০৪. জাগো মুসলিম (সম্ভাব্য কবিতা বই)

November 11, 2023
জাগো মুসলিম (সম্ভাব্য কবিতা বই)
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
লেখক পরিচিতিঃ
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন ১৯৮২ খৃষ্টাব্দের ১লা ডিসেম্বর, বাংলা ১৩৮৯ সালের ১৫ই অগ্রহায়ন রোজ বুধবার যশোর জেলার মনিরামপুর থানার অন্তর্গত ঝাঁপা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।
তাহার পিতা মাওলানা আজহারুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামে ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক বই রচনা করেন।
মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, পেশায় গৃহিনী।
৩ বোন এবং ৪ ভায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ৬ষ্ট। ভাইদের মধ্যে ছিলেন সবার ছোট।
ঝাঁপা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পিতার কর্মস্থল ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। পরবর্তীতে কাশিপুর পীরবাড়ি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং ১৯৯৭ খৃষ্টাব্দে দাখিল পরীক্ষায় ১ম বিভাগে পাশ করেন।
পরবর্তীতে মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও পিতার নির্দেশে পুনারায় ঝাঁপা আলিম মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হয়ে ১৯৯৯খৃষ্টাব্দে আলিম পাশ করার পর খেদাপাড়া ফাযিল মাদ্রাসায় ফাযিলে ভর্তি হলেও সংসারের দায়িত্ব কাধে আসায় পড়াশুনা চলমান রাখতে পারে নাই।
কর্মজীবনে পারিবারিক ব্যাবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে লেখালেখি শুরু করেন।  বর্তমানে তিনি নিউজবিডিজার্নালিস্ট২৪ (অনলাইন মিডিয়া) এর নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

লেখকের বাণীঃ

এই বইটিতে লেখক তার বাস্তব জীবন নিয়ে কিছু কথা, বর্তমান বিশ্বে এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হৃদয় বিদারক অবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, জন্ম, মৃত্যু, কর্মের ফল, স্রষ্টার প্রশাংসা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন টিকটক এবং ইসলামের অবক্ষয়ের ফলে যে কি ঘটছে এবং ঘটতে পারে সব কিছু ইসলামি চেতনা এবং বাস্তব জীবন নিয়ে ছন্দে, ছন্দে, কবিতা, ছড়ার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আশা করি এই বইটি পড়লে আপনাদের ভাল লাগবে আর ভাল লাগলে লেখকের লেখার স্বার্থকতা এবং লেখার প্রতি উৎসাহ বাড়বে।
উৎসাহঃ
আমি সর্ব প্রথম স্বরণ করি পরম করুনাময় আল্লাহু তা-আলার, এর পরে স্বরণ করি আমার শ্রদ্ধীয় মরহুম পিতা আজহারুল ইসলাম। যার লেখা বই পড়ে লেখার জগতে প্রবেশের অনুপ্রেরনা পাই। এর পরে স্মরণ করি আমার শরদ্ধীয় বোন হাসিনা পারভীন এবং বোনায় মোঃ হাফিজুর রহমান, পিতা মাতার পরে স্মরণ করতে গেলে এদের দুই জনের নাম আগে আসে, যাদের অনুপ্রেরনায় আজ এ পর্যন্ত আমি এসেছি। পরবর্তীতে অনুপ্রেরণা যোগায় আমার এক দূর সম্পর্কের ভাতিজা এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক ডাঃ মোঃ রাকিব হোসেন,  এবং নিউজবিডিজারনালিস্ট২৪ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও এডিটর ভাতিজা মোঃ আল ইমরান। বিশেষ করে এদের দুইজনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সময় কম থাকলেও এদের উৎসাহ উদ্দিপনায় এত দূর এগিয়েছি। পাশাপাশি আমার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, যার সার্ভিক সহযোগিতায় বইটি প্রকাশ করেছি।
উৎসর্গঃ
 বইটি আমার মরহুম পিতাঃ আজহারুল ইদলাম, মাতাঃ মোছাঃ গফুরুননেছা, সহধর্মিণী মোছাঃ তৃপ্তি খাতুন, কন্যা মোছাঃ তিশা খাতুন এবং পুত্র মোঃ ফয়সাল কবির (শাওন) ও মোঃ মাহিম আহমেদ এর নামে উৎসর্গ করলাম।
১. “জাগো মুসলিম”
জাগো মুসলিম এক হও
মনে পেয়োনা ভয়,
নারায়ে তাকবীর বলে পুরাতন কেবলা
 মসজিদে আকসাকে করতে হবে জয়।
ইয়াহুদীদের বাহাদুরির
বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও সবাই,
নবীদের মিলনস্থল মসজিদে আকসা
বিজয় অবশ্যয় হবে করছে তারা লড়াই।
ওহে শুনো! রুখে দাড়াও”
বিশ্বের সকল মুসলমান,
ফিলিস্থিনির যুদ্ধের ডাকে
দাওগো সাড়া জীবন করো দান।
ঝরছে চোখের পানি
করছে কত হাহাকার,
অবশ্যয় দেখছেন আল্লাহ
ইয়াহুদীদের কৃতকর্মের করবেন বিচার।
বিজয়, ইনশাআল্লাহ হবেই
এই উপত্যকা গাজা ,
বিশ্বের বুকে মর্যদাবান হয়ে
ইনশাআল্লাহ হবে তারা রাজা ।
জাগো মুসলিম এক হও
মনে পেয়োনা ভয়,
নারায়ে তাকবীর বলে পুরাতন কেবলা
 মসজিদে আকসাকে করতে হবে জয়।।
“করোনা”

করোনা থেকে তোমরা বাঁচতে যদি চাও”
এখনই দুনিয়াদারী ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর পথে চলে যাও।

করোনা নিয়ে করো না বাড়া-বাড়ি’

আল্লাহর সাথে করো না বেশী বাহাদুরী।

বাইরে গেলে মাস্ক পরে বেরুতে হবে’
জানেনা কেউ করোনা ধ্বংস কবে হবে?
চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া তো যাবে না,
বাইরের খাবার খেলে রক্ষা যে হবেনা।
হাঁচি, কাঁশি-দিবে টিস্যু বা রুমালে’
এমন ভাইরাস এসেছে কি কোনো আমলে?

ঘরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন
এভাবেই করোনার ছোবল থেকে বাঁচুন।

৩. “ডেঙ্গু জ্বর”
ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত রোগ,
এ যেন মহামারী প্রলয়,
এডিস মশা কামড় দিলেই
জাগে মৃত্যুর ভয়।
বর্ষা মৌসুমে এ রোগের আক্রমন
চোখে পড়ে বেশি,
সতর্ক থাকতে হবে
আশে-পাশের সকল প্রতিবেশী।
হরেক রকম মশার মধ্যে
শুনলে এডিস মশার নাম”
আতঙ্কেতে সারা দেশবাসীর
গায়ে ঝরে ঘাম।
মশার মধ্যে এডিস মশা হচ্ছে
ডেঙ্গু জ্বরের মূল,
অবহেলায় ডাক্তার দেখাতে
করবেন না কেউ ভুল।
ঝোপ জঙ্গলে থাকলেও
মশা মেনে চলে কিছু শর্ত,
ডিম পাড়ার জন্য বেছে নেয়
পঁচা জমা পানির গর্ত।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে
রোগী যাচ্ছে হাসপাতালে,
চিকিৎসক সহ বহু মানুষ
মারা যাচ্ছে যে অকালে।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটাচ্ছে
এডিস মশার বংশ,
সম্মিলিতভাবে এদেরকে
সবাই করতে হবে ধ্বংস।
বাসার কাছে থাকলে হবেনা
আবদ্ধ পানির কূপ,
পরিষ্কার করে রাখতে
হবে আগাছা বনের ঝোপ।
ভোরবেলা ও সন্ধ্যার পূর্বে
কামড়ায় জুড়ে সুরে,
এদের আক্রমন থেকে
বাচ্চাদেরকে রাখতে হবে দূরে।
ঘুমাতে গেলে মশারি দিবেন
দূরে থাকবে মশা,
সচেতন থাকলে আসবেনা রোগ
ঘটবেনা দুর্দশা।
৪. মুষলধারে বৃষ্টি
সকাল হতেই নেমেছে বৃষ্টি, আজকে সারাবেলা,
আকাশ জুড়ে কালো মেঘে করছে লুকোচুরি খেলা।
বৃষ্টির ধারা ঝরিছে অঝোরে,
খাল বীল নদী-নালা জলে গেছে ভরে।
সারাটা দিন বৃষ্টিতে বসে আছি একেলা,
সবাই ভিজতেছে আর আমি বসে আছি সারা বেলা।
বৃষ্টি ভেজা বর্ষার দিনে মাঝিরা নাই খেয়াঘাটে,
আকাশজুড়ে বিজলী চমকায় মেঘে মেঘে বেলা কাটে।
দূরে গাঁয়ের রাস্তার পরে জ্বল বেঁধে রই,
শিশুরা সব খেলছে কাঁদায় করছে হৈ চৈ।
একটা সাপে ব্যাঙ ধরেছে বাড়ীর পুকুরের ঘাটে,
কালো জ্বলে রাজহাঁসের দল বৃষ্টিতে সাতার কাটে।
নদীতে বান ডেকেছে উপছে পড়ছে ঢেউ,
নদীতে মাঝিরা সব বসে আছে নাইকো কূলে কেউ।
মুশলধারায় বৃষ্টি পড়ে,
বাঁশ বনে পাতা নড়ে।
বর্ষায় ভিজে রাস্তার কুকুর ডাকে ঘেউ ঘেউ,
আমি দেখছি ঘরে বসে আর দেখে না কেউ।
বৃষ্টি পড়ছে মুষলধারে,
মেঘ জমেছে আকাশপারে।
সকাল বিকাল অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ে অবিরল,
সকাল হতে তাকিয়ে দেখি নেমেছে বৃষ্টি বাদল।
৫. মৃত্যুর স্বাদ
মৃত্যু কে সাবাই বাসতে হবে ভালো,
তার রঙ কি শুধুই কালো..?
মৃত্যু মানেই যদি হয় কষ্ট,
বুঝতে হবে দুনিয়াবি কাজ সবই হয়েছে নষ্ট।
মৃত্যুতো কারো প্রেমিক না,
মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে কুরআনে আছে জানা।
মৃত্যু ছাড়বে না কারো জানি হাত,
মৃত্যু দিতে পারে এক অসীম স্বাদ।
মৃত্যু তুমি শেষ সত্য,
কাল-মহাকাল সে যা আছে যত।
মৃত্যু হলো এক অজানা কৌতুহল;
মৃত্যু হলো অজানা মধুর জ্ঞান,
মৃত্যু ছাড়া অসম্ভব”
তার রহস্যের সমাধান।
৬. মৃত্যুর যন্ত্রনা
খাচার ভিতর উদাস মনে কত দিন রবে ঘরে?
মরনের ডাক এসেছে আত্মা যে যাবে ঝরে।    
ক্লান্তি শরীরে ভাজ পড়েছে শুকনো পাতার মত_ 
একাকী থাকতে হবে গহীন অন্ধকারে;
থাকবে কত জীব যন্তু’ মাকড়সার জালে ক্ষত।
মৃত্যু যন্ত্রণায় খোসে পড়ে শত শত দেহে মৃত্যুর কামড়ে,
পায়ের কোষ মরে পড়ে রয়েছে হাঁটে ঘন অন্ধকারে। মৃত্যু” পোষা পাখির মত দেহে করে বাস-সাজ, 
হাসায়-কাঁদায়, দুমড়ে-মুছড়ে চোখ হয়েছে ভাজ।
সকাল, বিকেল, রাত্রি-মরে’ 
ঝরে পড়ে চোখ অন্ধকারের মত”
মৃত্যুর যন্ত্রণা দেহের ভিতর”
দেহ রয় ঘরে বাহিরে অন্ধকারে”
চাঁদের কাছে, মাটির কাছে, ক্লেশ যত।
আমড়া গাছের মত পাতা ঝরা হয়ে আছে শরীরে, ধবল চুল’ আধমরা চোখ’ শুকিয়ে আছে নীরবে। এক মনে চাহে আহারে দীর্ঘশ্বাসে মন কেঁদে উঠে, ঠোঁট’ জিহ্বা শুকিয়ে ধূসর মাঠ চেহারায় উঠবে ফুটে।
চোখের সামনেই কয়েকটি আত্মা উড়ে গেছে,
শত শত চোখ দিয়ে অজস্র জ্বল ঝরিতেছে। 
সইতে হবে সকলে মৃত্যুর যন্ত্রণা যত,
আগুন, পাথর, আকাশ, বৃষ্টি, আলো, পাতা, গাঢ় অন্ধকারের মত।
ঘরে ঘরে দেহ ঘুমিয়ে আছে কত বিছানা হচ্ছে খালি, দেহের সাথে খেলা করে মৃত্যুর চোখে রয়েছে বালি। যমদূত ঘুরে ঘুরে আসে সব ঘরে মৃত্যুকে করে সাথে, মানব দেহ যন্ত্রণা লয়ে মরে, ঝরে মৃত্যুর মালা গেঁথে।
হাসপাতালে মরনের সাথে রয়েছে অনেকে শুয়ে,
অনেক দেহ পড়ে রয়েছে অবহেলা-তুচ্ছ জয়ে। মৃত্যুর ভয়ে কাঁদিতেছে চোখ, জ্বল ঝরে চোখে, চিতকার করিয়া কাঁদিতেছে অনেকে করুণ দুঃখে।
৭. মৃত্যু হোক শক্তি
আমার মৃত্যুতে তোমরা কেহ কেঁদো না,
আমার মৃত্যুতে তোমরা কেহ আলো জ্বালিও না। রাজপথে যে শব্দ দিয়ে প্রকাশ পায় করুণা,
দোহাই তোমাদের সেই শব্দ উচ্চারণ করোনা।
আমার মৃত্যুর পর একত্রিত হয়ে এসো না,
রাজপথে মোমবাতি জ্বালিয়ও না। 
তবে আগুন জ্বলুক সেটা চাই আমিও,
প্রতিশোধের আগুন তোমরা জ্বালিও।
আমি মরে গেছি শুনে কষ্ট পেও না,
চোখের জ্বলে বুক ভাসিও না।
আমার মৃত্যুকে তুমি এড়িয়ে যেও না,
কাল কোথায় কীভাবে কেহ জানে না।
কে জানে কাল কোথায় রবে তোমার কলমের কালি,
তখন মনে পড়বে আমার কথাগুলি।
আমার মৃত্যুতে এক হয়ে যাক সবার ভক্তি,
আমার মৃত্যুকে করে নিও তোমাদের শক্তি।
৮. আল্লামা সাঈদী
সাঈদী মোদের অহংকার
সাঈদী মোদের গর্ব,
আল কোরআনের পাখি তুমি
ইসলাম তোমার ধর্ম!
সততার সাথে পথ চলা 
এটাই তোমার কর্ম।
সারা বিশ্বে খ্যাতি কামিয়েছো
আল কোরআনের বাণী দিয়ে,
তাইতো আজি শোকে কাতর
শুধুই তোমাকে নিয়ে।
হাদিস তোমার সদা মুখে থাকে
কোরআন থাকে কলিজায়,
মৃত্যুর পরে যেখানেই রবে
সেখানে নেই কোন পরাজয়।
ভয় কেন করো! ইসলামের জন্য নবীরা
খাটিয়াছে কত জেল,
সেখানে বসে জিকির আসকানে
তাজা করিয়াছে দেল।
জন্ম তোমার ধন্য হয়েছে
জন্মিয়ে এই দেশে,
পরপারে জীবন পাড়ি দিছো তুমি
শুধুই মুসাফির বেশে।
আকাশ কাঁদে’ বাতাস কাঁদে’ 
কাঁদে আসমান জমিন,
সারা বিশ্বের মুসলিম কাঁদিতেছে 
হয়েছে ধন্য তোমার জীবন।
তোমার কারনে জমিন কেঁদেছে
ভুমিকম্প হলো তাই,
শেষ বিচার দিনে নবীদের সাথে
তোমাকে যেন দেখতে পাই।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি
বিধাতার দরবারে,
জান্নাতের উচু স্থানে রাখিও
মোদের দেলোয়ার হোসাঈন সাঈদীরে।।। 
৯. বৌ শাশুরী
শাশুরী তো মা নয়. শুধুই মায়ের মতন ,
গর্ভে ধারণ করে সয়নি প্রসব বেদন।
মল-মূত্র সাফ করে, পায়নিকো দুঃখ তাপ,
লালন-পালনের কষ্ট সব পেল মাপ।
বৌয়ের বাহু ডোরে শাশুরীর প্রিয় সন্তান,
তাই সেই সন্তানের ভালবাসায় খোঁজে নিজ কল্যাণ।
শুধু কবুল মন্ত্র-সূত্রে গাঁথা এই বাঁধন,
ফের মন্ত্র পাঠে হয় সম্পর্কের পতন।
জামাই-মেয়ে. ছেলে-বধূ-. হয়না কভু সমান,
নিজ রক্তের প্রতি. থাকেই অধিক টান।
সুখ চাই নিজের শুধু. ননোদ শাশুরীকে করে অপমান,
দু’য়ের মাঝে খোঁজে দেখো কেন এত ব্যবধান?
শাশুরী তো মা নয়. তবুও মায়ের মতন!
ক্ষতি কি যদি করি মাতৃ সম যতন?
বউ: ভাবো সেও তো মা. নেই কোন ফাঁক,
শাশুরী: ভাবো সেও তো মেয়ে. দাও মধুর ডাক।।
১০. সেই স্বাদ
দেশ জুড়ে স্বাদ নিয়ে 
করছে সব টিক-টক,
এই সব হচ্ছেটা কি
আছে কি সব ঠিক-ঠাক?
খাবার নিয়ে ফেসবুক ইউটিউবে
মেতে উঠেছে সেই স্বাদ নিয়ে,
খাবার নিয়ে করছে সব মজা
কি আছে এর মধ্যে দেখিতো যেয়ে। 
আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে
করছো তোমরা মজা!
এই নিয়ে আল্লাহর কাছে
পাবে নিশ্চয় সাজা।
বলিগো তোমাদের করিও না এ সব
আল্লাহর কুদরাতে সবই আছে সাফ,
এই কুদরত নিয়ে করিগো মোরা প্রশাংসা
তবেই না আল্লাহু করতে মাফ।
১১. তুমি সুন্দর
নিখুত সুন্দর বানিয়েছে প্রভু তোমার,
মনে হয়” দেখি তোমার জীবন ভর।
হৃদয়ের মধুর নীরব বচন করেছে রঙ্গীন,
তাই বুঝি নিজেকে লাগছে আজ স্বাধীন ৷
যেন অদৃশ্য থেকে আগত তুমি এক পরী, 
মন চায় একবার তোমার হৃদয় করতে চুরি।
এত সুন্দর তুমি, ঠিক পুষ্পের মতোন,
কোনো জাগতিক সুন্দর ও হতে পারে নাতো এমন ৷
শূন্য পায়ে কানন মাঝে তুমি যেও না,
বিঁধলে কাঁটা পদতলে সইতে পারব না।
পুতুলের চেয়েও দেখতে তুমি অনেক সুন্দরী,
কেউ যেন কভু চেয়ে না বসে, তাইতো সদা ডরি।
অন্তরে প্রেমকে জ্বালিয়ে হয়েছ আজ দীপা,
অপার্থিব সুন্দার্য্যগো তুমি অপরূপা।
১২. দূর হতে
যেদিন আমি চলে যাবো তোমায় ছেড়ে,
কাঁদিবা তুমি ওগো যতন করে।
দূর আকাশের অকূল পারে,
দেখব আমি তা নয়ন ভরে।
যেদিন তোমার পাশে দেখবে না আমায়,
একটু খুঁজো আমায়’ তোমার হাতের ছোঁয়ায়।
দূর থেকে আমি কানায় কানায়,
বৃষ্টি হয়ে তোমায় দিবো ভাসায়।
যে দিন আমি থাকব না তোমার কাছে,
ভাবিবা তুমি আমায় মাঝে মাঝে।
পূর্ণিমা রাতের জোৎস্নার সাজে,
খুঁজিয়া পাবে আমায় তারার রাজ্যে।
যেদিন কাজের শেষে এসে খুঁজবে আবার,
র্দীঘশ্বাস যদি গো বা আসে তোমার।
পূবালী বাতাস হয়ে উড়িয়ে নিবো,
শান্তির পরশ আমি বুলিয়ে দিবো।
যদি আর কোনদিন নাইবা আসি,
ভালবাসিও আমায় রাশি রাশি।
দূর হতে আমি পাইবো সুখ,
যদিও এই প্রেম অর্পূণতারই রূপ।
১৩. অপরুপ
সেজেছো তুমি অপরুপ,
দেখেছি তোমায় চাঁদনী রাতে,
কপালে পরেছো কালো টিপ!
চোখে দিয়েছো কাজল.
কোমরেতে পরেছো বিছা,
পায়ে পরেছো নূপুর,
কোন উপমা দেবো তোমায়,
লাগছে সত্যি তোমায় অপরুপ।
মন চায় তোমায় নিয়ে
শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে
হাটি খালি পায়ে।
হাতে হাতটি রেখে”
চলি অজানা পথে দূর অজানাতে চোখে চোখ রেখে। 
অবশেষে কি বলবো তোমায়’
চোখের কাজল করে রেখ আমায়।
কখনো দিওনা কেদনা তুমি’
তাহলে ভেসে যাবো চিরতরে আমি।
১৪. মনের অজান্তে
পেরিয়েছি কত জলধারা-খাল-বিল-নদী-নালা
কুহক পায়ে বন-জঙ্গল-লোকালয়ের গাছপালা,
হেটেছি এদিক সেদিক-বন্ধুদের-কর্দম মেঠোপথ
পেরিয়েছি কাঁচা-পাকা রোড ও পিচঢালা রাজপথ।
ছাদের নীচে-পুকুরের পাড়ে আকাশের নীচে আর গাছের নীচে
ঘুমিয়েছি সবুজ ঘাসের মখমলের উম্মুক্ত বীচে,
কাঠের-টিনের-ইটের-সিরামিকের মৃত কুঠরে!
প্রাণী আমি ঘুমিয়েছি, প্রাণহীন গৃহের অন্দরে।
ডাক শুনেছি হৃদয়ের খেয়া পারে- নদীর ধারে
নদীর এপারে বসলে’ কে যেনো ডাকে মহাসাগরে’
হাতে হাত-চোখে চোখ রেখে মনে রেখে মন’
সমাজ দাবড়িয়েছি শান্তিতে রাখিবো তাও মন মানেনা মন।
এখনও জানিনা নোঙ্গর ফেলেছি কোন প্রান্তে
নাকি জেনে না জেনে ফেলেছি মনের অজান্তে,
রহস্যময়-বৈচিত্রময় এই মনাকাশের নীলিমায়
কোন পরী পরেছে নীলাম্বরী, মনের অজানায়।
বাসা বেঁধেছে কে আমারি চিন্তে এখনও জানিনা
মনের অজান্তে বেঁধেছে কি বাসা ! তাও জানিনা।
১৫. লুট-পাট
লুট-পাট হচ্ছে নাকি দেশ?
চারিদিকে পাচ্ছে তার রেশ।
খাচ্ছে সব গরীবের ক্যাশ,
এইবার বুঝি হলো সব শেষ।
এতো নই সাধারণ ডাকাতি,
এ যে কতো বড় কথা ভেবেছো কি কথাটি?
নিরবে চলছেতো বেশ’ 
সন্ধানে বাড়ছে শুধু ক্লেশ’
কোথায় গেলো ব্যাংকের টাকাটি?
বড় বড় সাধু’ মুখে শুধু মধু’
এরাই নাকি এসবের হোতাটি?
ধনী হচ্ছে নাকি দেশ?
কোথাও পাচ্ছি নাতো তার লেশ! 
বাড়ছে শুধুই কি করের ঐ বুঝাটি?
দায় দেনাই নিঃশেষ’ রাষ্ট্রের তলদেশ,
কার পাতে পড়ছে এসবের ফলটি?
হরিলুটে হচ্ছে নিঃশেষ’
নিত্য প্রয়োজিনীয় দ্রব্য মুল্য বেড়ে চলেছে বেশ;
কে মিলাবে হিসাবের খাতাটি?
করছে সব দলে শত শত সমাবেশ’
মঞ্চে উঠে দিচ্ছে যারা উপদেশ! তারাই নাকি মুল চোরটি?
১৬. কাঁচা ঝাল
কাঁচা ঝালের রেকর্ড ছড়িয়েছে মোর দেশ জুড়ে,
আট শত টাকা কেজি দেখছি সারা বাজার ঘুরে।
এখন থেকে নাই কাঁচা ঝাল বাদ দিয়ে খাবো শুকনো ঝাল!
কিছু দিন শুকনো ঝাল খাইলে তখন কাঁচা ঝাল পঁচে হবে রসাতাল!
কাঁচা ঝাল নিয়ে ব্যাবসায়িকরা যত করবে সিন্ডিকেট,
আমরা কি পারি না?
কাঁচা ঝালের বদলে শুকনো ঝাল খেয়ে দিতে ব্যারিকেট?
যদি করি মোরা চেষ্টা
তবে ব্যাবসায়িকরা হবে বৃথা,
যদি আমরা সবে মিলে করি হেতা:
কাঁচা ঝাল নিয়ে ব্যাবসায়িকদের সিন্ডিকেট
হবে যে বৃথা!
১৭. সেবিকা
সুখে দুঃখে সর্বক্ষণ থাকি রোগীর সাথে,
জীবন কাটাই সেবার মাঝে দিনে রাতে।
কান্নায় স্বজন কাঁদে আপন জনের বিদায়,
নিয়তির খেলা স্বজনের বুকে বুঝানো কঠিন দায়।
সুইপার মুচির চেয়ে আমি কোনো অংশে কম নই,
গন্ধ ঘৃনা সব মানিয়ে আমি সেবিকা হয়েই রই!
বাঁকা চোখে দেখে কতো এই সমাজের মানুষ,
সেবিকা আমি: নিম্ন কাজে যেনো অমানুষ।  
অহংকারী কতজন কত ভাবে বুকে,
হৃদয় যেনো ব্যাথায় ব্যাথায় পাথর হয় শোকে।
লোকে বলে দেশে কতো মানুষ রাখো কি হুষ?
সম্মান দাও কাজের প্রতি নেইতো কোনো দোষ।
সেবার কাজ পরম ধর্ম কর্মে পাবে ফল,
বাকি সব যে যাই করি না কেনো সবই হবে জীবনের নিষ্ফল।
১৮. অপারেশন
নিস্তব্দ চারিদিকে শুধু অস্ত্রের শব্দ,
আপনজন কেহ নাই’ তাইতো আমি স্তব্ধ।
ডাক্তার আর নার্স মিলে করছে অনশন,
আজ যে হচ্ছে আমার অপারেশন।
নিস্তব্দ আমি” আছে শুধুই দেহ,
আপনজন পাশে কেহ নাই আছে সবার স্নেহ।
সবই দেখছি” পারছি না কিছু বলতে,
করেছে অপারেশন আসছে সবাই দেখতে।
ডাক্তার আর নার্সেরা মিলে করছে আমার অপারেশন,
এই অপারেশনে হয় যেনো আমার এই রোগের নিরসন।
আমার অপারেশনে হয় যেনো সফল করিগো কামনা,
মোর জন্য করিও সবাই দোয়া এই হলো আমার বাসনা।
১৯. বৃষ্টি
 সন্ধ্যা হতেই নেমেছে বৃষ্টি
আজি রাত্রি কালে,
আকাশ জুড়ে কালো মেঘেরা
লুকোচুরি খেলে।
বৃষ্টির ধারা ঝরিছে অঝোরে,
নদী খেত মাঠ, জ্বলে আছে ভরে।
ফসলের  ধারে, রাঙ্গীয়ে আছি
আমি বৃষ্টিতে ভিজে এই রাত্রি,
তোমরা সকলে এসো,
আমাকে নিয়ে যাও এই রাত্রি।
বৃষ্টি ভেজা বাদল রাত্রে
মাঝিরা নাহিকো খেয়াঘাটে,
বিজলী চমকায় আকাশের গায়
মেঘে মেঘে রাত্রি কাটে।
দূরে গাঁয়ের পথের বাঁকে
এক হাঁটু জ্বল জমে থাকে,
একটা সাপে ব্যাঁঙ ধরেছে
আমাদের নদীর ঘাটে।
কালো জ্বলে তার, রাজহাঁসের দল
বৃষ্টিতেও সাঁতার কাটে।।
অজয় নদে বান ডেকেছে
উপছে পড়ে প্রবল ঢেউ,
মাঝি একা বসে ঘাটে’
নাইকো কূলে আর কেউ।
মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ে
গাছ-গাছালির পাতা নড়ে,
বর্ষায় ভিজে রাস্তায় কুকুর
ডাকে ঘেউ ঘেউ,
আমি দেখি জানলা খুলে
আর দেখে না কেউ।
ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টি পড়ে
গাঁয়ে লাগে জ্বল,
বাসায় ভিজে পাখিরা সব
করছে কোলাহল।
২০. টিপ টিপ বৃষ্টি
টিপ টিপ করে পড়ছে বৃষ্টি
একধারে চেয়ে আছি মেলে দৃষ্টি,
সবুজ পাতায় পায় জ্বলের পরশ
প্রকৃতির প্রেম হয় হটাৎ সরস।
বৃষ্টির প্রতিক্ষায় তাকিয়ে থাকি
সঙ্গীকে দ্রুত কাছে ডাকি,
দেখছি আকাশে মেঘ করেছে
ময়ূর ময়ূরী নাচন ধরেছে।
মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ শুনি
বিদ্যুৎ চমক দেখে পড়ছে চোখের মনি,
পৃথিবীর বুকে জ্বল ঝরে পড়ছে
ভয়ে সে আমায় জড়িয়ে ধরছে।
তাকে বলি চলো বৃষ্টিতে ভিজি
চলো বর্ষার এই ধারায় দু-জন সাজি,
প্রকৃতিকে আজ স্বাগত জানাই
প্রেমের স্নিগ্ধা আর সিক্ততা পাই।
২১. ডাক্তার
ভাবে লোকে” অসুখ সারাবেন ডাক্তার,
পরম ভরসা’ তিনি ভরসার আধার।
একই রোগ নিয়ে হাজির দুজন,
একই ঔষধ করে দেই সেবন।
একজন আরোগ্য লাভ করে,
অপরজনের রোগ কেবলই বাড়ে।
হাসপাতালে রোগী মৃত্যুশয্যায়,
অসুখ নাহি সারে প্রাণপণ চেষ্টায়।
রোগী প্রাণবায়ু ছাড়ে’ আর দেখে সবে,
ডাক্তার দণ্ডায়মান গম্ভীর অবয়বে।
স্বজনের আহাজারি’ চিকিৎসায় ব্যার্থ ডাক্তার,
পারেনি করতে রোগ প্রতিকার।
ডাক্তার কহে, আমার কার্য কেবলই চেষ্টা,
সেবা শুশ্রূষা করি’ তাতেই গভীর নিষ্ঠা।
আল্লাহর হস্তে সর্বময় ক্ষমতা,
তিনিই রোগদাতা’ তিনিই মুক্তিদাতা।।
২২. লেখাপড়া
লেখাপড়া করতে হবে
বুঝতে হবে ভালো,
জানতে হবে বিশ্বটাকে
আনতে হবে আলো।
লেখাপড়া মনের কালিমা
সদা করে ধ্বংস,
লেখেপড়া সুখের জোয়ার
সমাজের ওই অংশ।
লেখাপড়ার গাফিলতিতে
অজ্ঞ সমাজ জুড়ে!
অভিভাবকের স্বপ্ন গুলো
যাচ্ছে রে তাই দূরে।
জীবনটা স্বপ্ন নিয়ে
চলতে দেই এক মাত্র শিক্ষা!
জ্ঞানের প্রদীপ শিক্ষা গুরু
দিলেন যিনি দিক্ষা।
লেখাপড়া করে যে
ভালো শিক্ষা পায় সে,
লেখাপড়ায় যে দিবে ফাঁকি
তার শিক্ষাটা হবে বাকি।
শিক্ষা ছাড়া জীন যুদ্ধে
জয় হয় না কভু,
শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড
প্রবাদে আছে তবু।।।
২৩, পরীক্ষা
পরীক্ষা শব্দ শুনলে 
মনে লাগে ভয়,
পরীক্ষায় পাশ করলে
আনন্দ সকলে পায়।
এই পরীক্ষা সেই পরীক্ষা
পরীক্ষার নেই শেষ,
পরীক্ষার সময় পিছিয়ে গেলে
অনেকের মনটা খারাপ হয় বেশ।
সেই পরীক্ষা আসে আবার
ক-দিন বাদেই ফিরে,
খারাপ মন ভালো হয়
হতাশা যায় বেড়ে।
একটা চাকুরি পাইবার জন্য
কত পরীক্ষা নাহি দেয়,
একটু খানেক শুখের আশায়
কতই না ঝুকি নেয়।
শেষ করলাম জীবন যৌবন
চাকুরি করার নেশা,
এর চেয়ে ভালই ছিল 
চাষবাদের পেশা।
ভালোই ছিলো ইজিভ্যান
ভালোই ছিলো ট্যাক্সি,
শিক্ষায় ফাঁকি দিয়ে
চাকর হয়ে খাটছি।
ভাবছি এসব একাকি বসে
ভাবছি বসে একা,
ভাবছি আমি কত নির্বোধ,
আমি কত বোকা।।
২৪. আল কোরআন
কোরআন পড় দিবা রাতে, 
চিন্তা ফিকির করে দেখো কি রয়েছে তাতে।
সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব এটি মানব মুক্তির পথ, 
কোরআন দিয়ে গড়লে দেশ মানুষ হবে সৎ।
জাহিলিয়াতের যুগে পাপাচারে লিপ্ত থেকে নিত্য ঝরাতো প্রান,
এই কোরআনের বাণীর আলোয় মিললো পরিত্রাণ।
অহীর পরে আমল হতো নবীর শিক্ষকতায়, মাপকাঠিটা কোরআন ছিল নবী ছিলেন যেথায়।
উমর ফারুক রাগের বশে হত্যা করতে যান, পথিমধ্যে কোরআন শুনে হলেন মুসলমান।
কোরআন পড়া শ্রেষ্ট জিকির হাদিসেতে পাই
কোরআনে যে সম্মান আছে অন্য কোথাও নাই।
জ্ঞান বিজ্ঞান সবই আছে, আছে রোগের শিফা!
এক হরফে দশটি নেকি যায় না তাহা মাপা।
এই কোরআন আছে আল্লাহর হেফাজতে!
আদেশ নিষেধ মেনে চললে মুক্তি আখেরাতে।।
২৫. একত্রে বাস
হিন্দু মুসলিম সবাই মিলে 
মোদের দেশে বসবাস, 
সৃষ্টির সেরা মানুষ মোরা 
সংঘাত করলে হবে সর্বনাস।
কেনো এতো হানাহানি 
বুকেতে কি নাই ভয়? 
দাঙ্গা ফ্যাসাদ বাদ দিয়ে
এদেশটাকে করব জয়।
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি
আছে নবীজির নিষেধ,
মানুষের সেবা করো
রেখো না মনে বিদ্বেষ।
দেশের জন্য যুদ্ধ করতে
ভুলে ছিল সকল জাত,
ভুলে গেছি সেই কথা
মোরা ধরে ছিলাম হাতে হাত।
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ মিলে
করি মোরা বসবাস,
এক সাথে খেতে পারি
চলতে পারি বারো মাস।।
২৬. কূ-সংস্কার
কূ-সংস্কারে পৃথিবীটা চলছে ধেয়ে,
তারই জন্যে আয় বরকত ফেলছে খেয়ে।
মুরুব্বীরা বলে এটা না ওটা করা যাবে না বেটা,
কোরআনে এবং হাদিসে দলিল নাই সেটা।
আরে বাবা দলিলে আছে যটা,
সকল কূ-সংস্কার বাদ দিয়ে বলো সেটা।
পুর্ব পুরুষ এবং মুরুব্বী
বাদে সঠিক পথে চলো,
কোরআন ও হাদিস পড়ে
সৎীক কথা বলো।
দলিল সম্মত কথা বলা
শরিয়তে আছে মানা,
কোরআন ও হাদিস পড়ে শিখো
যে বিষয়ে নাই জানা।
কূ-সংস্কারে সারা পৃথিবীটা
আছে ছেয়ে,
এরই জন্যে ঈমান আমল
সব কিছুই ফেলছে খেয়ে।
ভালো  কিছু যদি
তোমরা পেতে চাও,
কূ-সংস্কার বাদ দিয়ে
সঠিক পথে চলে যাও।।।
২৭. অসহায়
আজব এই পৃথিবীতে
আমি বড়ই অসহায়,
প্রত্যেক সময় ব্যাথা নিয়ে
তোমার কাছে আসতে চাই।
তোমার মিষ্টি ভালোবাসা আর
সাথে তোমার মৃদ হাসি,
আমার হৃদয় স্পন্দনে
তোমার জন্য সুখের সূর্য নিয়ে আসি।
আমি সর্বদা তোমার সাথে
ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকতে চাই,
তোমার প্রেমে ডুবে যেনো প্রতিদিন
গল্প, কবিতা লেখার সুযোগ পায়।
আমি বড়ই অসহায়
যদি তোমার কাছে নাহি পাই,
তাই তোমাকে পার্শ্বে নিয়েই
আমার রুমান্টিক গল্প আর কবিতা লিখতে চাই।
আজব এই পৃথিবীতে
আমি বড়ই অসহায়,
যন্ত্রনা আর কষ্ট নিয়ে থাকি
যদি তোমাকে কাছে না পাই
আমি বড়ই অসহায়।।।
২৮. মায়ের সম্মান
মায়ের মত এই
পৃথিবীতে আপন কেহ না,
মায়ের সাথে এই পৃথিবীতে
কারো করো না তুলোনা,
পৃথিবীতে সবার আগে
দিতে হয় মায়ের সম্মান,
মা হলো স্বর্গ নরক কারো
সাথে করো না মায়ের সম্মান  ।
হাদিসেতে আছে
বাবা এক মা তিন গুন সম্মান,
মা ছাড়া এই পৃথিবীতে
কেহ নাই আপন।
শত কষ্টে সহ্য করে
করেছে গর্ভে ধারণ,
সন্তানের শত যন্ত্রনা
মা করে নেই বরণ।
শিশুকালে মায়ের দুগ্ধ
করিয়াছো পান,
সব কিছু দিয়েও দিতে
পারবে না মায়ের দুধের মান।
কত মলমূত্র পরিস্কার করে
মা করেছে বরণ,
এসব কথা ভাবতে গেলে
সবার আগে মাকে করো স্মরণ।
মায়ের মত পৃথিবীতে
আপন কেহ না,
মায়ের সাথে এই পৃথিবীতে
কারো করো না তুলনা।।।
২৯. শিক্ষক
শিক্ষক হলো মোদের
জাতীর গুরু,
শিক্ষকের দীক্ষা নিয়ে
জীবন করি মোরা শুরু।
শিক্ষক মোদের
দিয়েছে শিক্ষা,
সেই শিক্ষা নিয়ে
পেয়েছি মোরা দীক্ষা।
দীক্ষা নিয়ে সমাজটাকে
জ্বালাবে আলো,
দীক্ষায় পরিবর্তন করিলে সমাজ’
নিজেকে লাগবে যে ভাল।
শিক্ষকের দীক্ষায় সব সময়
আলোকিত সমৃদ্ধির পথে সহযোগী হবে,
সেই দীক্ষা জ্ঞানের দিকে
তোমাদের আপন দিশা দেবে।
শিক্ষকের দীক্ষা নিয়ে
আজ হতে নিতে হবে শ্বপথ,
শিক্ষক দিনে দিনে দেখাবে
জীবনের উজ্জ্বল পথ।।

৩০. স্বাধীন

স্বাধীন দেশে থেকে মোরা
কেন হয়েছি পরাধীন,
পরাধীন যদি থাকব মোরা
কেন করেছো দেশটা স্বাধীন?
কারো প্ররচণায় না থেকে
নিজ ভাব প্রকাশ করায় স্বাধীন,
সেই ভাব যদি স্বাধীনভাবে করতে
না পারো তবে মোরা রয়েছি পরাধীন।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
দেশটা করেছি মোরা স্বাধীন,
সেই দেশে থেকে কেন
থাকতে হবে পরাধীন।
থাকব নাকো বদ্ধঘরে
চলতে হবে স্বাধীন ভাবে,
সেই স্বাধীনতার বাঁধা এলে বুঝতে
হবে রয়েছি মোরা পরাধীনভাবে।
স্বাধীন দেশে থেকে মোরা
কেন থাকবে পরাধীন,
পরাধীন যদি থাকবে মোরা
কেন করেছে দেশটা স্বাধীন???
৩১. ধর্য্য
ধর্য্য হলো আল্লাহর পছন্দ,
সেই ধর্য্য নিয়ে লেখা শুরু করছি কবিতা/ছন্দ।
সফলতার জন্য ধর্য্যের প্রয়োজন,
সেই গুণকে আমরা করি সমর্থন।
ধর্য্যশীল মানুষ হয় মহৎ,
সেই কারনে পাই সে সঠিক পথ।
ধর্য্যকে করো না কারো সমান,
এটি হলো আদর্শ ব্যাক্তির মান।
ধর্য্য সঙ্গী হলে আপনি উপরে উঠতে পারেন,
জীবনের যে কোন চ্যালেঞ্চে সমর্থন করতে পারেন।
ধর্য্য নিয়ে জীবন সুন্দর হয়,
সকল বিপদে মাথা উঁচু রাখতে সহায়ক হয়।
ধর্য্য নিয়ে লিখলাম কবিতা/ছন্দ,
সেই কবিতা/ছন্দ পড়ে যদি করো পছন্দ।
এই কবিতা/ছন্দ পড়ে যদি করো সমর্থ,
তবেই হতে পারে আমার এই লেখার স্বার্থ।।
 ৩২. চরিত্র
সততা, নিষ্ঠতা যদি হয়
মানুষের চরিত্র,
ন্যায় পরায়ন সৃষ্টতা
সেই মানুষকে করে পবিত্র।
চরিত্রবান মানুষ সত্যের পথে
চলে ত্যাগের মতন,
জীবনের সকল আশা
হতে পারে পুরন।
চরিত্রবান মানুষ দুর্বল নয়
হয় সে মানবতা সম্পন্ন,
শক্তি আছে তার
আত্মাকে করে আচ্ছান্ন।
নিজ থেকে সবাইকে
করে বহু সম্মান,
চরিত্র তার শাশ্বত, জ্যোতিরূপ আলোকিত,
হবে না কারো সমান।
হিংসা বিদ্বেষ কোনোটাই
তার ভিতর নাহি পায় ঠাই,
চরিত্রের গুণাগুণ একমাত্র
আল্লাহুর ভালোবাসার মধ্যেই স্থান পায়।।
৩৩. কর্মের ফল
 জীবনে ভুল করে যদি তুমি
হারিয়ে ফেলো কুল,
তবে যেনে রেখো দিতে হবে
 তোমার এই ভুলের মাশুল।
জানি মরা বৃক্ষ কখনো
মরা থাকেনা থাকে তাহার জাত,
বৃক্ষের জাত যদি হয় ভাল
হতে পারে সেই বৃক্ষে তোমার ভাত।
যত কর্ম চেতনা সবই
মস্তকের উপরেই থাকে,
মস্তকের শত ভাবনা দিয়ে কর্মের
সব শুফল করতে দেখেছি তাকে।
জানি কর্মফলে গুণের আবির্ভাব
যদি কর্মটা থাকে স্বচ্চ,
ধর্ম, কর্ম ভেসে যায় কর্মের স্রোতে
কুলের পরিচয় হয় তুচ্ছ।
আজি দিকে দিকে অসুরের ছড়া
“মানবতা” কর্ম গুণের মহাসঙ্কট ,
কর্মপথ তার  মল-মূত্র ঝলমলে
বিভীষিকায় ডুবন্ত মানস্পট ।
দর্শনে হয়ে যায় চোখ লালে লাল
কিংকর্তব্য বিমুঢ় যেন!
বড় সখের মানব তুমি দয়িতের
এত অমানুষ হও কেন?
৩৪. মাটির মানুষ
মাটির দেহ মাটির মানুষ
মাটি হবে বিছানা,
সাড়ে তিন হাত মাটিই
হবে তোমার আসল ঠিকানা।
সৃষ্টিকুলের সৃষ্টির সেরা
করছে এই মাটির মানুষকে,
সেই প্রভুর গুনগান না করিলে
কেমনে যাবে তার সম্মুখে?
সব জিনিসের মুল্য আছে
মরিলে এই মানুষের নেই মুল্য,
সবার উপরে মানুষ সত্য
আবার করিনি কারো সমতুল্য!
মাটির শোভা নতুন বসন্তে
প্রভু করেছে প্রাণের উদ্ভব,
প্রভু দিয়েছে মাটিতে প্রাণ
এই মাটি দিয়ে করছি কত উৎসব?
মাটির মানুষকে করেছে প্রভু
সকল সৃৃষ্টির সেরা ভুবনে,
সেই প্রভুর গুনগানা করে
শেষ করা যাবেনা এজীবনে।।
৩৫. সৃষ্টির প্রশংসা
পরম করুনাময় যিনি এই পৃথিবীর
সকল সৌন্দর্যের নির্মাতা,
তিনিই অদ্ভুত এই শৃঙ্গার
সৃষ্টির আদি কর্তা।
জগত সৃষ্টির  গোপন রহস্য
পরম করুনাময় মায়ার বিচিত্র,
এই ইহকাল ও পরকাল জীবনের প্রতি
 স্রষ্টার সত্য দর্শক নিরুপিত।
প্রণীর চারপাশে সে স্রষ্টার
নিয়ন্ত্রণ অধীন সবুজবনে,
তাহার সৃষ্টি নীতি অমূল্য
অদৃশ্য নিত্য বর্ণন বালুবনে।
সৃষ্টির প্রতি করি আমরা সমর্পণ
জানাই তাহার সৃষ্টির শ্রদ্ধা,
সেই স্রষ্টার  সর্বদা গুণগাণ করিলে
পাবে তোমরা সমমর্যাদা।
তিনি বিচার দিনের মালিক
তাকেই করিবে স্মরণ,
সর্বদা সঠিক পথ পাইবে তুমি
তাহার দেখানো পথে হয় যদি মরন।
৩৬. হটাৎ বৃষ্টি
কত মনোরম বৃষ্টি ঝড়লো
আঝোরে কাঁদল আকাশ,
সারা দুনিয়া আঁধারে ডুবলো
হৃদয় জুড়ালো বাতাস।
বজ্র পড়ল,সূর্য ডুবলো
আকাশে ভরলো মেঘ,
আমের মুকুল ছিড়ে পড়েছে
বাড়ছে স্রোতের বেগ।
শুকনো পুকুর সিক্ত হলো
রিক্ত হলো চাষি,
মুছিয়ে গেলো ছিলেন যতো
ময়লা,পঁচা,বাসি।
উদাস চোখে ক্ষুদার্থ কাক
দেখছে ঝড়ের ফোটা,
বিড়াল ছানা ভিজছে তবু
লাগছে অনেক মোটা।
তাপের চাঁপে হাঁপছিলো সব
হয়েছে এখন শান্ত,
ব্যাঙ ডাকছে ব্যাকুল হয়ে
হবেনা আর ক্ষান্ত।
৩৭. সর্বনাশ
জিহ্বা আমার সকল 
গুনাহ সর্বনাশের মুল,
এই জিহ্বা দিয়েই বলেছি মিথ্যা 
করেছি কত ভুল?
মনের গহিনে যতো ভাবনা এসেছে,
এই জিহ্বা দিয়ে করেছি কত স্বাদ পুরণ:
চলা ফেরায় বলেছি কত মিথ্যে অনেক কিছু পাবার স্বার্থে,
কখনো আমার মুখে হয়নি মিথ্যার মরণ!
দুনিয়ার যতো পাপ-কথা বলেছি 
এই জবান দিয়ে”
অন্তরে তাই কালিমা দাগিয়েছি 
যতো অসৎ স্বপ্ন এই নয়ন দিয়ে।
ভুলে- ভুলেই কাটিয়েছি জীবন 
কোরআন করেছি হেলা,
জীবন শেষে রাত নামবে আহ! 
ফুরিয়ে যাচ্ছে যে বেলা।
তবুও আমি মত্ত-বেহুশ এই ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ার জন্যে,
ভাবিনি আমি কখনো কি জবাব দিবো ঐ হাশরে স্রষ্টার পানে।
জীবন শেষে, শেষ জীবনে এসে অনুশোচনার আগুনে,
পরিতাপে মরছি আমি আজি কি ভুল করেছি এই জীবনে!
আমার মত হভাগা আছে কি কেউ এই দুনিয়ার বুকে,
ক্ষমা করে দিও হে প্রভু মোর যতো অপরাধ 
তার পরে দিও মৃত্যুর স্বাদ
কিয়ামতের মাঠে করো না আমায় লজ্জিত লোক
 সম্মুখে!
৩৮. ইসলাম
মুখে এক কাজে অন্য
এসমাজে সবই চলমান,
আমরা হইলাম
নামেই  মুসলমান।
কুরা-আনে বলে
ইসলাম মানে শান্তি,
এই জগতে থাকলে
হবেনা কোনো ক্লান্তি।
অন্যের পিছে থেকে
মুখে দাবি মুসলমান!
প্রভুর সাথে করি
মোরা বেঈমান।
বিপদে আপদে
সবযায়গাই তার নাম,
দাবি করি মোরা
ধর্ম হলো ইসলাম।
৩৯. পরকাল

আজকে তুমি করবে

যাহা সাক্ষী হবে কাল,
ভাবিয়ে সব করিবে তুমি

দন্ডায়মান হতে হবে পরকাল!

দুই দিনের এই দুনিয়াই

ভুলে থাকো রঙ তামাশায়,
মন্দ কাজে পার করিয়ে
পার করো সময়।
কে তোমার করিয়াছে সৃষ্টি
রেখোনা তাহা মনে,
তার সব নেয়ামত
ভোগ করিতেছো বিনা অর্জনে!
হিসাব একদিন দিতে হবে
সাধ্য কারো নাই,
সব নিয়ামত নিচ্ছো শুধুই
দিচ্ছো কি তাই?
হৃদয় ভক্তি সহকারে 
যে চাইবে স্রষ্টার কাছে,
কর্মের বিনিময়ে পরকালে
জান্নাত সে পাইবে!!
৪০. জান্নাত
জান্নাত নামের বাগানটি
শান্তি সুখের স্থান,
ভালো কাজ করে
কিনে নাও আখেরাতের এই বাগান।
মজার মজার খাবার খেতে
ঘোড়ায় চড়ে উড়ে তোমরা যাও!
এর চেয়ে মজার খাবার পেতে
ভালো কাজ করে জান্নাতে যাও।
আম জাম আপেল লিচু
আরও আছে অনেক কিছু,
মনের মধ্য যাহা চাইবে
পাইবে সব কিছু।
৪১. জাহান্নাম
কি এক অথৈ আগুনের সাগর
নাম তার জাহান্নাম,
সেখানে আছে শুধু আগুন
থাকতে হবে অবিরাম।
সেখানে আছে অসংখ্য বিছ্যু
আর ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ,
অতল সাগরে রহিয়াছে
প্রখর আগুনের তাপ।
পাপী তাপি কাফির যারা
ঠিকানা এই জাহান্নাম!
সেখানেই থাকতে হবে
থাকবেনা আর আরাম বিরাম।
৪২.   নিয়তি
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন
দিতে পারলে তুমি
সবার কাছে ভাল,
একটু দেওয়া বন্ধ করলেই শুনবে
তোমার ভিতর বাইরে সবই কালো।
সবাই বলে দুনিয়াটা
নাকি স্বার্থেই চলে?
স্বার্থের এই দুনিয়াই চলতে যেয়ে
কেউ হাসে আর কেউ কাঁদে চোখের জলে।
হায়রে নিয়তি!
তোমার এই খেলায় আমরা সবাই মাতি,
কেউবা হচ্ছে সবার শীর্ষ
আর কেউ বা পাচ্ছে না কোন গতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *