিব। পরাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিব শৈশব থেকেই জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতন দেখেছেন। মানুষের দুঃখো, কষ্ট দেখে তাদের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজের জীবনকে উৎস্বর্গ করেছিলেন।

ব্রিটিশ শ্বাসন ও শোষণের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হলেও বাঙ্গালির ওপর জেঁকে বসে পাকিস্তানি উপনিবেশিক শ্বাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন। ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র শুরু থেকেই বাঙ্গালির ওপর নির্যাতনের স্টিম বুলড্রেজার রোলার চালাতে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে বাঙ্গালি। ছাত্রজীবন থেকেই বাঙ্গালির মুক্তির আন্দোলনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে। ধারাবাহিক পথ পেরিয়ে শেখ মুজিব বাঙ্গালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। একাত্তরের ৭ই মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙ্গালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকো, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো…’। বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত নির্দেশই জাতিকে স্বশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জোগায়।

চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সায়রা খাতুনের তৃতীয় সন্তান। ৭ বছর বয়সে তিনি পার্শ্ববর্তী গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, গোপালগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল ও পরে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন তিনি এবং এই কলেজের বেকার হোস্টেলে আবাসন গ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে শেখ মুজিব বিএ পাস করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি হোসেন সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শান্তি স্থাপনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অসম সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ মুজিব।

ভ্রান্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্না উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রসমাজ তথা বাঙ্গালি জাতি প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, এবং আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নেমে আসে অত্যাচার জেল-জুলুম নির্যাতন।

রাজনৈতিক জীবনে এক যুগেরও অধিককাল তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। দুইবার তিনি ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, ১৮ বার কারাবরণ করেছেন। পাকিস্তাানি শ্বাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। ’১৯৫২, ’১৯৫৪, ’১৯৬২, ’১৯৬৬- এর আন্দোলন আর ’১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক। আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯- এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে বাংলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসেন। তিনি বাঙ্গালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতা বিরোধী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘাতক চক্ররা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১.

কবিতা

 “বীর পুত্র শেখ মুজিব”

হে বীর পুত্র শেখ মুজিব’

তুমিই বাংলার শ্রেষ্ট সন্তান

টুঙ্গীপাড়ায় তোমার জন্ম!

তোমার জন্য এই বাংলার মাটি

হয়েছি আমরা আজ ধন্য।

বীর নয়কো তুমি’

তুমি মহান নেতা!

তাইতো তুমি হয়েছো 

আজ এই বাংলার জাতীর পিতা।

বাঙ্গালীদের তুমি যোগিয়েছিলে সাহস, যোগিয়েছিলে মনের শক্তি!

হে বীর পুত্র শেখ মুজিব তুমি বাংলা জাতীর পিতা’

তাইতো রইলো তোমার প্রতি এ-দেশের সকলের শ্রদ্ধা-ভক্তি।     

 “

২.

“পরাধীনতা”

স্বাধীন দেশে কেনো পরাধীন আমি?
আমার স্বাধীনতা খুন্নকারী কি তুমি?
আমার বলা হক্ব কথা তোমারবোমার মত লাগে.
তোমার করা ছুরিকাঘাত কি আমারমশার কামড়ের মত লাগে?
স্বাধীন দেশে বলতে পারছি না
সইতে হচ্ছে অন্যায়-সইতে হচ্ছে অত্যাচার!
আমরা স্বাধীনতা মানতে পারছি না,
করেছি মানবতা ধর্ষণ-করছি যে অবিচার।
হে বাঙালি,করছো কেনো স্বাধীনতাকে অপমান?
করছো না কেনো নিজ দেশকে সন্মান ? 

করেছো ভ্রাতৃত্ব খুন-নস্ট হচ্ছে স্বাধীনতার মান,
সকল বিভেদ ভুলে তুমিগড়ে তুলো মনে মনুষ্যত্বের নির্মাণ।
আকাশটার দূরত্ব যতদুর,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি ততদূর?
দেশ তো আমার স্বাধীন হয়েছে সেরা মানবের হাতে,
তবে স্বাধীন দেশে-স্বাধীন জাতীর রক্ত ঝরছে কোন পথে?
এ কি সেই দেশ?
যে দেশের সপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু,
কেমন হয়ে গেছে আজ এই দেশ?
খুজে পাচ্ছি না আজ,
কোথাও আছে কি মানবতার সামান্য মাত্র বিন্দু?
প্রতিবাদী হতে শিখেছি আমি ৫২ থেকে,
লড়তে শিখেছি আমি ৭১ এ বাংলা জাতীর পিতা থেকে।
বাংলা জাতীর পিতা যেমন ছিলেন প্রতিবাদী,
ছিলেন তেমনই সাম্যবাদী।
তার দেখানো পথে আমরা প্রতিবাদী,
আমরা মানবতার পক্ষে, সত্যের প্রতিনিধি।
লড়ে যাবো সত্যের পক্ষে,
ঘুরে দাঁড়াবো আমি মিথ্যার বিপক্ষে।
যদি বাঁচতে হয় মিথ্যা নিয়ে, নিষ্প্রাণ লাশ মনুষ্যত্বহীন হয়ে,
তবে সত্য পথে মরতে রাজি স্বীয় জীবন দিয়ে।
তবুও গেয়ে যাবো সত্যের গান,
যদিও কেড়ে নেবে আমার প্রান!

৩.

     “তোমার জন্মে ধন্য এ মাতৃভূমি”

তোমার ডাকে অস্ত্র হাতে করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ,

স্বাধীনতার পরশ পেয়ে আমরা হলাম পরিশুদ্ধ।

পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে উন্নীত করি বিজয়ের শির,

সারা বিশ্বে আশ্চার্য্যের চোখে দেখে এ জাতি বীর।

তুমি বাঙ্গালীর ইতিহাসের পাতাই রয়েছো সেই অমর মহা-কাব্য,

তুমি নাই বলে আজি মধুমতি হারাম নাব্য।

বীর বাঙ্গালীর হৃদয় তুমি রাজনিতীর মহা-কবি,

পতাকার ঐ লাল সূর্যটাই তুমি আছো এক উজ্জ্বল ছবি।

মুক্ত আকাশ, মুক্ত দেশ, সূর্যের মতো দিপ্তি ছড়াও সেই তুমি,

তোমার জন্মে ধন্য আমরা ধন্য এই মাতৃভুমি।

৪.

   “মুজিবকে জানতে হলে”

শেখ মুজিবকে জানতে হলে

জানতে হবে এদেশটাকে।

জানতে হবে শুরু থেকে শেষকে।

জানতে হবে ছয় দফাকে’

জানতে হবে হামলাকে,

জানতে হবে আগরতলা সড়যন্ত্রমুলক মামলাকে।

জানতে হবে তার স্ব-অধিকার আন্দোলনের মর্মকে।

জানতে হবে জেল-জুলুমের আগলভাঙ্গা কর্মকে।

জানতে হবে বঙ্গবন্ধু উপাধী আর ভোটকে,

জানতে হবে সত্তর সালের দশজনে মিলে আলোচনাকে।

জানতে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে।

জানতে হবে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনকে।

জানতে হবে ২৫শে মার্চ স্বাধীনতার লড়াইকে।

ভাঙলো কারা পাক-হানাদার বড়াইকে?

জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ১৬ই ডিসেম্বরকে।

জানতে হবে এ বিজয়ে স্বজনহারা লোকদেরকে।

জানতে হবে মুক্কতিযুদ্ধের সেপ্টেম্বরকে।

জানতে হবে ১৫ই আগস্ট কা-লো রাতকে।

জানতে হবে এদেশ স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে।

জানতে হবে এদেশের সকল ইতিহাসকে।

জানতে হবে তোমার নিজকে।

বুকে ফোটাও বাংলার জনকের বীজকে।

  ৫.

“১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি”

পাক সেনাদের হামলায় বাংলার মাটি রক্তে রঞ্জিত অকস্মাৎ,
বাঙ্গালী জাতির মুক্তিযুদ্ধে পাক সামরিক জান্তার স্বপ্ন চির ধূলিসাৎ।
বাংলাকে দখল রাখতে গনহত্যা নারী নির্যাতন আগুনে করল শ্বশ্মান,
বঙ্গবন্ধুর বজ্র ডাকে থর থর করে কেঁপে উঠল পাকজান্তার অভিযান।
রাজাকার আলবদর বাহিনী গড়ে বাংলায় বিছাল হিংস্র শকুনের ডানা,
সসস্র মুক্তি যুদ্ধের দূর্বার আঘাতে বিনাশ হয়ে গেল পাকিস্তানীদের হানা।
পাক বন্দি শিবিরে রক্তচক্ষু হায়নারা বঙ্গবন্ধুকে ঠিক দেখে নিয়ে নিল,
স্বসম্মানে মুক্তি দিতে হবে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তীব্র সচ্ছার ছিল।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম হলো’
বিশ্বের ভ্রাত্রি প্রতীম সকল দেশ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল।
বাংলা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ এর১০ই জানুয়ারী কারাগার হতে চির মুক্ত হলেন,
বিশ্ব নেতাদের সাদর সম্ভাষনে শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু লন্ডনে চলে গেলেন।

৬.

“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন”

আন্দোলন সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে
বঙ্গবন্ধু তুমি এনে দিলে স্বাধীনতা ,
বাংলাদেশের স্থপতি তুমি মুজিব
তুমিই আমাদের বাংলা জাতির পিতা ।

আজও ফুটেনি সে ফুল বঙ্গবন্ধু
যে ফুল ফুটাতে চেয়েছিল ,
ফুটেনি সে ফুল যার লাগি তুমি
নিজ জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলে ।

সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তুমিই
প্রথম আমাদের দেখিয়েছিলে ,
সাম্য মৈত্রীর বাঁধন থাকবে হেথা
থাকবেনা কান্না কথা দিয়েছিলে ।

শোষণ বঞ্চনা দুর্নীতি মুক্ত সমাজ
গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি ,
আজও তার দেখা পাইনি’

কারন দেশে যে চলছে দুর্নীতির সুনামি ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক বাহক যারা
বঞ্চিত মানুষের পাশে তাদের চাই,
দুর্নীতি দুঃশাসনের বেড়াজাল ছিড়ে
উন্নয়নের পথে তাদের যেন আবার পাই ।

৭.

১৬ই ডিসেঃ  “বাঙ্গালীর বিজয়”

শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে,

স্বাধীনতার সাধ জেগেছে বাঙ্গালীর প্রানে।

সমস্ত বাঙ্গালীর মনে একই ভাবনা,

কোনো অশুভ শক্তিকে পরায়ন করি না।

হিংস্র ঘাতকদের থাবায় ২৫শে মার্চ কা-লো রাতে,

নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে বাংলীর ভূমিতে।

রক্তের বন্যায় এদেশটিকে নিশ্চিহ্ন করতে,

ঘাতকেরা আঘাত হেনেছে দিবা-নিশিতে।

তারপর ও বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সাধ,

বাঁড়িয়েছে মনোবল ভেঙ্গেছে ঘাতকদের বাঁধ।

দেশপ্রেমের আদর্শ আর মানবিকতা,

বাঙ্গালীর হৃদয়ে দিয়েছে মুক্তির বার্তা।

দীর্ঘ ৯মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পতিক্ষণে,

নানা শ্রেনী, পেশাদার বাঙ্গালীর অংশগ্রহণে।

৩০লক্ষ শহীদ আর লক্ষ-লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে,

অবশেষে বীর বাঙ্গালীদের হয়েছে বিজয়।

    ৮.            

         “যুদ্ধলব্দ সম্পদ”

হুনাইনের যুদ্ধ ও তায়েফের অবরোধ

যুদ্ধ শেষে বন্টিত হলো, গনিমতের সম্পদ।

মক্কাবাসী নবীসম্রাট, দু হাত ভরে দিলেন

সেই তুলনায় আনসারগণ সামান্য কিছুই পেলেন।

যুবক বিয়সী কিছু আনসার দুঃখ প্রকাশ করলেন

নবীজি তা শুনে সকলের সমবেত হতে বললেন।

নবীজি সেখানে দান করলেন কালজয়ি এক ভাষন

সমাবেশে শুধু হাজির ছিলো মদিনার আনসারগন।

ফিরে যাবে ঘরে মক্কাবাসী, নিয়ে উট ও ছাগল!

তোমরা ফিরবে সঙ্গে নিয়ে, আল্লাহু তা-আলার “রাসুল”

নবীর কথায় আনসারগন, কান্না শুরু করলেন

দিক-বিদিক জ্ঞান হারিয়ে, চিৎকার করে বললেন সম্পদের কোনো প্রয়োজন নাই

আমরা শুধু রাসুলকে নিয়ে, বাড়ি ফিরে যেতে চাই।

কতই না সৌভাগ্যবান তারা, মদিনার আনসারগন

নবীসম্রাট তাদের মাঝে থাকবেন আজীবন।

৯.

         “নির্বাচন”

আসছে দেশে নির্বাচন
চলছে পকেট ভারীর আয়োজন।
কেউ ব্যাস্ত চাইতে ভোট
কেউ বা গড়ছে নতুন জোট।
এই সময়ে সবাই ছুটে
জনগনের দ্বারে দ্বারে,
এদের কি আর দেখা যাবে
কোন দিন ক্ষমতায় গেলে?
বেমালুম সব ভুলেই যাবে
পাস করেছে কাদের ভোটে।
আসছে দেশে নির্বাচন
সচেতন হোন জনগন,
মনে রাখা প্রয়োজন
ভোট সবার অধিকার!
এটা কোনো বেচা-কেনার পণ্য নয়,
লোভ, লালোসার দরকার নয়’
ভেবে চিন্তে দিতে হয়।
আসছে দেশে নির্বাচন’
যাচাই বাচাই করে নিন!
ভোটটি আপনি দিবেন কাকে?
যে নির্বাচিত হলে পরে
কাজ করবে দেশের তরে!

১০.

    “১৫ই আগষ্ট”

যে দাঁড়কাড়ি প্রতি ডেকে ডেকে ক্লান্ত

যে ব্যাকুল সারথি তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো মেঘজলের প্রার্থনারত;

যে প্রিয় আসবে  বলে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা প্রতীক্ষায় রাখে

যে স্বৈরিণী নিপুন ছেলে ভেঙ্গেছে হৃদয়টাকে-সে-ও বড় বন্ধু বটে।

সে সুহৃদ রক্তের ঋণের কথা ভুলে যায়

যা আপনজন, আপনজনকে ফেলে ঘোর অমানশিকতায়;

যে  আহারের জন্য দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার কড়া নাড়ে

যে রমণীর সতীত্বের নিলাম হয় রাতের আধারে-তাকেও বন্ধু বলি।

যে যুবক ১৫ই আগষ্টের শোকমিছিলে না যায়

যে মানুষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির  দাবিতে রাজপথে নামে নাই

যে মানুষের মনে গোপনে জঙ্গীবাদের বীজ চাষ;

যে প্রজন্ম জন্মোৎসবের আড়ালে জাতীয় শোককে করে উপহাস।

১১.

         “শোকের রাতে”

শ্যামলের দেশে পাখিরা শোকে গায় গান,

ঘরে-ঘরে বয় শোক-বান হাসি খুশি ম্লান।

প্রিয় নেতার ছবি ভাসে’ শোক দিনে মনে পড়ে কী যে!

বঙ্গবন্ধু নেই শোকের দিনে চোখ জলে ভিজে।

জালিমেরা কাড়ে সুখ’ সব দুঃখে নামে কান্না,

ভালোবাসা নেই কেড়ে’ আহা কাড়ে মুক্ত পান্না!

কোটি-কোটি প্রানণে গাঁথা আছে’ ফুলে ফুলে বুঝি,

আগস্টের এই দিনে সবখানে ভালোবাসা খুঁজি।

বঙ্গবন্ধু” অন্তরতে ঠা্ই চিরোদিনই খাঁটি,

রক্তে ভেজা তার দেশ, সেটাই বাঙ্গালীর ঘাঁটি।

     ১২.    

 ১৫ই আগস্ট    “কালো রাত”

কালো রাত’ ভীষণ কা’লো রাত’

এ-টি দেশের ইতিহাসে এক আধার ঘণ কা’লো রাত।

যে রাতে থমকে গিয়েছিলো একটি দেশ,

অভিভাবকহীন করেছিলো সেই রাতে’ করেছিলো নিঃশেষ।

সেই রাতের পর কবি, সাহিত্যিকের কলমের কালি ফুরিয়েছিলো,

হৃফয়ের গোহিনে সেই স্মৃতিগুলো হয়ে আছে অসমাপ্ত।

সেই রাতে একটা জাতীকে করা হয়েছিল পিতুহীন,

সেই রাতের পর মানুষ-মানুষকে চিনতে পারে নহে।

সেই রাতে ভেঙ্গে যায় জাতীর সকল স্বপ্ন,

সেই রাতে হারিয়েছে জাতীর চোখ,

যে চোখ ছিলো একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।

সেই রাতে ১৮টি গুলি একটি দেহে বিদ্ধ হয়নি;

বিদ্ধ হয়েছিলো একটি জাতীর বুকে।

সেই রাতের পর

 ঘুমিয়ে গেছিলো একটি জাতী,

সেই জাতীকে কেউ জাগিয়ে তুলিনি তারপর।

সেই জাতী পারলো নার স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখাতে;

সেই রাতে হারালো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জন্মদাতাকে।

সেই কা’লো রাত ১৫ই আগস্টের রাত’

গায়ে রক্ত মেখে নিলো চির বিদায় দেশ গড়ার কারিগর,

হারিয়ে যাবে না কভু এই হৃদয় থেকে সেই দেশ-জয়ী কারিগর।

বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই বাংলা আছে,

বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন আকাশ-বাতাস এই বাংলার আছে,

বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই পতাকা বাংলায় আছে।

বেঁচে রবে ততোদিন’ যতোদিন এই বাঙ্গালী নামের জাতী আছে,

বাংলার বন্ধু মুজিব নামে ইতিহাসের পাতায় “জাতীতে” একবারেই আসে।

(“গভীর শুকাহুত জানাই ১৫ই আগষ্টের সেই কা-লো রাত নামক রাতের”)

১৩.

      “শেখ রাসেল”

এক যে ছিলো ছোট্র শিশু ক’চি কোমল প্রাণ,

রোজ সকালে নিতো মায়ের আঁচল ভরা ঘ্রাণ।

সূর্য উঠার আগে সেদিন ঘুম ভেঙ্গে যায় তার,

অন্ধকারে হাতড়ে দেখে নেই ঠিকানা মার।

যে শিশুটি মার আঁচলে স্বপ্ন হাজার বুনে,

সেই মায়েরই শাড়ির আঁচল রঞ্জিত আজ খুনে।

লুটিয়ে আছে নিষ্ঠুর দেহ বাবা ও মায়ের,

শুয়ার ঘরে লাশ পড়ে আছে ভাবি ও ভায়ের।

এ সব কান্ড করলো কারা?ভেবে না পায় কুল,

যা দেখছো সত্যি নাকি? নাকি মনের ভুল?

ভুল নয় গো যা দেখলো যা সবই মীর জাফরের কাজ,

গুলি খেয়েই মরতে হবে শেখ রাসেলের আজ।

এমন সময় পিছন থেকে এক হায়েনা তেড়ে,

ছোট্র শিশু শেখ রাসেলের প্রাণটা নিলো কেড়ে।

গুলির ঘায়ে ঝাঁজরা হলো শেখ রাসেলের বুক,

জাতীর এমন লজ্জাতে আজ কোথায় লুকাবো মুখ।

১৪.

“রাসেলের জন্মদিনে”

দিনটি ছলো ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টবর”

ফুল ফুটে সৌরভ ছড়াতেই চায়,

ফুলের ছড়ানো ঘ্রাণ সকলেই পায়।
শিশুরাও ফোটা ফুলের মতোই নিষ্পাপ হয়,
আচরণেই ফুটে ওঠে তার সেই পরিচয়।
রাসেলও ছিলো ঠিক সেই প্রিয় ফোটা এক ফুল,
শিশু এই মানুষটির ছিলো নাতো কোনো ভুল।
এই জন্ম  দিনে তাই খুঁজে ফিরি তাকে,
মন বলে সে যদি আজও এসে সাড়া দিতো ডাকে!

রাসেল আর আমাদের মাঝে নাই’

কারণ ঘাতকরা রাসেলের প্রান নিয়ে গেছে তাই!

       ১৫.  

           “৭ই মার্চ”

দিনটি ছিলো ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ;

৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল
বিদ্রোহী শ্রোতার জন্য!
একটি শান্তনার বানী শুনে
অপেক্ষার উত্তেজনা হবে ধন্য।
দিগন্ত প্লাবিত একখন্ড
আকাশের নিচে,
মিশেছিল প্রানের প্রিয়
ধু-ধু মাঠের সবুজে।
কপালের কব্জিতে লাল-সালু বেঁধে
ছুটে এসেছিল এই মাঠে,
মৃত্যু হাতের মুঠোয়, চোখে স্বপ্ন
জয় বাংলার শ্লোগান ঠোটে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন এসে
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে।
ঝলকে পলকে হৃদয়ে লাগিলো দোলা,
তরীতে উঠিল পাল,
জনসমুদ্রে জাগিলো জোয়ার
চোখেতে লোনা জল।
সোনালী সূর্যের সকল দুয়ার খুলি
কে রোধে দিবে সে বজ্রকন্ঠ বাণী,
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে
শোনালেন তাঁর অমর-ভাষন খানি:
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।

             জয় বাংলা।।

১৬.                     

     “১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন”বাংলা জাতির পিতা বীর নেতা বঙ্গবন্ধুর  শুভ জন্মদিন,
বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে মুছবেনা কোনোদিন।
জাতী আজ স্মরণ করছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,
তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে বাংলার মানুষের ভালোবাসায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন,
শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙ্গিন।
পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,
ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙ্গে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে বীর নেতা,
তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।
তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে বীর নেতা,
তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।
পাকিস্থানের শাষক গোষ্টির ২৪বছরের দুঃশাসন,
দিয়েছিলো অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভাষন।
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে লিখেছিলো ইতিহাস,
আর যেনো তাকে বিকৃত করার পায়না দুঃসাহস।
সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায়, মমতায়, দুর্বলতায়,
আপামোর বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত্বায়।
তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বাঙ্গালি তোমায় হে’ শেখ মুজিবুর রহমান।

১৭.

        “২৫শে মার্চ”

দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ,

২৫শে মার্চ অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ভয়াল রাত,
অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ১৯৭১ সালে
ওরা বাঙ্গালীদের করেছিল নিপাত।
মেরেছিল ৩০ লক্ষ মানুষ, করেছিল লুটপাট,
নির্বিচারে পাকিস্তানি সৈনিকরা চালিয়েছিল গুলি।
নিয়েছল ইজ্জত বহু মা বোনের, উড়িয়েছিল খুলী।
এমনি করে টানা নয় মাস চলেছিল অত্যাচার,
বীর বাঙালীরাও বসে ছিলনা হাতে তুলে নিয়েছিল হাতিয়ার।
৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের হয়েছিল জয়,
১৬ই ডিসেম্বর তারা করেছিল আত্নসমার্পন;
কারণ তাদের মনে ছিল মরনের ভয়।
সেই বাঙালীর উত্তরসরী তোমরা, মাথা নীচু করে কেন হাঁটো?
যুদ্ধাপরাধী আছে যত বাংলাতে; সব যাবে ফেঁসে,
১৯৭১ সালের ন্যায় এদেশের জনগন আবার যদি গর্জে ওঠে!!

১৮.

“মহান ২৬শে মার্চ”

সংগ্রামী চেতনায় বিজয়ের উল্লাস,

হাসি গান আর আবেগের প্রকাশ।

জন্ম অধিকার বাঙ্গালী

বিশ্ব মাঝে বাংলা জাতীয় ইতিহাস।

যার নেপথ্য নায়ক মহান ২৬শে মার্চ,

মায়ের অপত্য স্নেহ, বোনের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা;

ঐক্য, সম্প্রীতি, সদ্ভাব-

মহান ২৬শে মার্চই যার উদ্ভব।

মুক্তির আত্নপ্রতয়ে ভাংলো যারা শিকল,

আনল যারা স্বাধীনতা’

আমরা তাদের ভুলিনী এবং ভুলব না।।

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিইয়ে

আর বলার অপেক্ষায় থাকে না

আমরা আজ স্বাধীন।

আমরা আজ স্বাধীন সংগ্রামী চেতনায়,

বিজয়ের উল্লাস থাকবে মোদের

আনন্দ হাসি গান আর জাতীয় চেতনায়।

কেউ ছুটবে ফুলের তোড়া নিয়ে

কেউ বা ফেস্টুন হাতে,

রঙ্গীন আভা নিয়ে উদিত হয় সূর্য টা

পূর্ব আকাশে।

সে কোন আগ্রহ আর ব্যাকুলতা,

অনেকে হয়তো আজও জানোনা

কেনো ফিরে আসে এই দিনটা?

এখনো সেই সব বাঙ্গালী রাজাকার, খুনিরা তাদের খানা গ্রাসে এই দেশটাকে নিয়ে আসতে চায়;

এই দিনে প্রতিবাদ হোক তাদের, আমাদের এই স্বাধীন বাংলায়।

১৯.

              “রক্ত দিয়ে গড়া এ বাংলাদেশ”

এইতো মোদের দেশ

সোনার বাংলাদেশ।

সোনার চেয়েও দামী,

রক্ত দিয়ে গড়া এদেশ

আমার জন্মভূমি।

মাছে-ভাতে নানা ক্ষেত্রে

বিশ্বে আছে সুনাম,

দুর্নীতির শিকার হয়ে

কামিয়েছে বদনাম।

সেদিন যারা শুত্রু ছিল

দেখতো বাঁকা চোখে

মায়ের চেয়ে মাঁসির দরদ

দেখায় তারা মুখে।

একাত্তরের কথা আমার

আজও মনে পড়ে,

এখন যেনো বসত করি

দুই সতিনের ঘরে।

এসো ভাই সবে মিলে

আমরা দেশ গড়ি,

ভাইয়ে ভাইয়ে মিলে-মিশে

আল্লাহর পথে চলি।

২০.

       “মানবতার জয়”চাইনি কভু রাজসিংহাসন চাইনি ক্ষমতা,ছড়িয়ে আছি মোরা বাংলার বুকে আমরা বহু ইসলামী জনতা।এম,পি,মন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হবো এই আশা মোদের নয়,কুর-আন, হাদীছের আলোকে চেয়েছি বিশ্ব মানবতার জয়।যুগে যুগে মোরা সংগ্রাম করেছি বীর খালিদের বেশে,স্বাধীনতা মোরা এনেছি সোনার বাংলাদেশে।ইসলাম নামধারীরা ক্ষমতায় এসে আমাদের বানিয়েছে জঙ্গীবাদী,দেশপ্রেমিক হয়েও দেশদ্রোহীর অপরাদে অনেকে বন্দীশালায় সময় কাটাচ্ছে নিরবধি।সালাফে ছালেহীন এভাবে বুঝি সহিতেছে কারা নির্যাতন,দুঃখ পাবার মোদের কিছু নাই এটা পূর্ব্বর্তীদের অনুসরণ।কারাগার আর খোলা ময়দান যেখানেই মোরা থাকি,দেশ ও জাতীর জন্য জীবন মোদের সর্বদা বাজি রাখি।২১. “আসল দল”সত্য করে বলরে তোরা ইনসাফ করে বল,ইসলাম নিয়ে ভাগা-ভাগী কোনটা আসল দল?দলাদলির নাইকো ভিত্তি আমল হবে সার,কুর-আন হাদীছ জেনে শুনে সঠিক আমল কর।একটি দল মুক্তি পাবে সেটাই রাসুলের দল,পীর-বুযরগো গাউছ-কুতুব যাবে রসাতল।হিসাব-নিকাশ হবে একদিন মীজানের পাল্লায়,বাহাত্তর দল হবে জাহান্নামী করছো দলের বড়াই?দলাদলি ভুলে গিয়ে আমল করো খাটি,সব ক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে ঠিকানা হবে মাটি।এসো ভাই সবাই মিলে করি দ্বীনের কাম,আহলে হাদীছ নামেই একটি দল’ নেই কোনো উপনাম।      ২২.                           “আশায় জীবন”সব আশা আমার জীবনের নীড়েজানিনা জীবনে আসবে কি ফিরে কেউ, বহু কষ্ট বাসা বেঁধেছে এই মনেমন ভাঙ্গা বহু আবেগের ঢেউ।আপন মনে মুগ্ধ হইয়া আপন মনও যে আজ হইলো পর!আমার আবেগের সুচনা কভু আগের মতো যে নেইনা খবর।আমার মনের সুজনে প্রথম দেখিয়া হইলাম মুগ্ধ,আজীবন অন্তরে দিলে পীড়ত বিদায় তোকে ঠায় দিয়ে হয়েছে আমার অন্তর দগ্ধ।দুঃখ বেদোনা সবারই আছে,আছে যাওয়া আর আসার পালা!ফুলের মতো পবিত্র আমার এই জীবন,সেই ফুলের মালা তোমার জন্য গেথে আজ মুগ্ধমন।শেষ আরতি বন্দি বানিয়েআমার স্বপ্নের প্রিয়জন,রজনী আমার ডুবে গেছেতবু কাছে টানে আমার মন।২৩.”অপেক্ষা”
তুমি আমাকে ভুলে যাবে! আমি ভাবতেও পারিনি।আমাকে মন থেকে মুছে ফেলেতুমি আছো এই সংসারে,হাটছো বারান্দায় মুখ দেখছো আয়নাই!আঙ্গুলে জড়াচ্ছো চুল!দেখছো তোমার সিথি দিয়ে বেরিয়ে গেছে অন্তহীন উদ্যানের পথ,দেখছো তোমার হাতের তালুতে ঝলমল করছে রুপালী শহর,আমাকে মন থেকে মুছে ফেলেতুমি অস্তিতত্বের ভু-ভাগে ফুটাচ্ছো ফুলআমি ভাবতেও পারিনি।যখনি ভাবি হঠাৎ কোনো একদিন তুমি আমাকে ভুলে যেতে পারো,যেমন ভুলে গেছো অনেক আগে পড়া পুরানো দিনে সেই স্মৃতি।আর আমার আর্তনাদ ঘুরপাক খেতে খেতে অবসন্ন হয়ে এক নিশ্চুম সময়,ভ্রশট পথিকের চিৎকারে হারিয়ে যায় এই বিশাল মরু-ভুমিতে।বিদায় বেলায় সাঝটাজ আমি মানিনাআমি চায়  তুমি আবার এসো ফিরে, সব অশ্লীল বর্বর চিৎকারে স্তব্দ করে,ফিরে এসো তুমি ফিরে এসো আমার এই ছোট্র চিলেকোঠায়,মিশে যাও স্পন্দনে আমায়।২৪.”আমি বড় অসহায়”আজব মন অবুঝ হয়ে যায় যখন তখন’
হিংসুটে বেত্তমিজ, বেহায়া আর বেপরোয়া মন,
অসময়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করে;
অন্যের সুখে হয় অধৈর্য্য;
অবলীলায় বিষন্নতার সাগরে খায় হাবুডুবু
সাঁতার জেনেও ভুলে যায়,
ভাসতে ডুবতে সকালের স্নিগ্ধতা হারায়
পুড়িয়ে মারে মধ্য দুপুরের রোদের ঝল্লিকা….
মিষ্টি বিকেলের এলোমেলো হাওয়াও হারায়;
ঝটিকায় গোধূলী বেলা হারিয়ে, মন স্থান পায় কালোয়।
পুরু সময় জীবনের মানে বুঝতে বুভুৎসায় যায় কেটে;
মুহুর্তেই সে হয় একেবারে মহাখাপ্পা,
কোন সুখটা সে পায়নি?
অঢেল সুখ তার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
হাত বাড়ালেই চাঁদও ধরা দেয়,
চাকচিক্যের ভিতরে তবে কেন একা!
পরিকীর্ণ মন সুখে হয় পরিক্লিষ্ট;
বাহ্যিক স্বাচ্ছন্দ্যে আত্মার সন্তুষ্টিতে বিরোধ মনের
এ যেন জনম জনমের শত্রু…।

লেনদেনের ভালবাসা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে বার বার…
স্বার্থমিশ্রিত ভাললাগা, ভালবাসা, স্পর্শগুলো.
অবজ্ঞা ভরে উগরে দেই মিথ্যার ডাস্টবিনে।
বেহায়া মন সব জানে, সব বুঝে
চতুর না হলেও বোকা সে তো নয়!
যা হয়নি, হবার নয় বা পাবার নয়;
তবুও সে কেনো হয় অবুঝ,
অকারণে ক্লিষ্টতায় হয় পিষ্ট;
নয়নকোণে অশ্রু জমায়…।
তবে কি সে আমার নিয়ন্ত্রণে নেই?
প্রকৃতি হাত করছে! তারে!
হে প্রকৃতি মাসে মাসে তনকা দিব
ছেড়ে দে আমার হাতে তারে;
অথবা মন্ত্র শিখতে চাই; বা
মনকে সম্মোহনে আয়ত্বে আনার কৌশল,
কে শেখাবে আমায়???
মনের কাছে আজ আমি বড় অসহায়।২৫.                     “কিছু পাবার আশায়”বেহেস্ত পাবার আশায় অথবা স্বর্গের নেশায়,যদি তুমি করো সকল কর্ম চিৎকার করে বলবোদ্বার্থহীন কন্ঠে বলবো স্বার্থবাদীতায় তোমার ধর্ম।তোমার দায়িত্ব আছে আমাদেরও তো আছেআমরা বুঝি না সে মর্ম! শুধু কি স্বর্গ পাবার জন্যনাকি দায়িত্ব আছে অন্য?শুধু কি স্বর্গ পাবার আশা    আমার প্রশ্ন?কেনো হলো মানব কুলে জন্ম?                   ২৬.”দায়িত্বটা আমার”আমি তোমার লোক দেখানো ভালোবাসা চাই না।প্রকাশ্য ব্যাস্তপথে চেচিয়ে শুনতে চাই আমি তোমারি “ভালবাসি”তারপর তুমি রাগ দেখিয়ে গাল ফুলিয়ে চলে যেতে পারোতবে তোমার রাগ ভাঙ্গানোর দায়িত্বটা আমার।আমার দেওয়া কষ্টের চোটে, রাতে কেঁদে বালিশ ভিজাবে চুপে, চুপে,পরদিন জিজ্ঞাস করবো” তোমার চোখ ফোলা কেনো?তখন বলবে” তোমার বানানো মিথ্যা অজুহাত আমি আর শুনতে চাই না।এক দৃষ্টিতে শুনতে চাই তুমি মাথা নিচু করে বলো আমার সকল অপরাধ।পরে নিজেকে শুধরাবার দায়িত্বটা আমার।রোদে পুড়ে দাঁড়িয়ে লাল হয়ে অপেক্ষা করবে তুমি,আর আমি কোনো রকম তাড়াহুড়া না করেই ধীরে তোমার সামনে হাজির হবো।তারপর সবার মতো তোমার কঠোর দৃষ্টির হাজারো প্রশ্ন,আমি শুনতে চাই না।চাই তুমি দুর্বল গলায় বলবে”পথে অনেক জ্যাম ছিলো বুঝি?এর পরে এক ঘন্টা আগে এসে দাঁড়িয়ে থাকার দায়িত্বটা আমার।রাতের বেলায় আমি তোমায় অ-নেক গল্প শুনাবো,তুমি কিন্তু না বুঝেই বললে’ “অনেক সুন্দর” হয়েছেআমি শুনতে চাই না তোমার এরকম প্রশংসা।চাই না তোমার এই নাটকীয় ফর্মালিটি।চাই’ আমি’ বিনিময়ে বলবে”আমি তোমার আগা-মাথা কিছুই বুঝিনি”পরে তোমায় নিয়ে অ-নেক গল্প, আনন্দ দেওয়ার দায়িত্বটা আমার।তোমার বিধিমতে এমন প্রেম ভালোবাসার আমার দরকার নেই।আবার তোমার লোক দেখানো ভালোবাসার আমার প্রয়োজন নেই।আমি এসব অভিনয় বুঝে নিতে পারিনা।আমি যে এতো সব বুঝে নিতে পারিনা’সেটা যেমনটা বুঝা উচিত!তেমনি মাঝে, মাঝে, অতিরিক্ত যে কিছু বুঝে ফেলি সেটাও তোমার বুঝা উচিত।  ২৭          
              “কর্তব্য”রোদের প্রখরতায় তার গায়ের ঘাম মাটিতে ছুঁয়েছে,জ্বরের ঘোরে ঔষধ না খেয়েও টাকা জমিয়েছে,তালিযুক্ত শার্ট বার,বার স্যালাই করেছে,সুখকে ধৈর্য্যের বোতলে আমানাত রেখে সন্তানের হাসি মুখ কিনেছে!এগুলো একটা বড় দৃষ্টান্ত,এটা আমার এবং আমাদের বাবার দৃষ্টান্ত।অথচ বাবার বয়সের উপসংহারে কেউ পড়ে থাকে অবহেলার আশ্রয়ে;কারোর বাসিন্দা হয় বৃদ্ধশ্রমেকারো চোখের অশ্রুতে একাকীত্বের চিলেকোঠা পরিপুর্ণ হয়!অথচ তারা ছিল আমাদের শৈশবের খুটি, দুর্বল কালের অন্ন।তাই অবজ্ঞ কিংবা অবহেলা নয়;”বাবা”হোক আমাদের মাথার মুকুট,আর “মা” হোক আমাদের শৈশব,তাদের অসুখে আমরা হবো ঔষধ;তাদের ক্ষুদায় আমরা হবো অন্ন,তাদের দুর্বলতা সরিয়ে আমরা হবো খুটি,তাদের একাকীত্বে আমরা হবো তাদের ভরসার ছায়া।। ২৮.    “প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকে”প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকেইচ্ছে হয় হারাতে পাহাড়ি নদীর বাঁকে,দুর্গম পথ পেরিয়ে পাহড় জয়ের নেশাপ্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে নিজেকে ভালোবাসা।বর্ষায় প্রপাতের সৌন্দর্য দেখার বড় স্বাদচুপ করে ঘরে বসে বৃষ্টি দেখার আহ্লাদ,পিচ্ছিল পাথুরে পথে দুঃসাহসিক অভিযানএই দুর্গম মন পেরোবে হাতে নিয়ে প্রান।পশু-পাখির কলোরবে মুখরিত চারিধারএখানে ফিরতে যেনো মন চাই বার-বার,ক্লান্তি শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা জ্বল পানএক মুঠো ভাত খেয়ে ফিরে পাই দেহে প্রান।চুড়োয় বসে নক্ষত্ররাজির মাঝে দিবো ডুবএমন জোৎসনা রাত্রির সান্নিধ্য চাই খুব,প্রকৃতি প্রভু তোমার কোলে দিও ঠাইতোমাকে জানার আশায় অজানাতে হারাই।সন্ধ্যার আকাশে সঙ্ক্ষচিলের দল উড়েবাগানে প্রজাপতি দল বেঁধে ঘুরে ফিরে,হাসনাহেনা ফুলে সুভাসিত চারিধারপ্রকৃতির মাঝে খুজে পাই শ্রান্তির পারাবার। গগনে শুভ্র চাঁদ নক্ষত্রের সাথে হাসেকোমল মায়াবী আলোয় চারিপাশ ভাসে,কোথা হতে গুন-গুন করে পাখিরা গেয়ে উঠে গানঝর্নার পানি তার সাথে দেয় কলোতান।নদীর জলে ময়ূরপঙ্ক্ষী যায় দেখাপ্রকৃতির প্রতি পরতে অপরুপ স্নিগ্ধতা,পাখির মতো মন ছোটে দর্শনেপ্রকৃতির ভিন্ন সাজ ভিন্ন ঋতুর আগমনে।প্রকৃতির উদার দান মানবের তরেঅজস্র ডালিতে তার রুপের সৌন্দর্য ঝরে,চর্ম-চক্ষুর স্বার্থকতা-প্রান ভরে পরাকৃতির সান্নিধ্য গায়ে মাখা।    ২৯.      “কবর স্থান”ঐ দেখা যায় কবর স্থান ঐ আমাদের ঘর।ঐ খানেতে থাকতে হবে সারা জীবন ভর।ঐ কবর তুই চাস কি?টাকা পয়সা নিস কি?ঘুষ আমি খাই না মুমিন বান্দা পাই না।একটা যদি পাইঅমনি তারে জান্নাতে পাঠাই।আর বে-নামাজি মুনাফিক যদি পাইঅমনি তারে জাহান্নামে পাঠাই।   ৩০.                  “অত্যাচার”অত্যাচার তোমরা করেছো ওরা মুসলিম ছিলো বলে।মনে রেখো মানুষওদের কি ছিলো দোষ কেনো নির্মম হলে?একটু চাওয়া ওদের অধিকারথাকিবে সমান্তরাল।কেড়ে নিলো সরকার অধিকারবুকে গুলি মারো রক্তাক্ত কেনো হাল?হিন্দু তুমি ক্ষমতা পেয়েছোহিংসা কেনো করো?ইসলাম মানে শান্তির বানীবিস্তারিত বই পুস্তাকে পড়ো।লেলিয়া দেওয়া মানুষ তুমিপশুর মতো মন।ভালো মানুষ সাধারণ হয়নোংরা কতোজন?মায়া নাই কোনো দেখেছি,মুসলিম মেরেছে মায়ানমার।ভারতীয় মানুষ হিন্দু বেশীতাই করেছে অত্যাচার।ওরা মসজিদ ভেঙ্গেছে, মানুষ মেরেছেঅন্যায় ছিলো না তেমন।রোহিঙ্গা মরেছে সারা বিশ্ব জেনেছেবিচার পায়নি এমন।মুসলমানেরা আজ ও ঐক্য হলো নাঅত্যাচার দেখে আর থাকে চুপ।সেই সুযোগে মুসলিম মরেএকাই লড়ে বুকে খায় কুপ।৩১.”আবেদন”দেখো হে প্রভু দুনিয়াই অনাদরে কতো ভাইপথশিশু, বিধবার কান্না,সালওয়া দাও আজ ও অভাবের সংসারেআবার পাঠাও সেই মান্না।যেনো হাজার মানুষ বাঁচে সেই খানা আহারেক্রন্দনে বুক ভাসা, আজ হাসি মুখে থাক,মাজলুম, ক্রীতদাস দুখেরই নির্বাসেএই দুনিয়াই স্বর্গের সুখ টুকু পাক।অনেক মানুষ আছে আমাদের আশে-পাশেযাদের গুনে নেওয়া যায় পাজরের হাড়অনাথের শ অভাব সবগুলো মুছে দাওদয়া করো হে প্রভু আবেদন করি বারবার।ধনাঠ্যশালীদের মনটাকে করে দাও প্রভুসাগরের চেয়েও বেশি উদারএতিমদের প্রতি যেনো সবার নজর থাকেএই আবেদন করি হে প্রভু তোমার দরবার।৩২.”সত্যের আহ্বান”
ওহে গোলাম!গড়ে তুলি এসো প্রিয় নবীজির জিন্দেগী,
সত্যের আহবান ছাড়া যে জাহেলী মরণ হবে বন্দেগী।
যত তুমি হও সম্পদশালী কিংবা বড় কোন ক্ষমতাবান!
নবীর দর্শন প্রতিটা গোলামের প্রতি প্রভুর ফরমান।
পঞ্চ সোপান প্রভূর আদেশ এখানে বিকল্প কিছু নেই,
ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত তাঁর বিধানেই।
অন্ধ, বধির, ধনী কিংবা গরীব একই বার্তা জানি,
পথ ভ্রষ্ট গোলামের রন্ধে রন্ধে বহে ঐ দুষ্ট জ্ঞানী!
প্রভুর গোলামেরা ইসলামের পতাকা তলে এলে
উম্মতের সাফায়ৎ নবীজি করবে বিচার কালে!
এ নিখিলের ঘোর আঁধার মুক্তি আলোক সাগরে,
কাজে আসবে না যদি না তুমি আকড়ে ধর তারে!
ওহে গোলাম, গড়ে তুলি এসো চিরো সত্যের জিন্দেগী,
বাতিলের মুক্তি কোরআন হাদিস তরে, হে সঙ্গী!
আজি পাপের বিরুদ্ধে তোর জিহাদী ঝংকার মাতাবি,
ওহে গোলাম, জেগে তুলি এসো ইসলামের ঐ জ্যোতি!
নবীর দর্শন ছাড়া মানবতা কি ফিরবে এ ধরা ?
তবে কেন ছদ্মবেশী যতো সব বিদ-আতের ধারা!
বাতিলের মন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে অহী করো বিজয়ী,
হে গোলাম, তোমরা নবীজির উত্তরসূরী প্রত্যয়ী।
ক্ষণিকেরা কার মোহে ফাঁদে পড়ে গোলামেরা এই আঁধার পৃথিবী?
ওহে ফিরে আই সত্যের আহ্বানে’ এখানে তোরা জিদবী!
৩৩.
ত্বীন নিয়ে  “বিবেকের কাছে প্রশ্ন”করছি শুরু পরম দাতামহান দয়ালুর নামে।শফথ ত্বীন জয়তুনের শফথ পর্বত সিনাইনেরএই শফথ নিরাপদ নগরীরসৃষ্টি করেছি সৃষ্টির সেরা, মানুষ সুন্দর ধীর!অতঃপর আমি তাকে নিচ থেকে অতি নিচেফিরিয়ে নিয়ে যাই,তবে তাদেরকে নয়;যারা ঈমান্দার ও সৎকর্ম পরায়ণতাদের জন্য রয়েছে পুরুস্কার বিতরণ;তবু কেনো তোমরা মহা-প্রলয়ের অবিশ্বাসী হণ?আল্লাহু কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?৩৪.       “দয়ার অথৈ সাগরে”তোমার পথের সন্ধান পেয়েও চলছিবে-পথে হে প্রভুতবু আমায় করছো কৃপাবাঁচিয়ে রেখেছো তবু।পারতে তুমি শাস্তি দিতেআমায় না দিয়ে অন্নপারতে আজাব গজবে আমায়করে দিতে বিচ্ছিন্ন।তোমার দয়ার অথই সাগরেডুবে আছি সারাক্ষণতোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতাকভু করি না আজীবন।তবু ও বেঁচে আছি আমিতুমি দয়া করেছো বলেগোনাহগার চিরো কাঙ্গাল দীনক্ষমা করে দাও এই অধমের ঋণ।এসব কিছুইতো ঘটছেতোমারই সৃষ্টি বলে।৩৫.          “অনুশোচনা”প্রতি কদমের হিসাব যদি তুমিনাও হে আমার প্রভুএক পাও এগিয়ে যাওয়ারক্ষমতা নাই কভু।ভুলে ভুলে চলছি সদামানি না কভু তোমার বাঁধাচলছি কেবল শয়তানি আরগোমরাহির কু-পথে’জানি না মহা-প্রলয়ে কি আচারণকরবে তুমি আমার সাথে।তোমার ভয়ে করছে কম্পনএই অধমের ফুর-ফুরে মনতোমারি কৃপার পাথার বিশালযার নাই কোনো সীমানা!হে প্রভু! ক্ষুদ্র আমি’ বান্দা তোমার’করে দাও মোরে ক্ষমা।৩৬.          “পাপ মোচন করো”পাপের মাঝেই বেঁচে আছি প্রভু বহুকাল ধরে এ আমার দোষ, এ আমার পরাজয় জানিতাই তোমার কুদরাতি পায়ে সিজদায় নত স্বরেতোমারই গুণকীর্তণ করি, আমি পাপী অপমানি।ক্ষমা চেয়েও শত গোনাহ করি, এ আমার দোষতবে কখনোই তোমার সাথে শরিক করিনি কারোজেনে-নাজেনে করেছি রচে গেছে এ আমার পাপকোষক্ষমা করো হে প্রভু তুমি আমায় ক্ষমা করো।দুনিয়ার লোভে পড়ে সদা চলেছি গায়ের জোরেএই হতোভাগা অমান্য করে তোমার আদেশ-নিষেধতোমার ক্ষমারই চাদরে ঢেকে নাও এ-পাপিরেপ্রভু! তোমার হুকুমের সাথে আমায় রেখো অভেদ।জীবনের অনেকটা পথ কেটেছি অবাধ্যতার মাঝে’আজ সকল অবাধ্যতা থেকে অব্যাহতি নিতে চাইপরাক্রান্ত হে প্রভু! পাপ থেকে উদ্ধার করো আমাকে জানি আমি, তুমি ছাড়া ক্ষমাকারী আর কেউ নাই।শেষ ভরসাই ক্ষমার আশাই, তোমার দুয়ারে আজমিনতির সাথে লজ্জিত শিরে নত হয়ে গেছি’পাপের জন্য আর মহা-প্রলয়ের দিওনা লাজযতদিন রাখবে এ-ভুবনে তোমার বাধ্যতায় যেনো বাঁচি।৩৭. “অতীত বলে কিছুই নেই”আমার অতীত বলে কিছুই নেই,আছে কিছু স্মৃতি বেদনা-ভরা,আমার ফাগুন বলে কিছুই নেই,আছে কাটার জ্বালা বুক-ভরা।।দুঃখের পরে আসে সুখ,সুখের পরে আসে দুঃখ,জানি এই নিয়মে চলছেতো ধরণী-আমার দঃখের পরে আসে দুঃখ,আমার সবই মিথ্যা দিয়ে গড়া।।রাতের শেষে দিন আসে,দিনের শেষে আসে রাত’আমার কিন্তু রাতের পরে আসে-না প্রভাত-আমার জীবন বলে কিছুই নেই,আছে প্রাণ এক যিন্ত্রনা-ভরা।।      ৩৮.        
      “ভাগ্যের লেখন”সৃষ্টির সুচনায় প্রতিটি বিকাশেভুমিকা রাখিলো কলম,কতো আগে তাহা জানা খুবই কঠিনমানব লয়নিত জনম।স্রষ্টা সবের মহান দয়াময়আরশে ছিলেন যবে,মানব জাতীর হয়নি সৃষ্টিআসেনি তখন ও ভবেআরশে আযীমে বসে একদা পয়দা করলেন ভাগ্যের লেখনী,সৃষ্টি কুলে উত্থান পতনেভাগ্য করিতে পারে নির্ধারণী।লওহে মাহফুজে লিখিতেছিলোভাগ্যের পরিনাম ফলাফল,তাহা হতেই তার চলিছে কর্মচলিবে তাহা চিরকাল,সৃষ্টির সেরা মানব জাতীর ছিলো না কোনোই জ্ঞাণ,স্রষ্টার বাণী মন্থলে হাছিলোকরিয়া তাহা গভীর ধ্যান।অমুল্য জ্ঞাণের অনেক কিছুইআসিয়াছে মসি হ’তে,জানা গিয়েছে তাহা নিশ্চিত করে ঐশী বাণী মতে,ভাগ্যের লেখন রহিয়াছে অমুল্য লেখনী দ্বারা,কি কাজ করিবে কি ফল পাবেধারা-ধামে এসে তারাসেই ধারা হ’তে ধারাবাহিকতায় ভুমিকা রাখিয়াছে সেরা,জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন তারই প্রস্রবণ দ্বারা।রচনা করিলো ইতিহাসবেত্তাজগতের বিস্ময় ইতিহাস,ধরিয়া রাখিলে ঘটিতো ববরণউত্থান-পতন সর্বনাশ।এখনো উন্নতির সেরা হাতিয়ারসেই লাখনী ব্যাবহৃত. বিকল্প এর পাবে না কখনওতৈরী হওক যন্ত্র যতো,জীবন-সমাজ ঢেলে সাজাতেধরিতে হইবে কলম,আহবান ভাগ্যের লেখন লেখার পরেস্বার্থক করিবে সারা জনম।৩৯.          
      “শেষ ঠিকানা”জন্ম যখন হয়েছে মরতে একদিন হবে শেষ ঠিকানা হবে কবর,এই দুনিয়ার রঙ্গের মেলায় কে রাখে তার খবর?যাদের জন্যে জীবন-যৌবনবিলিয়ে দিলে প’থে,দম পুরালে ধরা দেয় না চায় না আপন হ’তে।খাচা ভেঙ্গে পরান পাখি উড়াল দেবে যেই,ঠিক তখনই দেখবে তোমার আপন কেহ নেই।সঙ্গ হবে চিরোতরে ভবের বেঁচা-কেনা।যেতে হবে পরপারেসঙ্গী-সাথী বিনা।যতই থাকুক অট্রোলিকা রাজ সিংহাসন,সব কিছুই রইবে পড়েওরে অবুঝ মন।ধনী-গরীব রাজা প্রজা এক কাতারে রবে,শ্মষান কিংবা কবরস্থান শেষ ঠিকানা হবে।৪০.       “পবিত্র জুম্মাহ”পবিত্র জুম্মাহ, মহা পবিত্র দিন,মহা বরকতময় দিন হেসেবে মন করো এক্বীন।এমন দিনে যে হতভাগা নামাজে না যায়,সে পাপী মহান আল্লাহর গোস্বায় পড়ে যায়।চলো ভাই মসজিদে জুম্মায় শরিক হইবরকতময় ইবাদতে জলদি শামিল হই।উত্তম পোষাক আর সুগন্ধি ব্যাবহার করা যে সুন্নত,জুম্মার ফযীলত অর্জন করতে পারা বড়ই নিয়ামত।জুম্মাহ’র নামাজ ত্যাগ করে, কেহ যেনো দুর্ভাগ্য না হই,জুম্মাহ’র মাধ্যমে আল্লাহর রহমতের নজরে রই।আল-হাদীছে জুম্মাহ’র অশেষ ফযিলত,জুম্মাহ হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অসীম নিয়ামত।৪১.     “হেদায়েতের পথে ডাকো”শুভ যাত্রায় হাঁটি  প্রভুকে সাথে রেখেপ্রার্থনায় সাজাই নিজকে ধর্ম-পথে মহোৎসবে,এই জনস্রোত যেথা যায় পদচিহ্ন শুধু প্রার্থনায়যেথা সন্ধানে হাঁটি যদি তারে না পাই, থাকি অন্ধকারে।মনের ভিতর তরঙ্গ-হিল্লোলে তার রুপ দেখিআমার শ্রাবণে ভিজি স্পর্শে পরশ-ধারা,এমন জীবনে আমার প্রার্থনার জগতে কোনোদিন পাইনি এমন সৌরভ বাতাস।আমাকে নিয়ে চলো জলদি দুয়ার খোলো সাবধানে,এই ঘরের মর্মার্থে ভক্ত সব যাত্রী।প্রাচুর্য শস্য ভান্ডার এই গৃহে কে দিলো এসব কল্যানকার নিয়ামত!তারে খুজি আমার হৃদয় কাঁপনে কাঁপে এই পৃথিবী,দিবা-নিশি তারে স্মরণ করি কল্যাণ বৃষ্টি চারিদিকে।তোমরা মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকো,অবশ্য এই কল্যানকার সংগ্রাম চলবে কিয়ামত পর্যন্ত,এ পথেই শান্তি, এ শুভ যাত্রা, সৌরভ গৌরবের,জনস্রোতে; এই মহোৎসব কল্যানকার পথে হাটো আর ডাকো।৪২.      “সঠিক পথে চলো”সঠিক পথে চলোরে ভাই সঠিক কাজ করো,কুর-আন ও হাদীছের মতে নিজের জীবন গড়ো।সঠিক কাজ, ভালো কাজ করোরে ভাই সঠিক পথে চলো,মিথ্যা কথা ছেড়ে দিয়ে সত্য কথা বলো।খালেছভাবে তওবা করো ফেলাও চোখের পানি,আল্লাহর পথে বিলিয়ে দাও তোমার জীবনখানি!   ৪৩.  
       “হিসাব দিতে হবে”মিথ্যা কথায় গুজব তুলে,ভুগছে কালা জ্বরে!উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে,চলছে জগৎ জুড়ে।দুঃখে যাদের জীবন গড়া,তাদের আবার দুঃখো কিসে।তবু তাদের দুঃখো আসেচক্রান্তকারীদের ঐ জালে।সত্যের পথে যারা আছে,করবে নাতো তাদের ভয়!বিপদে যারা ধৈর্য ধরে,আল্লাহ তাদের সহায় হয়।রেহাই পাননি কোনোদিনমহা-মান্য খলীফাগণ।হক্বের দাওয়াত দিতে গিয়েঅনেকে জীবন দিয়েছে বিসর্জন।ওরা নাকি জোট বেঁধেছে?সকল দল এক হয়ে!ইসলামের তারা ধার-ধারে নাপীরবাবাদের দরবারে গিয়ে “মজমা” বসায়।বাড়ির মালিক চুরি করে,দোষী হলো রাখাল!সত্য কথা গোপন করে,রাখবে আর কতো কাল?সরকারের পাতানো ফাঁদেকতো আলেম উলামা বন্দি হয়!এ সব কিছুর ভুলের মাসুল দিতেই হবে,তাহার কোনো বিকল্প নাই।৪৪.            “বিদ-আত”ধর্মের নামে, ইবাদতের মধ্যে নতুন কিছু বাড়তি আবির্ভাব করাই হলো বিদ-আত।ক্ববুল হবে না নফল, ফরজ, ওয়াজিব, কোনো ইবাদত,যে ব্যাক্তি করিবে বিদ-আত।বিদ-আত করলে মানুষ হবে পথভ্রষ্ট,বিদ-আতির আমল হয়ে যাবে সব নষ্ট।হাউজে কাউছারের পানি পাবে না করলে বিদ-আত,বিদ-আতীর জন্য নেই রাসুলের পাবে না কোনো শাফা-আত।যদি বিদ-আত করে কোনো সম্প্রদায়,সমপরিমান সুন্নাত সেখান থেকে উঠে যায়।বিদ-আতীরা সারা জীবন করে যায় ভুল,বিদ-আতকারীদের তওবা হয় না ক্ববুল।বিদ-আতীদের জন্য আল্লাহ ও রাসূলের অভিশাপ,ভেবে দেখো বিদ-আত কতো বড় পাপ?বিদ-আত করলে মানুষ হয়ে যায় গোমরাহ,গোরাহীর পরিনাম হলো জাহান্নাম।সালাতের পরে হাত তুলে সম্মিলিত মুনাজাত, মিলাদ, শবেবরাত!শরীয়াত সবগুলোই নিঃসন্দেহে বিদ-আত।হে বিদ-আতিরা হও হুঁশিয়ার সাবধান,শরীয়াতে নতুন আমল সবই হবে প্রত্যাক্ষান।আসুন সবাই মিলে বিদ-আত মুক্ত জীবন-জাপন করি,রাসুলের আদর্শে আমল করে জান্নাতী জীবন গড়ি।৪৫.   “সময়ের জাগরণ”
সূর্য ওঠে পূর্ব দিকে, পশ্চিমে যায় অস্ত!সময়টা খুব অল্পরে ভাই দ্বীনেতে হও ন্যাস্ত।ওরে বোকা, ওরে নির্বোধ, ভাবছো না তো আজ,পর জগতের জন্য তুমি! করছো কি কাজ?কৃষক যদি অসময়ে করে বীজ বপন,পায় না সে তো জমিন থেকে উত্তম রুপে ফলন।আসবে যখন বিভীষিকা,জীবন অবসান!সেই সময়ের কথা ভাবোখোজো পরিত্রান।৪৬.    
    “এলো ফাগুন”প্রকৃতিতে সুর উঠেছে, ফাগুন এলো দ্বারে;
বরতে হবে বসন্তরে রাঙ্গা’ পুষ্প হারে।
রাজপথ ছেয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার লালে,
চতুর্দিকে সুবাস ছড়ায় হরেক রকম ফুলে।
রুদ্র-পলাশ, স্বর্ন-শিমুল, পলাক-জুই এর সাথে;
রক্ত-কাঞ্চন, ক্যামেলিয়া, ইউক্যালিপটাসও আছে।
মহুয়া, অশোক, কুসুম, কুরচি সুগন্ধ ছড়ায়;
দেবদারু আর গামারি ফুলেও মুগ্ধতা মেলায়।
বৃক্ষ শাখে নব বৃন্ত- ঝরা পাতার শেষ;
গাছের শাখে রাঙ্গা পাতা দেখতে লাগে বেশ।৪৭.     “পহেলা বৈশাখ   বছর ঘুরে এলো আবার পহেলা বৈশাখ,বাঙ্গালী তাই সেজেছে আজ নববর্ষের সাজ!জাতিভেদ ভুলে গিয়ে এক কাতারে তারা,বর্ষবরনের আনন্দে হয়েছে দিশেহারা!পান্তা ইলিশ, পিঠাপুলি আর বৈশাখী মেলায়”নাচে গানে উল্লাসে মঙ্গল শোভাযাত্রায়;হাল খাতার রঙে রঙিন বাজারে দোকান,একই কন্ঠে তারাও গাইছে সাম্য মৈত্রের গান!এসো তাই ভুলে যাই জাতি বর্ণ বিদ্বেষ,সারা বছর মিলেমিশে থাকবো মোরা বেশ।৪৮.   স্বভাব
কিছু লোকের আছে এমন স্বভাব
গিবত গেয়ে চলে”
তিলকে তারা তাল বানিয়ে
মিথ্যা কথা বলে।দেখতে তারা পায় না কভু
পরের ভালো কাজ”
বিদ্বেষে গা জ্বলে একটুওনেই তাদের লাজ!ঘরের খেয়ে পরের কাজের
ছিদ্র ওরা খোঁজে”
তলে তলে ঠিকই আবারতারা নিজের ভালো বোঝে!
এমন মানুষ সমাজটাতে দেয় কালিমা লেপে”
সঠিক কথা বললে পরে লোক দেখানোর জন্য
উল্টো ওঠে খেপে!!!                        ৪৯.                        “মুখোশধারী”সমাজে আছে কিছু সুবিধাবাদী লোক-ভালো মানুষকে পাগল করার দিক দিয়েই শুধু এদের ঝোঁক।এরা সকলেই সমাজের মুখোশধারী!এরা সকলের চোখে ভালো সেজেই থাকে,যতো সরল সাদা মানুষ পড়ে এদের ফাঁদে! মিথ্যা দিয়ে সাজানো কথা বলায় এদের ঝুঁড়ির মেলা ভার!এদের সঙ্গে পাল্লা দিবে, সেই সাধ্য আছে কার?অপবাদ আর গঞ্জনা দেওয়াই এদের একটা স্বভাব;ধর্ম, কর্ম, আর বিবেকবোধের এদের বড়ই অভাব!এই সব মনের গলোদকে করো পরিহার’দূর থেকেই করো সালাম’ কাছে যেয়ো না আর। ৫০.
             .                “মাহে রমজান”

আহলান সাহলান মাহে রমজান ঘুরে ফিরে ঘরে ঘরে এলো যে রমজান রহমত বরকত মাগফিরাতের হে মাহে রমজান।আহলান সাহলান,আহলান মাহে রমজান,রহমতের মাস,ক্ষমার পেয়ালা মাগফিরাত অফুরান।উপবাসে আল্লাহ খুশী আল্লাহ আল্লাহ জয়গান,আহলান সাহলান মাহে রমজান।ক্ষমার দুয়ার খোলা এমন আল্লাহ স্বয়ং দিন প্রতিদান, পাপী তাপী যতো আছো তার দিকেই হও আগুয়ান।দানের খাতা,প্রাণের খাতা খুলেই দেখো হে আমান, আহলান সাহলান মাহে রমজান। বছর শেষে বোনাসের মাস পবিত্র এ রমজান,ধুয়ে মুছে দিবেন প্রভু সকল পাপের খতিয়ান।সেই কাতারে শামিল করো রহম করো হে রহমান,আহলান সাহলান মাহে রমজান।৫১.”রমজানের শিক্ষা”
আসলো ছিয়াম মোদের দ্বারেশিক্ষা দিতে রামাযানের,ছিয়াম সাধনায় দীক্ষা নিতেপারবে কি ভাই সবজনে?আল্লাহভীতি দিবা-রাতিসর্ব কাজে যার হৃদয়ে, সেই তো পারে শিক্ষা নিতে বসতে ছাওমের মসনদে।ছিয়াম সাধনার পরেও যাদের আল্লাহভীতি জাগলো না,শয়তানী আর বদ খাছলত মন থেকে মোটেও তাদের ভাগলো না।৫২.

“দুর্নীতিবাজ”
আমরা সবাই দুর্নীতিবাজমিথ্যা কথা বলি,মিথ্যা খবর ছাপিয়ে ছড়াইদেশের অলিগলি।দোষীকে আমরা ছেড়ে দেই মোরা নির্দোষকে রাখি জেলে,ঘুষের টাকায় পকেট ভরীএকটু সুযোগ পেলে।শিক্ষককে বানাই সন্ত্রাসী মোরা রাজাকে বানাই চোর,দুর্নীতি দ্বারা উন্নয়ন করিকালো টাকা যতো মোর।৫৪   “তাক্বওয়া”
বলতে পারো এই জামানায় কে আসল মুত্তাক্বী?আদর্শ যাহার হয় রাসুল (সা:) এর, পয়লা তাকে ভাবছো কি?ভাবতে পারো সঠিক এটা ভাবনা তোমার মন্দ না,চিন্তা করার মুক্ত দুয়ার কারো তরে বন্ধ না।সঙ্গী যাহার নিত্য দিনের সূদ, ঘুষ আর দুর্নীতি!রাসুল (সা:) এর মতো পোষাক থাকলে সে কি হবে মুত্তাকী?রাখলে কিছু অর্থ-কড়ি সংগোপনে তাহার কাছে!পাইতো ফেরৎ সঞ্চয়ী সে বহুত বহুত পাচ্ছে লাভে।আল্লাহর দেওয়া বিধান যতো দু’চরণে পড়লো যে,প্রান্তসীমা পেরিয়ে সদা বিপক্ষতে চললো যে,সবাই তাকে বলছে মুখে লোকটা বড় মুত্তাক্বী!লম্বা জামা, পাগড়ি শিরে আল্লাহ ভীতির শর্ত কি?লক্ষ টাকার লোভটা যে জন ছাড়তে পারে নি:শেষে,সুন্দরীর ঐ হাত ছানিতে দেয় না সাড়া ফিন শেষে।সত্য কথা যার মুখেতে নিত্য দিনে শুনতে পাই,পরের হাতে যে জনেতে হরহামেশা জান খোয়ায়,পোষাক কিছু ঘাটতী বলে মুত্তাক্বী কেউ বলবে না,চালাকি আর প্রতারনা আল্লাহর কাছে চলবে না।আল্লাহর ভীতি যার হৃদয়ে আছে সব সময়ে হয় না ভুল,এটাই হলো ঠিক তাক্বওয়া ভক্ত আল্লাহর ধক্ত মূল।৫৫.                  “অভিমানী”
ভাবছি আমি একাই বসে, হচ্ছে কি সব আমার সাথে?যাকে আমি চাইছি পেতে দূরে ঠেলে দিচ্ছি তাকে।সে আমাকে কাছে টানে, আমি ও টানি মাঝে মাঝে।আবার দিচ্ছি দূরে ঠেলে ,দু-জন দু-জনাকে।ভাবছি কি যে চাইছি আর কি যে পাচ্ছি,কিছুই আমি বুঝি নাতো!স্বরুপ তোমার ভালো না খারাপ সেটাও মাথায় ঢুকছে নাতো!রাগের কথা পাড়া জানে তুমি কি কিছুই শুনোনি?রাগের মাথায় করি যে ভুল তাও কি তুমি বুঝোনি?তবে কেনো এমন করে দিলে আমায় রাগিয়ে?তাইতো তোমায় অমন করে দিলাম আমি ফিরিয়ে।মিষ্টি কথায়, মিষ্টি ঝগড়ায়, রাগ যে আমায় কমেনা!এতোদিনে তুমি বুঝি এটুকু ও আমায় চিনলে না?রাগ কমেছে বুদ্ধি খুলেছে বসে আছি একেলা!কখন তুমি আসবে ফিরে করছি আমি অপেক্ষা।আসো ফিরে বসো কাছে, বলো; আছে যা তোমার মনে!মিষ্টি হেসে রাগটা ভুলে নিবো’ তোমায় আপন করে। ৫৫.                               “আল্লাহ মহান”আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান,তুমি যে করুণাময়, অসীম দয়ালু মেহেরবান।নেই তুলনা তোমার সাথে আর কারোরই,তুমিই তো, রহমানুর রহীম, তুমি যে প্রভু- দয়াবান।দুনিয়াতে আছে যত পাপী আছে গুনাহগার,তোমার দয়ায় সবাই পায় মাফ যত গুনাহ তার।করতে পারি না তোমার প্রশংসা যতটা পাওয়ার,হয়েছি অকৃতজ্ঞ, ভুলেছি তোমায় মোহে পড়ে দুনিয়ার।তবুও তুমি দিয়েছো সব, রক্ষা করেছো আমাদের প্রাণ,আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।করি না তোমার গোলামী, বানিয়েছি অংশীদার,রাখিনি মনে তোমার করুণা, বানিয়েছি রাহবার।মনেরও গহীনে বাসা বেঁধেছে, কীট যত অকৃতজ্ঞার,তোমার দাসত্ব করি না আমি, নিয়ামত খেয়েও তোমার।তোমার নামেতে ডুবে থেকেও করছি তোমারই নাফরমান,আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।মাশরিক থেকে মাগরিব আমি যেদিকে তাকায়,তুমিই যে প্রভু, ওগো তুমি প্রভু, মনে পড়ে যায়।নীল আকাশ, দক্ষিণা বাতাস, ঢেউ ভরা সাগর,ধু-ধু মরু, আর সবুজে ঘেরা এই নিপুন সংসার।গেয়ে শেষ হবে নাকো ওগো, তোমার গুণগান,আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান।
৫৬.       “আমার লাল টুক-টুকে মেয়ে”আমার টুক-টকে মেয়ে রাগ করেছেকে দিয়েছে গালি? তার কে দিয়েছে গালি?রাগ করে সারা গায়ে মেখেছে সে কালি।যখন রাগ করে সুন্দরী অভিমানী মেয়ে!আরো সুন্দর লাগে তার হাসি মুখ খানি,গায়ে লাগানো কালিকে তার করে দেই আলো,আমার টুক-টুকে মেয়ের অনুরাগের প্রদীপ জালি।পরেনি সে গহোনা-গাটি বাঁধেনি সে কেশ!তারই কাছে আমি হার মানি এই ভূবনে বেশ।রাগিয়ে সে কাঁদে যখন দু:খে!দয়াময়ী মেয়ে আমার ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে।আমার মামনিটা বড্ড রাগি!তাই তারে দিই জবা ফুলের ডালি৫৭.  “বঞ্চিত”
আমি পৃথিবীর সকল শুখ-শান্তি থেকে বঞ্চিত,স্পর্শহীন কারো প্রাণের প্রথম ছোয়া হতে বঞ্চিত!বঞ্চিত আমি কারো মনের প্রদীপ জ্বালানোর অধিকার পেতে,বঞ্চিত আমি কারো চোখের প্রথম দৃষ্টিনন্দন হওয়া থেকে।বঞ্চিত আমি কারো হাতের প্রথম গোলাপ হতে,পারিনি আমি কারোর ভালো-বাসার পাত্র হতে।স্বপ্নেও কারো প্রথম কল্পনা হতে আমি পারিনি কভূ,কেউ দেয়নি স্থান আমাকে তার প্রথম গলিতো স্পর্শ মনের।ফাঁগুনের কৃষ্ণচূড়া রঙ্গে লাল আভা ছড়ানোর দিনে,দু-র থেকেও কেউ ভালোবাসা দিতে আসেনি মোর পানে।কারো নুপুরের ছন্দে আঁকুল হয়ে আমি শিহরিত হয়নি,কেউ জাগায়নি আমাকে ধমকের সুরে প্রভাত ভোরে।যখন দিন শেষে সন্ধ্যা নামে একটিবার ও কেউ দেখার আকুতি করেনি,একা একা ক্লান্ত হয়ে ফিরেছি বাড়ির পথে হেঁটে।ঐ, যে দু, চোখের কাজল তাও পারেনি কেউ মোরে দেখাতে,ভোলাতে চায়নি কেউ কখনো, সকল মনের বেঁদোনা ভালোবাসে!দু,হাতে কাঁচের চুড়িতে কেউ সাঁজেনি আমার মনের মতো,কপালে নীল বা লাল টিপ পরে কেউ আমাকে দেখাতে আসেনি একটিবারও।প্রেমের ছন্দময় কবিতা, গান, কেউ শুনায়নি আমায়,কেউ, তার প্রথম স্বর্গের স্বপ্ন আঁকেনি আমায় নিয়ে।যখন রাতে ঘুম আসেনা আঁধারের সাথে বন্ধুত্ব করি,তখনো কেউ বলেনি এসো আমরা গল্পো করি।দু:স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভীত হয়ে যাই,তখন কেউ বলেনা; ঘুমাও আমি আছিতো পাশে ভয় নাই।কারো ভালোবাসার প্রথম নামে ভূষিত হইনি আমি,অমুল্য হতে পারিনি কারো কাছে কোনো কালে।সামান্য ভুল হলে কেউ ঝগড়া করেনি,শাসায়নি কেউ নিজের বাধ্যের মতো করে।কেউ তার চুলে হাত বুলানোর অধিকার দেয়নি আজও,পলকহীন দৃষ্টিতে কেউ দেখেনি আমায় সামান্য সময়ে।কেউ বলেনি তোমার জন্যই নিজ হাতে রেধেছি ডাল মাছ,কারো হাসির কারণ হইনি কখনো প্রথম অশ্রুর দোষী হতে।জানি কারো প্রথম স্বপ্ন বালক হওয়ার সুযোগ হবেনা আমার,নিন্দিত আমি ভালোবাসা অ-নেক দামী তাই।তবে চাঁদকে দেখতে, তার আলো মাখতে দোষ নেই যেমন,অযোগ্য হয়েও বসে আছি অপেক্ষায়’ কি হতে পারে কারোর মিলন?৫৮.     “সুযোগ সন্ধানী”
স্বার্থপরেরা আপন বেশে
দাঁড়াবে আপনার পাশে!
স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে
ভুলে যাবে শেষে।
মুখ ফেরাবে হেসে-হেসে
অশ্রুতে ভাসাবে বুক;
মধু মি:সৃত মুখ।
দু:খি সাজবে আপনার দু:খে’
ছুরি বসাবে আপনার বুকে।
যদি নিতে হয় কারো ঋণ!
তবে প্রেমিক হৃদয় খুঁজে নিন।        ৫৯.   
     “নামে মুসলমান”অদ্যপি জানি না পড়তে কুর-আনএইতো মুসলিমের পরিচয়।বে-পঅর্দায় মুসলিম নারী ঘুরিয়া বেড়ায় জগৎময়,পেরমের নামে অবৈধ স্বংস্রবেপর-পুরুষের সাথে লিপ্ত হয়।লোভের বশে অস্ত্র চালায়সহোদর ভাই-বোনদের গলায়,পরকে ঠকিয়ে সুখের আশাইনিজের আবাস সাজায়।সুদ-ঘুষের অবৈধ ব্যাবসায়কোটি-কোটি টাকা করি আয়,মিথ্যা বলিতে পরের কুৎসা রটাতেপরাণে নাহি পায় আল্লাহুর ভয়।মুয়াযযীনের কন্ঠে যবেমধুর আজান শুনা যায়মত্ত তখন টিভি দেখায়মগ্ন তখন গান-বাজনায়।নাহি মানি আল্লাহুর আদেশমানি না আদেশ রাসুলের,লম্বা-কুর্তা পাগড়ী বড়দাড়ির আকার ও দীর্ঘ ঢের।কুর-আন হাদীছ মানি না আমিস্বীয় মর্জি মাফিক জীবন কাটাই।আসল মুসলিম নাকি নামধারী মুসলিমস্বীয় মনকে জিজ্ঞেস করিলে সহজ উত্তরটা পাই।।৬০.”ঈদ উৎসব”আজকে খুশীর বসলো মেলাঈদগাহের ঐ ময়দানে।সাজলো নতুন ভূষণে সবলাগলো দোলা সবার মনে।ছিয়াম সাধনা শেষ হ’লে পরেআসলো দ্বারে ঈদের দিন,নাইতো কারো দুঃখো-ব্যথাসবার মনে খুশীর দিন।ঈদের খুশী সবার তরেসমানভাবে বণ্টনে?ছিয়াম সাধনায় নিঃস্ব-গরীবনিচ্ছে না তারা কোনো মনে?যার পরিধানে ছিন্ন কাপড়তৈল বিহীন মাথায় চুল;নাই পাদুকা চরণ দু’টোয়সব নিরাশা শূন্য কূল!বাচ্চাগুলোর পোষাক দিতেপড়ছে যারা লজ্জাতে;নাই টাকা তাই উপোষ থেকেযাচ্ছে তারা ঈদগাহতে।হাত পাতে যে অন্য দ্বারেঅল্প কিছুর দরকারে,ঈদের খুশীর দিনটি তারাকেমনভাবে পার করে?তাদের তরে হয় না কভুঈদের খুশীর ফুর্তিটা।রবের দ্বীনের বিজয় কতনউড়বে যে দিন এই ধরায়,ঈদের খুশীর সুখ লহরীভরবে সে দিন পূর্ণতায়।৬১.”ঈদের শিক্ষা”শুধু ঈদের দিন হাসি-খুশীক্ষণিকের ভালো বাসা-বাসি,ছিয়াম রাখেনি অতিভোজী মানুষঅন্তরে অতি হিংসা রেষারেশি।ছালাত-ছিয়াম ছাড়াই বেশি খুশীরাজকীয় পোষাক দেহে অহংকারী হাসি;অসহায় অনাথ খাদ্য-বস্ত্রহীন কাঁদে বসি’তবুও ধনীদের আনন্দ রাশি রাশি।মুখে তোমার মধু মাখা কথাদীল-কলিজা ভরা হিংসা বিদ্বেষা,একটু সুযোগ পেলেই দাও ব্যথাতব মনে কেন এত শত্রুতা?হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদ ভুলতে হবেমুসলিমকে শুধু দুই ঈদের দিনে,আর আমরণ অসহ্য যন্ত্রণা দেবেকেনো মানুষকে অকথ্য নির্যাতনে?ঈদের দিনে যেমন হিংসা-বিদ্বেষ ভুলেছালাত কায়েম করতে হবে সকলে,সবার কাঁধে কাঁধ মিলাবে বন্ধুত্বের দীলে।তেমনি আজীবন ভুলে বিভেদ অহংকারমায়া-মমতা আর প্রীতির বন্ধনে,গড়তে হবে তোমায় ব্যক্তি-পরিবারআর এ সমাজ অহীর বিধানে।ঈদের দিনের এই মহান শিক্ষামোরা জীবনে ভুলি না যেন কভু,এই ফরিয়াদ কবুল করো বিশ্ব ভ্রমান্ডের মহান ওহে! প্রভু।         ৬২.
“আহ্বান”
কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের আকস্মিক অবসান,রঙ্গিন স্বপ্নবিহীন নির্ঘুম অবসাদ,লালিত ভালবাসার অপ্রত্যাশিত ব্যবচ্ছেদ,ক্ষণস্থায়ী প্রতিশ্রুতির চিরস্থায়ী পরিত্রাণ।নির্ধারিত গন্তব্যের হঠাৎ-ই মেরুকরণ,সহজ সমাধানে আচমকাই অলীক সমীকরণ।বেড়ে উঠা স্মৃতির কৌশলী চেপে ধরা,ভালবাসি বলতে আজ কতশত বাধা!পরিচিত অভ্যাসে স্থায়ী পরিবর্তন,পুরাতন মোড়কে নতুনের আহ্বান।নিষ্কলুষ হৃদয়ে কপাট আঘাত,একসাথে পথ চলতে আজ কতশত অজুহাত!!পুরাতন স্মৃতিতে হৃদয় গহীনে তোড়পাড়,তোমার অভাবে আমার পরিবেশে হাহা-কার।তবুও ছুটে চলা নতুনের আহ্বানে,কৃত্রিম ব্যস্ত থাকা অন্য কোনো স্বপ্নে।৬৩.”মানুষ নামে পশু”দুর্দম মরুতে-
বুক চিরে ছিড়ে খায়’
খায় আর কাশে,
ফল পাবে –
মৃত্যুর দুয়ারে গিয়ে
পড়বে যে ফাঁসে।
কপালে তার-
হিংসার উঠন পেতে
থাবাটারে ফেলে,
মানুষ নয়-
নয় কোন জানোয়ার
যায় শুধু খেলে।
কে সে?
হতে পারে কোন
মানুষ নামের পশু।৬৪.  “তৃপ্তি”
যে পাগলে খুঁজে তোমায়
সে পাগল তো তুমি নও,
অন্ধ হয়ে আমিই সর্বদাই রই
কেমনে তোমার জন্য পাগল আমি হই।
পাগল হয়ে খুঁজবো যারে
সে-কি পাগলের ধার ধারে!
পাগল ঘুরে এই অন্ধকারে
হতাশ হয় সে বারে বারে।
তোমার দয়াল তোমার দয়ায়
পাগলের মতো যেনো কাছে পায়
অচিন দেশের বিজন মেলায়
দয়া বিনে পাগল অসহায়।
পাগল পরাণ তৃপ্তি খুঁজে
দীপ্তময় জ্যোতি তোমার সাজে
নিবিড় সান্নিধ্য পাওয়ার মাঝে
জ্যোতির বাতি জ্বলুক ত্বেজে।
   ৬৫.    
“কান্ডারী ডাকে”হঠাৎ আকাশে মেঘ জমেছে বিজলী করছে খেলা,ঘনো বর্ষা পথ’ কাঁদাময় গৃহে ফেরো এই বেলা।আঁধারে ত্বরা ঘনাবে রাত্রি হে পথিক শোনো কথা,কান্ডারী ডাকে খেয়া পারে করো না অবহেলা।খেয়া পারাপার বন্ধ হবে দুর্যোগ তমাসায়,মরণ দশায় নিপতিত’ তবে আয়রে চলে আয়।কান্ডারী ডাকে সত্য খেয়ায় দাও পাড়ি দাও ভাইকঠিন আরো পুলছিরাত পার হ’তে হবে তাই।নিঃসীম আঁধার দিশাহীন নিচে তার হাবিয়ামিথ্যা ছাড় সত্য আঁকড়ে ধরো যুগপৎ ভাবিয়া।পথভোলারা পথ খুঁজে ফেরে ছিরাতে মুস্তাকীমতোমার জন্য মুক্ত রয়েছে ভাবো কেন মুসলিম?কান্ডারী ডাকে এসো ভাই-বোনই সলামী খেয়াযানে,দাও সবে পাড়ি পৌঁছে যাবে ফেরদাউস মাকামে।৬৬.”আমি অপরাধীঅপরাধী বলে হে আল্লাহভুলে যেও না আমায়!নিজের দোষে দোষী হয়েকাঁদি আমি নিরালায়।
পরীক্ষারই জন্য আল্লাহপাঠালেন এই দুনিয়ায়,দুনিয়ার মোহে পড়েআমি ভুলে গেছি তোমায়।
অন্ধকার কবরে যেদিনথাকবে না কোনো বাতি’মুমিন হ’লে পাব সে দিনতোমার নূরের জ্যোতি।
জাহান্নাম হ’তে মুক্তি দিওকরিও আমায় জান্নাতী,এই প্রার্থনা তোমার তরে করিহে প্রভু আমি যে অপরাধী!৬৭.”বিশ্বটাকে সাজাই”নবীন প্রাণের নবীন ছোঁয়ায় দূর করো সব অন্ধকার ,ভুলিয়ে দাও মিলিয়ে দাও আর্ত-দুঃখীর হাহা-কার।শক্ত হাতে বজ্র কন্ঠে এগিয়ে যাও সতেজ করে ঈমান ,আমরা স্বাধীন আমরা মুমিন আমরা হ’লাম নবীন প্রাণ।কেমন করে বদ লোকেরা ভুলাবে মোদের অনিষ্টতে?আমরা যদি সুদৃঢ় হই ভালো কাজে ঐক্যমতে।এসো ভাই সবাই মিলে ঐক্য গড়ে তুলি আগে ,নতুন করে ঢেলে সাজাই মোদের এই বিশ্বটাকে।যাবি যদি দেরী কেনো এখনি চলো মিলাই হাত ,অনিয়ম সব বদলে ফেলি দেখাই মোদের তিলেসমাত।সাহস নিয়ে বুদ্ধি দিয়ে যেভাবেই হোক যুদ্ধে নামি,মনে রাখিস ফরয এ কাজ, দামি এযে সবচেয়ে দামি।৬৮.      “ক্ষনস্থায়ী জীবন”এসেছিলাম একা এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে,আবার চলে যেতে হবে সকলের এই ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে,কি হবে আর এই ধরার মাঝে থাকিয়া,ক্ষনস্থায়ী জীবন দেখিনি কখনো ভাবিয়া।ক্ষনস্থায়ী জীবন থেকে নিতে হবে শিক্ষা,যেটা হবে চিরস্থায়ী জীবনের পরীক্ষা।সকলকে চলে যেতে হবে ছাড়িয়া,কি আর লাভ হবে এই ক্ষনস্থায়ী জীবন ধরিয়া।এখন থেকে নিই জীবনের শিক্ষা,আর সেটাই জীবনের দীক্ষা।৬৯.
       “ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া”
দুইদিনের এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ,
কিসের জন্য আমরা এত মরিয়া ?
কি হবে পার্থিব সুখের ফেণপুঞ্জ মেখে?
যদি চিরতরে চলেই যেতে হয় এটা রেখে ।
ভোগ , লোভ-লালসা ধরেছে ঘিরে ,
ভুলেই গেছি জীবনরশি একদিন যাবে যে ছিড়ে!
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় বৃথাই বুঝি করছি বিচরণ ,
যে কোন সময়ই যে নিভে যেতে পারে জীবনের কিরণ।
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মায়া যে এতো প্রবল ,
বিশ্বাসই হয় না যে অকষ্মাৎ প্রাণ ছিনিয়ে নিতে পারে মৃত্যু ছোবল ।
তিল তিল করে গড়ে তোলা প্রাচুর্য্যের পাহাড় ,
মৃত্যু দৈত্যের তাণ্ডবে থাকবে না তার কোনোই বাহার ।
হে মহান সৃষ্টিকর্তা , তোমার তরে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী,
যদিও বা’ জানি আমরা নয়তো পূণ্যার্থী ।
স্বজ্ঞানে বোকার মতো ব্যস্ত থাকি, নিয়ে এই দুনিয়াদারী ,
ক্ষণস্থায়ী প্রাচুর্য্য, সৌন্দর্য্যের গর্বে হই যে আমরা অহংকারী!
হে করুণাময় , জানি এটা আমাদের মুর্খ্যতা, অজ্ঞতা ,করো তুমি মার্জনা ,
দূর করে দাও ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার সকল স্বার্থণ্বেষী চিন্তা ভাবনা ।
৭০.      “বসন্ত কাল”বসন্ত কাল এলে কোকিল ডাকে
গাছের ডালে ডালে,
বসন্ত কাল এলে কোকিল পরে
নতুন প্রেমের জালে।বসন্ত কাল জুড়ে কোকিল বাজায়
প্রাণখুলে তার বাঁশি;
বাঁশির সুরে ভেসে আসে
আমরা বসন্ত কালের ভালো-বাসি।পাগল করা কোকিল মায়া
বসন্ত কাল ভালোবাসে:
গাছের ডালে নতুন কিশলয়
ইচ্ছেমতো হাসে।৭১.”কৃপণতা”কৃপণ শব্দে পরিচিতবাড়ি বাজার মাঠে;
স্ত্রী ছেলে মেয়েবেজায় অখুশি তাতে।চলতে ফিরতে কানাকানি শোনে মাঠে-ঘাটে;
বেশি খরচ হলেই একটুসঞ্জয়ের বুকটা ফাটে।সঞ্জয়ের গুপ্ত সম্পদবহুত আছে ব্যাংকে আর ঘটে;
যতো ব্যয় হয় ততোই সংকটমাথা ব্যাথা তাতে।লুকিয়ে রাখা টাকা-পয়সাজমা আছে বটে;
যতো আয় হয় ততোটা সঞ্চয়গুঁজে রাখে গ্যাঁটে।সংসারে আসবে নতুন অতিথী বেজায় খুশিখরচ করবে না মোটে;
নতুন সদস্য যোগ এবারতাতেই অঘটন ঘটে।নিজ তাগিদে করতে হয় ব্যয়বুক যেন তার ফাটে;
দোকানদার বেশি বললেইযায় যে সে চোটে।ফ্রী পেলে যাবে দৌড়ে নিতে লোকে বলবে কি তাতে!
অপ্রয়োজনীয় হলেও সেটাআনবে থলেতে।বিনা দাওয়াতে ভোজ বাড়িতেদাড়িয়ে থাকবে গেটে;
পরনিন্দার বালাই ছেড়েবসবে চেয়ার সেঁটে।আপ্যায়নে দারুণ খুশিক্ষতির হিসেব নেই;
মিষ্টির দোকান পার হলেওতাকায় না সে মোটেই ।ডাল ভাত খেয়ে পেটটা তারগিয়েছে অনেক ফুলে;
আর কিছু লাগে না তারপেঁয়াজ কাঁচামরিচ পেলে।নাদুসনুদুস দেহখানি তারবার-বার চেয়ে দেখে;
তার কথা সবাই জানেবাজারে এসে গুড় চেখে দেখে।স্বামী স্ত্রী দুজনেই কৃপণ,কৃপণ না ছেলে/মেয়ে ছেলে;
এমন সুখের সংসার কি আরএই জগতে মেলে!টাকা জমিয়ে প্রতি বছর কিছু কিছু করে সঞ্চয়;এই সব নিয়ে প্রতিবেশীরা হিংসে মরিয়া হয়।
৭২.
“স্বার্থপরতা”

কত বছর হয়ে গেলো আমি কাঁদিনা,

আমার স্বপ্নগুলো আর চোখের পাতায় ভর করে না,

অনেক রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেই’

ব্যস্ততা আমাকে সবার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যায়,
আমি আজ একা, বড়ই একা।


আপন মানুষদের আর আপন মনে হয় না’
শত চেস্টা করেও আমি আপন হতে পারিনা’
ভুল বুঝাবুঝির লড়াই যেনো শেষ হয় না’
তাই ইচ্ছে করে হেরে যেতে চাই’
ক্ষনিকের জেতার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই…………………..।


ভালোবাসতে ইচ্ছে করেনা কাউকেই’
ভালোবাসার চেয়ে প্রয়োজন অনেক বেশি,
শুধু নাই নাই হাহাকার,
দেবার শক্তি ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে
জীবন তো একতরফা চলে না…………।।


স্বার্থপরতা আজ খুবলে খাচ্ছে
কষ্ট দিতেই যেনো সবার আনন্দ,
কারো আনন্দ মাটি করতে ইচ্ছা করে না
জীবন যাকনা এভাবেই কেটে;
কারো কারো জন্ম শুধু দেবার জন্য পাবার জন্য নই।

৭৩.

“লাই-লাতুল ক্বদর”
আজ পবিত্র লাই-লাতুল ক্বদরের রাত,আমরা করব সকলে ইবাদাত।রমজানের শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় রাত,এ রাতে আল্লাহর কাছে কিছু চাইবার একমাত্র মাধ্যম ইবাদাত।লাই-লাতুল ক্বদর খুজবো আমরা ই’তেকাফ ইবাদাতে,এ রাতের সকল আমল হাজার মাসের চাইতে।এ রাতেই নাযিল হয়েছিল পবিত্র আল কুর-আন,আমরা সকলে করব তেলোয়াত পবিত্র সেই কুর-আন।লাই-লাতুল ক্বদরের নামাজ পড়বো জেগে সারা রাতে,যত মহিমান্বিত বরকত নিহিত আছে এই লাই-লাতুল ক্বদরের রাতে;রাত্রি জেগে করবো ইবাদাত-বন্দেগী সকলে একই সাথে।মনের সকল কালিমা মুছে ফেলবো এযে গুনাহ মাফের রাত,ত্বওবা করি, নামাজ, রোজা, কালেমা পড়িলে পাবো নবীর শাফায়াত।দান-সাদকা দেবো ফিতরা গরীব-দু:খির মাঝে”যাকাত দিবো নেকী পাবো যত ভাল কাজে।আমরা মুসলমান সৌভাগ্যবান, ক্বদরের এই রাত হয়েছে মাহে রমজান,ওগো দয়াময় তুমি হও সহায়, রহমতের সব কিছুই করো আমায় দান।

৭৪.

      “মানুষ বেইমান”

মানুষ চেনা নয়তো সহজ যতই থাকুক কাছে,
কথার ছলে মনটা কাড়ে দুর্নাম ছড়ায় পাছে।

আপন মানুষ গুলো শুধুই স্বার্থ নিয়ে চলে,
বিপদে আসে উদ্ধার হতে নানান ছলে।

দেখায় ভীষণ সরল সহজ যেন হাবা বোকা,
সুযোগ পেলে যায় পালিয়ে দেয় যে তারা ধোঁকা।

ভাবতে ভীষণ অবাক লাগে চলে সাধু বেশে,
আঘাত করে মিষ্টি কথায় সহজ সরল হেঁসে।

নিজের লাভটা ভাবেন শুধুই স্বার্থের জন্য আসে,
ন্যাকামি ভাব ধরেই তাঁরা নিজের জন্য বাসে।

চিনতে পারলে এমন স্বজন তাদের দূরে রেখো,
চলার পথে সকল সময় সাবধানেতে থেকো।

হিসাব নিকাশ করতে ভীষণ পটু হয় যে তারা,
মুখোশ পরা মানুষ গুলো যায় যে না চিন্তে পারা।

মানুষ নামের ওই স্বার্থপর মানুষ স্বাধে সাধু,
তাদের মধুর কথায় যেন থাকে অনেক যাদু।

নিজের স্বার্থ হাসিল করে ওই স্বার্থপর গুলো,
তাদের কর্মের রূপের মর্মের চিত্ত মুখোশ খুলো।

 ৭৫.

“স্কুল ফাঁকি”

বাবা আমার শাওন তাহার কথা বলি,

সারাটাদিন মোবাইল নিয়ে করে ঢেলা-ঢেলি।

পড়ার কথা বললে পরে করে মাথা ব্যাথা ,

বন্ধু আর মোবাইল পেলে থাকেনাকো ব্যাথা- সেথা।

স্কুলের সময় হলে ঘুমিয়ে থেকে দেই ফাঁকি!

সুযোগ পেলে বন্ধু/বান্ধব নিয়ে করে আড্ডামী।

মা-বাবার বকনী শুনে মুখটি গোমরা করে!

ঘরে গিয়ে মোবাইল নিয়ে থাকে চুপটি করে।

স্কুল আর পড়া ফাঁকি দিয়ে যত করবে চালাকি” বুঝবে পরে এর জ্বালা কি? 

এখন বাবা আমার বুঝছে না হেতা,

যখন আর সময় থাকবে না তখন বুঝি  ভাববে অতীতের কথা?

তখন আর কিছুই করার থাকবে না,

অতীতের সেই চিন্তা ভাবনা।

৭৬.
  “আমি একা”

জগৎ জুড়ে রঙ্গের খেলা
আমি বড়ই একা।
চারিদিকে আলোর ঝর্ণাধারা,
কিন্তু আমি একা।
সোনার জগতে সোনালি মেলা,
এখানেও আমি একা।
দীর্ঘ কঠিন পথ পিচ্ছিলে পা,
কিন্তু সেখানেও পড়ে রইলাম আমি একা।
পথে খিলখিলে হাসির ফোয়ারা,
পড়ে আছি শুধুই আমি একা।
দল বেঁধে হই-হুল্লা করে কারা ?
আমি যে শুধু একা।
কলতানে বাজে বাঁশি’
কার বাঁধভাঙ্গা হাসি ?
বসে আছি শুধু আমি একা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নাইতো তোমার দেখা,
আমি একা, বড়ই একা ।!৮১.

৭৭.

“জীবন যুদ্ধ”

জীবনটা একটা যুদ্ধের ময়দান
আপন বলতে কেউ থাকেনা
যে দিকে তাঁকাবে দেখবে শুধু ধূ-ধূ।
পরাধীনতা তোমাকে ক্রমে ক্রমে
গ্রাস করবে”

চারদিক থেকে তোমার শুভাকাঙ্খীরা সব দূরে সরে যাবে।

সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে” তবেই না সফলতা আসবে;
না হয় তোমাকে সারা জীবন পরাধীনতার গ্লানি নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে!!

৭৮.

“জীবন সংসার”

বন্ধ হবে রঙ্গের খেলা বয়স বাড়ছে বলে,
শৈশবকালে দিনটা গেছে নানা খেলার ছলে।

বাবার হোটেলে নাইতো এখন লিপ্ত থাকি কর্মে,
উদার খালি থাকলে পরে’ মন বসে না ধর্মে।

কর্ম বিহীন সুখ নাই ভবে এ সত্যটা মানি,
কর্মের জন্য কীর্তিমান হয় বলে জ্ঞানী গুণী।

শৈশব ছিলো চিন্তামুক্ত হাসি মজা অতি,
বয়স বাড়ছে কর্ম বিহীন নাইতো কোনো গতি।

মাথার ভিতর নানা ভাবনা সদা চলে তবে,
ভেবে পাই না কেন এলাম মানুষ হয়ে ভবে।

নানা রকম চিন্তা ভাবনা বয়স বাড়লে আসে,
সমাধান না পেয়ে সবাই অশ্রুর জ্বলে ভাসে।

তখন ভাবে’ শৈশবের ওই সুখের সকল কথা,
মনের কোণে প্রতিক্ষণে আসে দুঃখের সেই ব্যথা।

৭৯.

     “মিছে মায়ার সংসার”

আলো আধাঁরের খেলা এ ধরা;
সবই ভ্রম, সবই ছায়া। 
এক নিমিষেই মুদিবে আঁখি,
পচে গলে যাবে এ কায়া।
এ সংসারে কে কার?
যার’ যার’ তার’ তার।
কার লাগিগো আনচান!
কার লাগিগো পিছুটান!
মন পাখি উড়ে গেলে,

ধুলায় মিলিবে এ মায়া!

সবই ভেবে হবে সা-র,

পড়ে রবে এই মিছে মায়া সংসার।

৮০.

“পরিবার”

বাবা-তো পৃথিবীতে হয়ে থাকে গাছের ন্যায় ছাঁয়া,
মা-তো পৃথিবীতে দেখায় বেচেঁ থাকার মায়া।
বোন-তো পৃথিবীতে শেখায় ভালবাসার,
ভাই-তো চেষ্টা করে পৃথিবীতে স্বপ্ন পূরণের আশার।
পৃথিবীতে আছে বাবার পরম ছাঁয়া, 

আরো আছে মায়ের অতুলনীয় মায়া।
বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের স্বপ্নের আশা,
এভাবেই-তো গড়ে ওঠে পৃথিবীর বুকে পরিবারের ভাষা।
পরিবারের মাঝে সম্পর্কের নেই কভু শেষ,
জনম জনম বয়ে গেলেও এর কভু কাটবেনা রেষ।

৮১.

“ছাত্র জীবন”

ছাত্র জীবন এক অন্য ভুবন,
চলতে চাই নিজের মতোন।
হয় না চলা, নিজের ইচ্ছায়,
চলতে হয়, বাবা-মায়ের কথায়।
ক্লাসে স্যারের বকা, ম্যামের ঝারি,
বাসায় এলে, মা বলে পড়তে বসো তাড়াতাড়ি।
একদিন যদি, বাসার কাজ না করি,
সবার সামনে রাখবে দাঁড়ায় কান ধরি।
বন্ধুদের সাথে বাজি ধরা,
হেরে গেলে, লাগবে ঝগড়া।
টিফিন টাইমে পালাতে হবে,
বইগুলো বন্ধুরা নিয়ে যাবে।
ধরা যদি পড়ে পাছে,
বিচার চলে যায় হেডস্যারের কাছে।
বাবা-মাকে আনবে ডেকে,
বলবে সন্তান গেছে বখে।
সময় এখনো অনেক আছে,
সন্তানকে রাখেন নিজের কাছে।
ভালো ফলাফল একদিন আসবে শেষে,
যদি সে নিয়মিত পড়তে বসে।
শুরু হবে, বাবা-মায়ের কড়া শ্বাসন,
খেলা-ধুলা করা থেকে করবে বারণ।
চোখে চোখে রাখবে তখন,
শুধুই পড়ার কথা বলবে এখন।
বাবা-মায়ের আদরের স্বাসন,
সব মিলিয়ে মধুময়ই ছাত্র জীবন।

৮২.

ছোট্র-বেলা

ছোট্র-বেলার সেই মধুর স্মৃতিগুলো,
সব হয়ে গেলো আজ এলোমেলো ।
আধারে পড়ে আছি,
কিভাবে যে এখন আলোতে আসি?
ভালো লাগতো কতো সেই সময়ের বৃষ্টি,
আজিকে হলো এ কি জীবনের সৃষ্টি?
ছোট্র ছোট্র বন্ধুদের নিয়ে ছোট্রবেলা কি সুন্দর ছিলো,
আজিকে যৌবনের দ্বারে জীবনটা যেনো কেমন হলো এলো-মেলো।
ছোট্রবেলার মা বাবার ভালবাসা,
আজিকে শুধু জাগায় নতুন নতুন আশা ।
খেলাধূলার কথা বেশি, বেশি মনে পড়ে আজ,
ছোট্রবেলা ছিল উজ্জল,ছিলো কতো তাজ ।
সেই ছোট্রবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে আবার,
কিন্তু সে ফিরে আর আসবেনা,দিয়ে দিলাম ছাড় ।

৮৩.

    শিশুকাল

বই খাতা কলম
আর কাঠ পেন্সিল’
এই ছিলো শিশুকাল’
কাটে আনন্দে অনাবিল।
ফুটবল ক্রিকেট টেনিস
আরও কত খেলা?
হৈ চৈ করেই কাটে শিশুকাল”
একদিন শেষ হয় এই আনন্দ মেলা।।।

৮৪.

অপলোক

যেদিন তুমি স্নিগ্ধ দুটি নয়ন তুলে ,
আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়েছিলে?
সেদিন আমি নব-সাজে তোমার প্রকৃতির রুপ দেখেছি,
তোমার সেই অপরূপ ছবি এ বুঁকে এঁকেছি?
কচিগাছে ফুটেছিল নীল অপরাজিতা ফুল,
সেই ফুলের গন্ধে আমি হয়েছিলাম উতলা ব্যাকুল!
চাঁদের দিকে যখন তাকিয়েছি—
তখন তোমাকেই পবিত্র দৃষ্টিতে অনুভব করেছি!
তোমার মায়াবী মুখ বার-বার আমার প্রতিফলিত হচ্ছিল,
আমার অন্তর গভীরে তোমাকে নিয়ে এক অজানা ঝড় উঠেছিল:
মনে হচ্ছিল তুমি শ্যাওলা হয়ে জড়িয়ে আছো,
আমার ভিতর-বাহির সর্বঅঙ্গ।
তুমি দেখি এখন একাকী সুদূরে যাও,
কেনো আগের মতো আমারে না চাও?
কী হয়েছে তোমার,নেই কেনো নব-সাজ?
তবে কী আমার মনে যে বেদোনা তা তোমার মনেও কি বাজে আজ?
মরুভূমির রুক্ষতা দেখেছি আমি পাইনি প্রেমের আনন্দ,
হঠাৎ যেদিন তোমাকে দেখেছি হারিয়ে ফেলেছি সব জীবনের ছন্দ।

    ৮৫.

 বেকার জীবন

ঠিক বৃক্ষের মতন, শিকড়হীন বৃক্ষ!
যেমন-স্বর্ন লতা,
তার চেয়ে আগাছা বলাই শ্রেয়
শত করা শত ভাগ ঠিক একটা বেকার জীবন।
তবুও বহাল তবিয়তে চলা ফেরা’
এক দিন আসবে সময় দুর ভবিষ্যতে–
এমন গোটা কয়েক স্বপ্ন নিয়ে জীবনটা গড়া।
তার পর কেউ পেয়ে যাবে ফ্ল্যাট বাড়ী,
কিংবা নতুন স্বপ্ন ফেক্সিলোড হবে”
আবার অনেকে বেকারত্ব ঘোচাবে গলায় জড়িয়ে রশি।
আসলে এটা অসহ্য যন্ত্রনার মতন
যেন অন্তজ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর
আবার বহু জলেও হয় না নির্বান
বেকার জীবনটা ঠিক যেন এমন।

৮৬.

  অভাব

দরিদ্রের অভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে,
চারিদিকে শুধু ক্ষুধার্তের হাহাকার।
দু মুঠো ভাতের জন্য কাঁদছে পথশিশু,
অথচ অট্টালিকার মানুষ গুলো নষ্ট করে কত কিছু।
ধনীর বাচ্চাগুলোর খাবার নিয়ে করে কত বাহানা,
এটা খাবোনা, ওটা খাবো, এটা না, ওটা আন,
অথচ পথ-শিশু?
পচা পান্তায় তার সব কিছু।
মানুষের চাহিদাটা বড়ই আজব হচ্ছে দিনে দিনে,
মাঝে মাঝে পাওয়া যায়না ভেবে কোনো কুল,
কেউবা কাঁদে দু -মুঠো ভাতের জন্য
কেউবা কাঁদে গাড়ির জন্য
কেউবা করে টাকার গরমে মস্ত বড় সব ভুল।

বড়লোক অট্রোলিকা লোকদের বাহানা হলো স্বভাব,

আর পথ-শিশু গরীবদের এটাই অভাব।।।

৮৭.

বন্ধুত্ব

আকাশের রংধণু জানে বন্ধুত্ব আমাদের
একই রোডে আঁকিবুঁকি করে হেটে যাই,
চায়ের কাপে চুমুকে বিল নিয়ে হুটোপুটি
রয়ে গেছে বছরঘুরে একই সবটাই,
টং এর বেঞ্চের বৃষ্টির ছিটে আসা পানি
ভিজেয়েছিস সবাইকে করে,লুটোপুটি
বন্ধু বন্ধুর বন্ধুত্বের বাধনে সবটা সুন্দর খুনসুটি।

বকুলের সুভাষের স্নিগ্ধ বিকেল অচেনা পথে হাতড়ে ফিরি বন্ধুত্ব,
খাচার পাখিতে জমানো শত অভিমান নিয়ে কত অভিযান,
বন্ধুত্ব দিয়ে কত শত রঙিন পথ চলা,
কত সুন্দর মুহূর্ত কত কেটেছে বেলা।
ছায়া হয়ে তোরা সঙ্গ দিস এমন যেনো আলো খুজে পায় অন্ধত্ব।
বন্ধু ছাড়া পথগুলো বড়ই অচেনা,
আলো হয়ে আঁধারের মত থেকে যায় সব বাধনের পর বন্ধুত্ব।

৮৮.

   ফাইস্যা

আমাকে এখানে বসায়্যা তুমি গেছো বাঁইচ্যা?

কিন্তু আমিতো এখানে গেছি ফাইস্যা।

তুমি মনে করেছো আমাকে ফাসায়্যা তুমি গেছো বাঁইচ্যা?

তুমি ও এই নাও ধইরা গেছো যে ফাইস্যা।

কি করিবো ভেবে না পাই

ফাইস্যা গেছি উভয়ে যে দেনাই!

যতো বুদ্ধি করিনা কেনো কথায় কাজে যাচ্ছি যে ডুইব্যা,

এই কাম করতে এসে গেছি আমরা ফাইস্যা।

যদি দেনা মুক্ত হই তবে যাবো বাঁইচ্যা,

কিন্তু চেষ্টা করেও পারছিনাতো,

কি করিবো? গেছি যে ফাইস্যা।

৮৯.

হটাৎ বৃষ্টি

কত মনোরম বৃষ্টি ঝড়লো
আঝোরে কাঁদল আকাশ,
সারা দুনিয়া আঁধারে ডুবলো
হৃদয় জুড়ালো বাতাস।
বজ্র পড়ল,সূর্য ডুবলো
আকাশে ভরলো মেঘ,
আমের মুকুল ছিড়ে পড়েছে
বাড়ছে স্রোতের বেগ।
শুকনো পুকুর সিক্ত হলো
রিক্ত হলো চাষি,
মুছিয়ে গেলো ছিলেন যতো
ময়লা,পঁচা,বাসি।
উদাস চোখে ক্ষুদার্থ কাক
দেখছে ঝড়ের ফোটা,
বিড়াল ছানা ভিজছে তবু
লাগছে অনেক মোটা।
তাপের চাঁপে হাঁপছিলো সব
হয়েছে এখন শান্ত,
ব্যাঙ ডাকছে ব্যাকুল হয়ে
হবেনা আর ক্ষান্ত।

৯০.
আজব দুনিয়া 

আজব দুনিয়া আজব বাসিন্দা, বাঁচার জন্য লড়ে

দুই মিনিটের নাই ভরসা, এই চিন্তা কি কেও করে?

জাত- ধর্ম- বর্ণ নিয়ে মানবতারে উলঙ্গ করে

সাড়ে তিন হাত মাটির তলে; যেতে হবে একি মাটির ঘরে।

ভক্তি দিলে মুক্তি মিলে, কজনে তা বুঝে?

বাসনার পূর্ণতা স্বাধনে কে কাহারে খুজে?

হায় হায় করে সব মরে, বেহুদা মায়ার নেশা,

সত্য বাচাই নিজেকে মেরে ওই পাড়েতে বাঁধি বাসা।

মিছে মায়ার কাঙ্গাল ওরা, ছায়ার পিছে চলে,

কেউ কারো নয় নশ্বর দুনিয়ায়’ এই সত্য যায় ভুলে।

আমি বলি জাত কাল কি? মানুষ হয়ে  বাঁচো’

ধ্বনিতে তোমার কিসের সুর? অমানুষ হয়ে নাচো?

এদিক ওদিক চারদিক, কেউ কারো নয়,

কর্মই আমার জীবন পথের যেনো একমাত্র সঙ্গী হয়।

৯১.

   জগৎ সংসার

ডাক শুনিলে আঁখি খোলে
পুষ্পে প্রজাপতি দোলে।
না কাঁদিলে দুধ না মেলে
শিশু বাচ্চা উঠবে কোলে।
মায়ের সঙ্গে করবে খেলা,
এ জগৎ সংসারে।
পেছন থেকে ডাকবে লোকে
মিষ্টি হাসি তাদের মুখে
কথায় যেনো মধু ঝরে।
সবকিছু লুটিবে ওরে
তারাই তোমার অগোচরে,
এ জগৎ সংসারে!
সুখের তরী অদূর পানে
বুঝা যায়রে মাঝির গাঁনে
আসছে তরী  কূলে ফিরে।
যখন তরী আসে তীরে’
তোমার হদিশ তখন থাকে না রে,
এ জগৎ সংসারে।
অচিন পাখি ডাকি ডাকি
বলবে আর কিছুদিন থাকি
অবহেলায় হৃদপিঞ্জরে।
একদিন পাখি যাবে উড়ে
ফিরবে নারে পেছন ফিরে,
এ জগৎ সংসারে।
ধনীর ধনও খাবে ঘুণে
ঘুণ হাসবে ধনীর শ্বাসনে
কাটবে সে সব, শব্দ করে।
কৃপন ধনী রইবে পড়ে
তিমির রাতে নীরব ঘরে,
এ জগৎ সংসারে।
কিসের বড়াই কিসের লড়াই?
কার জোড়ে ভাই, কে প্রাণ হারায়?
এই ক্ষমতায় মন না ভরে।
অধিক অধিক চাওয়ার তরে
অকালে প্রাণ ভূমি ছাড়ে,
এ জগৎ সংসারে।

৯২.”সংসার মায়াময়”

প্রেম প্রীতি আর ভালবাসা,
কেনো মিছে মিছে করো আশা,
এ জীবন যে নিশার স্বপন।
অসার সংসার মায়াময়,
দুদিনের তরে অভিনয়,
ছিন্ন হয়ে যায় মায়ার বন্ধন।
রোগ শোক জ্বরা ব্যধি,
ভুগে মানুষ নির-বধি,
এ জীবনে কভু শান্তি নাই।
বিধাতার খেলা ঘরে,
জন্মমৃত্যু খেলা করে,
জন্মিলে মরিতে হবে ভাই।
সংসার শুধুই অভিনয়,
মানুষে মানুষে পরিচয়,
শুধুমাত্র আসা যাওয়া সার।
ব্যথায় ভরা এ জীবন,
জন্মিলে অবশ্য হবে মরণ,
বৃথাই করো আমার।
পর দুঃখে দুঃখী যে জন,
সংসারে সুখী সেই জন,
চিরন্তন সত্য জানি ও নিশ্চয়,
জীবন মানে সংগ্রাম,
মরণ তার পরিণাম,
জন্মিলে মরিতে একদিন হয়।

৯৩.

“করোনা”

করোনা থেকে তোমরা বাঁচতে যদি চাও”
এখনই দুনিয়াদারী ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর পথে চলে যাও।

করোনা নিয়ে করো না বাড়া-বাড়ি’

আল্লাহর সাথে করো না বেশী বাহাদুরী।

বাইরে গেলে মাস্ক পরে বেরুতে হবে’
জানেনা কেউ করোনা ধ্বংস কবে হবে?
চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া তো যাবে না,
বাইরের খাবার খেলে রক্ষা যে হবেনা।
হাঁচি, কাঁশি-দিবে টিস্যু বা রুমালে’
এমন ভাইরাস এসেছে কি কোনো আমলে?

ঘরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন
এভাবেই করোনার ছোবল থেকে বাঁচুন।

 ৯৪ “মায়ের ভালোবাসা”

তুমি আমার নয়নমনি,
তুমি আমার হৃদয়য়েরখনি
তুমি আমার মা জননী।মায়ের

তুমি আমার শৈশবে বেঁচে থাকার

এক মাত্র তরণী ।
মা তুমি ছাড়া এই ভুবনে ,
আঁধার কালো সবার জীবনে
তুমি স্নেহময়ী,’মা’ তুমি প্রানপ্রিয় ‘মা’।
যখন আমি ছোট্ট ছিলাম তোমার কোলে!
কথা বলতাম আধো আধো বোলে”
তুমি আমায় ভালোবেসে চুমু খেতে
আমার ছোট্ট গালে।
মাগো তুমি হীনা –
থেমে যেতো প্রানের বীণা।
এখন আমি বড় হলাম দূরে এলাম চলে,
তোমার ভালোবাসার কথা মনে করে
ভাসি আমি চোখের জলে।
তোমার স্নেহের আঁচলের ছায়া
তোমার ভালোবাসার আদরের মায়া,
ভুলি কেমন করে?
তোমার মতো এতো মধুর ভালোবাসা
আর কেহ নাহি দিবে এই জীবনে।
মাগো তুমি ছাড়া’
আমার জীবন ছন্ন ছাড়া ,
তোমার মতো এতো আদর করে
কে খাইয়ে দিবে?
আমার দুঃখের দিনে’
প্রতিটা ক্ষণে ক্ষণে কে পাশে রবে?
তুমিতো শত কষ্টে শত দুঃখে ও
আগলে ধরে রাখতে বুকে!
মাগো তোমার হৃদয়য়ের শীতল ছায়া ,
তোমার মমতার মধুর মায়া’
আর কি আছে এই জগতে?

৯৫.

” হতবাক”

আর পাইনা মানুষের গন্ধ, অসস্থি আমার এটা

অমানুষে ভরে গেছে এই গোটা পৃথিবীটা ।

ভালবাসলে আঘাত করে, বিশ্বাসে করে ক্ষতি!

বিশ্বাসটাও ফুরে গেছে তাই মানুষ মানুষের প্রতি।

মানুষ আজ সুযোগ সন্ধানী যদি সুযোগ পায়,

তিল হয়ে অন্তরে ঢুকে সে তাল হয়ে বারায় ।

মানুষের মুখে মানুষের গীবত বাতাস হয়েছে ভারী ,

সহমর্মিতা উঠে গেছে আজ এই পৃথিবী ছাড়ি ।

আপন খেয়ালে চলছে মানুষ আপন স্বার্থে দোলে,

প্রতিটি মানুষ নিজের অজান্তেই আছে স্বার্থপরের কবলে।

আর ক’টা দিন পরে কিযে দেখবো চোখে ,

ভালো মানুষ গুলি তাদের ছোবলে মরবে ধুঁকে ধুঁকে।

আরেক পদের মানুষ দেখি’ নারীর অন্বেষণে’

নারী জাতি ছাড়া জমেনা হরষ তাদের সে মনে।

উচ্ছ্বাসের তরে সমাবেশ ডাকে আহ্বান সবার প্রতি,

নরের প্রতি শুধুই আহ্বান নারীরে সে করে মিনতি।

সমাবেশে যদি নারী না থাকে বিরহ জ্বালা উদ্ভুট,

ভাবে সে খোয়া গেলো সব খরচাপাতি চা বিস্কুট।

বিচার বুদ্ধির এতোটাই অভাব ইসলাম কি যে বলে,

জানতে না চায় ‘কিবা ইসলাম’ চলে আপন খেয়ালে।

দাবী তার মুসলিম, দাবী তার ভার্সিটির সে মাষ্টার,

এই দিয়েই হবে বুঝি কবর আর পুলসিরাত পার।

জানায় সে বড় কাব্যিক কাব্য তার তত্বের তত্ব দিয়ে,

কাব্য তার প্রকৃতির আকাশ সমুদ্র সূর্য শিশির নিয়ে।

ডারউইন যে কিযে বিজ্ঞানী আজ যদি থাকতো বেঁচে,

বাঙ্গালীর চাপে পিষ্ট হয়ে থাকতো খাঁটলির নীচে।

আমি হতবাক অবাক কিংকর্তব্যবিমুঢ় ..,,,

মানুষের এতো বাড়াবাড়ি আমাকে করেছে ভীষণ রুঢ়।

৯৬.

“দুঃখে ভরা জীবন”

দুঃখে ভরা জীবন আমার

কষ্টে ভরা বুক,
এত কষ্ঠে জীবন আমায়
মেলেনিকো সুখ।

সবখানে পাই অবহেলা
লাঞ্চনা হলো সুখ,
দুঃখো ভরা জীবন আমার,
কষ্টে ভরা বুক।

লোকে বলে জন্মের সময়
খেয়েছে ওর মাকে,

মানুষের এই অপবাদ
সইবো কেমন করে।

এত কষ্টের জীবন আমার
কেমন করে রাখি,
তারই মাঝে বেঁচে আছে
আমার পরাণ পাখি।

আকাশ ভরা তারা আছে
সগরের মাঝে ঢেউ,
আমার এই জীবন মাঝে
রইলোনাতো কেউ।

দুঃখে ভরা জীবন আমার
কষ্টে ভরা বুক,
তারী মাঝে বেঁচে নিছি
একটু খানি সুখ।

৯৭.

 ” তাঁরা”

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

আকাশে ওঠে চাঁদ, ফুটফুটে জোছনায়,

বনে বনে ফুল কলিরা সকলেই ঘুমায়।

শ্মশান ঘাটে জ্বালায় চিতা কারা.. .. ..?

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাঁত জেগে জেগে হয় তারা দিশেহারা।

পেঁচা ডাকে, বাঁদুড় ওড়ে গাঁয়ের আশে-পাশে,

আকাশ জুড়ে আলোর খেলা চাঁদ শুধু হাসে।

পূবের আকাশে ফুটে ওঠে ধ্রুবতারা.. .. ..

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

গহন রাতে আকাশ কাঁদে শেষে চাঁদ ডুবে যায়,

না জানি তারাঁগুলো তবুও কেন মিটি মিটি চায়।

আপন মনে বয়ে চলে অজয় নদীর ধারা.. .. ..

নীল আকাশের তাঁরা,

সারা রাত জেগে জেগে হয় তাঁরা দিশেহারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *